আমাদের জাগতিক জীবনের চলার পথে এমন কতগুলি ঘটনা ঘটে যায় , যার পার্থিব অর্থ বিশ্লেষণ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পরে । এর প্রকৃত কারন খুঁজতে গেলে কিছু কিছু সময়ে সমাজের নিষ্ঠুর দিক গুলিই প্রকাশ হয়ে পরে । আজকের গল্পের ইতিকথা সেইরকমই এক পার্থিব জীবন কাহিনী নিয়ে -----
পশ্চিমবঙ্গের এক প্রত্যন্ত গ্রাম - " সবুজপুর "। গ্রামের উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় , এই গ্রামে সেই অর্থে কিছুই হয়নি । অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাঁচা , বিজলী তারের প্রবেশ এখানে ঘটে নি আর শিক্ষার আলো সে ভাবে এই গ্রামে প্রসার হয়নি । বেশিরভাগ গ্রামবাসী অত্যন্ত দরিদ্র , পরের জমিতে ফসল ফলিয়ে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে । সন্ধে নামলে গ্রামের ভাটিখানায় এসে আকন্ঠ চোলাই মদ পান করে বাড়ীতে ফিরে পরিবারের সঙ্গে অকারনে চিৎকার চেঁচামেচি আর মারধোর শুরু করে । এই গ্রামের থেকে প্রায় এক ক্রোস দুরে দু-তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটা সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে বটে তবে সেখানে অধিকাংশ সময় ডাক্তার থাকে না , নার্স থাকে না , নেই কোন ঔষধপত্র নেই কোন সুচিকিৎসার ব্যবস্থা । এই সুযোগে গ্রামগুলোর মধ্যে গজিয়ে উঠেছে ওঝা , ঝাড়ফুঁক , তান্ত্রিক আর কিছু অসাধু হাতুড়ে ডাক্তারের দল । এদের মধ্যে একজন - " যতীন ডাক্তার " । মধ্য বয়সী এই ধুরন্ধর যতীন ডাক্তার গ্রামের লোকেদের ছোট-খাটো চিকিৎসার সাথে গ্রামের বিচার সভায় গ্রামের নানাবিধ বিবাদের বিচার ও করে । নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য লোকটা অনেক কিছু করতে পারে । গ্রামের লোকেরা জানে , যতীন ডাক্তারের অনেক রকমের ব্যবসা কিন্থু কিসের ব্যবসা সেটা তারা ঠিক মত জানে না । এইটুকু জানে লোকটার অনেক টাকা আর শহরের নামি -দামি লোকজনের সঙ্গে জানাশুনা ।
গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে ছোট একটা কুঁড়েঘরে থাকে হানিফ আসলাম । বয়েস ষাটের কাছাকাছি । পেটানো শক্ত সামর্থ চেহারা । নিজের জমি যেটুকু ছিল দেনার দায়ে সেটা বিক্রি করে দিয়ে এখন অন্যের জমিতে কাজ করে কোনরকমে দিন গুজরান করে । নিজের পরিবার বলতে বউ , একমাত্র মেয়ে পারভীন আর এক পোষ্য ছেলে - গোবিন্দ । গোবিন্দ এই গ্রামেরই এক অত্যন্ত গরিব হিন্দু ব্রাহ্মণ দম্পতির ছেলে । গোবিন্দ যখন একেবারে শিশু , এক পথ দুর্ঘটনায় সে তার বাবা মাকে হারায় । তখন থেকে সে হয়ে পরে একবারে অনাথ । অনাথ এই শিশু পুত্রটিকে হানিফ আর তার স্ত্রী তাদের কাছে রেখে পুত্র স্নেহে মানুষ করে । সরল , সাদাসিধে ছেলেটা হানিফের সংসারে থাকে আর তাকে বাপজান বলে ডাকে আর সবাইকে খুব ভালবাসে বিশেষ করে দিদি পারভীনের সঙ্গেই যত তার ভাব-ভালবাসা , আদর-আবদার । ছোটবেলা থেকেই সে বেশ ধার্মিক প্রকৃতির । ছেলেটি বড় হয়ে হানিফের সঙ্গে কাজ করার সাথে সাথে গ্রামের হিন্দু পরিবার গুলিতে কিছু কিছু জজমানির , পূজো-আর্চার কাজও করতে থাকে । এরই মধ্যে হটাৎ করে বছর দুয়েক আগে এক অজানা জ্বরে হানিফের বউটা মারা গিয়ে হানিফকে আর তাদের সংসারটাকে বড় ফাকা করে দিয়ে গেল ।
মাস ছয়েক আগে বহু টাকা ধার দেনা করে , লোকেদের সাহায্য নিয়ে কুড়ি বছর বয়সের পারভীনের বিয়ে দিয়েছে পাশের গ্রামের একটা ছেলের সঙ্গে । ছেলেটা পারভীনের থেকে বয়েসে প্রায় পনেরো বছরের বড় । ছেলেটার একটা মুদি দোকান আছে । কিছুটা সচ্ছল অবস্থা । থাকা-খাওয়ার কোন অসুবিধা হবে না ভেবেই ছেলেটার সঙ্গে মেয়েটার বিয়ে দিয়েছে । মেয়েটার বিয়ের পর ঘরটা যেন একেবারেই শুন্য হয়ে গেল । মেয়ের বিয়েতে পাত্র পক্ষের দাবী মতো সবই পূরণ করেছে । শুধু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকার অভাবের জন্য একজোড়া সোনার কানের দুল বিয়ের সময়ে না দিতে পেরে গ্রামের সবার সামনে কবুল ও করেছে হাতে একটু টাকা জোগাড় হলেই সোনার দুলটা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেবে । বিয়ের কিছুদিন পর লোক মারফত শুনতে পায় মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন একবারেই ভাল নয় । মেয়েটাকে বাপের বাড়িতে আসতে দেয় না । ছোট মেয়েটাকে দিন রাত দাসীর মত খাটায় । অকারনে মারধোর আর অত্যাচার করে একজোড়া সোনার কানের দুলের জন্য ।
মা হারানো মেয়েটা ছিল হানিফের বড় আদরের । মেয়ের উপর শ্বশুর বাড়ির এই অত্যাচার সে সহ্য করতে পারে না । নিভৃতে বসে চোখের জল ফেলে আর মদ খাওয়ার মাত্রাটাও যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে । মনে মনে ভাবে কবে টাকাটা জোগাড় করে সোনার দুলটা কিনে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসবে তাহলে হয়ত মেয়েটা অত্যাচারের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাবে । এই সব ভাবতে ভাবতে বাড়ীর উঠোনে বসে একটু ঝিমুনি মতো এসেছিল হটাৎ মৃদু স্বরে তার নাম করে ডাকাতে , তাকিয়ে দেখে তার উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে যতীন ডাক্তার । হানিফকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তার একেবারে গা ঘেঁষে বসে কোন রকম ভনিতা ছাড়াই ফিস ফিস করে বললো -- শোন , আমি একটা নতুন ব্যবসা শুরু করেছি । সেখানে আমার কিছু অত্যন্ত বিশ্বাসী আর সাহসী লোকের প্রয়োজন । এই ব্যবসার কাজটা আমাকে বেশ গোপনে করতে হবে । এই গ্রাম থেকে আমার দুজন লোকের দরকার । আমি অবশ্য এই গ্রাম থেকে অন্য লোকেদেরও নিতে পারতাম । আমার মনে হয়েছে , তোর মত কর্মঠ , বিশ্বাসী আর সাহসী লোক পাব না । আমার ইচ্ছে - তুই আর তোর পোষ্য ছেলে গোবিন্দ , এই দুজনে মিলে আমার এই ব্যবসাতে কাজ কর । তবে রোজই কাজ হবে এমনটা নয় । যেদিন কাজ করতে হবে আমি আগেই তোদের সব কিছু জানিয়ে দেব । তোদের কাজটা হয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে ভাল টাকা হাতে পেয়ে যাবি । এই ব্যবসাতে তোদের প্রথম কাজটা হয়ে যাবার পর , পরের ধাপের কাজগুলি আমার অন্য লোকেরা করবে । একটু চুপ করে থেকে পরিবেশটা বুঝে নিয়ে হানিফকে বললো - শোন , আমি তোর সংসারের সব কথাই জানি , আর এটাও জানি তোর এখন টাকার খুব প্রয়োজন তোর মেয়েটার জন্য একজোড়া সোনার কানের দুল কেনবার তাগিদে । চারপাশটা একবার ভাল করে দেখে নিয়ে যতীন ডাক্তার চাপা স্বরে বললো - এবার কাজের কথায় আসি , কি কাজ করতে হবে সেটা আমি তোকে এখন ভাল করে বুঝিয়ে দিচ্ছি । তুই গোবিন্দকেও সব জানিয়ে দিস । খুব সাবধান , কথাটা যেন পাঁচকান না হয় । কাজটা হবে খুব গোপনে । যতীন ডাক্তারের থেকে সব শোনার পর ভয়ের চোটে হানিফের সারা শরীর যেন অবস হয়ে আসছিল , প্রচন্ড ঘাবড়ে গিয়ে তার মুখের থেকে কোন কথাই বেরোচ্ছিলো না । একটুক্ষন পর কোন রকমে গলার আওয়াজ বের করে বললো - ডাক্তার বাবু , আমাকে মাফ করবেন , আমি এ কাজ করতে পারব না । হানিফের অবস্থা বুঝতে পেরে যতীন ডাক্তার মৃদু হাসি দিয়ে হানিফকে বোঝাল - এতে ভয়ের কিছুই নেই । আমি তো আছি । কোন ঝুক্কি - ঝামেলা হলে সেটা আমি সামলে নেব । নে - আর চিন্তা করিস না । অল্প সময়ের মধ্যে কাজটা করতে পারলেই অনেক টাকা রোজগার করে ফেলবি । তাহলে তৈরি থাকিস । আমি যখনই খবর দেব , তখনই কাজে লেগে পরিস । আবারও বলি -- কাজটা কিন্তু করতে হবে খুব গোপনে ।
শীতকালের পরন্ত বিকেল । একটু পরেই সন্ধে নামবে । আজ আবার শীতটা একটু বেশি পরেছে । অনেকখানি পথ দৌড়ে এসে গোবিন্দ বেশ হাপাচ্ছিল । ভেতরে ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা , কখন এই খবরটা তার বাপজানের কাছে পৌঁছে দেবে । গোবিন্দ খুব ভাল করে জানে তার বাপজান এই সময় ভাটিখানায় চোলাই মদ গিলতে বসেছে আর চলবে সেই অনেক রাত পর্যন্ত । ভাটিখানায় এখন লোকজন আসতে শুরু করেছে । আধো অন্ধকারে হ্যারিকেনের আলোয় গোবিন্দকে ভাটিখানায় দেখে হানিফ বেশ অবাক হয়ে বললো - তুই এসময় এখানে ! আর এত হাপাচ্ছিস কেন ? গোবিন্দ চারিদিকটা ভাল করে দেখে নিয়ে হানিফের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বললো - বাপজান , দারুন খবর আছে । যতীন ডাক্তার বড় একটা কাজের খবর দিয়েছে । কাজটা করতে হবে আজ রাতেই । সব কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে তোমাকে বলবার জন্য । বাইরে এস , সব বলছি ।
খবরটা শোনার পর হানিফের একটু ভালই লাগল । কাজটা হয়ে গেলে আজ রাতে টাকাটা পেলেই কাল সকালেই মেয়েটার জন্য সোনার দুল কিনে তার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে । আবার ভিতরে ভিতরে ভীষন একটা চাপা ভয়ও কাজ করছিল । সদ্য দেওয়া কবর থেকে লাশ চুরি করার কাজ .......... । লাশটাকে চুরি করে যতীন ডাক্তারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া । ভাবলেই শরীরের ভিতরটা কি রকম ঠান্ডা হয়ে আসছে । গোবিন্দর থেকে জানতে পারলো - যতীন ডাক্তার খবর দিয়েছে তাদের পাসের গ্রামে একজন কিছুক্ষন আগে মারা গেছে । আজ রাতেই বাড়ীর লোকজন লাশটাকে কবরস্থানে কবর দেবে । হানিফ আর গোবিন্দকে কি করতে হবে , সব কিছু যতীন ডাক্তার বলে দিয়েছে ।
গ্রামের শেষ প্রান্তে বড় বড় বাঁশ গাছের জঙ্গল । এই বাঁশ গাছের জঙ্গলটা পার হয়ে একটা খোলা মাঠ । এটাই হচ্ছে গ্রামের কবরখানা । কবরখানার মাঠটায় বেশ কিছু বড় বড় তেঁতুল গাছ আর শেওড়া গাছ । দুর থেকে অন্ধকারে গাছগুলির ঘন ডাল-পালা গুলিকে ভূতের মত লাগে । আশেপাশে কোন জন বসতি নেই । একজন চৌকিদার গোছের লোক খাতায়-কলমে এই কবরস্থানের পাহারার জন্য বহাল করা আছে বটে , তবে তাকে কোনসমায়েই এখানে দেখা যায় না আর বিশেষ করে রাত্রিবেলায় এই অন্ধকারের নিঝুমপুরিতে । মাটি খোঁড়ার জন্য কোদালটাকে এক জায়গায় লুকিয়ে রেখে একটা তেঁতুল গাছের উপরে উঠে পাতার আড়ালে দুজন লুকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলো কখন লাশটাকে নিয়ে বাড়ীর লোকজন কবরখানায় ঢোকে ।
রাত একটু বাড়তে দুরে দেখা গেল হ্যারিকেন হাতে অল্প কয়েকজন লোক লাশটাকে নিয়ে কবরস্থানের দিকে এগিয়ে আসছে । গাছের উপরে বসে থাকা হানিফ আর গোবিন্দ প্রস্তুত হয়ে নিল তাদের কাজের জন্য । খুব দ্রুতই লাশটাকে কবরের গর্তে শুইয়ে কোনরকমে মাটি চাপা দিয়ে লোকজন সব কবরস্থান থেকে চলে গেল । কিছুক্ষন পর যতীন ডাক্তারের নির্দেশ মত কোদালটা নিয়ে হানিফ আর গোবিন্দ সদ্য কবর দেয়া জায়গাটার সামনে এসে দাড়াল । কবরের উপর কয়েকটা ফুল ছড়ানো , পাসে কয়েকটা ধূপকাঠি জ্বলছে । মাঝে মাঝে শিয়ালের ডাক আর বন্য পাখীদের বিকট আওয়াজে ভয়কে যেন আর বাড়িয়ে দিচ্ছে । অপেক্ষা না করে মাটিগুলি দ্রুত সরিয়ে লাশটাকে তোলার কাজ শুরু করলো । বেশি সময় লাগলো না । অল্প গর্ত করেই লাশটাকে শুইয়ে দিয়েছে । অন্ধকারে গর্ত থেকে লাশটাকে তোলার আগে টর্চের আলোটা লাশের মুখের উপর ফেলতেই আচমকা একটা করুন আর্তনাদ করে হানিফ আর গোবিন্দ দুজনে দুদিকে ছিটকে পরল । এযে তাদের বড় আদরের পারভীন , হানিফ আসলামের মেয়ে । মেয়ের শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা মেয়েটাকে নিশ্চিত খুন করে হানিফকে কিছু না জানিয়ে অসৎ যতীন ডাক্তারের সাহায্যে মৃতদেহ সরিয়ে ফেলার জন্য তড়িঘড়ি কবর দেবার ব্যবস্থা করেছিল । যতীন ডাক্তারও নিশ্চিত আগে জানতে পারেনি এই মরা মেয়েটি আসলে হানিফের নিজের মেয়ে ।
হানিফ তার বড় আদরের মেয়েটার নিস্প্রান দেহটাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো - মেয়েটা জন্মাবার পর আমরা আদর করে ওর নাম রেখেছিলাম পারভীন , মানে " দিপ্তিময় তারা " । ভেবেছিলাম সংসারে সারাটা জীবন দিপ্তিময় তারা হিসেবে বিরাজ করবে । ও যে এইভাবে এত তাড়াতাড়ি দিপ্তিময় তারা হয়ে দুরের আকাশে চিরকালের জন্য হারিয়ে যাবে সেটাতো আমরা ভাবিনি । অল্প বয়সে মা হারানো মেয়েটা এই জন্মে শ্বশুরবাড়ি থেকে শুধুই লাঞ্ছনা , অত্যাচারই পেয়ে গেল । সুখের মুখ সে কোনদিন দেখতেই পেল না । আল্লার কাছে প্রার্থনা করি - আমার মেয়েটাকে তুমি দোয়া কর । মেয়েটা যেন পরের জন্মে সুখ পায় , শান্তি পায় । যারা আমার এই নিস্পাপ ফুলের মত মেয়েটাকে অত্যাচার করে মেরে ফেললো - তারা যেন আদালতের বিচারে কঠোর শাস্তি পায় । কান্না ভরা সজল চোখে আল্লার নাম করতে করতে হানিফ আসলাম নিজের মেয়েটার কবরের উপর আস্তে আস্তে মাটি চাপা দিতে থাকল ।দুরের কোন মসজিদ থেকে আজানের সুর ভেসে আসছিল । হটাৎই হানিফ আসলাম দেখল -- গোবিন্দ জামাটা খুলে খালিগায়ে হাত জোড় করে প্রিয় দিদির কবরের সামনে দাড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিবিষ্ট মনে একটা মন্ত্র উচ্চারণ করে চলেছে । ভাল করে কান পাতলে বোঝা যায় , সে বলে চলেছে ---
" .... আকাশস্থ নিরালম্ব বায়ুভূত নিরাশ্রয়
অত্র স্নাত্বা ইদং পীত্বা স্নাত্বাপীত্বা সুখি ভবেৎ .... "
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পার্থিব কিংবা অপার্থিব শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ করতে গেলে সমাজের বিভিন্ন দিকগুলির নানা ধরনের কথাই প্রকাশ পায় । এই গল্পে আমাদের সমাজের কিছু মানুষদের পার্থিব জগৎটা তুলে ধরবার চেষ্টা করছি ।
১২ আগষ্ট - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
৪৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪