উত্তেজক ওষুধটা ছাড়া সাবিনার ডেরায় যাবেনা জহুর কিন্তু জিনিসটা কিনতে পারলেতো শালার দোকানিকে কিছুতেই একলা পাওয়া যাচ্ছে না। দোকান ঘিরে দশ চক্কর দিয়েও ব্যর্থ জহুর টেনশনে সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে আধ বোজা চোখে সাবিনার উদাম দেহের ছবি আঁকে আর শরীরের ভেতরে মোচড় খাওয়া রক্ত আরো দশ চক্কর দেয়ার তাকদ এনে দেয়। বহু প্রতিক্ষার পর দোকানিকে একলা পেয়েও জহুর হড়বড়িয়ে যায় কি বলবে দোকানি জানে তারপরও ওর মুখ থেকে কথাটা শুনতে চায়। কিছু বোঝে না ভাব নিয়ে দোকানি ওর পানে চেয়ে থাকে আর অনন্তকাল পরে খুব আস্তে কথাটা বলে জহুর হালকা একটা পালকের ন্যায় ভাসতে থাকে। জিনিষটা হাতে পেয়ে জহুর জোর কদমে রিক্সায় প্যাডল মারে। রিক্সা গ্যারেজে জমা দিয়ে শুকুরের দোকানে এককাপ চা তার পর কানাগলি ধরে একটু এগুলেই সাবিনাদের ডেরা চোখের কোনে এক চিলতে হাসি নিয়ে এগুতে থাকে জহুর।
জহুর হাটা ধরতেই ট্যাপা মিয়া ওর পাছ লয়। ব্যাডা সবজান্তা ভাব লইয়া ওর পিছু লইছে। ব্যাডারে কাটাইতে না পারলে জারিজুরি সব ফাঁস হওয়ার ব্যপক সম্ভাবনা। -আরে কিডা ট্যাফা ভাই দেহি তা আছ কেরুম? -ভাল, কোথাও যাচ্ছিলে মনে হয়! -হ.. না মানে যাব যাব করছিলাম হঠাৎ এডা কাম মনে পড়ি গেল তাই ফিরলাম আর দেখি তুমি, তা ভালই ওইল সিগারেট বিড়ি কিছু আছে তোমারঠে! -না নাই, আর আমার অবিশ্যি একটা কাম আছে খুব আর্জেন্ট কদিন ধরেই করব করব কচ্ছি তা আইজ করাই লাকবে ম্যাভাই। -ঠিকাছে যাও করগিয়া আমিও যাই দেহি।
জহুর দু'ঘন্টা ইতি উতি ঘুরে আবার সাবিনার ডেরার দিকে আগায় কিন্তু একি সাবিনার ঝুপড়ির সামনে দেহি ম্যালা পাবলিক ব্যপক চ্যাচামেচি ব্যপার কি! ঝুপড়ির ভেতর উলঙ্গ সাবিনা পড়ে আছে গলাটা কাটা ছাগলের মত ভেটকি মারা। কেউ একটা ত্যানা আইনা ওর গায়ের উপর ছুইড়া মারে। ভীড় থেকে রোল ওঠে দেখিস ওই ত্যানা আবার না তোর ফাঁসির দড়ি হইয়া যায়। ত্যানা ছোড়া ব্যাডায় বেকুবের মত ইত্উতি তাকায়। পাশে দাড়ানো লোকটারে জহুর জিগায়-
-কহন অইছে ঘটনাডা কইবার পার? -আমি ক্যামতে কই মিনিট বিশেষ আগে এনেরই এক মাগী চিল্লই উডেনা সবাইরে জানাইল। -ও! -বচ্ছর খানের আগেও এরুম আর একবার ওইছিল জানো! হেই মাগীর হগল রেগুলার খইদ্দারে ধইরা নাকানি চুবানি খাওয়াইছে দারোগা রুস্তম। এই বেডির খইদ্যারগো কফালেও একই শনি আছে কইয়া দিলাম। জহুর আর দাড়ায় না হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। ভীড় সরিয়ে আস্তে আস্তে কেটে পড়ার তালে ছিল বইলা কখন যে ট্যাফা মিয়া ওর হাত চাইপা ধরছে বুঝতে পারে নাই হঠাৎ...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জসিম উদ্দিন আহমেদ
সুচনাটা সুন্দর হয়েছিল। কিন্তু তারপরে আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি। ... আপনার বাক্য ব্যবহার প্রশংসনীয় কিন্তু ‘দাড়ি’ ‘কমা’র ব্যাপারে আরো যত্নবান হতে হবে। .. আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।