নতুন করে সাগরের অতল নীলজলে তলিয়ে যেতে যেতে চলে গেছি বহুদুর দেহটা রয়ে গিয়েছে সমুদ্রের বালুকাবেলায় আত্মাটা ডুবে গেছে পানির নিচে। আমার আত্মা বড়ই ভীতু আর দশজনের মতন না পেরেছে বিষ খেতে না পেরেছে হাতের রগ কাটতে না পেরেছে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে যেতে বরাবরের মতনই শুনতে হয়েছে “অকর্মন্য”। অতল জলের মায়া স্পর্শ করেনি। অতল জলে হারিয়ে যাওয়ার সরলতার সৌন্দর্য তাকে স্পর্শ করে যায়। পৃথিবীকে দেখার জন্য আত্মা একটিবার ফিরে তাকায়। দূরে দেখে দেহকে দাঁড়িয়ে একাকি। দেহ বলে উঠে “আমি তুমি পর ছিলাম আসলে,আপন ছিলাম না মোটেও”। আত্মা বালিতে হাত-পা ছড়িয়ে দিয়ে স্পষ্ট উচ্চারনে বলে উঠে, “আমার চলে যাওয়ার ক্ষন এসেছে”। আকাশে বড় চাঁদ। “খাচার মতন হয়েছিলে তুমি। পালাতে পারিনি।এগুতে পারিনি।ছুটে গিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় চিতকার করে প্রেয়সীর নাম বলতে পারিনি। সুরের-রঙের-আলোর খেলা খেলতে পারিনি।তোমার খাচায় আটকে থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করেছি”। দেহ নীরব “আমি একটা খাচাই শুধুমাত্র।যার চাবি ছিল তোমার হাতেই।তোমার দেখানো পথেই হেটে গিয়েছি।মেরুদন্ড হয়োনা এখন।ফিনিক্স পাখি নিজের ছাই থেকে জন্ম নেয়”। আত্মার চিতকারে চারিদিক কেপে উঠে “ফিনিক্স পাখির কথা বলো না আর।নিজের প্রতি ঘৃণার সাগরে ফিনিক্সের আগুনটাও নিভে গেছে।নিজেকে ঘৃণা আমার,নিজেকেই করূনা,নিজেকেই নিজের নিকট কুতসিত প্রাণীর মত লাগে।ভান ভান আর ভান।আমি নিজে যা নই তা হওয়ার আপ্রান চেষ্টা”। দেহ শুধু বলে “আমি খাচা ছাড়া কিছু নই”। “জানি সবই আমার ভুল”এই বলে আত্মা সাগরের দিকে হাটা শুরু করে ধীর পায়ে এখানেই শেষ সাগরের জলের কাছে ফিনিক্সের আগুন নগন্য ঘৃণার সমাধি হবে সাগরের বিশাল নীল জলরাশিতে দেহ তাকিয়ে থাকে আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে হতে মিলিয়ে যায় সে দেহ মাথা ঘুরিয়ে হাটা দেয় এ তো শুধুই আরেকটি আত্মহনন
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।