মাধবীলতাটি ছাদের কাণির্শ বেয়ে উপরে ধাবমান হবার প্রচেষ্টায় রত, ইঠাৎ বৃষ্টিতে আর হাওয়ায় তির তির করে দুলছে তার কিছু পুস্প মুঞ্জরি নৃত্যরত কোন সুন্দরী যেন। মেয়েটি ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে থাকে।। এর ঠিক পাশেই একটি কাঁঠালচাপার ঝাড় ছিল। কিছু গন্ধরাজ লেবুর গাছ।। মেয়েতির ইতি উতি খুঁজে চলে, না নেই।।
মেয়েটি দ্রুত দুহাতে বুনো গাছ পালা সরিয়ে সরিয়ে উন্মত্তেভ মতো খুঁজে চলে- ঘোর লাগা চোখের কোণে অশ্রুবিন্দু টলমল করে কি।
অবসন্ন শরীরে মেয়েটি খানিকটা এগিয়ে, রান্নাঘরের দাওয়ায় গিয়ে বসে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি মাটির দাওয়ায় কিছু বিশ্বস্ত ছাপ রেখে গেছে তার। এখানে সেখানে মাটি গলে হা হয়ে আছে। গলে যাওয়া মাটির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সে। ঘরের ভিতরে উনোনে, লালকমলায় মিশ্রিত আগুনের শিখা দাউ দাউ করে জ্বলে- আনাজ পাতি, তেল মসলায় বাতাস এখানে কিছুটা ভারী। উনোনের ধারে যিনি বসে আছেন তিনি একজন মহিয়সী নারী। তার সাথে মেয়েটির টুকটাক কথা হয়, পুরনো গল্প আর বাঁধনহারা হাসির শব্দ ভেসে আসে। গনগনে আগুনে মেয়েটি ইঠাৎ কৈশোর ফিরে পেয়ে, ভীষন খুশীতে ঝলমলিয়ে ওঠে।
মেয়েটি খুঁজতে এসেছিল তার শৈশব, কৈশোর; মাধবীলতা, গন্ধরাজ লেবু, কাঁঠালচাপা, একটি তালগাছ, ছায়া ছায়া বাঁশবন, নিকনো উঠান, তুমুল বৃষ্টি আর আকণ্ঠ স্নেই! পেয়ে যায়, কিছু কিছু বাকী থেকে গেলেও যা কিছু পায়- দুহাত ভরে কুড়িয়ে নিয়ে উল্লসিত মেয়ে হাওয়ায় দোলা মালতীর পুস্প মঞ্জুরির মত হেসে ওঠে, নেচে ওঠে, গেয়ে গেয়ে যায়- মল্লার রাগ গেয়ে গেয়ে যায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর
বর্ণনার নিখুত হাত ভালই লাগল, তবে বানানে আরো একটু সতর্ক হতে হবে। গল্প কবিতায় স্বাগতম। আশা করি পদচারণা বাড়াবেন। অনেক শুভকামনা ভোট আর আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।