আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি যখন-
পরাধীন আমি জন্মাইনি তখন।
আমি দেখিনি পরাধীনতার গ্লানি,
শোষকের অত্যাচার,হায়নার নির্যাতন-
ঘাতকের গুলি,মানবের পচা-গলা লাশ,
শুনিনি নির্যাতিতার হাহাকার,বিলাপ কিংবা
গুমরে গুমরে কান্না।।
স্বাধীনতা আর বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণটিতে ও
আমি ছিলাম না, কেন না
তখন ও পৃথিবীতে আমার আর্বিভাব হয়নি।
গল্প শুনেছি, বইয়ে-পরেছি,
কত ত্যাগ আর বীরত্বেও বিনিময়ে
এসেছে স্বাধীনতা আর বিজয়।।
যারা যোদ্ধা, যারা বীর শহীদ তাদের প্রতি শ্রদ্ধায়
আমার মাথা নত হয়ে আসে।
তাদের নিয়ে আমার গর্ব হয়।
আমি শিহরিত হই, আনন্দে বিহ্বল হই
শহীদেও বীরত্বে।
আমার জন্ম আশির দশকের শেষের দিকে,
আজ আমি একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে,
জীবনের এই অল্প ক'বছরে আমি অনেক
রক্তপাত, হত্যা,নির্যাতন,ধর্ষণের মত পশু বৃত্তি দেখেছি।
দেখেছি, লাল সবুজের পতাকা দামি গাড়িতে উড়িয়ে চলেছে,
ন্যাশনাল এসেম্বলিতে নর পশু মানবতা বিরোধীরা।।
দেখেছি,এই পশুরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে এদেশেরই মানুষ।
ত্যাগ আর আত্মবলিদানের বিনিময়ে পাওয়া
এই দেশে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার জন্য,
একজন খুনি করে অপর একজনকে।।
ক্ষমতায় গেলেই আইন, প্রশাসন হয়ে যায় হস্তগত।
নির্যাতনের মহা উৎসব চলে দেশব্যাপী।
দৃষ্টি কেবল ক্ষমতার দিকে।
কী পেলা না, আর কী পেতে পারতাম,
কেন পাব না, কেবল তারই হিসেব কষতে ব্যস্ত।
সর্বত্র অনিয়মই এখানে নিয়ম,যে
নিয়ম মানে অথবা মানতে চায়,সে বোকা হিসেবে স্বীকৃত।।
এক সময় এদেশের মানুষ খুবই বিশ্বাসী আর
আমানতদারী হিসেবে পরিচিত ছিলো।
এখনও আছে কিন্তু অবশিষ্ট।
শিক্ষা নীতি নামে দুর্নীতি,কর্মসংস্থান-নেই কর্মক্ষম যুবকের।
তাতে কী?
যুব শক্তি কাজে লাগাও উন্নত বিশ্বে।
একদল খেতে পায় না?
অসুবিধা কী- ডাস্টবিনের কোন অভাব নেই।
হে স্বাধীনতা, তোমায় কি আমারা পেয়েছি?
হে বিজয়, তুমি কি সত্যি এসেছ আমাদের ঘরে-অন্তরেও আর চেতনায়।
আমরা কি বুঝেছি তোমাদের মর্মার্থ?
তোমরা আর কত দূরে?
০৮ ফেব্রুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪