কোনো সমাজে যখন সর্বব্যাপী অবক্ষয় দেখা দেয় , তখন সেই অবস্থার চেয়ে ভয়াবহ হলো সমাজের অধিকাংশ মানুষ বিষয়টিকে মেনে নেয় ।ঘুষ- দুর্নীতি , চাঁদাবাজি , রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন যেন সাধারণ ঘটনা । রাস্তার পাশে একটা ছেলেকে কয়েকজন মিলে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করলেও সাধারণ মানুষ বাধা দিতে এগিয়ে যায় না । নির্বাক দর্শকের মতো তাকিয়ে দেখে । এটাই যেন ভবিতব্য। তবে আশার কথা হলো স্বল্প সংখ্যক মানুষ এদের বাতিক্রম । তারা হয়তো রাজা
রামমোহন রায় বা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো সমাজ সংস্কার করতে পারেন না । কিন্তু সমাজ পরিবর্তনে তাদের ভুমিকা নগণ্য নয় । তারা নিজেদের বিবেকের কষ্টি পাথরে সত্য- মিথ্যা যাচাই করে নেন । ঠিক এমনই একজন মানুষ মকবুল রহমান। পেশায় তিনি মোহাম্মদপুর গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন । গণিতের শিক্ষক হয়েও কখনো কোনো ছাত্র- ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াননি বা কোচিং করাননি। ক্লাসেই তিনি আন্তরিকভাবে অঙ্ক করাতেন । সড়ক দুর্ঘটনায় দুটি পা হারিয়ে এখন তিনি বিছানায় শষ্যাশায়ী । চলাফেরা করতে হয় হুইলচেয়ারে ।
সকালের নাস্তা হিসাবে সবার জন্য বরাদ্দ দুটো রুটি আর এক কাপ লাল চা । মিনি রুটি বেলছিল । আর মা অপ্রশস্ত রান্নাঘরে ঘামতে ঘামতে রুটি সেকঁছিলেন । মা মিনি কে তাড়া দিয়ে বললেন , জলদি রুটি বানা । পাশের ঘরের শিরীনের মা চলে আসবে । পুরো বাড়িতে আটটা ঘর । প্রত্যেক ঘরে একটা করে পরিবার ভাড়া থাকে। আটটা পরিবারের জন্য একটা মাত্র রান্নাঘর । সেখানে তিনটা চুল্লি । পরিবারগুলোকে ভাগ করে সুবিধা মতো সেগুলো ব্যবহার করতে হয় । সকালের নাস্তা বানাবার জন্য প্রতিদিন মা আর মিনি কে খুব ভোরে উঠতে হয় । তাছাড়া সুমন ঘুম থেকে ওঠার আগেই তার নাস্তা প্রস্তুত হওয়া চাই । সুমন মকবুল রহমানের বড় ছেলে । পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য । সকালে শুধু ওকেই নাস্তার সময় ডিম ভাজি দেওয়া হয় । রান্নাঘরে কাজ করার সময় জানালা দিয়ে উকিঁ দিলো একটা সাদা- কালো রঙয়ের বিড়াল। ওটা ডেকে উঠবার আগেই মায়ের চোখে পড়ে গেল। রাগে জ্বলে উঠলেন মা। আর সহ্য হয় না বাপু। কুকুর বিড়াল ও এখন আর তাদের মানুষ বলে গণ্য করে না। হাতের খুন্তি উচিঁয়ে বিড়ালটা কে তাড়া করলেন। তারপর সুমনের জন্য নাস্তা নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। যাবার আগে মিনি কে বললেন, ঠিক মতো সব গুছিয়ে রাখবি। বিড়াল যেন কোনো খাবারে মুখ না দেয়। মিনি মায়ের চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলো। তারপর রান্নাঘরের কোণা থেকে বের করে আনলো গতরাতে লুকিয়ে রাখা মাছের কাটাঁ। কাগজে মুড়ে রেখে দিয়েছিল। ভাগ্যিস পিপড়াঁ ধরে নি। সুমন টাকা দেয়ায় এখন তাদের বাড়িতে ভালো বাজার হয়। জানালার কাছে গিয়ে দেখলো বিড়ালটা তখনও নিচে দাড়িঁয়ে আছে। আস্তে ওটাকে ডাকলো। শ্ , শ্ , পুষি , এদিকে আয়। বিড়ালটা কাছে আসতেই কাটাঁটুকু ওকে দিয়ে দিলো। চকিতে একবার তাকিয়ে দেখলো মা আসছে কিনা। মা সুমনের ঘরে আছে। তাই নিশ্চিত হয়ে পরম মমতায় বিড়ালটার খাওয়া দেখতে লাগলো।
কোনো একটা সংসারে প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের সাথে কয়েকটা বাড়তি মালপত্রও থাকে। এই সংসারে মিনি যেন একটা বাড়তি আসবাবপত্র। মেয়ে হয়ে জন্মেছে। অতএব, স্বামীর ঘর তো করতে হবে। যে কয়দিন তা না হচ্ছে সেই দিনগুলো পড়াশুনা করুক। সংসারের কাজ শিখুক। এর বেশি কিছু নয়। ছেলে সুমনের আট বছর পর মিনির জন্ম। বাবা যতোদিন সুস্থ ছিলেন তখনকার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। প্রত্যেক বছর একুশে বইমেলা থেকে বাবা দুই ভাইবোনের জন্য বই কিনে আনতেন। তখন সুমন কলেজে আর মিনি স্কুলে পড়তো। মা স্বল্পতে খুশি ছিলেন। পরিবারটিকে সুখী পরিবার বলা যেতো। অথচ একটা দূর্ঘটনা সব কিছু এলোমলো করে দেয়। মিনির মনে আছে, বাবার চীকিৎসার টাকা যোগাড় করার জন্য মামাবাড়ি থেকে কত অপমান সহ্য করে মাকে টাকা আনতে হতো। সুমন যত স্মার্ট ছিল, পড়াশুনায় তত ভালো ছিল না। তবু কিভাবে যেন বিকম পাস করে ফেলে। তারপর বাবার আপত্তি সত্ত্বেও লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। পাশের বাড়ি তিনতলা ফ্ল্যাটে থাকে ডলিরা। ডলি মিনির সমবয়সী। দুজনে এক স্কুলে পড়ে। ডলির কাছ থেকেই স্কুলে সবাই জেনে গেছে, মিনিরা বস্তিতে থাকে। এরপর থেকে স্কুলের মেয়েরা মিনি কে এড়িয়ে চলতে শুরু করে।
তবে তাতে অবশ্য মিনির তেমন ক্ষতি হয় নি। পড়াশুনা আর ঘরের কাজ করা ছাড়াও মিনি বাবাকে দেখাশুনা করে। বাবার সাথে তার খুব বন্ধুত্ব। দেখেশুনে মনে হয় পৃথিবীতে বাতিল হয়ে যাওয়া দুটি মানুষ পরষ্পরের সাথে বেশ ভালো সময় কাটায়। প্রায় অলস দুপুরগুলোতে দেখা যায়, বাবা- মেয়ে ঘরে বসে গল্প করছে। মকবুল স্যার তাঁর একমাত্র মুগ্ধ ছাত্রীকে শোনাচ্ছেন জোয়ান অব আর্কের গল্প। কৃষকের কন্যা কিশোরী জোয়ান কেমন করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ফরাসি বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। কখনো বলতেন, কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের কাহিণী। জাহাজের সবাই যখন ধরে নিয়েছে সমুদ্রর আর শেষ নেই, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ কলম্বাস তখনো এগিয়ে গিয়েছিলেন। সম্মুখে সত্যি ছিল ভুখন্ড। মা এইসময় রান্না শেষ করে পাশের ঘরের চাচীর সাথে গল্প করতে যান। কখনো ঘরে আসলে ঝংকার দিয়ে উঠেন, বলি ঘরে বসে রাজা উজীর না মেরে দুটো টিউশনি করলেও কিছু টাকা আয় হয়। বাবা নীরব থাকেন। দূর্ঘটনার পর তিনি বাড়িতে ছাত্র পড়াবার চেষ্টা করেছিলন। কিন্তু স্কুলের শিক্ষক না হলে ছাত্ররা তারঁ কাছে পড়তে চায় না। স্কুলের শিক্ষকের কাছে পড়ার রহস্য হলো, এসব শিক্ষক পরীক্ষার জন্য বেছে বেছে অঙ্ক করান। যাকে বলে সাজেশন। এভাবে পড়লে কম পরিশ্রম করে ছেলেমেয়েরা বেশি নম্বর পায়। অথচ মকবুল স্যার পুরো সিলেবাসের অঙ্ক করান। ফলে তার ছাত্র জোটে না।
আজ স্কুল থেকে আসার পথে দারুন একটা দৃশ্য চোখে পড়লো মিনির। টাউনহল পত্রিকা স্টলের পাশে কয়টা কুকুর ছানা খেলা করছে। সদ্য চোখ ফোটা ছানাগুলো দেখতে খুব সুন্দর। পত্রিকা স্টলে ভীড় খুব বেশি নেই। মিনিকে দেখতে পেয়ে রঞ্জন কাকা ডাকলেন। বললেন, দেখেছিস মা, সাতটা কুকুরের বাচ্চা। আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে গেল মিনির মুখ।
হ্যাঁ কাকা খুব সুন্দর।
আজ পত্রিকা কিনবি না ? মিনি স্কুল থেকে ফেরার পথে বাবার জন্য রোজ দৈনিক পত্রিকা কেনে। রঞ্জন কাকা জিজ্ঞাসা করলেন, তোর বাবার শরীরটা ভালো আছে?
মিনি ততোক্ষণে একটা পত্রিকা নিয়েছে। দাম দিয়ে বললো, হ্যাঁ কাকা, বাবা ভালো আছে।
রঞ্জন কাকা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, মানুষের ভাগ্য। তারপর কি কথা মনে পড়াতে জিজ্ঞাসা করলেন, মিনি, তোর বড় ভাই সুমনের নাকি চাকরি হয়েছে? শুনে অবাক হলো মিনি। সুমন প্রায়ই বাড়িতে থাকে না। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসে। তখন তার হাতে থাকে দামী সিগারেট, পরনে দামী কাপড়- চোপড়। মিনি জানে সুমন যখন বাড়ি আসে তখন মায়ের হাতে বেশ কিছু টাকা দিয়ে যায়। কিন্তু সুমন কি কাজ করে সে জানে না। রঞ্জন কাকার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে হাটঁতে শুরু করলো মিনি। মনে পড়ে কয়েক দিন আগে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় বাবা আর মায়ের মধ্যে উচ্চকণ্ঠে কিছু কথা শুনেছিল মিনি।তারা জোরে কথা বলায় ইচ্ছা না থাকলেও কথাগুলো তার কানে এসেছিল। বাবা যন্ত্রণাক্লিষ্ট গলায় প্রশ্ন করছিলেন,
কি চাকরি করে তোমার ছেলে? রাজনৈতিক দলের ক্যাডার। সোজা ভাষায় মাস্তান।
ফুসেঁ উঠেছিলেন মা, খুব আদর্শবাদিতা দেখানো হচ্ছে। ছেলের টাকা নেবে না। তোমার পেনশনের টাকায় সংসার চলে না।
মিনির বুকের মধ্যে একটা চিনচিনে ব্যথা হয়। মনে পড়ে বাবার অসহায় মুখ আর মায়ের কর্মক্লান্ত নিরুপায় জীবন। মিনি কি কিছুই করতে পারে না? বাড়িতে আসার সময় সদর দরজার সামনে দেখা হয়ে গেল খুকি আপার সাথে। লম্বা, ছিপছিপে গড়নের সুশ্রী খুকি আপা মিনির চেয়ে চার বছরের বড়। ওর বাবা গাড়ির ড্রাইভার। ক্লাস নাইনে দুইবার ফেল করে খুকি আপা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছে। রাতে মাঝে মাঝে বাসার সামনে গাড়ি আসে। সেইসব প্রাইভেট কার থেকে কিছু নেশাগ্রস্থ যুবকের হল্লা শোনা যায়। উগ্র পোশাক পরে খুকি আপা তাদের সাথে কোথায় যেন বেড়াতে যায়। মিনি খুকি আপাকে এড়িয়ে চলে। আজ দেখা হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে দাড়াঁতে হলো।
ঠোটেঁর কোণে রিনরিনে হাসি ফুটিয়ে খুকি জিজ্ঞাসা করলো, এই যে গুডগার্ল, খবর কি?
মিনি সংক্ষেপে উত্তর দিলো, ভালো।
স্কুল থেকে ফিরছিস?
হ্যাঁ।
আচ্ছা, তুই সারাদিন বইয়ের মধ্যে মুখ গুজেঁ পরে থাকিস কি করে? এত পড়ে কি করবি? কয় টাকা বেতনের চাকরি পাবি?
থতমত হয়ে মিনি প্রশ্ন করলো, তো কি করবো?
মাথা নিচু করে বই নিয়ে বসে থাকলে আকাশের চাদঁ দেখা যায় না।
আকাশের চাদঁ দেখে আমি কি করবো? মিনির সরল প্রশ্ন।
আরে বোকা , আমি সত্যি চাদেঁর কথা বলেছি নাকি? আকাশের চাদঁ হলো বড়লোকের ছেলরা। জ্ঞান দেবার ভঙ্গীতে খুকি বললো, সুবিধা মতো জোটাতে পারলে তর তর করে উপরে উঠে যাবি।
কোনো প্রকার আগ্রহ না দেখিয়ে মিনি বললো,আচ্ছা। তারপর ঘরের দিকে হাটঁতে শুরু করলো।
ঘরে এসে মাটির কলস থেকে ঠান্ডা পানি ঢেলে খেলো মিনি। মা দুপুরে রান্না করে রেখে দিয়েছেন। এখন ঘরে কাজ নেই। মিনির এসএসসি পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে। একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়তে বসলো। এমন সময় বাইরে শব্দ শুনে তাকালো মিনি। দরজার সামনে সুমন দাড়িঁয়ে আছে। ফিটফাট পোশাক। হাতে সিগারেট। সুমন মিনিকে জিজ্ঞাসা করলো,
পড়ছিস? তোর পরীক্ষার আর কতদিন বাকি?
মিনি বললো , এই তো আর দুইদিন পর থেকে পরীক্ষা শুরু। হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে সুমন বললো, তোর জন্য আনলাম। পরীক্ষায় কাজে লাগবে। মিনি ভাবলো ভাইয়া বোধহয় সজেশনস এনেছে। কিন্তু প্যাকেট খুলে চমকে উঠলো সে। তার জন্য সুমন এনেছে ,এসএসসির প্রথম দুই পরীক্ষার ফাসঁ হওয়া প্রশ্নপত্র। আতঙ্কে মিনি বলে উঠলো,
এসব কি জিনিস ভাইয়া?
কিছুটা অবজ্ঞার স্বরে সুমন বললো, কি আবার? ফাসঁ হওয়া প্রশ্নপত্র। আমরাও এসব প্রশ্ন পড়ে পরীক্ষা দিয়েছি। কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। অথচ ভালো রেজাল্ট করা যায়।
তুমি এসব কোথায় পেয়েছো?
তা দিয়ে তোর দরকার কি?
প্রশ্নগুলোর দিকে না তাকিয়ে মিনি সুমনের হাতে প্যাকেটটা দিয়ে বললো, তুমি এসব ফিরিয়ে নিয়ে যাও ভাইয়া। আমার লাগবে না।
মানে?
আমি পড়াশুনা করে পরীক্ষা দেব। ফাসঁ হওয়া প্রশ্নের দরকার আমার নেই।
ব্যঙ্গের সুরে সুমন বললো, আরে তুই কি ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির? মেয়েরা আবার যুধিষ্ঠি হয় নাকি?
ঠান্ডা গলায় মিনি বললো, মেয়েরা যুধিষ্ঠির হয় কিনা জানিনা । সবাই সুমন বা খুকি হয় না।
রেগে গিয়ে গর্জন করে উঠলো সুমন, আমার টাকায় বসে বসে খেয়ে আমার সাথেই বেয়াদবি করছিস?
বাবা পাশের ঘর থেকে সবই শুনতে পেয়েছেন। ক্রাচে ভর দিয়ে তিনি এবার এসে দাড়াঁলেন ছেলের সামনে। শান্ত কন্ঠে বললেন, তোমার আর আমাদের সাহায্য করার দরকার নেই। যদি কোনোদিন সৎ হতে পারো , তবে এই বাড়িতে ফিরে এসো। আর মিনি যাই করুক, বেয়াদবি করে নাই।
সুমন বললো, আমি সাহায্য না করলে খাবে কি? মকবুল স্যার দ্বিধাহীন ভাবে বললেন,
আলু- পটল বেচে খাবো। ব্যঙ্গের হাসি হেসে সুমন বেরিয়ে গেল। পাশের ঘর থেকে ডুকরে কেদেঁ উঠলেন মা।
সুমন পরিবারের সাথে সব সম্পর্ক চুকিয়ে দেবার পর পরিবারটি ভীষণ প্রতিকূল আবস্থার সম্মুখীন হয়। এই সময়ে মকবুল স্যার অনার্স পর্যায়ের কিছু ইংরেজি বিজ্ঞান বইয়র বাংলা অনুবাদের কাজ শুরু করেন। কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা বইগুলো প্রকাশ করে। এভাবে একটা আয়ের ব্যবস্থা হয়। বর্তমানে তিনি পদার্থবিদ্যার উপর একটা বই লিখছেন। মিনি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়ে উত্তীর্ন হয়। সে কলেজে ভর্তি হবার পর থেকে দুটো টিউশনি করে। সৎ ভাবে বেচেঁ থাকবার সংগ্রামে লিপ্ত এই পরিবারটির ভবিষ্যৎ কি তা ভাবীকালই বলতে পারে।