একটিও দাঁত অক্ষত নেই। চুলগুলিও পেকে অনিদ্রাতে ধরলো দ্যাখো নন্দ চাটুজ্জেকে। মশারি গুঁজে চোখটি বুজে যেই না শুয়েছেন তেনাদের হয় নেত্য শুরু, তোলপাড় সবখেন! খটখটিয়ে হাঁটতে থাকে বন্ধ ঘরের মাঝে! তোমরা বলো, এসব সয়ে ঘুমিয়ে পড়া সাজে?
ভূতের ভয়ে নন্দখুড়োর তাল থাকে না ঠিক! রাত্রি নিঝুম, শুনশান যেই, অম্নি চতুর্দিক হাঁ করে ভাই গিলতে আসে বীভৎস রূপ তার গিন্নীও নেই দাঁড়ায় রুখে। বলবে- খবরদার! আর এক পা-ও এগিয়েছো কি মারব মাথায় বাড়ি রাতদুপুরে বজ্জাতি সব? মিচকে বদের ধাড়ি!
নিস্তব্ধতা চুরমার হয় 'খোকন' 'খোকন' ডাকে! ওহো! সে ব্যাটাও তো বিয়ের পরে শহরে গিয়ে থাকে। একদিন তাই মরীয়া হয়েই পড়ল বুড়ো নেমে চৌকি ছেড়ে টর্চটা হাতে তিন-পা হেঁটেই থেমে বলল জোরে সাহস করে ফুলিয়ে গলার শির 'বেরোও বলছি এ ঘর ছেড়ে শিগগির শিগগির!'
ধমকের সেই দাপট শুনেই নেংটি ইঁদুর, দুটি বুটের থেকে লাফিয়ে উঠে লাগায় ছুটোছুটি! খোকনের সেই স্কুলের জুতো হাতের ওপর নিয়ে হাসির চোটে বুড়োর তো যায় দমটাই আটকিয়ে!
ভূত ভেগেছে। শান্তি। এবার কে আর রাত্রে জাগে? এখন খালি ঘুমোতে এলে বড্ড একলা লাগে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এটা তো সে-অর্থে ঠিক কবিতা নয়। ছড়া-বিশেষ। তাই সাধারনভাবে আর পাঁচটা ছড়ার মতোই একমাত্রিক। আমার বক্তব্যও ছিল খুব সাধারন। এক অশীতিপর বৃদ্ধ। যাঁকে শেষ বয়সে দেখবার মতো ধারে-কাছে কেউ নেই। তিনি রাত্রে ঘুমোতে পারছেন না। কারন রাত্তির হলেই ভূতেরা ঘরের মধ্যে হাঁটা-চলা লাগিয়ে দিচ্ছে। শেষমেশ একদিন তিনি এ-রহস্য ভেদ করলেন বটে। কিন্তু দেখা গেল এখনও শান্তির ঘুম অধরা। কারন নতুন করে নিঃসঙ্গতার ভয়ে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি, যেটা হয়ত পূর্বের ভূতের ভয়ের প্রলেপ দিয়ে প্রশমিত ছিল। এইটুকুই। এর বাইরে আপনি অন্য কোন অর্থ উপলব্ধি করে থাকলে তা পাঠক হিসেবে আপনারই গভীরতা। তার জন্য আমি কৃতিত্ব দাবী করতে পারি না। :)
কেতকী
হাহাহাহা
আসলেইতো ভুততো মনের মধ্যেই একাকীত্বে থাকে...
খুব মজা পেয়েছি।
কিছু বাজে ব্যস্ততা যাচ্ছে তাই মাসের শুরুর দিকে গল্পগুলো পড়তে পারছি না। মানে মনোযোগ দিতে পারছি না।
শুভেচ্ছা রইল।
আশাকরি শেষের দিকে গল্পতে মনোযোগ দিতে পারবো।
কাজী জাহাঙ্গীর
দু’লাইনের অন্তমিলে আমারা যখন মাত্রা গুনি, তালের খাতিরে দু’এক মাত্রা কম/বেশ নিয়ে নেই,কিন্তু দাদা দু’লাইনের একটা তে ১১ আরেকটাতে ১৭ একটু বেশীই বৈকি!
তবু তালটা ধরে রেখেছিলেন বলে রক্ষে, হা হা হা...। তবে সিকোয়েন্সটা ভালই দিয়েছেন। ভোট বন্ধ আছে তাই শুভেচ্ছা আর আমন্ত্রণ।
আসলে, কানের ওপর ভরসা রেখে লিখি। সেখানে না আটকালে, মাত্রা নিয়ে খুব একটা ভাবিত হই না। তবে আমি কবিতাই পড়ি লজ্জাজনক কম সংখ্যায়। আর কবিতা সংক্রান্ত পড়াশোনার কথা না হয় উহ্যই থাক। তাই, আপনি যখন লেখাটা এত গুরুত্ব নিয়ে পড়লেনই তখন আপনার থেকে কিছু জেনে নিই। প্রথমত, তাল যদি না'ই কেটে থাকে তবে মাত্রা-পার্থক্য এক/দুই হোক আর এগারো/বারো, তাতে অসুবিধে কোথায়? বরং মাত্রা-পার্থক্য বেশি রেখেও যে আমি তাল ধরে রাখতে পেরেছি তার জন্য তো আমার, পিঠ চাপড়ানি খানিক বেশিই দাবী করা উচিৎ। :p আচ্ছা মজা থাক। আমার স্বল্প ধারনায় --- এমনটা করলে তা হয়ত কবিতাটিতে ব্যবহৃত ছন্দরীতি বহির্ভূত বিচ্ছিরি কিছু একটা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু, আজকাল তো শুনেছি তিনছন্দের বাইরে গিয়েও অনেক কাজকর্ম হচ্ছে। এখন, আমি কুলীন কবি নই বলে কি সে-অধিকার থেকে বঞ্চিত? :p
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
এত এত মজার লেখা, শুধু পড়তে ইচ্ছে করে। বিনায়ক দা তাড়াতাড়ি একটা বই বের করুন, শুধু পড়বো আর তাল মিলাবো। আর বেশি কিছু বলবো না। অনেক শুভকামনা রইল দাদা। [ভোটের বাক্স বন্ধ তাই ভোট দিতে পারলাম না]
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।