আমার অন্তিম যাত্রার প্রস্তুতি প্রায় শেষ, পরানো হয়েছে চকচকে নতুন বেশ। এখন কিন্তু আমার কোনো অভিযোগ নেই, দুদিন আগে যে ব্যঙ্গ করতো, চন্দনের ফোঁটা আজ দিয়েছে সেই! কোনো বিউটি শিয়ান! আঁচড়রে দিয়েছে মোর অবিন্যস্ত কেশ।
ঝলসে উঠছে ক্যামেরা, প্রতিনিয়ত অসম্মান করেছে যারা- মেকি কান্না আজ তাদের চোখে, নেতারাও আজ মুহ্যমান শোকে! সামনেই যে পুরসভার ভোটের তাড়া।
মিডিয়া ছুটছে নেতাদের কাছে, বিরোধী: দেশটা যে এবার গোল্লায় গেছে। ক্ষমতাসীন: পুরসভাটা এখনো ওদের, মিডিয়া: টি-আর-পি বাড়ছে কাদের? বলিনি আমি কিছুই, ব্যঙ্গ করে পাছে।
নেতাদের ভাষণ, জনগণের হাততালি, দু-দলের ফ্ল্যাগ নিয়ে, চলছে আমার অন্তর্জলি। বিদ্বজ্জনের রঙ্গিন কথা, আর মিডিয়ার ঝলকানি, এটাই সুযোগ নাম কুড়োবার, লাইনে ঞ্জ্যানী-গুণী। এই হল মোদের দেশের গণতন্ত্রের বুলি!
এবার শোনো সত্যি কথা, ভিক্ষা করতাম প্রতিনিয়ত- ছিল যে মোর দৈন্যটা। ছানি পড়া চোখে, রাস্তা আমি পেরোই, বেপরোয়া বাস আমায়, পিষে দিল তাই। শান্ত এখন আমার শরীর, ঘুচেছে সব ব্যথা।
শুধু একটাই মোর প্রশ্ন ছিল, গণতন্ত্র একটু বলো- ছানি পরা চোখ না বেপরোয়া বাস, কে কাড়লো; আমার মুখের গ্রাস? জানি একটা জঞ্জাল কমে গেল!! (এই ভেবে ধন্য আমি, হাসছে যে আজ অন্তর্যামী)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।