ঝর্ণার নূপুরে নৃত্য করে বেতফল
তৃষ্ণিত হরিণ যেনো কালো তার মুখ,
সোনালী গতরে ঝরে অসুখ-বিসুখ;
মায়াবী পড়শী টানে সরস ভূ-তল।
দিগ্বিদিক পূর্বমেঘ করে ছলছল
হুলুস্থুল ডেকে আনে চঞ্চল বাতাস,
পদ 'পরে পরে থাকে দুর্লভ আবাস;
এলোকেশে প্রেয়সীর আঁখি ঢলঢল।
নতজানু বসে থাকে সোনালী প্রভাত
ক্রমে ক্রমে দিন হয় রাতের গোলাম,
নাচবার মুদ্রাকলা হয় যে বে-হাত;
স্তূপ হয়ে জমে থাকে বিদায়ী-সালাম।
পথের পাথেয় হারা বিদগ্ধ প্রহর,
রেখে যেতে হয় প্রিয় শষ্য-গোলাঘর।