নিরাপত্তার স্বাধীনতা

স্বাধীনতা (মার্চ ২০১১)

M.A. Mazed
  • 0
  • ৫৮
১৯৭১ আমাদের জন্য ইতিহাসের বছর \\ যদিও যুদ্ধ দেখিনি ,ইতিহাস পড়ে জেনেছি,পাকিস্তানিরা কিভাবে আমাদের অত্যাচার করেছিল । তারা আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ,হাজার হাজার মা -বোনের ইজ্জত নিয়েছে ।অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি , আমাদের আলাদা একটি গঠন তন্ত্র আছে \\ একটি সরকার আছে । বাইরের দিকের গঠনটা সুন্দর হলেও আজকে ৪০ বছর পরে আমাদের ভিতরে যে জিনিসটার অভাব রয়েছে তা হল স্বাধীনতা । ৭১ ত্র আমরা দেশপ্রেমিক মানুষগুলিকে হারিয়েছি ।পরবর্তীতে আমরা যারা দেশটাকে পেয়েছি , প্রায় সবার কেমন জানি একটি ইচ্ছা কাজ করে ,কি করে দেশ ও দশের স্বার্থ বেচে দিয়ে নিজের স্বার্থটুকু জাহির করা যায় ।
আজকাল পত্রিকাগুলির দিকে তাকানো মাত্র দেখবেন, দেশের অমুক জায়গায় চিন্তাই হয়েছে ,অমুক জায়গায় আমাদের বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে , মেয়ের পক্ষ থানায় মামলা দিতে গিয়েছিল , থানা পক্ষ মামলা নিলনা । কারণ অতি সহজ ,মেয়ে পক্ষ দুর্বল অথবা উপর থেকে চাপ এসেছে । সম্প্রতি চাঁদপুরে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১১ বছরের মেয়ে তার ৬০ বছর বয়স্ক মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে । মেয়েটি লজ্জায় কাওকে কিছু বলতে পারেনি । শুনেছি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে তা জানাজানি হয়। দু:খের বিষয় , আমাদের দেশের মেয়েরা আজ শিক্ষকের কাছে নিরাপত্তা পায়না \\ তারও কদিন আগের ঘটনা ,শরীয়তপুরের ১৪ বছরের কিশোরী হেনা ,প্রতিবেশী ৪০ বছরের এক লোকের কাছে রাতের অন্ধকারে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ।ধর্ষকের স্বজনের অত্যাচারে ও এলাকায় শালিস নামের দোররার আঘাতে অকালে মেয়েটিকে বিদায় নিতে হয়েছে দুনিয়া থেকে । হেনার লাশের পোস্টমর্টান রিপোর্টে বলা হয়েছে তার শরীরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি । একদিকে এলাকায় বিত্তশালীদের কাছ থেকে যেমন সুবিচার পায়নি ,তেমনি অন্যদিকে সাদা একটা পোস্টমর্টান রিপোর্ট সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে ।জনমনে ক্ষোভ,খবরের কাগজের সুবাদে অবশেষে প্রশাসনের টনক নেড়েছে ।দ্বিতীয় বারের পোস্টমর্টান রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা মিলেছে ।আমাদের দেশের মেয়েরা যেমন রাস্তাঘাটে (ইভ টিজিং -র)ভয়ে থাকেন তেমনি রাতে ঘুমানোর সময় ভয়ে থাকে কখন যে আবার ধর্ষণের শিকার হয়।অভিভাবকরাও তাদের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আমাদের স্বাধীন দেশেও সেই একাওরের মত মা-বোনেরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে এবং তা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে ।আমাদের নিরাপত্তা স্বাধীনতা সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।আমি এখানে একটি সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি ,এছাড়াও দেশে অনেক সমস্যা রয়েছে । এই সমস্যাগুলো কারও একার না,আমাদের সকলের, এই দেশের মানুষের । একাত্তরে এদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে এবার আমাদের লড়তে হবে সেই সব কুৎসিত,লোকগুলোর বিরুদ্ধে ,যাদের কারণে আমাদের স্বাধীনতার অভাব দেখা দিয়েছ, নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে দেশের অনেক মানুষ। এই সমস্যার সমাধান শুধু সরকারে পক্ষে করা সম্ভব নয় ,সরকারের যেমন সদিচ্ছার প্রয়োজন আছে তেমনি আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে ।আমাদের মধ্যে কাজকরবে বিবেকবোধ। কেবল তাহলেই আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পরিপূর্ণভাবে অনুভব করতে পারব।আশাকরি এই অনুভূতিগুলি আমাদের সকলের মধ্যে জেগে উঠবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মা'র চোখে অশ্রু যখন এই জিনিসটি এখন যেন অনেক বেশি.আজ কাল মেয়েদের বাবা মা ছাড়তেও ভয় পাই |তার পর ছাড়তে হয়
বিন আরফান. যত পরি ততই ভালো লাগে.
সূর্য গল্প হিসাবে গ্রহণ করা গেলনা .....
বিষণ্ন সুমন এটা তো সমালোচনা হয়ে গেল
বেস্ট অফ নিরব সম্ভব হবে কি না জানা তবুও বলি ..... বোধ হয় জীবন এমনে পরাধীনতার ভিতর থাকতে হবে
বিন আরফান. ইনশা আল্লাহ , এম.এ মাজেদ . সত্যি বলব যেমন সত্যিটা তুমি বলেছ , সচরাচর এত নির্ভিক আর সুন্দর লিখা কেহ লিখে না. এক কথায় অপূর্ব হয়েছে. তাই ভোট দিলাম.
বিষণ্ন সুমন শুভকামনা রইলো

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪