জীবন ও মৃত্যুর গল্প

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

ধ্রুব
  • ২৩
  • 0
  • ১১৪
এখন রাত প্রায় চারটা।অন্ধকার চলেই যাচ্ছে।আর আধা ঘন্টার মাঝেই ভর হয়ে যাবে।আবার আরেকটা অন্ধকার দিন নতুন করে পার করা লাগবে।আত্নহননটাই বাকি এই জীবনে।
কিন্তু আমি এখানে কি করছি,এই ওভারব্রিজে কি করছি।তাও আবার এত রাতে।ওওওওওফফফ
আমার আবার blackout হয়েছিল।নিজের উপর নিজের বিরক্ত লাগছে।কোকেন আর হিরোইন খেয়ে আমার আর কিছুই মনে থাকেনা ইদানিং।ব্যান্ড থেকে বের করে দিয়েছে আমাকে ঠিক এই কারণেই।অথচ পুরো ব্যান্ডটাই আমার সম্পূর্ণ নিজের হাতে করা।
ওওওওওওওওও এখন আমার মনে পড়ছে আমি কেন এখানে এবং কিসের জন্যে?আজকে বিকালেই আমাকে আমার ব্যান্ড থেকে বের করে দিয়েছে।আমার জীবনের শেষ কাজ চাকরি থেকেও আমি অবশেষে ছুটি পেলাম।হাহাহাহাহা।চাকরি থেকে এভাবে আকস্মিক ছুটি পাওয়া আমার কাছে নতুন কিছু নয়।শুধু চাকরি ক্ষেত্র নয় জীবনের সব পরিধি থেকে আমি এভাবে আকস্মিক ছুটি পেয়ে অভ্যস্ত,নতুন কিছু না।জীবনে দুইটা প্রেম করেছি সেটাও অভিনব রকমের আকস্মিক ভাবে ছুটি পেয়েছি।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং দুটো চাকরি থেকে একেবারেই কিছু বুঝে উঠার আগেই বহিরাগত হয়ে গেলাম।সবশেষে ছিল আমার এই ব্যান্ড টা।এখন সেটাও আমাকে বহিরাগত বানিয়ে ছাড়লো।
আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশাল ব্যবসায়ী।টাকার অভাব হয়নি আমার কখনই আর কোটাতো ছিলোই।আমি আমার বাবা প্রথম পক্ষের একমাত্র সন্তান।আমার মা মারা যান আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে।আমার বয়স যখন ৩ তখন আমার বাবা ২য় বিয়ে করেন।যদিও আমার কিছুই মনে নেই।আমার বয়স যখন ৫ তখন আমার সৎ মায়ের একটা মেয়ে হল,তার নাম......।

মাথাটা আবার ব্যথা করছে।একটা চিন্তা বেশিক্ষণ করতে পারছিনা।আত্মহত্যার কারণ বের করতে গিয়ে নিজের আদরের ছোট বোনের কথা মনে পরে যাচ্ছে।কোকেন আর হিরোইন এর কারণে নিজের চিন্তার সূহ্ম শাখা প্রশাখা গুলো আর অগ্রাহ্য করতে পারছিনা।ধীরে ধীরে এই শাখা প্রশাখা গুলোই আমার মাথার ভিতরটা খেয়ে ফেলছে,গ্রাস করছে।সূর্যের আলো এখন মাঝে মাঝে ঘোরের মধ্যে অন্ধকার মনে হয়।

একা থাকি আমি।পরিবারের সাথে যা যোগাযোগ ছিল এখন তাও নেই।আমার ছোটো বোনটা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা আর মায়ের সাথে আর কথা হয়নি।প্রেমিকার সাথে লিভ টুগেদার করতাম।একদিন চাকরি থেকে মওকুফ পাওয়ায় সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল।যাওয়ার সময় বলল,যাই।আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম,কোথায় যাচ্ছো?যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব করে বলল,আমার পুরাতন প্রেমিকের কাছে।ওকে কল করেছি ও আসছে এখন।আমি মাথা নামিয়ে বললাম,ও।আমি এখন কি করব?সে বলল,চাকরির খোঁজ কর।
আমি আচমকা বলে ফেললাম,তুমি আমাকে ভালবাসতে?নাকি আমার চাকরিকে?উত্তরে ও কিছুক্ষণ চুপ থেকে অট্টহাসি দিয়ে বলে উঠল,হাহাহাহা,আমি যত বেতন পাই মাসে তুমি এক বছরে তা পাও না।তোমার সাথে সেক্স করে বেশ মজা ছিল তাই এতদিন তোমার সাথে ছিলাম.........।আমি এরপর দাড়িয়ে থেকে ওর চলে যাওয়া টা দেখলাম।ওর চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে গেল।এরপর মন ভাল করার জন্য চলে গেলাম বন্ধুর বাসায় পার্টিতে।ওখানে পুরনো বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে এক waitress এর সাথে সেক্স করে কোকেন টেনে বাসায় চলে গেলাম।

Flashback,flashback,flashback…………………………………………………..অতীত আমাকে সাপের মত পেঁচিয়ে ধরছে.........দম বন্ধ হয়ে পড়ছে।
নিরুপায় হয়ে অতীত নামের সাপটাকে গলা(মন)থেকে নামিয়ে(সরিয়ে)।ওভারব্রিজ এর রেলিং থেকে নামলাম।পৃথিবীটা দুলে উঠল।আমি ধীর পায়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম,অনিশ্চিত যাত্রা।আমি কই যাব সেটা ঠিক করা নাই,কিন্তু কি করব তা আমি জানি।আত্মহনন।
এজন্য প্রথমে বাসায় জাব তারপর রিভলভার টা দিয়ে সুন্দর করে নিজের খুলিটা স্রেফ উড়িয়ে দিব।আমার মত একজনের জন্য পৃথিবীর অক্সিজেন নষ্ট করার কোন মানে হয় না।

আমি হাটতে লাগালাম,রাস্তার আশেপাশে মানুষ নেই বললেই চলে।কেউ কেউ ঘুমাচ্ছে এখনও,কেউ বসে আছে,কুকুর আর মানুষ একসাথে ঘুমাচ্ছে।মাজে মাঝে দুই একটা কার,ট্রাক দেখা যাচ্ছে।সামনে এগুতেই দেখলাম উৎকট প্রসাধনী মাখা ভাসমান পতিতাদের,খদ্দের দের অপেক্ষায় দারিয়ে।দুই একজন আবার দারিয়ে থেকে দরদাম করছে, “২০ টাকা তে যাইবি?”
“না।”
“কেন?”
“এহহহহহ.........নিজে মজা পাইবি ঠিকই,কিন্তু আমার কি হইব?আমার বাচ্চার কি হইব?আবার রানীমারে ভাগ দেওন লাগব না?”
এরকম কথা বারতা চলছিল...এখানে,আমি ভেবেছিলাম তাকাবনা,কিন্তু তারপরেও চোখ পড়ল সেই প্রতিবাদী পতিতার দিকে।আমার চোখ স্থির হয়ে গেলো।অসম্ভব সুন্দর এক মেয়ে,চোখে এতরাতে সানগ্লাস লাগানো।আমি তাকিয়ে আছি দেখে মেয়েটা খেঁকিয়ে উঠল, “কি ব্যাপার?এমনি করে কি দেখেন?যাইতে বললে বলেন...রাস্তা মাপেন?”আমি পাত্তা না দিয়ে বললাম, “চল।”
মেয়েটা কিছু না বলে হাঁটা শুরু করল।
সোডিয়াম ও নিয়ন আলোর খেলার মাঝে আমি তার মেয়েটার অসহ্য রূপ দেখতে দেখতে এগুতে লাগলাম।
কিছুদূর যাওয়ার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম, “এতরাতে চোখে সানগ্লাস কেন?”
উত্তর এলো, “বোকা নাকি?আমি অন্ধ তাই।”
আমি অবাক হয়ে গেলাম,মেয়েটা সম্পূর্ণ খাটি শুদ্ধ বাংলায় কথা বলল।
আমি বললাম, ‘তুমি এইভাবে কথা বল কিন্তু এখানে কি করছ?’
“এভাবে কথা বলাটা আমি শিখেছি আমার ছেলের থেকে।ও স্কুলে যায়।”
“কোন ক্লাসে?”
“ক্লাস ফোর।”
“তুমি এইসব কবে থেকে করছ?”
“কোনসব?”
“দেহ ব্যবসা?”
ও খিলখিল করে হেসে উঠল...
আর বলল, “ব্যবসা?এটা তো আমার চাকরি।হিহিহি।আমার তো রানীমাকে সব টাকা দিতে হয়।এটা উনার ব্যবসা।”
“ও।”
“আমি প্রায় ৯ বছর ধরে এই কাজ করি।”
“অনেক দিন হয়েছে তাহলে।”
“হ্যাঁ।”
“কেন?”
“অন্ধ মেয়েকে দিয়ে বাপ মা করবে কি?”
“মানে?”
“আমি জন্মান্ধ,তাই আমাকে ফেলে দেওয়া হয়।পরে আমাকে পাশের গ্রামের একটা পরিবার আমাকে বড় করে।কিন্তু............”
“কিন্তু কি?”
“আমি কখনও প্রথম দেখায় কাউকে এতকিছু বলি না।কিন্তু আপনাকে সব বলে দিয়ে ভাল লাগছে কেন,বুঝলাম না।”
“সব তো বলনি এখনো।”
“ও,হ্যাঁ।তারপর আমার বয়স যখন ১৪,আমার এই মা মারা গেলেন।আমার এই বাবা আমার জীবন কাহিনী বল্লেন।আর আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন।আর বললেন তাকে বিয়ে না করলেও তিনি আমার দেহ ভগ করে যাবেন,আর কাউকে বললে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিবেন।এরপরের দিন আমি আমার মনের ভালবাসার মানুষের কাছে ছুটে গেলাম।তাকে সব খুলে বল্লাম।সে আমাকে নিয়ে শহরে নিয়ে কিছু বুঝার আগেই আমাকে বিক্রি দিল রানিমার কাছে।আপনারা ছোট করে কিছু বলাকে,কি জানি বলেন?”
“সংক্ষেপে কিছু বলা?”
“হা,সংক্ষেপে এটাই আমার জীবন কথা।”
আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে জিজ্ঞেস করলাম, “তোমার ছেলের বাবা কে?”
“আমার প্রথম দিকের এক নাগর,এখন বিশাল বড়লোক,ও ই প্রীতমের পড়ালেখা খরচ দেয়।”
“হুমম।”
“তো নাগর তোমার কথা বল”
“আমি আর কি বলব......এই জীবনে শেষবারের মত সেক্স করব্‌।”
“কেন?কিছু করবা নাকি?অপারেশন জাতীয় কিছু?”
“নাহ।সুইসাইড করব।”
“কিসের এত দুঃখ?”
মেয়েটা বলে উঠল রসিকতার সুরে.........
“girlfriend চইলা গেছে তাই না?হাহাহাহা,............নাকি ব্যান্ড থেকে বাহির করে দিছে?”
“দুটোই”
মেয়েটা এবার কিছুক্ষন চুপ থেকে আবার হাসতে লাগলো।
“হাসছো?তাই না?বাকিটুকু বলি?”
মেয়েটা হাসতে হাসতে বলল, “বল,নাগর,বল।”
“আর আমার তিন কুলে কেউ নাই।আমার বাবা তার কোম্পানিতে কর্মচারিদের সাথে সংঘর্ষে
মারা গেছে।আর ছোট বোন কে শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে।আপাততঃ আত্তহত্যা ছাড়া কোন কিছুই মনে হয় না আলো দেখাতে পারবে।”
“ও আচ্ছা।কিন্তু আত্তহত্যা করলে তো নরকে যাওয়া ছাড়া কন রাস্তা নেই।”
“যে পৃথিবীতে তোমার মত মেয়েকে পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি করতে হয়,সেখানে আমার মনে হয় না ঈশ্বর আছেন।”
মেয়েটা আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন খুব মজা পাচ্ছে।তার অদ্ভুত সুন্দর চোখে কৌতুকের ছোঁয়াটা কল্পনা করলাম আমি,কারন তার চোখ দুটো দেখা যাচ্ছিলনা।
“তাই না?কিন্তু আমি যে এভাবে বেচে আছি এটাই কি ঈশ্বরের থাকার প্রমাণ নয়?চোখে না দেখেও পুরুষদের কে তাদের মানসিক প্রশান্তি ও প্রশংসা বিক্রি করেও আমি কি বেচে নেই”?
“একে কি বেচে থাকা বলে?”
“যতদিন একজন মানুষের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা থাকে ততদিন পর্যন্ত তাকে জীবন্ত বলা যায়।”
“হতে পারে.........এসে গেছি।এটাই আমার বাসা।আচ্ছা এত কথা হলো কিন্তু তোমার নাম টা জানা হলো না।”
“হিহিহিহি............কি সেক্স এর সময় নাম লাগে নাকি?”
আমি লজ্জা পেলাম,সাথে সাথে প্রতিবাদ করে উঠলাম, “না,এম্নিতেই।”
“ও,লজ্জা পাইওনা গো।আমাকে এখন সবাই পারুল নামে ডাকে।”
“আর,আমার নাম.........।”
মেয়েটা এরপর কাপড় ছাড়তে ছাড়তে বলে উঠল, “আমার তাড়া আছে,যা করার করে আমি চলে যাব।”
“না।আমি তোমার সাথে সেক্স করতে পারবনা,সরি।তুমি আমার বোনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছ।ওর সাথে আমি সবকিছু শেয়ার করতাম।সেও করত।তোমার সাথে কথা বলে আমার ওরকম মনে হয়েছে।আমার সেই অনুভুতি আবার যেন ফিরে এসেছে।মন হাল্কা হওয়ার অনুভুতি টা পাচ্ছি।তুমিও আমার বোনের মত আত্তহত্যা করতে মানা করছ।এসব কারনে আমি তোমার সাথে সেক্স করতে পারব না।”
মেয়েটা চুপ করে থেকে বলল, “আচ্ছা আমি কাপড় পরে নিচ্ছি।কিন্তু টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে।”
“আচ্ছা।”
আমি এরপর বসে গেলাম নাক দিয়ে হেরোইন টানার জন্য।মেয়েটাও আমার সাথে বসে গেল।সেও হেরোইন টানতে লাগল।
আমরা প্রথমে সামান্য করে নিলাম,কিন্তু এরপর ধিরে ধিরে ডোসের পরিমাণ বাড়াতে লাগলাম।একসময় মনে হল আর আত্তহত্যা করবনা।পারুল(!?)কে বললাম, “আমাকে বিয়ে করবে?”
“না।”
“কিন্তু তুমি আমার সাথে এমন করতে পারোনা।কারন তুমি আত্তহত্যা না করার বুদ্ধি দিয়ে আমাকে কৃতার্থ করেছ।আর এখন তুমি আমার সাথে এমন করছ কেন?”আমি জরানো গলায় কেদে উঠলাম।
“না,আমি উঠি।তুমি হাই হয়ে গিয়েছ।তুমি কিছু বুঝতে পারছনা।”
আমি এই কথা শুনে সৎবিত ফিরে পেলাম, “ওহ,সরি।আমি বুঝি নাই আসলে।আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমি বেশ্যাদের কতটা ঘৃণা করি।তোমরা যারা নিজের দেহ দিয়ে কুতসিত কাম কলা দেখিয়ে অন্নের যোগান কর।”
মেয়েটা আমায় বাধা দিতে গেলে আমি হাত তুলে বলি, “আমি কথা বলছি,চুপ কর।আমি এই দেশের রক্তচোষা শকুন তথাকথিত রাজনৈতিক দল গুলোকে ঘৃণা করি,যারা নিজেদের মাঝে মারা মারি করা ছাড়া আর কিছুই বুঝতে চায়না।নিজেদের আদর্শ নিজেরাই,নিজেরাই ঈশ্বরিক বাণী বানায়।আমি ঘৃণা করি কম্যুনিস্ট দের যারা কিনা চে গুয়াভারার চুল দাড়ি আর সিগার টাই পেয়েছে আর কিছু নয়।আমি ঘৃণা করি আমার দেশের সেনাবাহিনিকে যারা দেশরক্ষার নামে ক্ষমতা দখলের চিন্তায় দিন পার করে।আমি ঘৃণা করি পঙ্গু ফকিরদের, হিজরাদের,সমকামি দের......... পঙ্গু ফকিরগুলো,হিজরাগুলো মনে করে নিজেদের সমস্যা বিক্রি করে টাকা রোজগার করে দিন পার করবে,আর সমকামি গুলো তো পশুর চেয়ে অধম।আমি ঘৃণা করি,মিউজিক ইন্ডাস্ট্রীকে যারা টাকার জন্যে ভালো গান গুলো বাদ দিয়ে কম কাপড় পরা মেয়েদের গান বিক্রি করে দেশ টাকে শেষ করে দিল।আমি ঘৃণা করি সব কর্মচারি ইউনিয়ন গুলো কে যারা আমার বাবা কে হত্যা করেছে।আমি ঘৃণা করি লোভী কুকুর গুলোকে যারা কিনা আমার বোন কে মেরে ফেলেছে।আমি ঘৃণা করি সেইসব টাকাভোজী অমানুষ ডাক্তার দের যারা আমার জন্মদাত্রি মা কে মেরে ফেলেছে............
মেয়েটা তীক্ষ্ণ গলায় চিতকার করে উঠে বল্ল, “চুপ কর।তুমি নিজেই জানোনা,আসলে তুমি নিজেকেই ঘৃণা কর।আমার মনে হয় সেটাই করা উচিত তোমার।নিজেকে ঘৃণা কর।আমি সৌভাগ্যবান যে আমি অন্ধ,এই কুতসিত পৃথিবী আমার দেখতে হয় না,তোমার মত কুতসিত মানসিকতার মানুষদের আমার দেখতে হয়না।তুমি নরকেই যাও,সেটাই ভাল।”
বলে মেয়েটা আস্তে আস্তে দেয়াল ধরে হেটে চলে গেল।
আমি বুঝে গেলাম এটাই সঠিক সময়।আমি রিভল্বার টা ড্রয়ার থেকে নিয়ে দৌড় দিয়ে গেটে এসে চিতকার করে পারুল(!?)কে ডাকলাম আর সে ঘুরে তাকাতেই আমি নিজের মাথা বরাবর গুলি চালালাম।তারপর সব অন্ধকার।

তিন মাস পর,
পারুল তার ছেলে রায়হান কে নিয়ে নতুন বাড়ীতে উঠল।যেখানে কিনা আছে উঠান,খোলা বারান্দা আর অনেক জানালা।আগের সেই বস্তি থেকে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর।“রায়হান,বাপ এই বাড়িটা ভাল নাকি আগেরটা?”
“না,আম্মা এটাই ভাল।”
উকিল সাহেব হাসলেন, “এটা তো অবশ্যি ভাল হবে।এটা আপনার নামে যিনি লিখে রেখে গেছেন তিনি অনেক বড়লোক মানুষ ছিলেন।”
“হ্যা জ়ানি।”
“তাহলে আমি যাই।আপনারা সেটল হন।”
“সবকিছুর জন্যি ধন্যবাদ,উকিল সাহেব।”
পারুল ভাবতে লাগল কোথায় কি রাখবে,নাহার তাকে সাহায্য করছিল।
হঠাৎ করে রায়হান চিতকার করে বলল, “মা গেটের পাশে ঝোপের মাঝে একটা রিভল্বার পেয়েছি।এটা কার?”
পারুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “এদিকে আন এটা তোর মামার।”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ধ্রুব সবাইকে আমার গল্প পরার jonne dhonnobad......vul truti khoma sundor drishty te dekhechen ejonno aro valo laglo,ar shukla ke bolchi,manush to kotokichui kore,tai nai?
এস, এম, ফজলুল হাসান ভালো লেগেছে সুন্দর গল্পটি
শাহেদুজ্জামান লিংকন অন্তর্দ্বন্দ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বিষণ্ন সুমন তোমার লিখার হাত অনেক শক্তিশালী. আর তোমার লিখায় একটা অন্তর্দ্বন্দ আছে, যা মাঝে মাঝেই ধুয়াশায় ফেলে দেয়. সেই কারনেই মনে হয়েছে তুমি নিজেও পরিস্কার নও আসলে তুমি কোনটাকে মুখ্য করবে. নায়কের চরিত্রে তুমি একই সাথে শয়তান ও দেবতা দুটু ছবিই ফুটিয়ে তুলেছ. এটা নিস্সন্দেহে সাধুবাদ পাবার মত মুন্সিয়ানার ছাপ. অনেক অনেক শুভকামনা রইলো.
ছায়া মানবী শুক্লা কিছু জায়গাতে গরমিল লেগে গেলো...নায়ক একবার পারুল কে বোন ডাকলো আবার বিয়ে করতে চাইলো!!!.....মোটামুটি লেগেছে .......তবে আপনার লেখার হাত ভালো .ভুল কম হলে লেখা আরো ভালো হবে ......শুভ কামনা রইলো ......:)
দেবব্রত দত্ত সময়ের অভাবে কত প্রতিভা চাপা পড়ে যায়!!!!
ধ্রুব ওয়াছিম কে বলি...এখানে কিছু ভুল নিয়ে সাবমিট করছিলাম,সঠিক টা আমার fb notes e ache....ekhane link deoa ache
ওয়াছিম গল্পটা পড়লাম ভাল লাগলো, কিন্তু কয়েকটা প্রশ্ন, নায়ক তো পারুলেন সাথে প্রথম পরিচয়ে আত্তহত্যা করে, তবে কখন সম্পত্তি লিখে দিল।

০৮ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪