আবার একটি দেবদূত..

সরলতা (অক্টোবর ২০১২)

ধ্রুব
  • ২৩
  • ১০
আমাদের শহরটা একদম ছোট
আকাশটা মনে হয় যেন হাতের একদম কাছে।
এখানকার মানুষেরাও প্রভুভক্ত কুকুরের মতই শহরটার চারপাশ চেটে বেড়ায়
এই ছোট গন্ডি ছেড়ে তারা বের হতে চায়না,গন্ডির বাহিরের অন্য কুকুরদের মত
আদিম যুগের এক নতুন প্রতিবিম্ব দেখি আমরা সবাই
একদিন সর্গের সিড়ি বেয়ে নেমে আসলো,সুন্দর ডানাওয়ালা দেবদূত
সে নিয়ে আসলো অনেক অনেক আলো
নতুন পৃথিবীর গান
নতুন যুগের আহবান
নতুন সময়ের ডাক
তার কন্ঠে ছিল অপূর্ব এক গান
যা কিনা ছিলো সামনে এগিয়ে যাওয়ার অকৃত্তিম অনুপ্রেরনা।
শহরের প্রতিটা প্রান্তর জুড়ে ছিল তার পদচারণা
নগর পিতার বাসস্থান থেকে শুরু করে বেশ্যালয়,
সবখানে ছড়িয়ে ছিল তার আলো
ভেদাভেদ এর সংজ্ঞা জানা ছিলো না তার।
সত্য কে গলা টিপে মারা চর্চা ছিলোনা তার,
আপনমনে আলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতো সে।
এই শহরের অন্ধকার কীটরা একদিন জেগে উঠলো
তারা আর পারলোনা সহ্য করতে,আর পারলোনা।
তারা নিদ্রা ছেড়ে জেগে উঠলো
ছড়িয়ে দিতে লাগলো আধাঁর
সাপের মত পেঁচিয়ে ধরলো সবাইকে,শ্বাসরূদ্ধ করলো সবাইকে।
শহরের ছোট মনের মানুষেরা অন্ধকারকে একমাত্র সত্য ভেবে এগিয়ে গেল।
শহরের আলোর মশালকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে।
২দিন পর,
শহরের মাঝে তৈরি হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ,
উপরের কাঠ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কালো ফাঁসির দড়ি,
দেবদূতের ডানা গুলো বাঁধা হয়েছে শক্ত নাইলন দিয়ে
মঞ্ছের চারপাশে অগণিত মানুষ,যেন পুরো শহরটা এখানেই ভেঙ্গে পড়েছে।
অনেকদিন পর একটা ভালো বিনোদন এর উপলক্ষ্য পেয়েছে তারা।
জল্লাদ উঠলো মঞ্ছে,নগরপিতা বলে উঠলেন, “দেবদূতের দোষ একটাই,আমরা যা চাইনি তাই দিতে চেয়েছে…আমরা অন্ধকারে বেঁচে থেকে আমরা অন্ধকার নিয়েই গর্ব বোধ করতে চাই”
জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করলো,
আর চারদিক ডুবে গেল নিকষ আঁধারে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক পুরোটাই একটা গল্প...অনায়াসে কবিতার স্বাদ পেলাম...এবং অনেক অনেক ভালো লাগলো...শুভ কামনা...
খন্দকার নাহিদ হোসেন চিরচেনা এক গল্প নতুন করে কবিতায় পড়লাম...মন্দ কি? বেশ লাগলো।
আশিক বিন রহিম vhaiya vhalo laglo kobtati kub, tobe kicu lain asadharon. anek avinondon
সূর্য নাগরিক স্বভাবে অভ্যস্ত আমাদের কাছে দেবদূতেরও কদর নেই, ক্ষমা তো বহুদূর। দারুণ একটা থিমের লেখা ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ..
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি ফরমেট টা একটু অন্য ধরনের হলেও ...থিমটা কিন্তু ভীষণ ভালো.......সুন্দর লাগল কবিতা.... খুব পরিচ্ছন্ন লেখা.....ধ্রুব আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ......
ধন্যবাদ..
কায়েস খুব সুন্দর কবিতা
ধন্যবাদ..
ওসমান সজীব চমৎকার কবিতা
ধন্যবাদ..
সোমা মজুমদার gaveerata achhe kabitay, valo laglo
ধন্যবাদ..
তান্নি অনেক সুন্দর। ভাবাবেগ আর গভীরতার মাদকতা ছিল লেখা জুড়ে। এতটুকু বলবো; থামিয়ে দিওনা কভু লেখার হাত,আসবেই জয়ের রাঙ্গা প্রভাত। নিরন্তর শুভ কামনা কবির জন্য।
ধন্যবাদ..
ওবাইদুল হক আরে ভাই এত করুন ঘটনার প্রবাহ খুব দারুণ রুপায়ক । আবার আসলাম একটু ঝালিয়ে নিতে । কতনা বিরহ কাহিনি চাইলেই ভুলা যায়না । অনেক শুভকামনা । তবে ভোট দেয়ার যায়গা নেই । গাপনটা আগেই শেষ করেছি । কারণ লেখা যাই হোক । সাধণার সম্মান আমি কমতি দেইনা । যার যে টুকু প্রাপ্য আটআনা হলেও দিয়ে যাই । আরো কারন আমি লেখাকে আমার চেয়ে বেশি ভালবাসি । কিছু মনের কথা বললাম । কিছু মনে করিওনা । এইতো জীবন ।
সমস্যা নাই..পরার জন্য ধন্যবাদ..

০৮ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪