একটা নিশ্চুপ,
ক্লান্তহীন দেহের অন্তর,
সারাজীবন নিশ্চুপ।
অথচ বাহিরের ভাগে রয়েছে
আচ্ছাদনের যান্ত্রিকতা,
এই যান্ত্রিকতা ভেতরের দিকে কখনো চেয়ে দেখে?
এমনটা চলছে সেই সূচনা লগ্ন থেকেই,
তবুও
একা নয়,মোট দুটো দেহের পবিত্রতায় হয় নতুন জীবন,
জীবন যখন জীবন দেয়,
জীবন তখন নাম পায়।
কিন্তু ,জীবনে যখন জীবন জন্ম পায়
জীবন তখন পরিবর্তিত হয়ে যায়,
তখন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দুটো নাম জড়ায়,
জীবনের প্রতিটি সময়ের সাথে,এমনকি
কোষের আনাচে কানাচেও ।
জীবন জন্ম যখন প্রথম-
যান্ত্রিকতা শিখতে শুরু করে্ ,
তখন তার অবয়ব থেকে একটা ভাষা
না শিখালেও চলে আসে তা হলো মা,
এইখানেই প্রথম সহ্যশীলতা আসে,
বাবারা যখন দেখে জন্ম জীবন প্রথমেই বললে মা,
সৃষ্টি কর্তার প্রতি এ নিয়ে কখনোই মনে জাগে না উদ্ভব?
কখনোই কি এটার উদ্ভব হয়নি!! যে-
মা-বাবা একই সাথে হোক।
কিন্তু না,সকল
বাক্যের অহংকার ত্যাগ করে ,
মন নিরব হতে থাকে,
নিরব হতে থাকে সম্পর্কের চিরায়ত সর্বময়তায়।
ভেতর টা আরো সহ্যশীল হয়।
জীবন জন্মের মাইটোসিসের দরুণ-
এগোতে থাকে আকার আকৃতি -
বয়স তো এভাবেই জন্মের সাথে সাথে
কমে আসে বারংবার।
জন্মের জন্য কেউ কি কখনো মৃত্যুর দৌড়ে-
গাঁ ঘেষে দৌড়েছে?
বয়স নামের সুশীলে,সাম্য মনের উৎসাহে
একদিন উচ্চারিত হয়
বাআ বা, আব বা।
মনের সৌন্দর্য একত্র হতে থাকে এই ডাক শুনে,
কত কিছুর প্রস্তুতি দরকার হয়েছে এটা বলতে?
মুখের পেশির,কোষের পক্কতা,সাহস,উদ্যম আর প্রেম।
বয়স যখন-খুব চেনা জগতের ধারায় এলো-
তখন উচ্চারিত এই শব্দপ্রেম হয়ে উঠলো
সকল কিছুর উৎস।
আমি জন্ম হয়েছি,আমি জন্ম দিয়েছি,
আমার জন্ম জন্ম দিবে জন্মের জন্মকে জন্মানোর জন্য
আমার জন্ম জন্ম দিবে জন্মের সৌন্দর্য পেতে,
বাবা, আমি।
আমি সন্তান ও।
আমি স্বামী ।
বাবা বলে ডাকি,
আমাকেও বাবা বলে ডাকা হয়।
পৃথিবীর এক অদ্ভুতুড়ে নিয়ম,
যদি এটা ক্রমশ নতুনত্ব পেত
হয়তো বা জন্মের জন্মও শব্দ উচ্চারণে
সাহসের আকস্মিক উদ্ভাবন দিত না।
জীবনের স্থিতি এভাবেই ব্যালেন্স হয়,
লামির সূত্রকে তখন জীবন সূত্র লাগে।
আমি বাবা,
আমি সেই আমিটা,
যেখানে ৪৬ টা ক্রোমোসোম
নিশ্চুপ অভ্যন্তরীন দেহ থেকে এসেছে।
আমার আমিটার আমার সত্ত্বা নতুন সত্ত্বায় বাবা হয়ে আসবে।
তাই
বাবা হওয়া,সন্তানের বাবা হওয়া,
জীবনের এক আদম্য সাহসিকতা।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পৃথিবীতে বাবারা সবসময় সন্তান থেকেই হয়েছে। একদিনে কখনো সন্তান হওয়া যায়নি ,বাবা হতেও তাই সময় লাগে।
একা নয় বরণ,স্বামী স্ত্রীর একত্রতায় একজন বাবা হওয়া যায়।
বাবা হতে হলে ভালো সন্তান হতে হবে,ভালো সন্তান হতে গেলে ভালো মানুষ হতে হবে,ভালো মানুষ হতে গেলে আবারো ভালো বাবা হতে হবে। পৃথিবীতে জন্ম হওয়া নতুন মানুষটি কাঁদে প্রথমেই।এরপর আহ্নিক গতির প্রেক্ষিতে জীবন বড় হয়,সেই সাথে আগে মা, পড়ে বাবা আসে মুখে।এই প্রেক্ষপট থেকে বলা যায়
বাবাদের ২টা অবস্থা সর্বোচ্চ ভাবে প্রকাশ পায়।
১) স্ত্রীর প্রতি সম্মান
২) নিরহংকার মন সারাজীবনের জন্য।
প্রশ্ন রেখে যাই--উক্ত ২ টা অবস্থা কীভাবে হলো? অর্থাৎ এখানে স্ত্রীর প্রতি সম্মান আর সারাজীবনের নিরহংকার মনোভাব কীভাবে হলো ?
আমি বাবা,তাই ভালো মানুষ হতে চাই আজীবন ধরে।সহ্যশীলতা একটু একটু করেই একসময় সন্তান থেকে বাবাতে পরিণত করে আমাদের।আর মায়ের সহ্যশীলতা শুরু হয় সেই পরিণত কোষের গুচ্ছ বড় হওয়া থেকেই।
২৮ ডিসেম্বর - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী