প্রতিদিনের মতই ঠিক সোয়া নয়টার সময় ফার্মগেটে আমার অফিসের একদম কাছে স্টার সেলুনে ঢুকলাম। এখানের সবাই আমার চেনা, আমাকে দেখেই তারা হাসিমুখে এসে আমাকে একটা ফাকা চেয়ারে বসিয়ে দিল। বেশ ব্যাস্ত সেলুন এটা, ভিড় থাকে ভালই। কিন্তু আগে থেকে বলে রাখা আছে তাই ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সোয়া নয়টা-সাড়ে নয়টার দিকে আমার জন্য একটা সিট এরা খালি রেখে দেয়। আমি বসে পড়লে একজন নাপিত, নাম হরিপদ, এসে শেভ করা শুরু করল।
সেলুনে আজ ভিড় নেই তেমন। আমি ভাবতেছিলাম সাজ্জাদ সাহেব আজকে সেলুনে আসেন নি কেন। আমার মত সাজ্জাদ সাহেবও সেলুনের একজন রেগুলার লোক, তবে আমি এসে শেভ করাই আর উনি এসে প্রতিদিন পেপার পড়ে যান। পাশেই উনার বিশাল ফার্নিচারের দোকান। ভদ্রলোক বেশ কৃপণ বিধায় দোকানে পেপার রাখেন না, এসে সেলুনে পেপার পড়ে যান ঠিক নয়টার সময়টাতেই, এসময় তার দোকানে ভিড় থাকে না। কারন এসময়টা অফিস টাইম, সবাই অফিসে যায় আর এসময় প্রচুর জ্যামও থাকে রাস্তায় সেজন্য এসময় লোকে দোকানে আসাটা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে।
সাজ্জাদ সাহেব আমাকে প্রায়ই বলেন, “আরে শাকিল ভাই, কি আপনি ডেইলি ডেইলি শেভ করতে দোকানে এসে ৫০-৬০ টাকা নষ্ট করে যান।“
আমি বলি, “কি আর করব, প্রাইভেট চাকরি, নিয়মিত শেভ করা লাগে।“
সাজ্জাদ সাহেব বলেন, “ভাই বাসায় একটা ভাল দেখে আয়না কিনে নিয়ে যান, আমার দোকানেই ভাল মাল আছে আর ভাল কোয়ালিটির রেজর আর শেভিং ফোম কিনবেন, আমি এই ব্যাপারে কখনোই কার্পন্য করি না, সবসময় জিলেট। নিজেই প্রতিদিন শেভ করবেন।“
আমি হেসে আর কোন জবাব দেই না।
হরিপদর কথায় হঠাত ঘোর ভাংল।
“সাহেব, শেভ করা শেষ। এবার আপনার চুলটা আচড়ে দিই?”
“আরে হরি, প্রতিদিন একই কথা বলা লাগবে? আচড়ে হোক কামড়ে হোক, প্রতিদিন আমাকে অফিসের জন্য ফিটফাট করে পাঠাবে, ঠিক আছে?”
হেসে ফেলে হরিপদ। চিরুনী দিয়ে চুল আচড়ে ফিটফাট করে দেয় সবকিছু।
দশটায় অফিস, আমি দশ মিনিট আগেই অফিসে পৌছে যাই।
নানা কাজে কখন সন্ধ্যা হয়ে গেল টের ও পেলাম না। অফিস থেকে বেরিয়ে আমার গাড়িতে চড়ে বসি। ড্রাইভার গাড়ি চালাতে শুরু করে। আমার বাসার খুব কাছে একটা বইয়ের দোকানের সামনে গাড়ি থামাতে বলি কিছুক্ষন পর। এই দোকানেও আমার নিয়মিত আসা হয়। প্রায় প্রতি দুই একদিন পর পর।আমি ছোটবেলা থেকেই প্রচুর বই পড়ি, এখনো অভ্যাস ছাড়ি নি যদিও খুব বেশি সময় হয় না। এই দোকান থেকে আমি প্রচুর বই কিনি সন্ধ্যার জন্য। বইয়ের দোকানি আমার চেনা। আমাকে দেখেই হাসিমুখে সে বই দেখানো শুরু করে। বইয়ের দোকান আমার খুব নিজস্ব একটা জগত। এখানে এসে আমি বইয়ের রাজ্যে ডুব দিয়ে সন্ধ্যার জন্য বই খুজতে লাগলাম, যেমন বিশাল সমুদ্রে ডুবুরি ডুব দিয়ে মুক্তো খুজে আনে।
বই কিনে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত আটটা বেজে গেল। বাড়িতে ঢুকে দেখি সন্ধ্যা বারান্দায় হুইলচেয়ারে করে বসা। আমাকে দেখেই হাসিমুখে সে ঘরে ঢুকল। হুইলচেয়ারের হাতল ঘুরিয়ে সে বেশ দ্রুতই চলতে পারে।
কাছে এসেই শিশুর মত চপলতায় বলে উঠল, “জানো অর্ক্য, আজ না পূর্ণিমা!”
আমি কাপড় ছাড়তে ছাড়তে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে হেসে বলে উঠলাম, “তাই নাকি! আচ্ছা তাহলে আজ রাতে আমরা দুজন একসাথে জোছনা দেখব, রবীন্দ্রসংগীত শুনব, আর তুমি আবৃত্তি করবে তা শুনব।“
“ধুর! অনেকদিন হয়েছে নতুন কোন কবিতার বই তুমি এনে দাও নি। কোন কবিতা আবৃত্তি করব! সবই তো পুরোনো”
“মিথ্যা কথা বল না তো, বেডরুমের টেবিলে গিয়ে দেখ তো একবার। আমি তো এইমাত্র দেখে এলাম ওখানে নতুন কিছু কবিতার বই রাখা।“
মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল সন্ধ্যার।হুইলচেয়ার ছুটিয়ে রুমে চলে গেল ও। সে জানে আমার ঐ কথাগুলোর কি অর্থ। আসলে আমাদের এই সংসারে প্রায় পুরো সময়টাই এরকম ছোটছোট শিশুতোষ নাটিকা মঞ্চস্থ হয়। আমরা দুজনে অলিখিতভাবে ঠিক করেছি এই ছোট্ট জীবনটার সকল দুঃখ-কষ্ট এরকম ছোট ছোট নাটকের আনন্দ দিয়ে ঢেকে রাখার। আমি হাত মুখ ধুয়ে বেডরুমে ঢুকলাম। দেখি সন্ধ্যা নতুন বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখছে, একদম নতুন বই পেলে শিশুরা যেমন করে তেমন। স্মিতহাসি দিয়ে আমি পাশে গিয়ে বসলাম।
হঠাত এমনসময় ও বলে উঠল “আচ্ছা অর্ক্য!”
“জ্বি বল?”
“তোমাকে আমি কতবার একটা আয়না কিনে আনতে বলেছি মনে আছে? এনেছ?”
আমি উত্তর না দিয়ে ওর মুখোমুখি হয়ে বসলাম। আমার হাত দিয়ে ওর দীঘল চুল স্পর্শ করলাম।
“অর্ক্য তুমি তো বলেছ আমি নাকি একদম আগের মত ঠিক হয়ে গেছি, তাই না? ঠিক সেই ভার্সিটির দিনগুলোর মত? কালচারাল সোসাইটির নাটকে আমি অভিনয় করেছিলাম জুলিয়েটের। সেইসময়ে তুমি আমাকে বলছিলে আমাকে দেখেই শেক্সপিয়ের তার চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন। মনে আছে?”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙ্গিন সময়ের স্মৃতি মনে ফিরে আসল।
আমি বললাম,“মনে আবার থাকবে না!”
“তাহলে তুমি আমাকে আয়না এনে দিচ্ছ না কেন?”
এই কথোপকথন আমাদের মধ্যে নতুন নয়। সবসময়ে এই পর্যায়ে কথা এলে আমি যা করি, আজও তাই করলাম।
আমি ওর একদম কাছে আমার মুখ নিয়ে এলাম।
“তুমি আমাকে বিশ্বাস কর না সন্ধ্যা?”
“ওমা! একথা কেন? অবশ্যই করি! আমার নিজের থেকেও বেশি করি।“ কথাগুলো বলতে চোখ সজল হয়ে আসে ওর। ওর চোখ ঠিক যেন হরিণীর মত মনে হয়, সজল কালো টানাটানা চোখ।
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলি,
“তাহলে এই নাও তোমার আয়না। আমার চোখের দিকে ভাল করে তাকাও, তাকিয়ে দেখ। আমার চোখেই তুমি তোমাকে দেখতে পাবে। আর সেই নবম-দশম শ্রেণিতে পড়া বিজ্ঞান, দর্পন হল তা যা আলোর প্রতিফলন করে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে, ভুলে যাও নি তো?“
সন্ধ্যার চোখ থেকে দুফোটা জল গড়িয়ে পড়ল। এরপরেই শিশুর মত হেসে ফেলল ও। আমাকে আলতো ধাক্কা মেরে, “ধুর, যাও।“ বলে সরিয়ে দিল ও।
এমন সময় হঠাত বেজে উঠল আমার ফোন। অপরিচিত নাম্বার। মনে মনে বিরক্ত হলাম। রিসিভ করলাম, “হ্যালো।“
“শাকিল সাহেব বলছেন? আমি মিরপুর থানা থেকে ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন বলতেছি।“
“হ্যা আমিই শাকিল চৌধুরী। বলুন?”
“আসলে সন্ত্রাসী কালা বাদশাকে আমরা এরেস্ট করেছি। আপনাকে একটু আসতে হবে। সম্ভব হলে এখন বা কিছুদিন পরে আপনার স্ত্রী রেহনুমা আখতারকেও একটু আনতে হবে। বুঝেনই তো ব্যাপারটা। তবে আপাতত আপনি আসলেই হবে।“
সময় থমকে যাওয়া বলে কি কোন ব্যাপার আছে? আপেক্ষিকতার সুত্র পড়েছিলাম উচ্চমাধ্যমিকে যখন বিজ্ঞান পড়তাম। সেখানে একটি বিষয় ছিল, কাল দীর্ঘায়ন। কিন্তু সেটা তো একজন পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে অন্যের সময় ধীরে চলার ঘটনা। কিন্তু এখানে আমি নিজেই নিজের সময়কে থমকে দাড়াতে অনুভব করলাম।
“হ্যালো, শুনছেন?”
“হ্যা আমি আসছি”
দ্রুত ফোনটা রেখে দিলাম। ফোনটা রেখে দেবার পরে নিজেকে কেমন যেন অনুভুতিশুন্য মনে হল। মাথা থেকে সবকিছু বেরিয়ে ফাকা মাথায় কেবল কেমন একটা অনুভুতি কাজ করতে লাগল। কিন্তু অনেকটা যেন সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম। সন্ধ্যাকে এসবকিছু বুঝতে না দিয়ে আমি ওকে বললাম,
“অফিসে জরুরী কাজ আছে, আমাকে যেতে হবে এখনি।“
ও অবাক হল। “এইমাত্রই তো এলে”
আমি জবাব না দিয়ে শার্ট প্যান্ট পড়া শুরু করলাম। সবশেষে এগিয়ে গিয়ে ওয়ার্ড্রোবের সবচেয়ে উচু ড্রয়ারটা খুললাম, শেষবারের মত। এই ড্রয়ারটা অনেক উপরে, সন্ধ্যা এর নাগাল পায় না। ড্রয়ার খোলার পরেই বেরিয়ে এল ছড়িয়ে থাকা অনেকগুলো পেপার কাটিং, প্রায় সবগুলোই নানা পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার “ঢাবির মেধাবী ছাত্রীর উপর এসিড নিক্ষেপ” “এসিড নিক্ষেপের পরে মোটরসাইকেল দিয়ে পিষে দিল সন্ত্রাসী” “ প্রেমে ব্যার্থ হয়ে এসিড নিক্ষেত,মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা” ইত্যাদি শিরোনামের খবর।আর কাটিংগুলোর সাথে এক ফ্যাকাশে চেহারার যুবকের ছবি দেওয়া। নিচে লেখা সন্দেহভাজন অপরাধী কালা বাদশা।আমি অনেকবার চেহারাটা দেখেছি, তবু আজ আবারো দেখে নিলাম। পেপার কাটিং এর লেখাগুলো পূর্বাপর আমার জানা, তা না দেখলেও চলে।
পেপার কাটিংগুলোর তারিখ আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগের। এই পেপার কাটিংগুলোর সবগুলোই আমার স্ত্রী, আমার জীবনের একমাত্র প্রেম, আমার কাছে যে সন্ধ্যা তবে সারা পৃথিবীর বাকি সবার কাছে রেহনুমা আখতার, তাকে নিয়ে। ছবির ওই গুন্ডার নাম কালা বাদশা। ওর নামটা অবশ্য অদ্ভুত কারন ও মোটেও কালো নয়, বরং ফ্যাকাশে রঙের। এরপরেও এই নাম কেন তা আমি জানি না। তবে আমি জানি যে স্কুলজীবন থেকেই উঠতি মাস্তান বাদশা ওকে বিরক্ত করত। বিরক্ত করা মানে শুধু বিরক্ত করা নয়, রীতিমত জীবনকে নরক বানিয়ে দিয়েছিল ও। অন্য পরিবার হলে সন্ধ্যাকে বিয়ে দিয়ে বাদশার যন্ত্রনা থেকে বাচত, কিন্তু ওর আধুনিক শিক্ষিত পরিবার তা করেনি, বরং বাদশাকে যথাসম্ভব দমন করে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পর আমরা উভয়েই ম্যানেজমেন্টে পড়া শুরু করি, ঢাবিতে। সেখানেই সন্ধ্যার সাথে প্রেম। বেশ কিছুদিন কোন দেখা ছিল না এই কালা বাদশার।
হঠাত আবার দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে ততদিনে বড়মাপের ক্যাডার হওয়া কালা বাদশার। স্নাতক শেষ হবার কিছুদিন পরেই বাদশা ওকে প্রচন্ড বিরক্ত করা শুরু করে। শুধু ওকে না, আমাকেও সারা দিনরাত যতভাবে সম্ভব হুমকি দিয়ে, বিরক্ত করে আমাদের জীবনের প্রায় সবটুকু শান্তি কেড়ে নেয়।সামনাসামনি একদিন দেখা হয় আমাদের। ও সরাসরি এসে আমার গায়ে হাত তুলতে চেষ্টা করে। ভার্সিটির একদল ছেলে মিলে ওখানে ঝামেলা থামিয়ে দেয়। ওর জ্বালাতনে বিরক্ত হয়ে ফোন নাম্বার পালটে ফেলি আমি আর সন্ধ্যা উভয়েই। তাও এরকম চলতেই থাকে। থানায় জিডি করেও লাভ হয় না। কিন্তু একদিন রাস্তায় ও হঠাত মদ খেয়ে মাতলামো করতে করতে সন্ধ্যার কাছে আসে। ওকে অসম্মান করার চেষ্টা করলে সেখানের জনগন তাকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। পরে সেটাই কাল হয়েছিল। একদিনের বেশি তাকে পুলিশ ধরে রাখতে পারে নি।
জেল থেকে দেশের দুর্বল আইনের ফাক গলে সে বেরিয়েই প্রতিশোধস্পৃহার আগুনে জ্বলতে লাগে। মার খাওয়া কুকুরের মত উন্মাদ হয়ে ওঠে সে। হঠাত একদিন সন্ধ্যায়, সন্ধ্যা আর আমি টিএসসিতে কিছুক্ষন অন্য কিছু বন্ধু গল্প গুজব শেষ করে বাসায় ফিরতে থাকি। ওর বাসা বিপরীত দিকে হওয়ায় ও উলটো দিকে চলে যায়। আমি ওকে নামিয়ে দিতে চাইলেও স্বাবলম্বী ও আত্মমর্যাদাশীল সন্ধ্যা বরাবরের মতই রাজি হয় নি। বাড়ি ফেরার পথে হঠাত সে সন্ধ্যার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে আর মোটরসাইকেল চালিয়ে সন্ধ্যার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকেই সে পলাতক।
তারপরের ঘটনাবলি খুব সংক্ষিপ্ত। সন্ধ্যাকে ঘটনার ট্রমা থেকে বের করে আনতে আমি কিছুদিনের মাথায় ওকে বিয়ে করি। আমার বাবা-মা নেই, আমার দিক থেকে কোন আপত্তি ছিল না। আর সন্ধ্যার বাবা-মাও আমাকে ভাল জানতেন, বিশ্বাস করতেন। বিয়ে হয়ে যায়। শুরু হয় আমাদের গল্পের সংসারের।
ড্রয়ার হাতড়াতেই পেপার কাটিংগুলোর ঠিক নিচ থেকে দুটো জিনিস বেড়িয়ে আসে। একটা সন্ধ্যার স্কলারশিপ সহ যুক্তরাষ্ট্রের একটা ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ করতে যাওয়ার আমন্ত্রনপত্র। আমি সন্ধ্যাকে কিছুদিন আগে জোর করেই এই আবেদনটা করিয়েছি। ওকে বলেছি আমিও একই ইউনিভার্সিটিতে এমবিএর জন্য এপ্লাই করব। ওর আবেদন গ্রহন হয়েছে, আমারটা হয়নি। আমি ভাবতেছিলাম কিভাবে ওকে একা যেতে রাজি করব। ওই বিশ্ববিদ্যালয় ওর অবস্থা জানে, তারা ওর থাকা ও অন্যান্য দেখভালের ভাল ব্যাবস্থাই করবে। কিন্তু আমাকে ছেড়ে ও কখনোই যেতে রাজি হবে না। কি করব বুঝতেছিলাম না।
এখন অবশেষে একটা সমাধান পাওয়া গেল। আমি দ্বিতীয় বস্তুটির দিকে হাত বাড়ালাম। সেটা দেড় বছর আগে কেনা একটা রিভলবার। আমি শান্তভাবে তাতে গুলি ভরলাম। এরপর সেটাকে জামার নিচে সাবধানে লুকিয়ে নিলাম। আসামীকে শনাক্ত করার জন্য নিশ্চয় আমাকে বাদশার কাছে নিয়ে যাবে।