বিনাশী দহনে ছারখার স্বদেশ
খাবলানো রক্তে ভিজা তার দেহাবশেষ।
সন্ত্রস্ত আঘাতে প্রকম্পিত লোকালয়
অাকাশ-বাতাসে ছড়িয়েছে পুরানো বর্বরতা
বিভৎস চিৎকারে বিপর্যস্ত, ধ্বংসের তটে বঙ্গমাতা।
আদিম নির্মতায়, মৃত্যুর উলঙ্গ নৃত্য।
সেদিন আকাশ কেঁপেছিল, গোলাবৃষ্টির বজ্রে
কেঁপেছিল নির্জন সরোবর, রক্তের তুফানে।
নপুংসক, কাপুরুষ, জারজ জাতিসত্তা ওদের
কবরহীন, বেওয়ারিশ লাশের স্তুপে
হৃদপিন্ড ছিড়ল কত মায়ের সন্তান হারা শোকে।
শ্মশান নিরাবতায়, সন্তান প্রসব ব্যথায়
কত মা মরল যম-যন্ত্রনায়।
ক্ষুধায় কাতর শকুন, দুর্ভিক্ষের হাড্ডিসার গিলে,
চারদিক ঘেরা মৃত্যুযঞ্জে-পৈচাশিক উল্লাসে!
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা রক্তে লাল
চতুর্দিকে রণ খঞ্জন, রবে ত্রাহি ত্রাহি,
পিতার সম্মূখে আত্মজার বলাৎকারে,
তমিস্রায় মুখ লুকিয়েছিল বিশ্ব বিধাত্রী!
নৈঃশব্দে পশ্চাদপদ হয়েছিল হায়নার দল
বাতাসে লাশের গন্ধ,
মাটিতে ক্ষতবিক্ষত রক্তাত্ত দেহ।
মরনাপন্ন জনতার, বিস্ময়ে ছিল ভয়ার্ত দীর্ঘশ্বাস।
অপ্রস্তুত, অস্ত্রহীন;
তবু ও পালাতে পারেনি ওরা,
কে রোখে মুক্ত স্বাধীন সত্য রে?
রক্তের ওই দাগ মুছবে না, মানুষ ভূলবে না!
এ আমাদের দায়, তোমার রক্তের কসম;
যত বার জন্মাবে, তোমার রক্তের শত্রু
পাথর পথে নামবে লাখ কন্ঠের বজ্র।
মুষ্টি বদ্ধ হাত বুকে তাদের প্রত্যয়, নির্ভয় অস্ত্র।
এ অভিশাপ নয়, আমাদেরই হাতে ফাঁসির রজ্জু ,
ঝুলবে পাপিষ্ট, চলবে শত্রু নিধন যঞ্জ।
আসুক, তোমার রক্তচোষক, পার পাবে না-
লিখতে তোমার ললাট লিপি, আমরা চির নির্ভয়-
শত্রু নিধনে খাড়া, ত্রিশূল, চক্র লয়ে
শৃঙ্খলিত তোমার, ত্রানকর্তা রূপে,
আমরা আসবই, কালে কালে, বিধ্বংসের তুফান হয়ে!
০৪ মার্চ - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪