এইটা শুয়াপোকা। অনি বলে।
ঘৃণায় নাক কুচকে লিলি বলে, ইয়াক থু। ছি ছি। তুই রাজ্যের পোকা দেখে বেড়াস। অনি বলে, শুয়াপোকা প্রজাপতির বাচ্চা। বড় হলে প্রজাপতি হয়ে উড়বে। লিলি দেখতে পায়, লাল আর হলুদ মিশ্র বর্ণের কয়েকটা প্রজাপতি গাছের আশেপাশে উড়ছে। একটা প্রজাপতি এসে লিলির কাধেঁ বসে। লিলি তাকে ঝেড়ে ফেলতে গিয়েও ইতস্তত করে। প্রজাপতিটা দেখতে খুব সুন্দর। রোদ পড়ে ডানা দুটো ঝলমল করছে। অনি সেদিকে তাকিয়ে বলে, আপু, তোমার হাতে প্রজাপতি বসেছে। তার মানে খুব শীঘ্রই তোমার বিয়ে। লিলি অনির মাথায় চাটি মেরে বলে, তোকে পাকামো করতে হবে না। বাবা বলেছে, আমি মেডিক্যালে পড়বো। ডাক্তার হবো। এখন সবে ক্লাস নাইনে পড়ি।
বিয়ে করবে না? তাহলে প্রত্যেক শনিবার অঙ্কের কোচিং ফাকিঁ দিয়ে শোয়েব ভাইয়ের সঙ্গে ফার্স্টফুডের দোকানে চুটিয়ে প্রেম করো কেন? কথাটা অবশ্য অনি প্রকাশ্যে বলে না। তার এই নয় বছর বয়সের জীবনে সে শিখে গেছে, অনুগ্রহকারীর মুখের উপর সত্যি কথা বলতে হয় না।
মায়ের মৃত্যুর পর থেকে অনি মামার বাড়ি থাকে। তার বয়স যখন চার বছর তখন মা মারা যান। মায়ের জন্ডিস হয়েছিল। হেপাটাইটিস বি। মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। অনির স্পষ্ট মনে আছে, ছোটমামী প্রায় বিরক্ত কণ্ঠে বলতো, রোগী টানতে টানতে হাত ক্ষয় হয়ে গেলো। বাড়ি থেকে আপদ বিদায় করে দিলেই হয়। টাকা কি গাছে ধরে?
অনি না চাইলেও এইসব কথা তার মনে পরে। অনি আর লিলি বাড়ির পিছনে পেয়ারা গাছের নিচে দাড়িঁয়ে কথা বলছে। দোতলা বাড়ির পিছনে বেশ খানিকটা খালি জায়গা আছে। সেখানে মেজ মামা শিউলি, বকুল আর কামিনী ফুলগাছের চারা লাগিয়েছিলেন। গাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। কাজী পেয়ারা গাছটা লাগিয়েছেন ছোটমামা। গাছটা সুফলা। সারা বছরই ফল হয়। তবে মেজমামার ছেলেমেয়েদের পেয়ারা স্পর্শ করা নিষেধ। গাছের মালিক ছোটমামা। অনি ছোটমামার সংসারে খায়। তাই পেয়ারা পাড়তে তার নিষেধ নাই।
লিলি ছোটমামার বড় মেয়ে। এই বৈরী পৃথিবীতে অনির যত শত্রু আছে লিলি তাদের মধ্যে অন্যতম। সে প্রায়ই মামীর কাছে মিথ্যা নালিশ করে অনি কে মার খাওয়ায়। তবু সে লিলির সাথে সদ্ভাব রেখে চলে। আজো সেই কথা মনে রেখে অনি বলে, আপু, তোমার নাম তো লিলি। এই নামের ফুল আছে। ফুলগুলোর গন্ধ বিস্কুটের মতো। লিলি একটা পাকা ডাসা পেয়ারায় কামড় বসিয়ে বলে, তুই সব সময় খাওয়ার কথা চিন্তা করিস কেন?
অনি একটু লজ্জ্বা পায়। শনিবার শোয়েব ভাইয়ের সাথে লিলি ফার্স্টফুডের দোকানে দেখা করে। পরে বাড়ি এসে ডেটিংয়ের যাবতীয় বিবরণ অনি কে শোনায়। প্রেম ভালোবাসার বিষয়ে অনির আগ্রহ কম। কিংবা এখনো সে এই বিষয়গুলো তেমন বোঝে না। তবে পিৎজা, বার্গার, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদি খাবারের নামগুলো তার মুখস্থ হয়ে গেছে। অনির এগুলো খুব খেতে ইচ্ছা করে।
এখন দুপুর। অনি গুটি গুটি পায়ে এসে রান্নাঘরের সামনে দাড়াঁয়। ওর মাথা নিচু। কিন্তু আড়চোখে ঠিক দেখতে পায়, ছোটমামী ইলিশ মাছ ভাজছে। অনি কে দেখে ছোটমামী বলে ওঠে, বিড়ালের মতো ঠিকই মাছের গন্ধ পেয়ে চলে এসেছে। মা তো মরেছে। বোঝাটা চাপিয়ে গেছে আমার ঘাড়ে। তারপর এক প্লেট ভাত আর কুমড়ো ঘন্ট অনির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, খেয়ে আমাকে উদ্ধার কর। অনি বাধ্য ছেলের মতো খেতে বসে। রান্নাঘরের একপাশে পিড়ি পেতে বসে সবজী কাটছিল কুসুম। এই বাড়ির ঠিকে ঝি। সে বলে ওঠে, এইটা আপনের অন্যায় খালা। পোলাডারে তো ফাইফরমাশ কম খাটান না। তারপর খালুর দোকানে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিনা পয়সায় কর্মচারীর কাজ করান। দুই বেলা একটু পেট ভরে ভাত দিলে কি হয়?
কি বললি তুই? ছোট মামীর ফর্সা মুখ লাল হয়ে ওঠে। খ্যানখ্যানে গলায় চীৎকার করে বলে, যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা। মা মরে রেহাই পেয়েছে। বাপের পাত্তা নাই। আজ পাচঁ বছর ধরে বোঝা টানছি। আর তুই আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছিস? কর্তা বাড়ি আসুক। আজই তোকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেবো।
কুসুমও কম যায় না। সে বলে, কাজ থেকে তাড়াবার ভয় দেখাবেন না। স্বামী বিয়ে করে সতীন আনছে বলে সংসারের মুখে ঝাটা মারে চলে আইছি। আর এতো ঠিকে কাজ। গায়ে খাটলি কাজের অভাব হয় না।
কুসুমের কথাবার্তা এই ধরনের। তার ভাষায়, মুখের উপর ন্যায্য কথা শোনাতে সে ভয় পায় না। কুসুমের অনির বয়সী দুটো ছেলেমেয়ে আছে। ছোটমামীর সংসারে কাজের জন্য তাকে মাসিক বেতনসহ একবেলা খাবার দেয়ার কথা। এখানে ছোটমামী তার সাংসারিক জ্ঞান প্রয়োগ করে। অর্থাৎ বাড়িতে মাছ মাংস রান্না হলেও কুসুম কে শুধু ডাল আর ভাত দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা করে। কুসুমও কম যায় না। রীতিমত দরকষাকষি করে তার ভাগের খাবার আদায় করে। এই কুসুমই মাসের শুরুতে বেতন পেলে এক টুকরো কেক বা এক প্যাকেট কুকি বিস্কুট কিনে অনির হাতে ধরিয়ে দেয়। খাবারগুলো নেয়ার সময় অনির দুই চোখ জলে ভরে যায়। আর কুসুম বিড় বিড় করে বলে, মানুষের সাথে এই অন্যায় করা ঠিক না। ধর্মে সইবে না।
বিকালে দোকানে গিয়ে অনি দেখতে পায়, ছোটমামা দোকানের ক্যাশ বাক্সের পাশে গম্ভীর হয়ে বসে আছেন। আজ তিনি দুপুরে বাড়িতে খেতে যাননি। অনি টিফিন বক্সে করে খাবার এনেছে। ছোটমামা সেদিকে ফিরেও তাকালেন না। রাস্তার পাশে দোকান। বিক্রী ভালোই হয়। অনি কোনো কথা না বলে দোকান ঝাড় দেয়া শুরু করে। কাজের ফাকে ফাকে কাস্টোমারদের চাহিদামাফিক মালপত্র এনে দেয়। দোকানের অদূরে খেলার মাঠ। ঢাকার মতো শহরতলীতে সব খেলার মাঠ এখনো দখল হয় নাই। মাঠে আশেপাশের বাড়ির ছেলেমেয়েরা খেলতে আসে। হঠাৎ অনির চোখে পড়ে, রিফাত একটা লাল সাইকেল চালিয়ে মাঠের দিকে আসছে। রিফাত আর অনি প্রাইমারি স্কুলে একই ক্লাসে পড়ে। রিফাতের বাবা সরকারি কলেজের প্রভাষক। কিন্তু উদারচেতা ব্যক্তি হওয়ায় ছেলে কে সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করেছেন।
রিফাত ক্লাসের ফার্স্টবয়। অথচ একটুও অহঙ্কারী নয়। অনির সাথে ওর খুব ভাব। মার্ক টোয়েনের এ্যাডভেঞ্চার অব টম সয়্যার বইটা রিফাত অনি কে পড়তে দিয়েছিল। আজ রিফাত কে লাল সাইকেল চালাতে দেখে সে তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকে। অনির সম্বিত এলো মাথার পিছনে আঘাত পেয়ে। ছোটমামা ওর মাথায় গাট্টা মেরে বলে, কিরে, হা করে রাস্তায় মেয়েমানুষ দেখছিস। তোর কাজ করবে কে? অনি লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি কাজে মন দেয়।
ছোটমামা আজ বেশ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছেন। রাত নয়টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। অনি বাড়ি ফিরে দেখতে পায়, লিলি স্মার্ট ফোন নিয়ে ব্যস্ত। অনি কল্পনায় তো বটে, ঘুমের মধ্যে একটা স্মার্ট ফোন স্বপ্নে দেখে। তার যদি এমন একটা ফোন থাকতো তাহলে সে সারাক্ষণ ডোরেমন কার্টুন দেখতো। লিলি তাকে ফোনটা স্পর্শ করতেও দেয় না। ঘরে ছোটমামা আর মামী কথা বলছে। লিলি কান খাড়া করে শোনে।
ছোটমামা বলছে, আশরাফের চিঠি এসেছে। সে আমাকে ফোনও করেছে। মামী বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করে, কোন আশরাফ? ছোটমামা বলে, অনির বাবা। সে বলেছে, আগামী শুক্রবার আমাদের বাসায় আসবে। অনি কে আশরাফ নিজের কাছে নিয়ে যেতে চায়। মামী বলে, আপদ বিদায় হলে বাচা যায়। এতদিন ছেলের খোজঁ করেনি কেনো? ছোটমামা অসহিষ্ণু কণ্ঠে বলে, একেই বলে মেয়েমানুষের বুদ্ধি। ছেলেটা আছে বলে একজন কর্মচারী রাখার খরচ বেচে যায়। তাছাড়া ওর বাপ এসে যদি অনির মায়ের ভাগের সম্পত্তি দাবী করে?
পাশের ঘর থেকে লিলি বাবা মায়ের কথাবার্তা শুনেছে। অনি কলতলায় কলসীতে পানি ভরছিল। লিলি তার পাশে এসে দাড়িঁয়ে বলে, এই রে ফাটা কেষ্টো, তোর কপাল খুলেছে। আগামী শুক্রবার তোর বাবা এসে তোকে ঢাকায় নিয়ে যাবে। কথাটা বলেই লিলি ঘরে চলে গেছে। বিস্মিত অনি নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারে না। বাবা আসবে? তার বাবা আছে? এখন মধ্যরাত। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু অনির চোখে ঘুম নেই। মায়ের কথা অনির অস্পষ্টভাবে মনে আছে। অসুখের শেষ দিনগুলোতে অনি মায়ের বিছানার পাশে বসে থাকতো। আর মা তার রুগ্ন হাতখানা দিয়ে অনির একটা হাত ধরে রাখতো।
কিন্তু বাবা সম্পর্কে তার কোনো স্বৃতি নেই। ছোটমামা লিলির বাবা। তিনি মেয়ের জন্য প্রায় দামী ড্রেস এবং খাবার কিনে আনেন। আবার অঙ্কে ফেল করলে চীৎকার করে বলে, তোরে দিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করামু। এতোদিন ধরে খাওয়া পরা দিছি। তুই কাজ করে সেই টাকা শোধ করবি। আবার রিফাতের বাবা কর্মস্থলে যাবার সময় ছেলেকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিয়ে যান। অনি দেখেছে, আঙ্কেল যাবার সময় রিফাতের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। কিন্তু তার বাবা কে? এতদিন কেনো সে তার খোজঁ করেনি? কৌতুহলের সাথে সাথে অনির কেমন যেন অভিমান হয়।
চারদিন পরের কথা। অবশেষে সেই শুক্রবার এসেছে। এখন বেলা দ্বিপ্রহর। অনি ঢাকাগামী একটা বাসে বসে আছে। পাশের সীটে একজন ছিপছিপে, লম্বা, কালো মানুষ বসে আছেন। লোকটার নাম আশরাফউদ্দীন। অনির বাবা। অনি কিছুটা ঘোরের মধ্যে থেকে আজ সারাদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে করছে। সকাল আটটার দিকে ছোটমামীর চীৎকারে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। দৌড়ে উঠানে এসে দেখে সদর দরজার সামনে আশরাফউদ্দীন দাড়িঁয়ে আছে। তার হাতে একটা চামড়ার ব্যাগ। আর ছোটমামী বলছে, আপনি তো জন্ম দিয়ে খালাস। সন্তানের প্রতি দায়িত্ব, রাহা খরচ এগুলো কি আকাশ থেকে আসে? ছোটমামীর সাথে যোগ দেন মামাও। গালি বর্ষণের এক পর্যায়ে বলেন, রুমার সম্পত্তির কোনো ভাগ তুমি পাবে না। বাবা এতক্ষণ চুপ করে সব কথা শুনছিলেন। শেষের কথাটা শুনে তিনি বলেন, সম্পত্তির কোনো ভাগ আমি চাই না। আমি শুধু অনি কে আমার কাছে নিয়ে যেতে চাই। অনির মনে হয়, এই কথায় কাজ হয়েছ।ছোটমামার পরিবার অনির প্রতি আর কোনো দাবী রাখে নাই।
অনি বসেছে জানালার পাশের সীটে। সে অন্যমনস্কভাবে একদৃষ্টিতে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল। বাবার কথায় অনির ঘোর ভাঙ্গে। তিনিও জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছেন। তিনি বলেন, এগুলো অতিথি পাখি। শীতকালে সাইবেরিয়ায় বেশি ঠান্ডা পরে বলে বাংলাদেশে চলে আসে। অনি ভালো করে তাকিয়ে দেখে রাস্তার পাশে জলাশয়ে বালিহাসঁ, সারস আর বক জাতীয় পাখি ঝাকে ঝাকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনি প্রশ্ন করে, ওরা পথ চিনে ফিরে যায় কিভাবে? বাবা বলেন, তাতো জানি না। তবে প্রকৃতিতে পরিবেশ অনুযায়ী পশুপাখিরা অভিযোজন করে টিকে থাকে। শুধু মানুষকে প্রতি পদক্ষেপে টিকে থাকার কৌশলগুলো শিখতে হয়।
অনি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে প্রশ্ন করে, ঢাকায় আপনি কি করেন? বাবা বলেন, আমি একটা কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে শিক্ষকতা করি। লকডাউনের সময় স্কুলটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনমাস আগে আবার ওদের কার্যক্রম শুরু করেছে। একটু থেমে বাবা জিজ্ঞাসা করেন, মৃত্যুর আগে মা খুব কষ্ট পেয়েছিলেন? অনি কিছু বলে না। বাবা আপন মনে বলেন, কষ্ট ছাড়া তাকে জীবনে কিছু দিতে পারি নাই। অনির গলার কাছে অভিমান আর কান্নার মতো কি একটা দলা পাকায়। অনেক কষ্টে নিজেকে সে শান্ত রাখে। বাবা বলেন, জানালা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসছে। তুমি সোয়েটার বের করে গায়ে দাও। অনি নিশ্চূপ। বাবা গভীর দৃষ্টিতে ওর দিকে একবার তাকান। তারপর নিজের গায়ের খদ্দরের চাদরটা খুলে অনি কে ভালো করে ঢেকে দেন।
ওরা যখন বাড়ি পৌছেঁ তখন রাত আটটা বাজে। লালমাটিয়া এলাকায় তিনতলার ফ্ল্যাটে একটা রুম নিয়ে বাবা সাবলেট থাকেন। ঘরটায় এটাস্ট বাথ আছে। বাবা বলেন, তুই হাতমুখ ধুয়ে বিশ্রাম নে। আমি রান্না করছি। রাতের খাবারের আয়োজন খুব সামান্য। ডিম ভাজি আর ভাত। অনির খুব ক্ষুধা পেয়েছে। সে একমনে খাওয়া শুরু করে। হঠাৎ সে লক্ষ্য করে, বাবা নিজের ডিমটা দুই ভাগ করে অর্ধেকটা বাটিতে রেখে দিয়েছেন। অনির দিকে চোখ পড়তে তিনি বলেন, এই ডিমটুকু দিয়ে সকালে ভাত খেয়ে নিস। আমি বাইরে যাবো। তোর স্কুলের ভর্তির বিষয়ে খোজঁ নিতে হবে। আর আসার পথে বাজার করে আনবো।
এখন মধ্যরাত। বাবা বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েছে। তার পাশে শুয়ে আছে অনি। একটা কম্বল তারা দুজনে গায় দিয়েছে। রাস্তার আলোতে ঘরের ভিতর অনেক কিছু দৃশ্যমান। বাবা একটা হাত দিয়ে ঘুমের মধ্যে অনি কে জড়িয়ে ধরেছেন। অনি বাবার মুখের দিকে তাকায়। ক্লান্ত অথচ মমতাময় একটা মুখ। অনি মনে মনে বলে, হে খোদা, আমি ফার্স্টফুড খেতে চাই না। লাল সাইকেল চাই না। স্মার্টফোনেরও দরকার নেই। শুধু বাবা যেন এইভাবে সারা জীবন আমার কাছে থাকে।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এইটা শুয়াপোকা। অনি বলে।
ঘৃণায় নাক কুচকে লিলি বলে, ইয়াক থু। ছি ছি। তুই রাজ্যের পোকা দেখে বেড়াস।
০৩ মার্চ - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
৩৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারী,২০২৫