মিথিলা

বাবা (জুন ২০১২)

ফাতেমা প্রমি
  • ২৯
আজকেও আমি একই স্বপ্ন দেখেছি। ঠিক স্বপ্ন নাকি অন্য কিছু কে জানে। আমি জেগে জেগেই এক ভয়াবহ অসম্ভব কোন কিছুর মুখোমুখি হই। ব্যাপারটা যে ঠিক কি, তা আমি জানি না। কিন্তু এটা ঘটছে, এবং সত্যি ঘটছে। এটাই চরম সত্য। একে প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বলা যেতে পারে। আর এ ব্যাপারটাকে অবিশ্বাস করাটাও মনে হয় ঠিক হবে না।
আমি এপ্লায়েড ফিজিক্সের ছাত্র ছিলাম। আমি জানি, আধুনিক পদার্থবিদ্যা কিন্তু প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে বিশ্বাসের পক্ষেই কথা বলে। যখন ঐ স্বপ্নের মত ব্যাপারটা ঘটে তখন আমার চারদিক ঝাপসা হয়ে আসে। চারপাশ কেমন আলোহীন এক ভুবন হয়ে ওঠে। আমি কি দেখি নিজেই ঠিক বুঝি না। চারদিকে ছোপ ছোপ রক্ত। ক্ষীণ একটা সাইরেন বাজছে। আমার হাতে একটা ছুরি ধরে আছি। পাশেই লাশটা পরে আছে। তাতে বোধ হচ্ছে খুনটা আমিই করেছি। আশে পাশে কোন তৃতীয় ব্যক্তি দেখা যাচ্ছে না। বেশ বুঝতে পারছি যাকে খুন করেছি, মানুষটা আমার বাবা, জন্মদাতা।
তার মুখটা আমার সামনে স্পষ্ট হয় না। কিন্তু তার নিকৃষ্ট মুখটা আমার দেখা দরকার। আধো আলো আধারিতে আমি আরও ঝুঁকে আসি, আরও একটু চোখ কচলে তাকাই লাশটার দিকে। কষ্ট, দুঃখ , ঘৃণা কিংবা উল্লাস কিছুই বোধ করি না। শুধু অসহায় পরে থাকা লাশের মুখটা স্পষ্ট ভাবে দেখতে চাই। এই লাশটার কোন ঠিকানা থাকবে না। একে কেউ শেষ শ্রদ্ধা জানাবে না। কেউ আতর, লোবান, বড়ই পাতা সাজিয়ে নিয়ে এর শেষকৃত্য করবে না। কোন শোক-কীর্তন হবে না। আমি আরও একটু ঝুঁকে আসি। চারদিকে সাইরেনের শব্দ তীব্রতর হয়।
এই সময় আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, কিংবা আমি সম্বিত ফিরে পাই। অনেকবার এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই আমি ঘেমে নেয়ে উঠেছি। মাঘ মাসের শীতেও ঘেমে একাকার হয়েছি। আর এখন তো চলছে গ্রীষ্ম। এটা দিবাস্বপ্ন বলে হয়ত উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু কিভাবে উড়িয়ে দেই বলুন? প্রতিবারই আমার হাত ছিল রক্তে ভেজা, তাতে একটা চাকু ধরা।
অথচ, আমাদের ঘরে কোন চাকু নেই। শান্তা চাকু খুব ভয় পায়। ও কাটাকুটি করে বটি দিয়ে। বিয়ের পর আমি যখন ওকে চপিং বোর্ড আর চাকুর সেট কিনে দিলাম, তখনই ব্যাপারটা জানতে পারি। ও চাকু ভয় পায়, খুব ভয় পায়। তাই বাসায় চাকু নেই। বিয়ের আগে থাকতাম শহীদুল্লাহ হলে। সেখানে তো রুমে চাকু থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আজ পর্যন্ত নানা আঙ্গিকে ঐ স্বপ্নের মত ঘোর লেগেছে আমার। ছোটখাট কিছু পরিবর্তন ছাড়া মোটামুটি একই ব্যাপার হয় প্রতিবার। প্রচণ্ড মাথা ব্যাথার সাথে ব্যাপারটা শুরু হয়। আমি দেখতে থাকি সেই চিরাচরিত ঘটনা আর তারপর রক্তাক্ত চাকু হাতে ঘামে ভেজা আমি জেগে উঠি। কি ব্যাখ্যা দেব আমি এর?
***
আমি প্রাইভেট একটা অফিসে ছোট্ট এক চাকরি করি। ন’টায় পৌঁছতে হয়। প্রতিদিন খুব ভোরে শান্তার ডাকে আমার ঘুম ভাঙে। অথবা মিথিলার চেঁচামেচিতে। আজ ঘুম ভাঙল রোদের তাপে। মাঝ জ্যৈষ্ঠের জ্বালা ধরানো তীক্ষ্ণ রোদ। চারপাশে আলো ঝলমল করে দিনটা যেন হাসছে। আয়নার সামনে বসে আছে শান্তা। চওড়া কালো পাড়ের লাল টাঙ্গাইল শাড়ি পরনে ওর। মাথায় ছোট একটা ঘোমটা টানা, লাজুক একটা মুখ। ভালো করে লক্ষ্য করলে কপালে হয়ত টিপ-ও খুঁজে পাওয়া যাবে; পায়ে আলতা। এই মেয়ে কেন যেন সারাক্ষণ নতুন বৌ জাতীয় একটা সাজগোজ করে ঘোরাঘুরি করে। কে বলবে এই মেয়েটা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়েছে, তাও আবার ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টে। আমাকে জেগে উঠতে দেখে পাশে এসে বসল শান্তা।
আমি একটু হাসলাম, “এত বেলা হয়ে গেছে, ডাকলে না কেন?”
শান্তাও পাল্টা হাসি দিল, “ডাকব কেন? আজ শুক্রবার। ভাবলাম একটা দিন একটু আরাম করে ঘুমোও।”
আমার দিকে এক গ্লাস আমের শরবত বাড়িয়ে দিল সে। বেড টি’র বদলে এটা গরমের দিনের নতুন প্রতিস্থাপন। আমি অগ্রহ নিয়ে বরফ কুচি দেয়া শীতল শরবতে চুমুক দিলাম। শান্তার বানানো যে কোন কিছুই অমৃতের মত। তুলনা অবশ্য ঠিক হল না, অমৃত কি আর টক স্বাদের হয়!
শান্তা পাশে বসল, “ কি ভাবছ তুমি? এত চুপচাপ কেন? ”
“না, কিছু না। ভাবছি একটা জুসের দোকান খুললে কেমন হয়? তোমার হাতের যা গুণ, তাতে প্রচুর বিক্রি হবে। বাড়তি কিছু আয় হবে।”
শান্তা রসিকতা বোঝে কম। সে সন্দেহ মেশান গলায় বলল, “ তাহলে তো দোকান ঠিক করতে হবে। ব্লেন্ডারও কেনা লাগবে একটা। অনেক টাকার ব্যাপার”
আমি শব্দ করে হেসে ফেললাম। শান্তার বোকামিতে না, আনন্দে। আমাদের ব্লেন্ডার নেই। শান্তা পাশের বাড়ি থেকে শুধু আমাকে ঠাণ্ডা জুস দেয়ার জন্য প্রতিদিন বরফ আর ব্লেন্ডার চেয়ে আনে। আমার টাকাপয়সা নেই, জৌলুস বা সৌন্দর্য নেই; বাবা নেই। মা ও নেই। শুধুমাত্র শান্তা ছাড়া আমার নষ্ট এই জীবনে কোন ভালো কিছু নেই। শান্তা, আমার শুধু শান্তা আছে; আর মিথিলা। ওরাই আমার বেঁচে থাকার একমাত্র প্রেরণা।
***
আজকে আবারও ঐ ব্যাপারটার মুখোমুখি হলাম। আমার চারপাশ অন্ধকার করে দেয়া নোংরা এক স্বপ্ন। আমার হাতে রক্ত ভেজা ছুরি। এখনো কানে বাজছে সাইরেনের সেই শব্দ। আমি ছুরি ফেলে কান চেপে ধরলাম। কি অসহ্য শব্দ। কি অসহ্য! আমার হাত থেকে ছুরিটা খসে পড়েছে ধবধবে সাদা বিছানায়। বিছানা রক্তে মাখামাখি। আমি চমকে উঠলাম। শান্তার শুচিবায়ুর মত আছে। সে সারাদিন ঘরবাড়ি পরিস্কার করে রাখে। মিথিলা ছোট্ট শিশু। সেও জানে মায়ের এই স্বভাব। আমি আর মিথিলা দুজনেই তাই এই ঘরে কিছু ময়লা বা এলোমেলো করি না।
এখন এই নোংরা চাদর দেখলে শান্তা কি বলবে? আর তাছাড়া এই রক্তের দাগ কিভাবে লাগল? কি জবাব দেব ? আমি দ্রুত চাদরটা তুলে নিলাম। হুইল পাউডার ভিজিয়ে তাতে ডুবিয়ে দিলাম চাদরটা। এখুনি ধুয়ে ফেলতে হবে। সারা বাড়ি খুঁজে মিথিলা বা শান্তা কাউকে দেখলাম না। বোধহয় পাশের বাসায় গেছে, গল্প টল্প করতে। ভাগ্যিস শান্তা আজ পর্যন্ত ব্যাপারটা দেখেনি। কোন না কোন কারণে সেসময় একবারও পাশে ছিল না সে।
আমি চাদরটা ধুয়ে বারান্দায় শুঁকোতে দিলাম। দু’পাশে দুটো ক্লিপ আটকে দিলাম। খুঁটিয়ে দেখছি চাদরটা। তাজা রক্তের দাগ বলেই বোধহয় উঠে গেছে। অবশ্য হালকা একটা দাগের রেখা ফুটে আছে। সাদা চাদরে সেটাই অনেক বেখাপ্পা। হঠাৎ পেছনে ঘুরতেই দেখি শান্তা দাড়িয়ে, আমার বুকে দ্রিম করে ঢাকের বাড়ি পড়ল যেন!
আমি আমতা আমতা করে বললাম, “ ক্কো...কোথায় গিয়েছিলে?”
শান্তা বলল, “মিথিলার স্কুলে গিয়েছিলাম, ওকে আনতে। না গেলেই ভালো হত। তাহলে তুমি আর চাদর ধুতে পারতে না।”
আমি চমকালাম। ও সব জেনে ফেলেছে নাকি?
শান্তা বলে চলেছে, “কাপড়চোপড় আমিই তো ধুই সবসময়। আমি পরিস্কার নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করি বলে তোমাকে কাপড় ধুতে হবে নাকি? ”
আমি আশ্বস্ত হলাম; সাথে সাথেই মিথ্যা বললাম, “ চাদরে কফি পড়েছিল, তাই পরিস্কার করলাম। আরে, এত রাগ করছ কেন? স্বামী চাদর ধুলে তো আর মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না। ”
এই গরমে কফি কেন খেতে হল আমার, কিংবা ঘরে তো কফি নেই। এরকম অনেক প্রশ্ন উঠতে পারত। কিন্তু শান্তা ফালতু টাইপের বৌ না। এত প্রশ্ন করে আমাকে সে মোটেও বিপদে ফেলবে না। রাগ করবে না, চেঁচাবে না। কিন্তু খুব মন খারাপ হলে সে বারান্দায় দাড়িয়ে চোখ মুছবে আর ফুঁপিয়ে উঠবে। আমাকে প্রশ্ন করে করে যন্ত্রণা দেবার চেয়ে বরং আমি কেন ঘরের কাজ করলাম, এটা নিয়েই সে কষ্ট পেতে থাকবে। আহা, কি সরল একটা মেয়ে। শান্তার দিকে তাকালে, আমি আমার দুঃস্বপ্নের কথা ভুলে যাই। ভুলে যাই পিতৃহত্যার স্বপ্ন, ভুলে যাই রক্ত মাখা চাকু। ভুলে যাই তীব্র প্রতিশোধ!
***
আজ প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হচ্ছে। চোখের সামনেটা ঝাপসা হয়ে আসছে। কি বেদনাময় সময় আমার। খুব তৃষ্ণা পাচ্ছে। আমি শান্তা, শান্তা বলে খুব কাঁদছিলাম। ব্যাটাছেলেদের কান্না হল পরাজয়। তবু আমি কাঁদছি। আমি তো পরাজিতই। কেন কাঁদব না? কেন কাঁদব না আমি? আমার জীবনে কেউ নেই- কিছু নেই হতাশা ছাড়া। আমি চিৎকার করে কাঁদতে থাকি। সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে; সঅব কিছু। মাথা ব্যাথা তীব্রতর হয়। আমি কুয়াশা ঢাকা একটা পথে একা দাঁড়িয়ে। সামনের মানুষটার মুখ দেখতে পাচ্ছি না। চেঁচিয়ে বললাম, “তোমার মুখটা শুধু একবার আমি দেখতে চাই। একবার! তাকাও এদিকে।”
লোকটা জবাব দিল, “কি করবে দেখে?”
- চিনে রাখব। পরে কখনো যদি খুঁজে পাই তোমাকে, খুন করব।
- হা হা হা......। খুন??
- হ্যাঁ, খুন। সারাজীবন কত যে খুঁজেছি তোমাকে। তাকাও এদিকে। তাকাও।
- তাকাব কেন? খুন তো মাঝে মাঝেই করছ। করছ না?
- না। এই স্বপ্নের মাঝে না। আমি খুন করব সত্যি। বাস্তবে।
- বাস্তব! কোনটা বাস্তব?
- বাস্তব হল ,বাস্তব। যেখানে আমার শান্তা আর আমি থাকি। ছোট্ট মিথিলাকে নিয়ে আমাদের সেই পৃথিবী।

লোকটা অশ্লীল ভাবে হাসল,
-“ তাই? শান্তা আর তুমি? হা হা হা......তাহলে আমাকে কেন খুন করবে?”
আমি চমকে তাকালাম। হ্যাঁ, তাইতো! কেন আমি একে খুন করতে চাই? কেন? কারণ...... কারণ......
ধোঁয়াটে ছায়ার মাঝে আমি সামনে দাঁড়ানো লোকটার দিকে এক পা এগিয়ে গেলাম। চেপে ধরলাম তাকে, “ আমি তোমাকে খুন করব কারণ, তুমি আমার ‘বাবা’। তুমি আমার বাবা বলেই আমি বাবা হতে পারিনি। আমার নাম তুহিন রহমান; কিন্তু তুমি রহমান সাহেব নও। এজন্যই আমার মিথিলাকে ওরা হত্যা করেছিল।”
আমি চাকুটা বারবার ঢোকাতে লাগলাম লোকটার শরীরে। একসময় আমি ঘেমে নেয়ে উঠি। হাঁটু ভেঙ্গে আমি পড়ে যাই। আমার চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে।

***
বসে বসে ভাবছিল শান্তা। তার সমগ্র অস্তিত্ব জুড়ে থাকা তুহিনের কথা। যার হাত ধরে চারুকলায়, ছাতিম তলায়, টিএসসি আর কার্জন হলের রাস্তায় হাজার স্বপ্ন বুনেছে। তাদের দুজনের স্বপ্ন ছিল ছোট্ট একটা সংসার আর মিস্টি একটা বাচ্চা। মাকে পাশে পায়নি বলেই হয়ত তুহিনের ইচ্ছে ছিল প্রথমে মেয়ে হবে তাদের। নামও ঠিক করেছিল। মিথিলা। প্রাচীন ভারতের এক রাজ্যের নামে নাম।
ফিজিক্সের তুহিন রহমান। এই ছেলেটার সাথে শান্তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। যে নিঃসন্তান দম্পতির পোষ্য সে, এই নাম তাদের দেয়া। তুহিন তাকে বলেছিল, “ তুহিনের পরে যে রহমান, সেই মানুষটা আমার বাবা বটে। কিন্তু জন্মদাতা নন। আমার জন্মদাতা কে আমি জানি না। কিভাবে আমি রহমান সাহেবের বাসায় এলাম তাও জানি না। আমায় যিনি জন্ম দিয়েছিলেন, শুনেছি সে আঁধারের যাত্রী; গোয়ালন্দের বিশেষ বাড়িতে তার বসবাস। তার প্রতি কোন ঘৃণা আমার নেই। হয়ত, ভাগ্যের ফেরে এ দশা মানতে হয়েছে। কিন্ত ঐ বাবা নামের লোকটার কোন ক্ষমা নেই। বাবা, নাহ বাবা বলা যায় কি? স্রেফ জন্মদাতা। কিংবা শুধুই বীর্যদাতা। ”
কথাগুলো আজও কানে বাজে শান্তার। শান্তার তুহিনকে পাওয়া হয়নি কারণ তুহিন এই সমাজে পিতৃপরিচয়হীন একটা পাপ বলে পরিচিত। যে পাপের সাথে সমাজের কারো সম্পর্ক হয় না। যে নষ্ট জীবনের সাথে কারো জীবন জড়ায় না। তুহিন এক নাম না জানা বাবার সন্তান বলেই ওদের মিলন হয়নি। ওরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু বাধ সাধল পরিবার। শান্তা শত চেষ্টায়ও মা-বাবার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করতে পারেনি। কৌশলে তারা তুহিনকে পাঠিয়ে দিয়েছিল কারাগারে, শান্তাকে অপহরণ চেষ্টার মামলায়। কিন্তু শান্তার গর্ভে তখন ছোট্ট মিথিলা খানিকটা বেড়ে উঠেছিল। শান্তা চোখ মুছল, এ ছাড়া কোন উপায় তার সামনে খোলা ছিল না।
সিঙ্গাপুরের এক নামী হোটেলের লবিতে বসে শান্তা তার দুষ্টু মেয়েটির দুরন্তপনা ছিল। তার স্বামী জয়ন্ত গেছে হোটেল রিজার্ভেশন চেক করতে। গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে তারা এখানে এসেছে। মিথিলা তারস্বরে চেঁচাচ্ছে। মেয়ের দিকে চেয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে শান্তা। দেখতে মেয়েটা একদম বাবার মত হয়েছে। না, জয়ন্তর মত না! পুরোপুরি তুহিনের কার্বন কপি হয়েছে মিথিলা!


পরিশিষ্ট
গোয়ালন্দের এক নষ্ট কুটিরে মাঝবয়সী এক মহিলা চোখের পানি ফেলছিল। কে জানে কেন, এত বছর পরে তার খুব কান্না পাচ্ছিল। বুকের ভেতর তোলপাড় করে কান্না।
সেই একই সময়ে রক্তাক্ত চাকু হাতে নিঃসাড় দেহটা পড়ে ছিল ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। চিকিৎসা দেয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। ধারণা করা হচ্ছে ঝিগাতলা ২৬/৭ নিবাসী তুহিন রহমান আত্মহত্যা করেছে। নিঃসঙ্গ এই মাদকাসক্ত যুবক কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা কে জানে কেন, এত বছর পরে তার খুব কান্না পাচ্ছিল। বুকের ভেতর তোলপাড় করে কান্না। ----ওহ, Fine
sraboni ahmed ভাল লাগল। কাহিনী বিন্যাস সুন্দর হয়েছে।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি a dhoroner likha likhte onek oviggotar dorkar hoy....fatema promi apni sotti obak korlen........osadharon! apnar lekhuni mugdho holam...........
রনীল গল্পটা আগেই পড়েছিলাম এফ বি তে... প্রথম ফেইজটা আসলে বিভ্রম সেটা বোঝা যায়নি, ক্যামফ্লজটা ভালো দিয়েছেন। আর একারনেই গল্পটি অন্য একটি মাত্রায় চলে গেছে। প্রতিটি লেখাতে নিজেকে ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়ছেন- এই জিনিষটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মামুন ভাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করছি।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ গল্পে আধুনিকতার জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক । অভিনন্দন ফাতেমা আপু ।
এস.কে.দোয়েল সুন্দর গল্প। ভিন্ন স্বাদ। অভিনন্দন প্রিয়।
আবু ওয়াফা মোঃ মুফতি টোটাল প্রমিটনীয়| চমত্কার!
মিলন বনিক স্বপ্নিল বাস্তবতার মুখোমুখি এক নিরেট সার্থক গল্পের রূপকার আপনি..রীতিমত বুদ হয়ে ছিলাম গল্পে..গল্পের বুনন আর অভিব্যক্তিগুলোও অসাধারণ..ব্রাভো..প্রিয়তে নিলাম কিন্তু....

০৮ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪