নিষিদ্ধ অডিটোরিয়াম

ভৌতিক (ডিসেম্বর ২০১৮)

মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী
  • 0
  • ৩০
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম আমরা ৩ জন। আমি, ইতি এবং তপন। সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল। বাতাস বইছিল হু হু করে। বৈশাখী বাতাস, গা জুড়িয়ে যায়। এলোমেলো হয়ে যায় চুল।
অনেকক্ষণ চা সিগারেট খাওয়া হয়নি। তেষ্টা পেয়েছে। তপনকে বললাম সে কথা। সে বলল, “আসলেই, সেই সকালে চা খেয়েছি। মন্টুর দোকানে বসি চল।”
ইতি ফোড়ন কাটল অবশ্য, “তেষ্টা চায়ের না বিড়ির?”
তপন হাসল।
মন্টুর দোকানে গিয়ে দেখলাম, সিনিয়র দু’জন ছাত্র, হালিম ভাই এবং বাপ্পী ভাই বসে আছে, দু’জনেই আমাদের ডিপার্টমেন্টের। আমরা ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র, র‍্যাগ খাবার ভয়ে সিনিয়রদের এড়িয়ে চলি। অলরেডি আমি একবার আর তপন তিন বার খেয়েছে। আর সঙ্গে ইতির মতো সুন্দরী মেয়ে থাকলে তো কথাই নেই, র‍্যাগ নিশ্চিত। কাজেই ভাবলাম, এখানে নয়, অন্য কোথাও বসব। কিন্তু বিধিবাম, হালিম ভাই দেখে ফেলল তপনকে! র‍্যাগ খেতে তপনের জুড়ি নেই, সেজন্যই বোধহয় সিনিয়রদের চোখে পড়ে যায় সব সময়। হালিম ভাই একরাশ ধোয়া ছেড়ে ঢাকাইয়া সুরে বলল, “এই তপইন্যা, এদিকে আয় ছ্যামড়া! সিনিয়র দেইখ্যা সালাম না দিয়া কই যাস?”
বুঝলাম, ফেঁসে গেছি। পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম মন্টু ভাইয়ের দোকানে। হালিম ভাই আবার বলল, “খাড়াইয়া আছস কিল্লাইগা, বয়! তোমরাও বসো।”
আমাদের অস্বস্তি পেয়ে বসল, কিন্তু সিনিয়রের আদেশ অমান্য করা যায় না। তাই বসলাম। আমাদের অস্বস্তি দেখেও অবশ্য কোন ভাবান্তর হলো না তাদের। সিগারেট ফুঁকতে লাগল সে আমাদের সামনেই।
আমরা বসতে বাপ্পী ভাই মুখ খুলল, “তোমরা দু’জন শাহেদ আর ইতি, তাই না?”
বাপ্পী ভাই গম্ভীর থাকে, সে কতটুকু বন্ধুভাবাপন্ন বোঝা মুশকিল। তবে তার প্রশ্নের উত্তরে আমরা মাথা নাড়লাম। হালিম ভাই এবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল, “শাহেদ বিড়ি খাবি?”
আমি আতঙ্কে মাথা নাড়লাম। বড়দের আহ্বানে সিগারেট খাবার গল্প শুনেছি, হ্যা বললেই র‍্যাগ শুরু হয়ে যাবে। আমার ভয়ার্ত মুখ দেখে বোধহয় দয়া হলো তার। বলল, “তোরা বড় ভাইদের এত ডরাস ক্যা? আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে আছিলাম, বড় ভাইয়েরা ছিল আমার ফ্রেন্ডের মতো!”
ইতি এই বিদঘুটে পরিস্থিতি হতে উদ্ধার করল আমাদের। সুন্দর করে হেসে মিষ্টি সুরে সে বলল-“ভাইয়া, কাল আমাদের ক্লাস টেস্ট আছে। পড়তে হবে। এখন যাই আমরা?”
সুন্দরী জুনিয়রের কথায় বড় ভাইয়ের মন না গলে পারে! হালিম ভাই ঢাকাইয়া ছেড়ে প্রমিত বাংলায় বলল, “হ্যা হ্যা, অবশ্যই! তবে বড় ভাইদের সাথে ভাল সম্পর্ক রেখো, দেখা হলে সালাম দিও!”
“জ্বী ভাইয়া, নিশ্চয়ই!”
“আর ক্যাম্পাসে কোথাও কোন সমস্যা হলে, এই হালিম ভাইয়ের নাম বলবা! আমি নরসিংদীর হালিম, ক্যাম্পাসে এক নামে চেনে সবাই আমাকে! আর কোন ঝামেলা হলে ফোন দেবে আমাকে। নাম্বার আছে তো?”
ইতি দ্রুত মাথা নেড়ে বলল, “হ্যা ভাইয়া, আছে।”
“ঠিক আছে, যাও।”
আমরা ওখান থেকে বের হতে ইতি বলল, “আফসোস, চা খাওয়া হলো না!”
তপন লম্বা দম নিয়ে বলল, “চায়ের তেষ্টা চলে গেছে, র‍্যাগ থেকে বেঁচেছি, অনেক।"
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম, “আচ্ছা, এই অডিটোরিয়ামটা বন্ধ কেন?”
অডিটোরিয়ামের সামনে দাড়িয়েছি আমরা, ওরা দু’জন খেয়াল করেনি। চায়ের দোকানের সাথেই অডিটোরিয়াম। এটা বন্ধ পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। তপন বলল, “শুনেছি এখানে সাপের উৎপাত ছিল অনেক, প্রায়ই ভরা সভায় দলে দলে সাপ চলে আসত কোথা থেকে যেন, বার বার এমন ঘটনা ঘটায় এটা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।”
ইতি বলল, “শুধু সাপের উৎপাতে এত সুন্দর, মস্ত একটা অডিটোরিয়াম বন্ধ হয়ে গেল, এ কেমন কথা!”
তপন হাতের পাতা উল্টে বলল, “কি জানি!”
আমি চোখ ছোট করে ওদের দিকে তাকালাম, ওরা আমার ফন্দি বুঝতে পারল। তপন সাথে সাথে মাথা নাড়ল! “না না শাহেদ, ওসব ভাবিস না। এই রাতের বেলায় সাপের আখড়ায় আমি ঢুকব না।”
আমি বললাম, “ভয় পাচ্ছিস কেন, সাপের কামড়ে সাথে সাথে মরে না কেউ। অনেক সময় লাগে। কোন সাপে কেটেছে দেখলেই ডাক্তার এন্টি ভেনম দিয়ে দেবে, ঠিক হয়ে যাবি। আর আমরা সতর্ক থাকব। ব্ল্যাক মাম্বা ছাড়া অন্য সাপকে আক্রমণ না করলে কামড়াতে আসে না। বরং ভয়ে পালিয়ে যায়।"
ইতি বলল, “বিপজ্জনক, তবে এডভেঞ্চারাস। একটা ভাঙা জানালা দেখতে পাচ্ছি, ঢুকবি? দুই মিনিট পরেই বের হয়ে আসব। আমাদের মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটগুলো শক্তিশালী, অন্ধকারেও সব দেখা যাবে পরিষ্কার।”
তপন বলল, “বড় ভাইয়েরা বসে আছে ওখানে, দেখে ফেললে?”
আমি বললাম, “ওরা গল্প করছে, দেখবে না, চল যাই। ভিতরে কি আছে দেখে আসি!”
তপন মাথা নাড়ল, “তোরা যা! তোদের তিন গোয়েন্দাগিরিতে আমি নেই!”
ইতি তপনের হাত ধরে বলল, “প্লীজ!”
আবার সেই চাল, নারীর আহ্বান সামলানো মুশকিল। তপন নিমরাজি হলো।
জানালা টপকে ভেতরে ঢুকলাম আমরা তিন জন। জানালাটা কোমর সমান উঁচু, ঢোকা কোন সমস্যাই নয়। মানুষজন বোধহয় ভয়ে ঢোকার কথা চিন্তাও করে না।
ভেতরটা অন্ধকার, স্যাঁতস্যাঁতে। আমরা ফ্ল্যাশলাইটের আলো প্রথমেই মেঝেতে ফেললাম। না, কোন সাপখোপ দেখতে পাচ্ছি না আপাতত। অনেকগুলো আসন রয়েছে অডিটোরিয়ামে, মরচে ধরে গেছে তাতে, পোকায় খেয়ে ফেলেছে কিছু কিছু। ভীষণ প্রাচীন, ভীষণ পরিত্যক্ত অডিটোরিয়ামটি! দুয়েকটা কঙ্কাল বসে থাকলেও অবাক হতাম না। আমরা আস্তে আস্তে হেটে স্টেজের মতো অংশটাতে গেলাম। তপন বলল, “চল, চলে যাই। অনেক হয়েছে।”
অনেক হয়েছে...হয়েছে...হয়েছে... প্রতিধ্বনি হতে লাগল ওর শব্দের। কেমন গা ছমছমে শব্দ! ইতি ঠোটে হাত রেখে “শশশ” শব্দ করল। সেটাও প্রতিধ্বনিত হতে লাগল দেয়ালে দেয়ালে।
স্টেজের নিচে সিঁড়ির মতো জায়গা, সেটা বেয়ে বেয়ে উপরে উঠতে লাগলাম আমরা। হঠাৎ একটা চেয়ার ক্যাঁচক্যাঁচ করে উঠল যেন। ঝট করে তিনটে ফ্ল্যাশ লাইট পড়ল সেদিকে। কিছু নেই। ইঁদুর টিদুর হবে বোধহয়।
ঠিক তখনই একটা ভয়াবহ ব্যাপার ঘটল, একটা মেয়েলী কণ্ঠ ফিসফিস করে বলে উঠল, “ও...মাই...গড!”
এই কথাটাও প্রতিধ্বনিত হতে লাগল। বুকের ভেতর হৃদপিণ্ডটা যেন লাফ দিয়ে উঠল আমাদের। দৌড়ে চলে গেলাম জানালার দিকে। সবার আগে তপন, তারপর ইতি, শেষে আমি উঠতে গিয়ে পা ফস্কে পড়ে গেলাম প্রথম বার। ওরা ফিরে তাকাল। হাচরে পাঁচরে উঠলাম দ্বিতীয় বারে। উঠেই উদভ্রান্তের মতো দৌড় লাগালাম। একটু দৌড়ে থেমে গেলাম আমরা, লাইট নেভালাম মোবাইলের। মোবাইলের দিকে চোখ পড়তেই একটু অবাক হলো ইতি।
“কি হয়েছে?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।
তিথি বলল, “তোর মোবাইল দেখ। তপনও দেখ।”
প্রথমে বুঝতে পারলাম না, তারপর বললাম, “এটা কি করে সম্ভব!”
তপন বুঝতে পারেনি, বলল-“কি হয়েছে?”
বললাম, “৬ টা ৪৬ বাজে।”
“তো?”
“আমরা আড্ডা দিয়ে উঠেছিলাম ক’টায়?”
“পৌনে ৭ টার দিকে।”
“তাহলে? মাঝখানের ১৫ মিনিট কি ঘড়ি বন্ধ ছিল? এখন ৭ টা বাজার কথা না?”
বিভ্রান্ত দেখাল তপনকে। বলল- “সেলফোনে সমস্যা হয়তো।”
“সবার একসঙ্গে?”
“তুই কি বলতে চাস? সবার ঘড়ি জাদু বলে বন্ধ হয়ে গেছে?”
“অথবা...” ইতি যোগ করল, “আমরা ১৫ মিনিট অতীতে চলে এসেছি।”
হেসে উঠল তপন। ঠিক তখনই হালিম ভাইয়ের ডাক শোনা গেল- “এই তপইন্যা, এদিকে আয় ছ্যামড়া! সিনিয়র দেইখ্যা সালাম না দিয়া কই যাস?”
আমরা যন্ত্রচালিতের মতো মন্টু ভাইয়ের দোকানে গেলাম, হালিম ভাই এবং বাপ্পী ভাই বসে আছে যেখানে। হালিম ভাই আগের মতো বলল, “খাড়াইয়া আছস কিল্লাইগা, বয়! তোমরাও বসো।”
আমরা পুতুলের মতো বসে পড়লাম। মস্তিষ্ক বিশ্বাস করতে পারছে না, কি হচ্ছে আমাদের সাথে।
আমরা বসতে বাপ্পী ভাই মুখ খুলল, “তোমরা দু’জন শাহেদ আর ইতি, তাই না?”
আমরা মাথা নাড়লাম।
হালিম ভাই এবার আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল, “শাহেদ বিড়ি খাবি?”
মাথা নাড়ালাম আমি। সে আবার বলল, “তোরা বড় ভাইদের এত ডরাস ক্যা? আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে আছিলাম, বড় ভাইয়েরা ছিল আমার ফ্রেন্ডের মতো!”
ইতি ফ্যাকাসে মুখে বলল, -“ভাইয়া, কাল আমাদের ক্লাস টেস্ট আছে। পড়তে হবে। এখন যাই আমরা?”
হালিম ভাই বলল- “হ্যা হ্যা, অবশ্যই! তবে বড় ভাইদের সাথে ভাল সম্পর্ক রেখো, দেখা হলে সালাম দিও!”
“জ্বী ভাইয়া, নিশ্চয়ই!” মুখস্থ বুলি আওড়ে গেল যেন ইতি।
“আর ক্যাম্পাসে কোথাও কোন সমস্যা হলে, এই হালিম ভাইয়ের নাম বলবা! আমি নরসিংদীর হালিম, ক্যাম্পাসে এক নামে চেনে সবাই আমাকে! আর কোন ঝামেলা হলে...”
ইতি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “...আপনাকে ফোন দেব। হ্যা, আপনার নাম্বার আছে।”
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল যেন হালিম ভাই। বলল, “আচ্ছা, যাও।”
অডিটোরিয়ামের সামনে দাড়ালাম আবার আমরা। তপনের রক্তশূন্য মুখ। আমি বললাম, “কি আছে এটার ভেতর ইতি? সাপ না মহাজাগতিক কোন প্রাণী? টাইম মেশিনে করে যেন ১৫ মিনিট পেছনে ফেরত পাঠানো হলো আমাদের!”
“ও মাই গড.....কথাটা তোরাও শুনেছিলি, তাই না?”
“হ্যা, শুনেছিলাম।”
“তাহলে আমার মনে হয়, আবার যাওয়া উচিত আমাদের। দেখা উচিত কে আছে ভেতরে। কে সেই সম্ভাব্য মহাজাগতিক অস্তিত্ব!”
আমি কথা না বাড়িয়ে জানালার কাছে চলে গেলাম। টপকে ভেতরে ঢুকলাম। তপন-ইতিও ঢুকল পেছন পেছন ইতস্তত না করে। আমরা পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম স্টেজের কাছে। ঠিক সেই সময়ে, পেছনের জানালায় শব্দ শুনলাম। একটা হাত, জানালা দিয়ে ঢুকছে। তারপর একটা মাথা। ভয়ে লাফ দিয়ে উঠল বুকটা। সঙ্গে সঙ্গে ইতি আমাদের দু’জনের হাত ধরে ছুটল। কয়েক সারি চেয়ার টপকে দু’টো চেয়ারের সারির মাঝখানে বসে পড়লাম আমরা। লুকিয়ে দেখতে লাগলাম কে এসেছে।
একজন একজন করে ৩ জন ঢুকল ভেতরে। তিন জোড়া ফ্ল্যাশলাইট, তিনটে মানুষ। আর কেউ নয়, আমাদেরই প্রতিচ্ছবি তারা। হেটে হেটে স্টেজের দিকে উঠে গেল তারা। ওদের মধ্যে যে তপন, সে বলল- “চল, চলে যাই। অনেক হয়েছে।” ঠিক যেমন আমাদের তপন বলেছিল প্রথমবার এখানে এসে।
পাশে তাকিয়ে দেখি, বিস্ফোরিত চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে ইতি। নড়ে উঠল সে, ক্যাঁচক্যাঁচ করে উঠল চেয়ার। স্টেজের উপর তিন জন চমকে ফ্ল্যাশ লাইট ফেলল আমাদের দিকে। আমরা বসে পড়লাম।
অস্ফুটে ইতির মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল- “ও মাই গড...”
ওরা তিনজনেই উদ্ভ্রান্তের মতো দৌড় দিল জানালার দিকে। আমার প্রতিচ্ছবিটির প্রথম বার পা ফস্কে গেল, দ্বিতীয় বারে উঠল। আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি! বেরিয়ে গেল ওরা সবাই। সব কিছুই আমাদের সাথে প্রথমবার যেমন হয়েছিল, তেমনই রিপিট হয়েছে।
আমি বললাম, “ইতি, আমার মনে হয়, এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত।”
ইতি মাথা ঝাঁকাল, বলল-“হ্যা, আমারও তাই...”
আমার পেছনে তাকিয়ে থেমে গেল সে। পেছনে তাকালাম আমি ভয়ে ভয়ে। তিন জোড়া চোখ তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে, পাশের সাড়িতে, তারা আর কেউ নয়, আমাদের মতো আরও তিন জন মানুষ। তিন জন তপন, শাহেদ, ইতি।
জান হাতে নিয়ে দৌড় দিলাম আমরা এবার। এবার পা ফস্কাল না কারো। তিন জনেই দ্রুত চলে এলাম বাইরে। ছুটতে লাগলাম।
ঠিক তখন হালিম ভাই ডাকল- “এই তপইন্যা, এদিকে আয় ছ্যামড়া! সিনিয়র দেইখ্যা সালাম না দিয়া কই যাস?”
আমরা দৌড়ে তাদের কাছে দেখলাম। হালিম ভাই কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই আমি বললাম, “জানি আপনি কি বলবেন হালিম ভাই। আপনি বলবেন- ‘খাড়াইয়া আছস কিল্লাইগা, বয়! তোমরাও বসো।’
হালিম ভাই শুনুন, মস্ত বড় একটা ব্যাপার ঘটছে এখানে...”
আমি হরবর করে সব বললাম। মাঝে মধ্যে যোগ করল ইতি আর তপন। হালিম ভাই আর বাপ্পী ভাইয়ের চেহারা দেখার মতো হলো। গল্প বিশ্বাস না করলেও কিছু একটা ঘটছে অডিটোরিয়ামে, সেটা তারা বুঝতে পেরেছে।
বাপ্পী ভাই বলল, “চলো গিয়ে দেখি।”
সিনিয়র দু’জনের পিছু পিছু গেলাম আমরা। চলে এলাম অডিটোরিয়ামের সামনে। ভাঙা জানালাটা দেখাল তপন। সবাই আগের মতো সেটা টপকে ঢুকলাম ভেতরে। হালিম ভাইয়ের কাছে শক্তিশালী টর্চ লাইট ছিল, মোবাইলের ফ্ল্যাশ নয়। ভেতরে টর্চের আলো ফেলতেই অবিশ্বাস্য দৃশ্যটা দেখতে পেলাম আমরা। পুরো অডিটোরিয়াম লোকে লোকারণ্য, এবং তারা কেউ অচেনা নয় আমাদের। আমি, ইতি আর তপনের অসংখ্য প্রতিচ্ছবি, অবিকল তিনজনের মতো দেখতে অসংখ্য মানুষ।
বাপ্পী ভাই কাঁপা গলায় বলল, “বের হও সবাই এখান থেকে, প্রক্টর স্যারের কাছে যাব আমরা এখনই।”
খুব দ্রুত লাফ দিয়ে বেরিয়ে এলাম আমরা। এবং বের হতেই থমকে যেতে হলো আবার। সিনিয়র দু’জনের চোখও বিস্ফোরিত হয়েছে দৃশ্যটা দেখে।
বাইরে ৫ জন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তারা হলো- টর্চ লাইট হাতে হালিম ভাই, বাপ্পী ভাই, তপন, ইতি এবং আমি; আমাদের ছায়ামানব!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুল হুসাইন ভালো লেখার চেষ্টাকরেছেন।তবে নেক্সটে হাত টাকে আরো পাকিয়ে লিখতে হবে।আমার গল্প+কবিতা পড়ার দাওয়াত রইলো।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বিশ্বিবিদ্যালয়ের কয়েক জন ছাত্রছাত্রী সেখানকার এক পরিত্যক্ত অডিটোরিয়ামে ঢুকে পড়ে আগ্রহী হয়ে। তারপর ঘটতে থাকে একের পর এক আধিভৌতিক ঘটনা।

৩০ সেপ্টেম্বর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪