রনি ও বাইনারি ৪২০

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (নভেম্বর ২০১৭)

Puja Dhar
"রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিস যাও, অফিস থেকে ফিরে এসে আবার পরের দিনের অফিস যাওয়ার চিন্তা নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া, আবার সকালে উঠে অফিস। ধুর বাবা, আর ভাল লাগেনা।" আপনমনে বিড়বিড় করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে রনি। মাঝরাত্রিরে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় তার। এ কি দেখছে সে! তার মতো দেখতে একজন বসে আছে তার সামনে।
-" তু তু তু তুমি কে?"
-"ভয় পেয়না রনি। আমি বাইনারি ৪২০। এসেছি ভিনগ্রহ থেকে। মানুষের আচার,ব্যবহার , প্রকৃতি সম্পর্কে গৃহীত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে । "
-"তুমি আমার মতো দেখতে কেন? এটা কি করে সম্ভব? "
-"আমরা দেখতে তোমাদের থেকে ভিন্ন, তাই আমরা পৃথিবী নামক গ্রহতে থাকাকালীন যার সামনে উপস্থিত থাকি তার দৃষ্টিতে কিছু সময়ের জন্য এক প্রকার বিক্রিয়া ঘটিয়ে থাকি যেন সামনে বসা মানুষটির কাছে আমাদের ঠিক তারি মতো মনে হয় ।
-" এতো মানুষের ভীড়ে তুমি আমায় কেন বাছাই করলে করলে? "
-" অপরাধী মনোভাবের অধিকারী নয়, কিন্তু অপরাধ করেছে এমন ব্যক্তি আমাদের এই প্রজেক্টের জন্য প্রতিপাদ্য। "
-"আমি স্বপ্ন দেখছিনাতো?"
-" স্বপ্ন বলতে পার। আমি চলে যাওয়ার পর তোমার আর কিছুই মনে থাকবেনা। আমি তোমার স্মৃতি থেকে আমাদের সাক্ষাৎকারের সময়টুকু মুছে দিয়ে যাব।কারণ, তুমি ব্যাপার টা উন্মোচন করলে সব বিজ্ঞানীরা আমাদের পেছন পড়বে। "
-" যদি বলি গোপন রাখব। "
-" মানব জাতির মুখের কথা আর কাজের কোন মিল থাকেনা। আমাদের নিয়ে গবেষণা নিয়ে তাদের রোজ রোজ মত পরিবর্তন করে। তাদের নিজেদের জানা আর পুরো পৃথিবীকে জানানোর মধ্যে থাকে এক বিস্তর ফারাক। তুমি এরমধ্যে ভেবে নিয়েছ আমি যাওয়ার ঠিক পরেই তুমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবে।"
-" তুমি জানলে কি করে? "
-"আমরা চোখ দেখে মনের কথা বুঝতে পারি। তোমরা আজকাল ভার্চুয়াল জগৎ নিয়ে খুব বেশি মত্ত হয়ে থাক। কখনো কি ভেবে দেখেছ বিপদে পড়লে তোমার পরিবারকেই কাছে পাবে, ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুদের নয়। "
-" ঠিম বলেছ তুমি। "
-"আমাদের তথ্যানুসারে, তোমারা তোমাদের মনের খেয়াল অনুযায়ী সবটা করতে পারনা। তুমি হতে চেয়েছিলে কার্টুনিস্ট, আর হয়ে গেলে এইচ.আর।"
-"জীবনের প্রয়োজনে আমাদের অনেক ইচ্ছেকে চাপা দিতে হয়। "
-" কাল মায়ের গয়নাটা চুরে করেছ আর আজ বিবেকের দংশনে জ্বলছ। ঠিক তো? "
-" হুম।"
-"সত্যি টা বললেনা কেন? "
-"যদি কষ্ট পায়, তাই "।
-"এই গ্রহের প্রাণীদের এই এক বদভ্যাস। তোমাদের সহজ জীবনটাকে নিজেরাই জটিল করে তুলো। আপন মানুষগুলোকেই তোমরা বিশ্বাস করতে ভয় পাও। পরিণামে নিজেদের জন্য তৈরি করো অফুরন্ত বিষাদের খনি। "
-"তুমি একদম ঠিক। তোমার মতো করে যদি সবাই ভাবতো সত্যি পৃথিবীর সবাই খুব সুখী হতো
-" আমার কাজ শেষ। এখন আমায় যেতে হবে। "
-" কোথায় যাবে? "
-" আমাদের তৈরি করা হয়েছে কোয়ান্টাম ফর্মুলার ভিত্তিতে। এখন এখানে বর্তমান। ভবিষ্যৎতে কোথায় থাকব কেউ জানেনা। চললাম। "
"রাতটা এতো তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায় কেন? আবার সেই অফিস। উঠে পড় রনি। আর ঘুমিয়ে কাজ নেই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত রাতটা তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না গেলে , বাইনারি ৪২০ থেকে ভিনগ্রহের আর কিছু জানা যেত ...। ভাললেগেছে । শুভকামনা ।
মোঃ মোখলেছুর রহমান বেশ লিখনি,ধন্যবাদ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী স্বপ্নের ক্যানভাসে দারুণ এক গল্প তুলে ধরেছেন, খুব ভালো লেগেছে.... শুভকামনা রইল।

০১ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪