বোবা কিশোরী, নিশ্চুপ চাহনি অপলক দৃষ্টি তার অন্য ঠোঁটে। থেমে গিয়েছে বহুদিন আগে চোখের পানি। বোবা কিশোরী, চেষ্টার শেষ অবধি শব্দ করে আ-আ-য়ু-য়ু। কাঁদতেও পারেনি প্রকাশের ভাষায়, বেদনার গান গেয়ে। হাসতেও পারেনি তৃপ্ত কণ্ঠে আমাদের মাঝে।
মনে ছিলো যত্নে রাখা হাজারো ছন্দ ভাষা, হৃদয়ে পুষে ছিলো কোনও এক জীবনানন্দ দাস, চোখের ভাষায় খুঁজেছিলো তাকে, আশার পথ অভিমুখে। কাজল এঁকেছে চোখে, ঠিকই লাল টিপ পড়েছে কপালে নীল শাড়ী জড়িয়েছে তার অপরূপ অঙ্গে। তবু ভালবাসা দেয় নি কেউ এসে তার মতো করে।
বোবা কিশোরী, অভাগা দু’চোখে দেখে... বাবার কপালে আজ ছায়া ফেলেছে দুঃচিন্তার ভাজ। মেয়েতো হচ্ছে বড়, না জানি দিতে হবে পণ কতশত?! থাকবেতো স্বামীর ঘরে যেমন রেখেছিলাম দুধে ভাতে। খুকি যে আমার বড্ড দুখী, তবুতো আমারই রাজকুমারী।
বোবা কিশোরী, চোখের ভাষায় সুখ খুঁজে নেয়, মায়ের কোলে মাথা রেখে। তখন ফুলের পাপড়ি মেলে তার হরিণী চোখে। বেদনা যতশত লুকিয়েছে নিশ্চুপ পাথরের ন্যায়। কাল নাগিনী নয়, সে যে হতভাগিনী আমাদের সমাজে। দীর্ঘশ্বাসও তাই আজ শ্বাস ফেলে তার একক পরিবারে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
০৬ সেপ্টেম্বর - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।