ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত
বৃষ্টি বাদলের কথা ভাবলে সাধারন ভাবে মনে আসে বর্ষাকালে মেঘাছন্ন আকাশ থেকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পরা। আবার কখনো বৃষ্টির সাথে ঝড় আর দমকা হাওয়া , মাঝে মাঝে বিকট শব্দ করে বাজ পরা । পথ-ঘাট সব জলে জলাকীর্ণ। সেসময় ইচ্ছে করে , এই রকম বৃষ্টি বাদলের দিনে একটা ছুটির আমেজ নিয়ে ঘরে বসে অলস ভাবে দিনটাকে কাটাতে আর তার সঙ্গে যদি গরম খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা থাকে তবে এই বৃষ্টি বাদলের দিনটিকে আরো আয়েশ করে সুখনিদ্রা সহকারে উপভোগ করতে। কিন্তু আজ এমনই একটি কাহিনী বলবো যেটা শুনলে এই রকম ঝড়-বৃষ্টির দিনে অলস ভাবে সুখনিদ্রায় দিন কাটানোতো দূরের কথা , বরং ভয়ঙ্কর এক ঘটনার কথা জানা যাবে।
বিশাল এক পন্যবাহী জাহাজ। দীর্ঘ তার যাত্রা পথ। অস্ট্রেলিয়ার বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে জাহাজ এখন জাপানের বন্দরে এসেছে আরো পণ্য নেবার জন্য। এরপর জাপান থেকে একেবারে আমেরিকার বিভিন্ন বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে পণ্যগুলি খালাস করবার জন্য। পৃথিবীর মধ্যে আয়তন আর গভীরতার বিচারে সর্ব বৃহৎ হলো প্রশান্ত মহাসাগর। জাপান থেকে আমেরিকার বন্দরগুলিতে যাবার জন্য এই প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজকে এক লম্বা পারি দিতে হবে কম/বেশি প্রায় ৫৬১৮ কিলোমিটার আর জাহাজের পরিভাষায় হচ্ছে ৩০৩৪ নটিক্যাল মাইল। জাপানের বন্দরগুলির থেকে পণ্য বোঝাই করে পোর্ট আর কাস্টমসের আনুষ্টানিকতা হয়ে যাবার পর জাহাজ তার যাত্রা শুরু করে দিয়েছে। বিস্তীর্ন দিগন্তহীন জলরাশির মধ্যে দিয়ে উঁচু নিচু ঢেউ ভেঙ্গে জাহাজ তার নির্দিষ্ট পথ ধরে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। জাহাজে রয়েছেন ক্যাপ্টেন , সিনিয়র থেকে জুনিয়র সব অফিসার আর ইঞ্জিনিয়ার । এছাড়া রয়েছেন বিভিন্ন ক্রু মেম্বার । ডিউটির সময় যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। চলমান এত বড় জাহাজের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের কাজ। ইঞ্জিন রুমে .... ( জাহাজের ভিতরে নিচের দিকে ) , কখনো ডেকে .... ( ডেক হচ্ছে জাহাজের উপরে ) ডেকের ভিতরের নিচে থাকে বাল্ক মালপত্র , আর উপরের খোলা জায়গায় থরে থরে সাজানো সারিবদ্ধ ভাবে রাখা মালপত্র সমেত লক করা ( জাহাজের পরিভাষায় একে বলা হয় সিল করা ) বিভিন্ন ধরনের কন্টেনার। আবার ব্রিজে .... ( ব্রিজ হচ্ছে - জাহাজের কেবিনগুলির উপরে সব থেকে উঁচু জায়গায় বড় মাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘর ) ব্রিজের চারিদিকে স্বচ্ছ কাঁচের জানালা। জাহাজে সব থেকে উপরের এই ঘরটা থেকে মহাসাগরের চারিদিকটা পরিষ্কার ভাবে দেখা যায়। আবার বেশ দূরের কিছু দেখবার প্রয়োজন হলে , খুব " পাওয়ারফুল " দূরবীন ব্যবহার করা হয়।
এই ব্রিজ থেকেই হুইল ধরে স্টিয়ারিং করে জাহাজকে চলাচলের ক্ষেত্রে পরিচালনা করা হয়।
বিশাল এই পণ্যবাহী জাহাজের দায়িত্বে রয়েছেন ক্যাপ্টেন অ্যান্টনি আহুজা। মধ্য বয়স্ক অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন আহুজা বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন জল যাত্রা পথে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাগর , মহাসাগরে বিপদসংকুল পরিস্থিতি বিশেষ করে বড় বড় ঘূর্ণি ঝড় , ভয়াবহ সাইক্লোনের সঙ্গে তাঁকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। তাঁর দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা , উপস্থিত বুদ্ধি আর অসম্ভব মনের জোরে সবকিছু সামলেও নিয়েছেন।
যাত্রার চার দিন পর এক রৌদ্র উজ্জ্বল সকাল। সুন্দর আবহাওয়া। চারিদিকে শুধু উত্তাল ঢেউ আর বাতাসের শব্দ। মাথার উপর ঝকঝকে নীল আকাশ। নীল জলের তরঙ্গের ঢেউ কেটে জাহাজ এগিয়ে চলেছে। সকাল গড়িয়ে দুপুর , অনেকের মধ্যাহ্ন ভোজন হয়ে গিয়েছে। হটাৎ করে রেডার মারফত একটা খবর জানতে পেরে ক্যাপ্টেন আহুজা একটু চিন্তিত হয়ে পরলেন। যে নির্দিষ্ট রুট ধরে জাহাজ যাবে সেখানে হটাৎ করে এক গভীর নিম্নচাপ , ঘূর্নিবর্ত সৃষ্টি হবার দরুন বিকেলের দিকে এই ঘুর্নিবর্ত এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়ে প্রবল থেকে প্রবলতর ঝড় বৃষ্টির সম্ববনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে পরিষ্কার নীল আকাশে বৃষ্টি কিংবা ঝড়ের মেঘের চিহ্ন মাত্র দেখা নেই। ইতিমধ্যে ঝড় বৃষ্টির আগাম খবরটা প্রত্যেকেরই জানা হয়ে গেছে। অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন আর নাবিকরা খুব ভালো করেই পরিচিত সাগর , মহাসাগরের আবহাওয়া সম্পর্কে। এই রৌদ্র উজ্জ্বল আকাশ আর পরক্ষণেই মেঘের ঘনঘটা। ক্যাপ্টেন আহুজা যেটা আঁচ করেছিলেন সেটাই সত্যি হলো।
ঝকঝকে নীল আকাশটায় কালো মেঘের সঞ্চার হতে থাকলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই পুরো দিগন্তহীন নীল আকাশটা ঘন কালো কুণ্ডলি পাকানো মেঘে ঢাকা পরে গেলো সঙ্গে হালকা বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়া। এরপরেই শুরু হয়ে গেলো প্রবল বৃষ্টি। ক্রমেই সেটা বাড়তে বাড়তে এক ভয়ঙ্কর রূপের আকার ধারন করলো। ঘন্টায় প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার কখনো তার থেকেও বেশি বেগে শুরু হয়ে গেল ঝড়ের এক ভয়ঙ্কর প্রলয় তান্ডব। একটা সময় মনে হচ্ছিল , প্রশান্ত মহাসাগরের উশৃঙ্খল জলরাশি ভয়ানক এক রুদ্র মূর্তি ধারন করে গোটা জাহাজটাকে যেন গিলে খেতে চাইছে। বিকট আওয়াজ করে এক একটা জলের ঢেউ প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফিটের মতন হয়ে জাহাজের উপর আছড়ে পরছে। দিগন্তহীন জলরাশির ঝড়ের তান্ডবে মালভর্তি অতিকায় বিশাল জাহাজটিকে মনে হচ্ছিলো ছোট একটি কাগজের নৌকো। বড় বড় ঢেউ এর ঝাপটায় জাহাজের সামনের দিকটা এমন ভাবে সাগরের জলের নিচের দিকে ডুবে উঠে আসছিলো , মনে হচ্ছিলো যেকোনো সময় বড় কোনো বিপদ ঘটে যাবে।
অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন আহুজা তাঁর দীর্ঘ জাহাজের কর্ম জীবনে বহু ভয়ঙ্কর ঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন কিন্তু এই রকম ঝড়বৃষ্টি তিঁনি আগে কখনো দেখেন নি। ঝড়ের তান্ডবে এত বড় জাহাজটা এমন ভাবে দুলছে যার ফলে জাহাজে কাজ করাতো দূরের কথা , ঠিক মতো দাঁড়ানোই যাচ্ছে না। এই ভয়াবহ পরিস্তিতিতে ক্যাপ্টেন নিজের মনকে শক্ত রেখে জাহাজের সবাইকে কতগুলি নির্দেশ দিলেন --- আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। মনকে শক্ত করুন আর মহান করুণাময় ঈশ্বরকে স্মরণ করুন তিনিই আমাদের এই বিপদে রক্ষা করবেন। আপাতত আপনারা সবাই লাইফ জ্যাকেট ( এই জ্যাকেট পরা থাকলে সাগরের জলে ভেসে থাকা যায় ) পরে নিন। যে কোনো সময় এই ভয়ঙ্কর বিপদে যদি পরিস্থিতি একান্তই আমাদের হাতের বাইরে চলে যায় তখন একেবারে নিরুপায় হয়ে বাঁচার তাগিদে আমাদের হয়তো জলে ঝাঁপ দিতে হতে পারে। লাইফ বোটগুলি আর পাইলট ল্যাডার প্রস্তুত রাখুন। ( জাহাজে ব্যবরিত ঝুলন্ত দড়ির মই। ) আপাতত কেউ খোলা ডেকের উপর যাবেন না। যে ভাবে দৈত্যের মতন গর্জন করে ঢেউগুলি ডেকের উপর রাখা কন্টেনার গুলির উপর আছড়ে পরছে তাতে হয়তো যেকোনো মুহূর্তে বিপদ হতে পারে , যদিও ডেকের উপর রাখা কয়েকশো মালভর্তি কন্টেনারগুলি ভালভাবে ল্যাশিং করা আছে। ( জাহাজে ল্যাশিং মানে - ডেকের উপরে রাখা বিভিন্ন ধরনের কন্টেনারের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভারসাম্যপূর্ণ ওজন অনুযায়ী সেগুলি বিশেষ পদ্ধতিতে সাজিয়ে রেখে ঠিক মতন করে লক করা কিংবা বাধা থাকে। যদি জাহাজ দুলতে থাকে তবুও সাধারণত জাহাজের খুব একটা বিপদ হয় না।) এখন অবশ্য এক অন্য ধরনের পরিস্থিতি। ক্যাপ্টেন আহুজা সিনিয়র অফিসার আর ইঞ্জিনিয়রদের বললেন - আপনারা এখুনি " জরুরি বার্তা " পাঠান অন্য বন্দরগুলোতে আমাদের বর্তমানে প্রকৃত অবস্থা আর আমাদের প্রকৃত নটিক্যাল মাইলের অবস্থান জানিয়ে। আর নিচে ইঞ্জিন রুমের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন কারন আমার মনে হচ্ছে জাহাজের সামনের দিকটা অশান্ত ঢেউগুলি এমনভাবে বারি মারছে যার ফলে জাহাজ একেবারে এগোতে পারছে না। খেয়াল খুশি মত এদিক ওদিক চলে যাচ্ছে। অনেক সময় এসব ক্ষেত্রে ইঞ্জিন সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অন্য ক্রু মেম্বারদের বললেন যে যে কেবিনে বা অন্য ঘরগুলিতে ঢেউ এর জল ঢুকেছে সেগুলো হ্যান্ড জেনারেটর পাম্পের সাহায্যে জলগুলি বের করবার ব্যবস্থা করুন। জুনিয়র অফিসারদের বললেন আপনারা আমার সঙ্গে ব্রিজএ ( জাহাজ চালাবার পরিচালন কেন্দ্র ) আসুন। এইরকম টালমাটাল দোলানির মধ্যে কোনো ক্রমে ব্রিজএ পৌঁছে দেখলেন একার পক্ষে কোনোমতেই হুইল ধরে স্টিয়ারিং করা যাচ্ছে না। উপরের ফ্রন্ট ব্রিজ ( সামনের দিকে কাঁচের জানালা ) থেকে দেখলেন উত্তাল মহাসাগরের বড় বড় ঢেউগুলি বিকট গর্জন করে জাহাজের উপর ক্রমাগত আছড়ে পরছে।
ক্যাপ্টেন অ্যান্টনি আহুজা নিজের মনোবলকে আর শক্ত রেখে ক্রমাগত অন্যদের মনোবলকে শক্ত রাখবার জন্য বলছেন - আপনারা সবাই ঠিক থাকুন , কিছুতেই ঘাবড়াবেন না। সবসময় মনে রাখবেন মানুষের জীবনে নানা ধরনের বিপদ আসতেই পারে তাবলে ভয় পেলে চলবে না , সর্বশক্তি দিয়ে তার সাথে মোকাবিলা করতে হবে। প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা যাবৎ আমরা এই ঘূর্ণি ঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করে চলেছি। আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এই সামুদ্রিক ঝড়গুলি খোলা জায়গায় যেরকম ভয়ঙ্কর হয়ে সমস্তকিছু নিমেষের মধ্যে তছনছ করে দিতে পারে তেমনি তাদের স্থায়িত্বও বেশিক্ষণ থাকে না। বাহিরে তাকিয়ে দেখুন ঝড়ের তান্ডবটা অনেকখানি কমেছে। আমার মন বলছে এবার আমরা হয়তো আগের থেকে বেশ খানিকটা বিপদমুক্ত। যখন এই সমস্ত ঝড়জলের তান্ডব শেষ হয় তখন এই বিস্তীর্ণ জলরাশি দেখলে হটাৎ করে বোঝাই যায় না যে কিছু সময় আগেও কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল !! ক্যাপ্টেন আহুজার কথাই সত্যি হলো। একটা সময় এই ভয়ঙ্কর ঝড় কাটিয়ে কোনো রকম ক্ষতি না হয়ে , জাহাজের সবাই নিরাপদে থেকে আবার বিস্তীর্ণ জলরাশির উঁচুনিচু ঢেউ ভেঙে জাহাজ তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চললো।
ক্যাপ্টেন অ্যান্টনি আহুজা দীর্ঘ সময় ধরে জাহাজে চাকুরী করবার সুবাদে তাঁর স্মৃতির ঝুলিতে ভরা রয়েছে নানা ধরনের লোমহর্ষক কাহিনী। কখনো জলদস্যুর আক্রমণ , কখনো গভীর সাগরে অজানা অচেনা দ্বীপে নরখাদকের দর্শন পাওয়া , জাহাজ সমেত বরফ জলে আটকে যাওয়া কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হওয়া , এছাড়াও আরো নানা ধরনের হারহিম করা ভয়ঙ্কর ঘটনা। কিন্তু , আজকের এই রকম ভয়ঙ্কর ঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করা তাঁর চাকরি জীবনে এটাই প্রথমবার আর সেইজন্যেই তাঁর স্মৃতির ঝুলিতে এটি একটি জ্বলজ্বলে স্মরণীয় ঘটনা হয়ে বিরাজ করবে যেটা তিনি কোনদিন ভুলতে পারবেন না।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
মানুষের জীবনে অনেক রকমের ঘটনা ঘটে। এমন কিছু ঘটনা - যেটা স্মৃতির ঝুলিতে চিরদিনের জন্য থেকে যায়। সেইরকম একটি ঘটনা নিয়ে এই কাহিনী লিখবার চেষ্টা করেছি।
১২ আগষ্ট - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
৪৮ টি
সমন্বিত স্কোর
৪.২৪
বিচারক স্কোরঃ ১.৮৪ / ৭.০
পাঠক স্কোরঃ ২.৪ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪