এই মানচিত্র জ্বলছে জ্বলুক
এই দাবানল পোড়াক চোখ
আমার চোখে দেশ মানে
এক লোকের পাশে অন্য লোক ।
কিছুদিন ধরে আদুরি তার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখে । তিন চার দিন ধরে সোবহান রাত ঠিক দেড়টা দুইটার সময় ফোন দেয় । তারপর স্কুলে পড়া শুদ্ধ ভাষার সাথে আঞ্চলিক ভাষা মিশিয়ে বলে , বর্তমানে আমি টাকার সংকটে আছি । টাকা ভাও করছ নি ? রাতের এই সময়টা আদুরির সবচেয়ে গাড় ঘুম হয় । ঘুম ভাঙবার জন্য তো বটে , ছেলের এই শুদ্ধ ভাষায় টাকা চাওয়ার আবদার শুনে সে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ।
তোর ভদ্রলোকীর মুখি ঝাটা মারবানে । দামড়া ব্যাটা । কামাই করে খাতি পারস না? আর ঘন্টা খানিক ঘুমাতে পারলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় । ভোর চারটার মধ্যে তাকে পৌছাঁতে হবে মীরপুর রোডে । আদুরি সেখানে রাস্তা ঝাড়ু দেবার কাজ করে । প্রায় দেড় বছর ধরে সে এই পেশায় নিয়োজিত । একরাশ ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে সে ঘরের দিকে তাকায় । রাস্তার টিউব লাইটের আলো তাদের ঘরে প্রবেশ করেছে । উপরে চৌকিতে শুয়ে রহমত ঘুমাচ্ছে । চৌকিটি শীর্নকায় । কোনোমতে একজন মানুষ এর উপর ঘুমাতে পারে । গত বছর কিছু টাকা জমিয়ে আদুরি চৌকিটি কিনেছে । দুর্ঘটনার পর থেকে আজ পাচঁ বছর রহমত বিছানায় পড়ে আছে । নিজে থেকে কোনো কাজ করতে পারে না । আলম আদুরির ছোট ছেলে । বয়স সাত আট হবে। সে আদুরির সাথে ঘুমায় । জন্মগতভাবে ওর পা দুটো বাকা । আদুরি ঘরের দিকে তাকিয়ে আপন মনে বিড় বিড় করে বলে , যতোসব পঙ্গপাল । খাওয়া ছাড়া কিছু বোঝে না ।
আদুরির চার ছেলেমেয়ের মধ্যে সোবহানের অবস্থান তৃতীয় । পরিবারের একমাত্র শিক্ষিত সদস্য । আদুরির স্বামী রহমত তখন তাগড়া জোয়ান । নির্মানশ্রমিকের সবচেয়ে ঝুকিঁপূর্ণ কাজে সে নিয়োজিত । এই কাজে বহুতল ভবন নির্মানের সময় বাশঁ বেয়ে উপরে উঠে কাজ করতে হয় । এই কাজে তার সুনাম ছিল । লোকটি পরিশ্রমী হবার পাশাপাশি বুদ্ধিমানও ছিল । সে আদুরি কে বলেছিল, তিনডে পোলা মাইয়ার মধ্যি একটারেও যদি পড়ালেখা শিখাবার পারি , তো পোলাটা চাকরি করতি পারবে । বাকি গুলান ও কাজ করা শিখে যাবে । আশংকা থাকলে ও আদুরি স্বামীর কথায় রাজী হয়েছিলো । রহমত সোবহান কে চায়ের দোকানের কাজ থেকে ছাড়িয়ে এনে স্কুলে ভর্তি করে দেয় । স্কুলটি বস্তির অদূরে অবস্থিত । চলে বিদেশী অনুদানে । স্কুলে ভর্তি করে দেবার পর প্রথম দুই বছর নিরুপদ্রবে কাটলো । কিন্তু তিন বছর যেতে না যেতেই সোবহান বস্তির ভাষায় যাকে বলে সেয়ানা হয়ে উঠলো। তাকে যেহুতু কায়িক পরিশ্রম করতে হয় না , তাই তার বড় ভাই সহ অন্যান্য পরিশ্রমী ছেলেদের সে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করলো । নিজে শুধু ভদ্র ছেলেদের সাথে মিশতো । এইসব অবস্থাপন্ন ঘরের বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে স্কুল ফাকিঁ দিয়ে সিনেমা দেখা এবং রাস্তার মোড়ের দোকানে টাকা দিয়ে কম্পিউটার গেমস তথা জুয়া খেলা শুরু করলো ।
প্রথম দিকে রহমত বিষয়টি বুঝতে পারে নি । পাশের বস্তির মোটর মেকানিক মিস্ত্রী আউয়াল অবশ্য সোবহান সম্পর্কে রহমত কে সতর্ক করে দিয়েছিলো । কিন্তু তার কথায় রহমত পাত্তা দেয়নি । ভেবেছিলো ছেলেকে লেখাপড়া শেখাচ্ছে বলে বস্তির সবাই তাকে হিংসা করে । কিন্তু টনক নড়লো সেদিন , যেদিন ভোরে আদুরির সাথে আউয়ালের স্ত্রী লতিফার ঝগড়া শুরু হলো । মোটা মোটা হাত নেড়ে লতিফা আদুরির দিকে তেড়ে এলো, তোর পোলা আমার মাইয়্যারে ভাগাইতে চায় । আদুরিও কম যায় না । সে চেচিয়ে বলেছিল ,
নিজের মাইয়্যা নিজে সামলাইতে পারস না । আমার পোলার দোষ কি ?
স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলো রহমত । সে চেয়েছিলো তার একটি সন্তান কে অন্তত লেখাপড়া শেখাতে । বস্তির কদর্য পরিবেশ থেকে বাইরে রাখতে । কিন্তু তার ভাগ্যে এটা কি হলো ? এরপরও সোবহান আরও দুই বছর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পেরেছিলো । কিন্তু অকস্মাৎ তার আয়েসী জীবনে ছেদ পড়লো । নির্মানাধীন ভবন থেকে পড়ে রহমত আহত হয় । তার সাথের মিস্ত্রীরাই রহমতকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলো । খবর পেয়ে আদুরি দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসে । কোলে দুই বছরের আলম । ডাক্তারের দেয়া পরীক্ষা ওএক্স রে করার পর জানা যায়, রহমত মস্তিষ্কে এবং মেরুদন্ডে আঘাত পেয়েছে । সেরে ওঠার সম্ভাবনা নেই । সারাজীবন চিকিৎসা চালাতে হবে । আদুরির তখন দিশেহারা অবস্থা । এই সময় ডেভলপার কোম্পানির কাছ থেকে রহমতের দূর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ বাবদ আদুরি কিছু টাকা পেয়েছিলো । দুঃসংবাদ আর টাকার খবর বাতাসের আগে ছড়ায় । একদিন বিকালে আদুরির বিবাহিত বড় দুই ছেলমেয়ে এসে হাজির । মেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাদঁলো । তারপর কিছুক্ষণ ভনিতা করে বললো , সুমনের বাবা বলতিছিলো ক্ষতিপূরণের টাকা কয়ডা তারে দিলি সে জমি কেনবেনে ।
সুমন আদুরির নাতি । বড় মেয়ের বড় ছেলে । আদুরি ঘরের এক কোণে দাড়িঁয়ে সুমনকে কোলে নিয়ে আদর করছিলো । বড় মেয়ের কথায় সে স্তব্ধ হয়ে গেলো । কোনো রকমে বললো , টাকা গুলান কোম্পানি দিছে তোর বাপের চিকিৎসার জন্য। এবার কথা বললো হাসেম । আদুরির বড় ছেলে । সে বললো , ডাক্তারের রিপোর্টে কইছে , আব্বা আর ভালা হইতো না । এত গুলান টাকা তার পিছনে নষ্ট করে লাভ কি ?
আদুরি এবার মুখ শক্ত করে বললো, টাকা তোর বাপের চিকিৎসার জন্য দিছে । আমি কাউরে দিতাম না । হিস হিস করে বলে উঠলো হাসেম , আমরা কি বাণের জলে ভাইস্যা আইছি ? আমাদের ভাগ দেওন লাগবো । আদুরি বললো , টাকা আমার একাউন্টে আছে । আমার নামে । আমি কাউরে দিতাম না । তোরা যা পারস তা করগে । প্রচন্ড বাকবিতন্ডার পর আদুরির বড় দুই ছেলেমেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলো । সেই সাথে শেষ হয়ে যায় পিতামতার সাথে তাদের সম্পর্ক ।
টাকাই মানুষ কে সবকিছু করায় । জীবনের সব সম্পর্ক আর অর্থ অনর্থের মূল হলো টাকা । ইট , কাঠ , পাথরে গড়া নির্মম এই শহরে পঙ্গু স্বামী আর প্রতিবন্ধী ছেলে কে নিয়ে আদুরি যখন দ্বিতীয়বার জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হলো , তখন এই তিক্ত সত্যিটা আবারও মনে পড়লো । প্রথম কিছুদিন শহরের ফ্ল্যাট বাড়িতে সে ঠিকা ঝিয়ের কাজ করতো । এক বাসা থেকে দুপুরে এক বেলার ভাত তরকারি দিতো । তিন বাসায় ঠিকা কাজ করে মাসের শেষে যা আয় হতো , তিন জন মানুষের খাওয়া পড়া তাতেই চলে যেতো । কিন্তু এরপর শুরু হলো করোনার প্রকোপ । বাসা বড়ির কাজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো । তারপর এলো লকডাউন । অর্থাৎ , আদুরির আয়- রোজগারের সব পথ বন্ধ । দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য আদুরি বস্তি জীবনের অন্য উপার্জনের কথাও ভেবেছে । অর্থাৎ চুরি এবং পতিতাবৃত্তি । কিন্তু নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে সেসব পথ বাতিল করে দিয়েছে । কাজের জন্য আদুরি যখন তীর্থের কাকের মতো সন্ধান করছে , তখন একটা সুযোগ জুটে গেলো । সুইপার কলোনীর পৌঢ়া সুইপার রঙ্গদাসী গলায় ফাসঁ লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে । সে নাকি গত পাচঁ বছর ধরে কিছু টাকা জমিয়েছিলো ইন্দু কে বিয়ে করার জন্য । সেই ইন্দু যখন বউ বাচ্চার দোহাই দিয়ে রঙ্গদাসীর টাকা মেরে কেটে পড়লো , তখন সে আত্নঘাতি হলো । রঙ্গদাসীর আত্নহনন নিয়ে ফিসফাস এবং রসালো আলোচনা সবই বস্তিতে দুই দিন ধরে চললো । কিন্তু তৃতীয় দিন সবাই থ হয়ে গেল । রঙ্গদাসীর রাস্তা ঝাড়ু দেবার কাজটি নিয়েছে আদুরি । সুইপারের কাজের জন্য দেশে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ আছে । তাদের ভদ্র ভাষায় বর্জ্যজীবী বলা হয় । এদেরকে সম্প্রদাগতভাবে ও আলাদা করে রাখা হয় । বস্তির সবাই তো একবাক্যে ছিঃ করে উঠলো । রিক্সাচালক একরাম বললো , মেথরের কাজ । ভিক্ষার চাইতে খারাপ । চুরির চাইতে জঘন্য । অন্যান্য বাসিন্দারা দাবী করলো, মেথরের কাজ করলে আদুরি কে বস্তি থেকে বের করে দেয়া হবে । কিন্তু মানুষের ঘৃণা বা হুমকিতে আদুরি ভয় পেলো না । পাল্টা উত্তর দিয়ে বললো ,
যখন না খায়ে ছিলাম তখন কেউ এক মুঠ চাল দিয়ে সাহায্য করিনি । এখন সবাই সমাজ দেখাতি আইছে । আমার যা খুশি আমি তাই করমু । গতরে খাটে খাব । তাতে কার কি আসি যায় ? সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়ুদার হিসেবে আদুরির এখন মাসিক আয় ১২ হাজার টাকা । আকালের হিসাবে আয়টা খারাপ না । বস্তির মালিককে কিছু বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে আদুরি তার পরিবারসহ আগের জায়গায়ই আছে । কিন্তু সমস্যা হলো অন্যত্র । আদুরির কাজের বিষয়ে রহমত কিছু বলে নি । সে ঘরের এক কোণে চুপচাপ চৌকির উপর পড়ে থাকে । আর তার পাশে বসে আলম আপন মনে খেলা করে । প্রতিবন্ধী হওয়ায় আশেপাশের বাচ্চারা তার সঙ্গে মিশে না । মাঝে মাঝে কোনো রকমে হামাগুড়ি দিয়ে ছেলেদের জটলার কাছে গেলে অন্য শিশুগুলো তার দিকে তেড়ে আসে । কেউ কেউ ইটের টুকরো ছুড়ে মারতে মারতে বলে, মার নুলোডারে । ধরে মারে ফ্যাল । আলম মায়ের সাথে ছাড়া পারতপক্ষে বস্তির বাইরে যায় না । আলমের সাত বছরের জীবনের মধ্যে দুটো বিষয়ের সাথে তার ভালোভাবে পরিচয় হয়ে গেছে । এগুলো হলো- ক্ষুধা এবং মানুষের নির্মমতা । এই দুই মহা আতঙ্কের ভয়ে সে অধিকাংশ সময় ঘরের এক কোণে জড়োসরো হয়ে বসে থাকে । আর সেই ঘরের কোণে সে আবিষ্কার করলো তার প্রথম বন্ধুকে । বই । সোবহানের ফেলে যাওয়া কিছু বই । প্রথম দিকে আলম শুধু বইয়ের পাতার ছবিগুলো দেখতো । পাখি , বিড়াল বাঘের ছবি দেখে তার শিশু মনে কল্পনার ঢেউ খেলে যেতো । সোবহান যখন বাড়ি ছিল তখন খেয়ালের বশে আলম কে অক্ষর জ্ঞান শেখাবার চেষ্টা করেছিলো ।
সোবহান এখন নরসিংদীতে অবস্থিত একটি সুতা ফ্যাক্টরির শ্রমিক । আজ বৃহস্পতিবার । ছুটিতে সোবহান বাড়ি এসেছে । মায়ের কাছে কিছুদিন টাকা চেয়ে না পাওয়ায় তার মেজাজ তিরিক্ষে হয়ে ছিল । বাড়ি এসে দেখে ঘরে ভাত নেই । রহমত বললো , তোর মা কাজে গেছে । বাড়ি আসার আগে রান্না হবে না । সোবহান মেজাজ গরম করে কারো ওপর রাগ ঝাড়তে না পেরে আলমের দিকে এগিয়ে গেলো । আলম ঘরের এক কোণে বসে তন্ময় হয়ে একটা বইয়ের মধ্যে ডুবে ছিল। সোবহান গর্জন করে বললো, এ্যাই তুই কি করতাছস ?
বই থেকে মুখ তুলে ভয়ে ভয়ে আলম জবাব দিলো , পড়তাছি ।
তুই পড়বার পারস ?
উত্তরে আলম বাংলা বইয়ের বেশ কিছুটা অংশ পড়ে শোনালো । আদুরি কখন এসে দরজায় দাড়িঁয়েছে কেউ লক্ষ্য করে নি । বিস্মিত , হতবাক সোবহান মাকে দেখতে পেয়ে বললো , মা কান্ড দেখছো ? আলমরে আমি খালি অক্ষর শেখাইছি । ও নিজেই পড়া শিখ্যা গেছে । খোড়াডার মাথা ভালা ।
তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠলো আদুরি , লেখাপড়া শিখ্যা একজন ভদ্রলোক হইছে । অহন আলমরেও তাই বানাইতে চাস ? ছোঃ মেরে আলমের হাত থেকে বইটা কেড়ে নিয়ে আদুরি এক টানে ছিড়ে ফেললো ।
ঢাকা শহরে রাতের অন্ধকার নেমেছে । কোলাহলপূর্ণ বস্তি এখন শান্ত । সারাদিন খাটুনির পর শ্রমজীবী মানুষগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে । ঘুম নেই শুধু আদুরির চোখে। বইখানা ছিড়ে ফেলার পর আলম অনেকক্ষণ কেদেঁছে । রাতে অনুরোধ সত্ত্বেও ভাত খাইনি । এটা আলমের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম । রাগ চড়ে গেলে আদুরি আলমের পিঠে দুই একটা কিল চড় বসিয়ে দেয় । আলম তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না। আজ তাকে মারে নাই । অথচ ছেলেটি এতো কষ্ট পেলো । নিজের দূর্ভাগ্য আর প্রতিদিনের সংগ্রামের জন্য সে অন্য কারো কথা ভাবতে পারে না । আজ আলমের কথা চিন্তা করে তার মাতৃ হৃদয় ভয়ার্ত হয়ে উঠলো । গরীবের ঘরে পঙ্গু ছেলে । ও ভবিষ্যতে কিভাবে বাচঁবে? এই ধরণের পরিবারের শিশুদের একটাই অবলম্বন । কায়িক পরিশ্রম । এই পরিশ্রমের কাজ আলম করতে পারবে না । তাহলে আদুরি মরে গেলে ও খাবে কি ? কিছুদিন আগে বস্তির বৃদ্ধ কলিম আলী আদুরিকে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলো , তোমার খোড়া পোলাডারে হাইকোর্টের সামনে বসায় দাও । নুলো ফকির হিসাবে অনেক টাকা আয় করতি পারবে । না । উত্তেজনায় উঠে বসলো আদুরি । তার মাতৃ হৃদয় বিদ্রোহ করে উঠলো । নিজের সন্তানকে দিয়ে সে ভিক্ষা করাবে না ।
কয়েকদিন পর আদুরি কাজ সেরে বেশ দেরীতে বাড়ি ফিরলো । হাতে একটা প্যাকেট । সোবহানের আজকের বাসে নরসিংদী যাবার কথা । মায়ের দেরী দেখে সে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলো । আদুরি বাড়ি ফিরলে সে দুই কথা শোনাতে গিয়ে থমকে যায় । আদুরির ক্লান্ত মুখখানায় আনন্দের ঝলক । সোবহান জিজ্ঞাসা করলো ,
ঐ প্যাকেটে কি আনছো , মা ?
এক জোড়া ক্রাচ আনছি , বাপজান । আলম ক্রাচে ভর দিয়া হাটঁবো । স্কুলে যাইবো।
স্কুল ? আলমরে তুমি স্কুলে ভর্তি করবা ?
আদুরি বললো , হ বাপ । আলম লেখাপড়া শিখলে নিজের কাজ নিজেই করবার পারবো ।
আলম নিজের ভবিষ্যৎ বা স্কুলে ভর্তির ব্যাপারটি না বুঝলেও নতুন কেনা বইগুলো পেয়ে খুশি হয় । ছোট্ট মুখে ফুটে ওঠে একটুকরো হাসি ।
০৩ মার্চ - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
৩৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪