বন্ধুযোগ

বন্ধুত্ব (অক্টোবর ২০২১)

অমিতাভ সাহা
  • 0
  • ৩৯
জীবনে একটার পর একটা লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করে বেড়িয়েছি। পেয়েছি অনেক কিছুই, কিন্তু কেন জানিনা অনেক কিছু পাওয়ার আনন্দের মধ্যেও কোন একটা কিছু না পাওয়ার বেদনা অনেক সময় খুব কষ্ট দেয়। অনেকটা এক মণ দুধে এক ফোঁটা চোনার মত। সামান্য একটা না পাওয়ার বেদনা বড় কিছু একটা প্রাপ্তির আনন্দও মাটি করে দেয়। যেটা অর্জন করতে পেরেছি সেটা যতটা আনন্দ দিয়েছে তার থেকে অনেক চেষ্টা করেও যাতে সফল হতে পারিনি, সেটা অনেক বেশি হতাশায় ভুগিয়েছে। নিজেকে অনেক সময় পেসিমিস্ট বলে মনে হয়। জীবনে সবকিছু কখনই আমার মনমত হবে না। আমি যা চাই, তার সব পাব এটাও অবাস্তব ব্যাপার। তাহলে যেটা পাইনি সেই মরীচিকার পেছনে কাহাঁতক ছুটে বেড়াব?

যখন স্কুলে ছিলাম, তখন “ফার্স্ট হতে হবে”, ভার্সিটিতে যাবার পর “৮.৫ গ্রেড পেতে হবে”, মাস্টার ডিগ্রি করার পর “সরকারি চাকরি পেতে হবে”, এভাবে একটা লক্ষ্য পূরণ হতে না হতেই আরেকটা চলে এসেছে। লক্ষ্য প্রত্যেকের জীবনেই কমবেশি থাকে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে লক্ষ্য পরিবর্তনও হতে থাকে। আমি এর ব্যতিক্রম কিছু নই। জীবনটা অবশ্যই একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। বেঁচে থাকার যদি কোন উদ্দেশ্যই না থাকে, তাহলে সেটা কিরকম জীবন!
কিন্তু সমস্যাটা তখনই হয়, যখন লক্ষ্যটা এতটাই বিশালাকার ধারণ করে যে জীবনের বিভিন্ন শখ-আহ্লাদ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সব কিছুকে দূরে ঠেলে দেয়। আমার ক্ষেত্রে অনেকটা সেরকমই হয়েছিল। ঘোড়ার চোখে ঠুলি পরার মত ডানদিক বাঁদিক কোনদিকে না তাকিয়ে শুধু সামনে এগিয়ে গেছি লক্ষ্যটাকে সামনে রেখে। বছরের পর বছর আবেগ অনুভূতিবিহীন যান্ত্রিক জীবনযাপন করেছি; জীবনের অনেক আনন্দই উপভোগ করতে পারিনি। বন্ধুদের সাথে ক্লাস বাঙ্ক করে আড্ডা, সিনেমা দেখতে যাওয়া, সবাই মিলে দূরে কোথাও বেড়াতে গিয়ে অনেক মজা করা, এরকম স্মৃতি মনেই পড়ে না। বছরের পর বছর অনাড়ম্বর, নিরানন্দ জীবনযাপন করার পর সরকারি চাকরি পেলাম। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। কিন্তু এই প্রাপ্তির পেছনে অনেক বড় অপ্রাপ্তি হল, ছোটবেলার বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। লক্ষ্যের দিকে ফোকাস করতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে বছরের পর বছর যোগাযোগ করা হয়নি।

যখন চাকরি পেলাম, তখন মনে হল, এবার বুঝি লক্ষ্যের পেছনে ছোটা শেষ। লক্ষ্যের পেছনে ছোটা শেষ হল ঠিকই, কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই যেটা আরম্ভ হল সেটা হল অন্যদের সাথে নিজেকে একটা তুলনা করার প্রবণতা। বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে লাগল। কয়েকটা মেয়ে দেখলাম, কিন্তু ঠিক মনের মত সুন্দরী পেলাম না। বউ দেখে লোকজন যদি বাহবাই না দিল, “বাহ! খুব সুন্দর বউ হয়েছে” তাহলে আর সে বিয়ের মানে কি। রাস্তায় এত সুন্দরী মেয়ে দেখি, কিন্তু পাত্রী খোঁজার সময় সুন্দরী মেয়ে খুঁজে পাই না। এ তো ভারি বিড়ম্বনা! আসলে এখানেও কম্পিটিশন। গুণধর ছেলেরা আগে থেকেই সুন্দরীদেরকে ছিপ ফেলে তুলে নিয়েছে। কেন যে কলেজ লাইফে একটা প্রেম করলাম না। তাহলে এখন মেয়ের জন্য এরকম গোরুখোঁজা খুঁজতে হত না। তার উপর মেয়ে দেখে বেড়ানো অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার। পাত্রীপক্ষ অনেক আশা নিয়ে থাকে। পাঁচ রকমের মণ্ডামিঠাই গেলার পর মেয়ে প্রত্যাখ্যান করতে বিবেকে খুব বাধে। যাই হোক, সরকারি চাকরির জোরে পছন্দসই একটা মেয়ে পেলাম। সুন্দরী বউয়ের লক্ষ্যটাও ফুলফিল হল।

বছরখানেক পর মনে হল, আমাদের বাড়িটা বড্ড সেকেলে, তার উপর শহর থেকে অনেকটা দূরে। এখান থেকে বাজারঘাট করা, রোজ রোজ অফিস যাওয়াআসা করা অসুবিধাজনক মনে হতে লাগল। শহরে একদম প্রপার লোকেশনে একটা ফ্ল্যাট নিলে খুব ভালো হয়। বেশি খুঁজতে হল না। ভালো লোকেশনে একটা ফ্ল্যাট পেলাম। বিল্ডারের সাথে যোগাযোগ করে সমস্ত পেপারস রেডি করে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ফ্ল্যাট হল। এখান থেকে অফিস করা, বাজার করা খুবই সুবিধাজনক হল। তারপর গিন্নির আব্দারমত মডিউলার চিকেন (থুড়ি কিচেন), সোফা, ফার্নিচার কিনে ফ্ল্যাট সাজাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেল। তা যাক, ফ্ল্যাটটা এখন দেখার মত হল। লোকজন বাড়িতে এলে দেখারও তো একটা ব্যাপার আছে। সুন্দর বাসস্থানের স্বপ্নটাও পূরণ হল। কিছু পাড়াপ্রতিবেশি দেখে প্রশংসা করে গেল, তাঁরাও আমন্ত্রণ জানাল ওদের বাড়িতে যাবার জন্য। দু’তিন জনের বাড়ি গিয়ে দেখি, কি আলিশান বাড়ি! দামী টাইলস বসানো, ইন্টেরিওর ডেকোরেশন করা, সিঁড়ির স্টেপগুলোতে সিনথেটিক ঘাস বসানো, হাইফাই ফলস সিলিং, ৫৬ ইঞ্চি টিভি, আধুনিক লাইটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট, দামী নরম সোফা। বসার সাথে সাথে দু’তিন বার লাফ দিয়ে উঠলাম। সেখানে আমার ফ্ল্যাট নিতান্তই সাধারণ মনে হল।
কিছুদিন পর দেখি প্রতিবেশীরা অনেকে একের পর এক চারচাকা নামাচ্ছে। সেই হাইফাই লেটেস্ট মডেল। এত টাকা পায় কোথায় এরা! তখন আবার গাড়ির ভাবনা মাথায় এসে ভিড় করল। প্রত্যেক মাসে মোটা টাকা হোম লোনের ইএমআই দিয়ে যাচ্ছি। এখন গাড়ি অ্যাফোর্ড করতে গেলে হিমশিম খেতে হবে। অন্তত তিন-চার বছরের আগে গাড়ির কথা ভাবা যাবে না। এবার বুঝতে পারলাম, তুলনা পুরো আনএন্ডিং প্রসেস। এ জীবনে শেষ হবে না। এখন যদি গাড়ি নিয়ে আসি, তখন হয়ত কদিন পরে আবার ফরেন ট্যুর বা নতুন কিছু হাজির হবে।

গত বছর শিলিগুড়ি গিয়েছিলাম অফিসের একটা কাজে। এনজেপি স্টেশন থেকে বেরোতেই কিছু টোটোচালক সামনে এসে ভিড় করল, “কোথায় যাবেন দাদা?” ওদের মধ্যে একজনকে দেখে মুখটা খুব চেনা চেনা লাগল। একটু মনে করার চেষ্টা করতেই মনে পড়ল, ও আমার ছোটবেলার বন্ধু সুমন। বুকের ভেতরটা আচমকা মোচড় দিয়ে উঠল। আমরা একই স্কুলে পড়তাম। একসঙ্গে কত হৈহুল্লোড় করেছি। সে প্রায় সাতাশ-আঠাশ বছর আগের কথা। ও স্টুডেন্ট খারাপ ছিল না। ওর টোটো চালানোর মত পরিস্থিতি আমার আদৌ কাঙ্ক্ষিত ছিল না। আমি আজ সরকারি চাকুরে। মোটামুটি একটা ভালো পজিশনে আছি। কিন্তু ওর এমন দুর্দিন কেন?
আমি ওর টোটোতে গিয়ে উঠলাম। কিছুক্ষণ যাবার পর বললাম, “চিনতে পাচ্ছিস আমাকে?”
ও বলল, “না তো! কে দাদা”
আমি বললাম, “আমি সুকুমার। চিনতে পাচ্ছিস না?”
-“ও তুই! একদম চিনতে পারিনি। স্কুল ছাড়ার পর আজ কত বছর পর দেখা হল। কি করছিস এখন?”
-“আমি স্টেট গভমেন্টে চাকরি পেয়েছি চার বছর হল। তোর এ কি দশা?”
-“আমার কথা ছাড়। চল আমার বাড়ি চল। গরিবের বাড়িটা একবার দেখে আসবি”।
-“ভাই, আমি একটা অফিসের কাজে এসেছি”।
-“আচ্ছা, আমি বেশি সময় নেব না। আধঘণ্টার মধ্যেই ছেড়ে দেব”।
-“তুই এখানে এলি কিভাবে? তোদের বাড়ি তো কুচবিহারে ছিল!”
-“কি বলব ভাই, কপালের ফের। কলেজের পার্ট-ওয়ান পরীক্ষার সময় বাবা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ট্রিটমেন্টে ধরা পড়ল কিডনি ফেলিউর। পরীক্ষা লাটে উঠল। ব্যাঙ্গালোর নিয়ে গেলাম। ওখান থেকে ডায়ালিসিস শুরু করতে বলল। বাড়িতে এসে মাসে দুবার করে ডায়ালিসিস দিতে প্রচুর টাকা খরচা হতে লাগল। বছরখানেক পরে বাবা আর ডায়ালিসিস নিতে পারছিলেন না। অবস্থার অবনতি হতে লাগল। নার্সিং হোমে ভর্তি করার পর ডাক্তারবাবু বললেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বাবা দীর্ঘদিন আইসিইউ তে ছিলেন। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য ১০-১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়ে পড়ল। অত টাকা পাব কোথায়? অগত্যা আমাদের বাড়িটা বিক্রি করতে হল। অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছিল। বাবা অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠলেন। কিন্তু বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমাদের আর্থিক অবস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছিল। দু’বেলা অন্ন সংস্থান করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছিল। সংসারের হাল ধরতে হল। আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হল না।

আমাদের এক আত্মীয় এই দুর্দিনে আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। উনি শিলিগুড়িতেই থাকেন। এখন যে বাড়িটায় থাকি সেটা উনিই সস্তায় ভাড়া ঠিক করে দিয়েছেন। এই টোটোটার ব্যবস্থাও উনিই করে দিয়েছেন।

তবু ভালোই কাটছিল, বছর দুয়েক আগে একমাত্র ভাইটা একদিন ভয়ানক রোড এক্সিডেন্টের কবলে পড়ল। গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ব্রেন হ্যামারেজ। ওর সার্জারি করার মত আর্থিক সম্বল আর ছিল না। মা আর বউয়ের গয়নাগাটি বিক্রি করে ওর অপারেশন করেও ওকে বাঁচাতে পারলাম না। বন্ধুর গলার স্বরটা একটু কেঁপে উঠল। কি আর করা যাবে!”

দেশবন্ধুপাড়ার গলির ভেতরে খুবই জরাজীর্ণ একটা বাড়িতে নিয়ে গেল। বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া, উপরে টিনের ছাদ। ভাঙ্গা শানের মেঝে। ঘরে আসবাবপত্র বিশেষ কিছুই নেই বিছানা ও চেয়ার টেবিল ছাড়া। বাড়িতে ওর স্ত্রীর সাথে আলাপ করিয়ে দিল। তারপর বলল, “দাঁড়া একটু মিষ্টি নিয়ে আসি”।

আমি বললাম, “আনতে হবে না ভাই। বস এখানে”।
ও আমার কথা শুনল না। বাজারে গেল।

ওর স্ত্রী আমাকে চেয়ারে বসতে দিলেন।
পাশেই দেখলাম, এক বৃদ্ধা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন। বউদির কাছে শুনলাম, উনি শাশুড়ি মানে আমার বন্ধুর মা। সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে কোমরের নিচের পোরশনটা প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। আজ ছ’মাস যাবত শয্যাশায়ী। বউদি ওনাকে কিছুক্ষণ মাসল এক্সারসাইস করালেন। তাতে উনি বোধ হয় একটু আরাম পেলেন।

আমার বন্ধুর জীবনে কত ঝড়ঝাপটা এসেছে ভেবে খুব খারাপ লাগছিল। তবু এতক্ষণ যে ওর সাথে কথা বললাম, কোন বিলাপের সুর ওর গলায় খুঁজে পেলাম না। বউদির মুখেও কোন বিষণ্ণতার ছাপ পেলাম না। ওনাকে আমার বন্ধুর যোগ্য সহধর্মিণী বলেই মনে হল, যিনি সমস্ত বিপদে আপদে আমার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছেন।

বন্ধুর ভাগ্য বিপর্যয় দেখে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ঈশ্বর কেন মানুষকে এমন নিদারুণ যন্ত্রণা দেন? আমার বন্ধু তো কারোর কোন ক্ষতি করেনি?
আমি বউদিকে কিছু অর্থসাহায্য করতে যাচ্ছিলাম; উনি গ্রহণ করলেন না। বললেন, “না ভাই, অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়। শুধু এটুকু প্রার্থনা করো যেন আপদবিপদ নিজেরাই সামলে নিতে পারি। কারো কাছে হাত পাততে না হয়”।

আমার আর দয়া দেখাবার ধৃষ্টতা হল না।
বন্ধু ফিরে আসার পর ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে বিদায় নিলাম। এটুকু বুঝলাম, ও নিজের ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছে, ভাগ্যের প্রতি ওর কোন আক্রোশ নেই। একের পর এক বিপর্যয় এসেও ওর মানসিক শান্তি কেড়ে নিতে পারেনি। ওর সাথেই কেন এমন হল, এরকম কোন অভিযোগ ওর নেই। জীবনটা সবার জন্য সহজ হয় না। কারো কারো জীবনে এত বেশি বাধাবিপত্তি আসে, যে লড়াই করতে করতেই জীবন পার হয়ে যায়। পরিস্থিতির প্রতিকূলতায় সুমন পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। ওরও তো নিশ্চয়ই অনেক স্বপ্ন ছিল। পরিস্থিতি অনুকূল হলে ও হয়ত আমার মত একটা চাকরি যোগাড় করে একটা স্টেবল লাইফ লিড করতে পারত। কিন্তু বিধি বাম। আমি ওর জায়গায় থাকলে হয়ত মানসিক কষ্টে দিশেহারা হয়ে মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে বেঁচে থাকার স্পৃহা হারিয়ে ফেলতাম।

ওর জীবনের ঘটনাক্রম দেখে আমার জীবনের না পাওয়াগুলো খুব ক্ষুদ্র মনে হতে লাগল। আমার এতদিন ধরে পুষে রাখা চিন্তাভাবনার একটা আমূল পরিবর্তন ঘটে গেল। অনেক ভাবলাম। বুঝলাম, আমার সব চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে অন্যের দেখাদেখি কিছু করার প্রবণতা। ওর এটা আছে, আমার নেই কেন; এই তুলনাগুলো আমার মানসিক শান্তি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বুঝতে পারলাম, এই তুলনাগুলো অর্থহীন। প্রত্যেকের জীবন আলাদা; তাদের ভাগ্য, কর্ম, প্রায়োরিটি সবকিছুই আলাদা। তাই একেকজনের জীবনে প্রাপ্তিগুলোও একেকরকম হবে, এটাই স্বাভাবিক। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করে হীনন্মন্যতায় ভোগা মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমার ভাগ্য অনেক বেশি প্রসন্ন তাই আমার জীবনে বন্ধুর মত এত বিপর্যয় নেমে আসেনি। শিক্ষা পেলাম, বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকা বা দামী গাড়ি চড়ে বেড়ানোই জীবনের লক্ষ্য নয়। আমি সামান্য কিছু না পেয়েই হতাশায় ভুগছিলাম কিন্তু পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন, যারা আমি যে সুযোগসুবিধা ভোগ করছি তার একাংশও পান না। নিজের যা আছে, তাই নিয়ে সুখী থাকার নামই জীবন।

*********
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী সুন্দর ও সুশীল একটা লেখা। সুচিন্তিত মনোভাব ফুটে উঠেছে লেখায় l

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

স্কুললাইফের এক বন্ধুর সাথে দীর্ঘদিন পর দেখা হবার পর লেখকের চিন্তাভাবনায় আমূল পরিবর্তন আসে। তার বন্ধু জীবনে অনেক কিছু হারিয়ে খুব দরিদ্র দশায় দিন কাটাচ্ছিলেন। লেখক বন্ধুর সংস্পর্শে এসে উপলব্ধি করেন, তার জীবনের ছোট ছোট পাওয়া না পাওয়াগুলো ভীষণ তুচ্ছ।

১৯ এপ্রিল - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪