বিচারক

উষ্ণতা (জানুয়ারী ২০১৯)

বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত
  • 0
  • ১০২২
সকাল থেকেই আদালত চত্বরটা লোকে লোকারণ্য । বিচারক আজ সাজা ঘোষণা করবেন । এই মামলার সাজা শোনবার জন্য সবাই উদগ্রীব । দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানির খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রত্যেকেই জানতে পেরেছে আর মোটামুটি এও অনুমান করেছে এই জঘন্য , নৃশংস হত্যার সাজা কি হতে পারে !! শুধু সিলমোহর সমেত বিচারকের মুখ থেকে শোনার অপেক্ষায় । বেলা যত বাড়ছে উদ্দীপনার পারদ ততই বাড়ছে । একটা সময় মহামান্য বিচারক এজলাসে এসে নিজের চেয়ারে বসলেন । ঘরে চুড়ান্ত নিস্তব্ধতা । কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মহামান্য বিচারক বেশ গম্ভীর হয়ে বিচলিত ভাবে বললেন -- এই মামলার রায়দান আজ আমি দিতে পারছি না । আজ আমি হঠাৎই খুব অসুস্থ বোধ করছি । সাত দিন পর আমি এই মামলার রায়দান আর সাজা ঘোষণা করব । এই কথা গুলো বলে তিনি ধীরপায়ে এজলাস থেকে বেড়িয়ে গেলেন । নিস্তব্ধ ঘরটায় উপস্থিত সকলের মধ্যে একটা চাপা গুঞ্জন ছড়িয়ে পরলো ।

উষ্ণ গুঞ্জনটা বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রায় প্রতিটি গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে পরেছে । উত্তেজনার উষ্ণতার প্রবাহ চারিদিকে । একটা থমথমে ভাব সকলের চোখেমুখে । প্রথমে অনেকেই ভেবেছিল খবরটা গুজব । অবশেষে একদিন সত্যি সত্যি এলো সেই চরম দুঃখের দিনটি । দেশটা ভাগ হয়ে গেল ... । এতদিনের পূর্ব-পুরুষদের ভিটে ছেড়ে প্রায় শূন্য হাতে অজস্র লোকেদের মিছিল । যে যেদিকে পারলো পালাতে শুরু করলো । ট্রেনে , বাসে , স্টিমারে সর্বত্র মানুষের ভীড় । কোথায় তিল ধরবার জায়গা নেই । চারিদিকে এক ভয়াবহ উত্তাপ , পালিয়ে আসা পরিবারগুলির সব একেবারে ছিন্নভিন্ন অবস্থা ।

গোকুল মিত্রের পরিবার বলতে তাঁর সুন্দরী স্ত্রী কমললতা । কমললতা তাঁর থেকে প্রায় বারো বছরের ছোট আর তাঁদের একমাত্র ছেলে আদিনাথ । আদিনাথের বয়স বছর চারেক । একেবারে সুখের সংসার । প্রচুর পৈত্রিক সম্পত্তি । কোন কিছুর অভাব নেই । মহা আনন্দে দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল । দেশ ভাগের পর সবকিছু ফেলে রেখে এক কাপড়ে শুরু হলো এক অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা । সকলের সঙ্গে গোকুল মিত্রের পরিবারও কোনক্রমে ট্রেনের কামরায় এক পায়ে দাঁড়িয়ে লোকে-লোকারণ্য শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছালো । সম্পূর্ণ এক অচেনা , অজানা জায়গা । তাঁদের গ্রামের অনেক লোকই এখানে এসে জড়ো হয়েছে । উদ্দেশ্য , কোন রিফিউজি ক্যাম্পে যদি থাকার জায়গা জোগাড় করা যায় । চারিদিকে ধাক্কাধাক্কি এক বিশৃঙ্খল অবস্থা । গ্রামে থাকাকালীন যে আন্তরিকতা আর ভালোবাসার উষ্ণতা ছিল এখানে এসে নিমিষের মধ্যে সব যেন উধাও হয়ে গেল । সবাই যে যার নিজের ধান্দায় ব্যস্ত । কয়েকটা দিন শিয়ালদহ স্টেশনের প্লাটফর্মে কাটিয়ে অবশেষে অনেক খুঁজে তাঁদের একচিলতে জায়গা মিললো থাকবার জন্য ।

জায়গাটা শিয়ালদহ স্টেশন পার হয়ে বেলঘড়িয়ায় রেল লাইনের পাশে জল-কাদায় ভর্তি একটা খোলা মাঠে । চারিদিকে দুর্গন্ধ এক দুর্বিসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ । যে যার নিতান্ত প্রয়োজন মত কোনরকমে থাকবার জন্য বাঁশ , বেড়া , হোগলা পাতা ঘিরে ঘর বানিয়ে নিয়েছে । নানা ধরনের সেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে । ত্রাণ শিবিরের থেকে দুবেলা ন্যূনতম খাবার বন্টন করা হয় । হাতে থালা আর বাটি নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় তাদের দান নেবার জন্য । এযেন এক অমানবিক , অকল্পনীয় অবস্থা । তারউপর নতুন এক উপসর্গ , বেআব্রু জায়গাটায় গোকুল মিত্রের সুন্দরী স্ত্রী কমললতার উপর খারাপ লোকেদের লোলুপ চাহুনি আর নানা আছিলায় বিরক্ত করা ।

ঘরে বসে থাকলে সংসার চলবে না । প্রতিদিনের মত আজও দুপুরবেলায় গোকুল মিত্র কাজের সন্ধানে কলকাতার দিকে বেড়িয়েছেন । কমললতা গেছেন ত্রাণ শিবিরের অফিসে খাবার জোগার করতে । ঘরে একা রয়েছে তাঁদের ছেলে আদিনাথ । দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার জোগাড় করে কমললতা ঘরে ফিরে দেখে আদিনাথ ঘরে নেই । চারিদিকে খোঁজ খোঁজ কিন্তু সবাই মিলে তন্নতন্ন করে খুঁজেও তাকে আর পাওয়া গেল না । থানা-পুলিশ করেও কোন লাভ হলো না । মানসিক ভাবে ভীষণ ভেঙ্গে পরলো গোকুল আর কমললতা তাঁদের একমাত্র আদরের ছেলেকে হারিয়ে ।...... কি ভাবে আর কোথায় যে তাঁদের ছোট আদিনাথ হারিয়ে গেল তা বোধহয় শুধু ঈশ্বরই জানেন । স্মৃতি বলতে আদিনাথের ছোটবেলার একটা ফটো । একবার গ্রামের মেলায় গিয়ে এক ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবিটা তোলা । মনে পড়ে মেলাতে এক উল্কিয়ালার কাছ থেকে আদিনাথের ডান হাতের পাতায় ছোট একটি গোলাপ ফুল আঁকিয়ে দিয়েছিল ।

...........দেখতে দেখতে অনেকগুলি বছর পার হয়ে গেছে । এই কলকাতা শহরে প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর থাকা হয়ে গেল । গোকুল মিত্র দমদমের কাছে থাকবার জন্য অতি সাধারণ একটি বাড়ী তৈরি করেছেন । ইদানিং নানা ধরনের ব্যাধিতে তিঁনি জর্জরিত । তবুও কোনরকমে একটি বেসরকারি সংস্থায় অতি সাধারণ চাকুরী করেন । শরীর যেন আর চলে না । স্বামীর চিকিৎসা আর সংসারের জন্য কমললতা বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত একটি অনাথ ছেলেদের হোমে করণিকের কাজ করেন । দুজনের সংসার কোনভাবে চলে যাচ্ছিল । কিন্তু বিপত্তি হল কমললতার এই বয়সেও তাঁর আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন । হোমের সুপারের নজর সবসময় তাঁর শরীরের উপর । মাঝে মাঝেই সুপার তাঁকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকে । একেক সময় মনে হয় এই অস্বস্তিকর পরিবেশে চাকরী করবে না । সংসারের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়েই করতে হয় । মনে পড়ে ছেড়ে আসা ঘর-বাড়ীর কথা । প্রতিনিয়ত মনে পড়ে আদিনাথের কথা । কতগুলি বছর পার হয়ে গেছে । আদিনাথ এখন অনেক বড় হয়ে গেছে । কোথায় আছে , কি ভাবে আছে বা কাদের কাছে আছে , এসব চিন্তা করে সবসময় দুজনে চোখের জল ফেলেন । শুধু ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা -- ছেলেটা যেখানেই থাকুক ও যেন ভাল থাকে , সুখে থাকে ।

ভগবান বোধহয় সবার কপালে সুখ দেন না । এক ঝড়-জলের সন্ধের রাত । অফিসের অনেকেই বেড়িয়ে গেছে । সুপারের নির্দেশ কমললতাকে হিসাবের একটা ফাইল আজ শেষ করতেই হবে । কাজটা শেষ করে সুপারের ঘরে ফাইলটা পৌঁছে দিতে গিয়ে দেখল অফিস প্রায় ফাঁকা । এই সুযোগে হটাৎ সুপার হিংস্র পশুর মত ঝাপিয়ে পরলো কমললতার শরীরের উপর । অনেক ধস্তাধস্তি পর জোরকরে শারীরিক ইজ্জত লুট করে সুপার কমললতার গলায় দুহাত শক্ত করে চেপে ধরতে , একটুক্ষণ তীব্রভাবে হাত-পা দাপিয়ে কমললতার শরীরটা নিথর হয়ে গেল ।

সবে সন্ধে হয়েছে । বিচারক রবীন পাঠক তাঁর বাড়ীর চেম্বারে অতি গোপনে তার একান্ত ব্যক্তিগত স্টেনোগ্রাফারকে আগামীকালের মামলার রায়দানের নোট দিচ্ছেন । দীর্ঘ বিচারপর্ব চলার পর আগামীকাল বিচারক তার " জাজমেন্ট " বা সাজা ঘোষণা করবেন । হটাৎ তাঁর ব্যক্তিগত আর্দলী এসে বললো -- স্যার , একজন বয়স্ক লোক আপনার সঙ্গে দেখা করবার জন্য খুব কান্নাকাটি করছে আর বলছে আপনার সঙ্গে দেখা করাটা অত্যন্ত জরুরী ... । বিচারক পাঠক একটুক্ষণ চিন্তা করে বললেন -- ঠিক আছে , ওনাকে আমার বৈঠকখানায় বসাও , আমি আসছি ।

বিচারক পাঠক ঘরে ঢুকে দেখলেন -- একজন শীর্ণকায় বয়স্ক লোক জড়োসড়ো হয়ে বসে রয়েছেন । তাঁকে দেখে ভদ্রলোক সজল চোখে কাঁপা হাতে একটা চিঠি দিয়ে বললেন -- বাবা , আমি তোমার মূল্যবান সময় নষ্ট করব না । বয়স হয়েছে তাই হয়তো সব কথা গুছিয়ে বলতে পারব না । সেইজন্য এই চিঠি , এখানে সব লেখা আছে । চিঠিটা তুমি পোড়ো । এই বলে কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন ।

চিঠিটা অনেকবার পড়লেন । মনে হচ্ছে সারা পৃথিবীটা বনবন করে ঘুরছে । দুচোখে অন্ধকার দেখছেন । কোনক্রমে টেলিফোনটা ডায়াল করে বিহারে তাঁর বাবা , মার কাছে চিঠির বিষয়বস্তু জানিয়ে প্রকৃত সত্য ঘটনা জানতে চাইলেন । অনেকক্ষণ বাবা , মার সঙ্গে এই চিঠির বিষয়ে কথাবার্তার পর নিশ্চিত হলেন চিঠিতে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা আছে সবটাই একেবারে সত্যি । নিমেষের মধ্যে সবকিছু যেন ওলটপালট হয়ে গেল । সারাটা শরীর যেন অবস হয়ে গেছে । চিঠিটা আবারও পড়লেন --

বাবা আদিনাথ ,

....... কেস চলাকালীন আমি রোজই কোর্টে গিয়েছি । ভগবানের কাছে রোজ প্রার্থনা করছি কমললতার খুনীর যেন চরম শাস্তি হয় । তোমাকে দেখে প্রথম থেকেই আমার কিরকম যেন একটা সন্দেহ হয়েছিল । তুমি লেখা থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ বা হাত দিয়ে করছিলে । তারপরে আরো নিশ্চিত হই তোমার ডান হাতের পাতায় একটা গোলাপ ফুলের ছবি উল্কি দিয়ে করা । তুমি যখন খুব ছোট , তখন দেশে এক গ্রামের মেলায় আমি আর তোমার মা নিছক সখ করেই এই উল্কিটি করিয়েছিলাম । তবুও বলবো , তুমি তোমার বাবা , মার কাছে এই বিষয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিও । আমি কিন্তু নিশ্চিত তুমিই আমাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলে - আদিনাথ । এইটুকু সান্তনা আমি আমার নিজের ছেলেকে কাছে না পাই তবুও আজ তাকে চোখের দেখা দেখতে পেলাম । আজ তোমার মা বেঁচে থাকলে তোমাকে পেয়ে কতটাই যে খুশি হতেন তা বর্ণনা করার ভাষা আমার নেই । ভাগ্যের এমনই লিখন , তোমার মাকে যে লোকটা নৃশংস ভাবে খুন করেছে আজ তার বিচারক তুমি স্বয়ং নিজে । অনেক কথা বলার ছিল কিন্তু পারলাম না । কেন জানো , তোমাকে পেয়ে আনন্দে আমার সারা শরীর কাঁপছে । ভাল থেকো । অনেক বড় হও , এই আশীর্বাদ করি ।

ইতি , হতভাগ্য তোমার বাবা -- গোকুল মিত্র ।

কমললতা ত্রাণ শিবিরের অফিসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে খাবারের জন্য । গোকুল মিত্র চাকরীর খোঁজে বেড়িয়েছেন । ছোট আদিনাথ ঘর থেকে গুটিগুটি পায়ে বেড়িয়ে কিছুটা ঘোরাঘুরি করে অবশেষে পথ হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ঘুরতে থাকলো । এই জায়গাটায় বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরের অফিস । এইরকম এক ত্রাণ শিবির সংস্থার কর্ণধার রমেশ পাঠক । নিঃসন্তান রমেশ পাঠকের ছেলেটিকে দেখে মায়া হয় আর একরকম ভুলিয়ে-ভালিয়ে তাকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায় । তারপর থেকেই ছোট আদিনাথ পাঠক দম্পতির কাছে পুত্র স্নেহে মানুষ হতে থাকে । একসময় তার নাম হয় রবীন পাঠক । নিঃসন্তান পাঠক দম্পতি তাকে খুব আদর যত্নে মানুষ করেন । পড়াশুনায় সে খুবই ভাল । একটা সময় জুডিসিয়াল পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে সরাসরি বিচার বিভাগের চাকরীতে জয়েন করে ।

রবীন পাঠক ওরফে আদিনাথের সারা শরীরে এক গভীর উত্তেজনা । ভগবানের এমনি বিচার আজ তাকেই বিচারকের চেয়ারে বসে তাঁর নিজের মাকে যে খুন করেছে তার বিচার করতে হচ্ছে । এসব কথা ভাবতে ভাবতে সারা শরীরটা যেন হিম শীতল হয়ে আসছিল আবার পরক্ষনেই এক অজানা আনন্দের উষ্ণতায় ভরিয়ে দিচ্ছিল সারাটা শরীর , এতদিন পরে নিজের আসল বাবা , মার পরিচয় জানতে পেরে । এই জগতের আসল বিচারক হলেন -- মহান করুণাময় ঈশ্বর ।


আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আপেল মাহমুদ গল্পটা সিনেমাটিক। তাবুও বেশ।
ভালো লাগেনি ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
রঙ পেন্সিল বেশ ভাল লাগলো গল্প
ভালো লাগেনি ৩ জানুয়ারী, ২০১৯
ভাই , ধন্যবাদ ।। গত সংখ্যায় বিজয়ীর আসন লাভ করবার জন্য অনেক অভিনন্দন । আসলে আমি কয়েক দিনের জন্য বাহিরে ছিলাম । ভাল থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৯
ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৯

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আশা করি এই গল্পের বিষয়বস্তু সামঞ্জস্যপূর্ণতা রক্ষা করতে পেরেছে ।

১২ আগষ্ট - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৪৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী