আজকাল তাকাতেও বেশ সংশয় হয়,
সংশয়ের কারণটা শুধুই কি তোমার অস্তিত্ব?
অস্তিত্বকে কারণ ধরতে পারিনা,
জরাজীর্ণ হয়ে গুটিয়ে নেই মনের ভুলকে,
বোঝাতে চাই যেটা ভুলের পরিসীমায় আবদ্ধ,
সেটাকে ক্ষেত্রফলের অস্তিত্বে-
ধারণ করাটা কষ্ট ছাড়া কিছু নয়,
সময় তো যাচ্ছেই,
একটা ভুলের সমীকরণ ঢেলে দিচ্ছে কষ্টের বাণ,
এই সমীকরনে আমার কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান
সম্পূর্ণই শিশু,
তোমার এই অসীম শক্তি যদি পদার্থবিজ্ঞান বুঝতো!
কারণহীন ভাবে সময়ের একটা রেখায় চলতেছি,
রাত হলেই সময় গুলো কাটা হয়ে বুকে ফোটে,
অস্তিত্বের লেশ মাত্র নেই তবুও শুনতে পারি-
অন্যের কামাতুর হাত তোমার শরীরে,
তখন নিজের শুনতে পারা ক্ষমতাকে-
হাজারো আঘাতে নষ্ট করার তীব্রতর বেগ চলে,
কিন্তু রাতের প্রতিটা কণায় সেই কামাতুর অন্যের বেগ-
আমাকে বারবার অতিষ্ঠ করে তোলে,
দেহের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটায়-
প্রথমে এক এক করে-
যখন সন্তানের অস্তিত্বে আঘাত করে -
তখন নিজেকে আগুনের বীষে জ্বালানোর-
দুর্বল সাহসে বারবার রক্তবর্ণ চক্ষুকে থামিয়েছি।
কেন ছিল সেই স্পর্শ-
যা আমার স্পর্শে স্পর্শ করেছে তোমার সমস্ত অঙ্গন-
জড়িয়েছে ভালোবাসার নম্রতায়,
অথচ এই ফলাফল?
ভালোবাসার আড়ষ্টতা আমার মনকে পঁচিয়ে ফেলছে,
বারবার মনের মাঝে-
মহাবিশ্বকে অসহ্য লাগতেছে,
তুমি এর আওয়াজ কি টের পাও?
অন্য হাত যখন স্পর্শ দেয়-
তখন নিজেকে সাময়িক সুখের আঙ্গিনায় ভেসে উঠো,
অথচ প্রারম্ভিক থেকে-প্রবাহ পর্যন্ত,
সহ্যকে সহ্যের দ্বারা আঘাত করেও যেন সুখ পাই না,
মহাবিশ্বকে বার বার-
অনুরোধে বলি,
অসহ্যের শক্তিকে আমার পুরো শরীরে একবারে-
আবদ্ধ হওয়ার নষ্টত্ব যেন দেয়,
অথচ এই অনুরোধের কোন প্রতিউত্তর আসে না,
অসহায় ভাবে -
দিনের পর দিন-
নিউরনের মাঝে আগুনের পিন্ড -
আমার সমস্ত শরীরকে কষ্টের সাগরে মারছে,
উপভোগের জন্য এখন কষ্টই আমার কাঁচামাল,
নিজের মাঝে কষ্টের তীব্রতা আজও ফাঁকা মাঠে-
সীমানা খুঁজে কাঁদতে চায়,
অথচ-
জানে না কখন সেই সীমানার ছোঁয়া পাবে,
শরীরের কোষীয় স্তর ফেটে যাচ্ছে,
তবুও রক্ত বেরুচ্ছে না,
কেন জানো ?
এরই নাম কষ্ট ও আঘাতের কষ্ট।