মাহাবুব হাসান
কবিতাটা ভালো লেগেছে। ছাত্র আন্দোলনে অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের ঠিক আগের অবস্থাটা উঠে এসেছে কবিতায়। আসলে ব্যক্তিগতভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হলে অনেক সময় আমাদের ঘুম ভাঙে না। এজন্যেই বছরের পর বছর আমরা শোষিত হই।
(অফটপিকে অনেক দিন ধরে মনে জমে থাকা একটা কথা বলি- আমি গল্পকবিতার খোঁজ পাই গত বছরের শেষদিকে। সাইটটাকে ভালো লেগে যায়। পুরনো সংখ্যার বিজয়ী লেখাগুলো পড়তে পড়তে আবিষ্কার করি একটা সময় কতটা সমৃদ্ধ ছিল সাইটটা! অসাধারণ সব কবি-গল্পকারের অসাধারণ সব লেখা!
এমন সমৃদ্ধ একটা সাইটের এমন দীনহীন দশা হলো কেন? সেই লেখকেরা এখন কেন লেখেন না?
সেই ২০১১-১২ সালের লেখকদের হাতে গোনা কয়েকজন এখনো লিখছেন। নতুনরা আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন। শুরুর বছরগুলোতেও মনে হয় না এত কম লেখা জমা পড়ত।
ধারণা করি গল্পকবিতার এই বেহাল দশার জন্যে দায়ী সাইটটার প্রতি মনোযোগের অভাব। কোনো সংখ্যার পার্টিকুলার লেখা কিংবা পুরো একটা সংখ্যাই প্রকাশিত না হওয়া, বিজয়ী ঘোষণা না হওয়া, বিজয়ী ঘোষিত হলেও পুরস্কার না পাওয়া, নতুন সংখ্যার টপিক প্রকাশ না করা, লেখকের বার্তা এটেন্ড না করা- এসবই কি? নাকি আরও কারণ আছে?)
কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। আপনার অফ টপিকের কথার সাথে সুর মিলিয়ে আমিও দুটি কথা বলি:
আমিও যখন এই প্ল্যাটফর্মে ঢুকি তখন এক ঝাঁক কাঁচাপাকা লিখিয়ের কোলাহল দেখে ভালো লেগে যায়। আমিও কুণ্ঠা নিয়ে ওঁদের আসলে যোগ দিই এবং আসরের মানসম্পন্ন লেখকদের লেখা পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করি (তারুণ্যে বদভ্যাস ছিল বলে পড়তি বেলায় এসে নিজেও কিছু হিজিবিজি লেখার ধৃষ্টতা দেখাই)। আমার নিজেরও কিছু লেখা বিভিন্ন সময়ে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে (যদিও পুরস্কারে আমার আগ্রহ নেই আর ওদের নির্বাচন পদ্ধতিও আমার কাছে তেমন গ্রহনযোগ্য নয়। আমার মনে হয় করোনা-কালের অনিয়ম/ বিরতি এবং পরবর্তী সময়ে কর্তৃপক্ষের অনাগ্রহ কিংবা অবহেলার কারণে অনেক ভালো লেখক গল্প কবিতার আসর থেকে কেটে পড়েছে। তাছাড়া পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে হয়তোবা কিছু উৎসাহী এবং ভালো লেখক ধরে রাখা যেত (তবে হ্যাঁ, এখনও অল্প কিছু প্রতিশ্রুতিশীল লেখক আসরে আছেন)। করোনা-কাল থেকে গক হয়তো কাউকেই কোন পুরস্কার দেয়নি, কারো মেইলের জবাব দেয়নি। তাই আমি নিজেও গক’র বাইরে গিয়ে টুকটাক লেখার চেষ্টা করি। এই সাথে নিঃসংকোচে স্বীকার করি, লিখি বটে কিন্তু সাইটে ঢুকে আমার নিজেরটা সহ কোনো লেখাই পড়তে ইচ্ছা করে না। আপনার জমে থাকা কথাগুলো আমার পাতায় প্রকাশ করেছেন বলে আমি একটা উড়াল দিয়ে আপনার পাতা ঘুরে এসেছি। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আপনি তরুণ এবং অনেক অগ্রসর। আপনার হবে ( হয়তোবা হয়েই রয়েছে - আমি শুধু জানি না)। সময় করে অবশ্যই আপনার লেখাগুলো ভালোভাবে পড়ার চেষ্টা করব। অনেক শুভেচ্ছা।
জ্বি ধন্যবাদ। আপনি খুবই বিনয়ী একজন মানুষ! আমিও আগে সেভাবে অন্যদের লেখা পড়তাম না। কিন্তু এখন পড়ি। শুধু পড়িই না, মূল্যায়নও করি। কমেন্ট করারও চেষ্টা করি। কারণ এখন যারা লিখছেন, লেখার প্রতি ভালবাসা, গল্পকবিতার প্রতি সূক্ষ্ম টান আগেই বলেই লেখেন। নইলে কতৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক মূল্যায়ন না থাকা সত্ত্বেও তারা লিখতেন না। আর এই সাইট যেহেতু একেবারেই অবলুপ্ত হয়ে যায় নি, মাঝে সাইটের সার্টিফিকেট এক্সপায়েরি হয়ে গেছিল, সেটা ঠিক করেছে, নিয়মিত টপিক ঘোষণাও করছে, তাই একটা আশাবাদ কাজ করে- যতটুকুই হোক, সাইটটাকে ধরে যেহেতু রেখেছে, একটু মনোযোগ আর সময় দিলে এটা আবার গড়েও উঠতে পারে। আর লেখক সক্রিয় হলে পাঠক সমাবেশও নিশ্চয়ই বাড়বে!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।