উনুনে হাঁড়ি বসাবার চাল নেই,কিন্তু উদর রাক্ষস খাদ্য চাই তার।তিন-তিনটে সন্তান অনাহারে কেঁদে কেঁদে অবশেষে পেরেশোন।জরাজীর্ণ সংসার রাহেলার,এতটুকু খাব্ নেই।
রাহেলার চলমান সংসার।দু’বছর আগে কলিমদ্দি নামক তার পাষন্ড স্বামী তাকে ছেড়ে সুখের আশে অন্য রমনীর হাতে হাত রেখে সুদূরের পথে দিয়েছে পাড়ি। সহায়হীন রাহেলার সংসার আজ চলমান।আজ এখানে তো কাল ওখানে তিন সন্তানকে সঙ্গী করে রাহেলার চলাচল।
তবুও চলে যায় রাহেলার সংসার। কষ্টের আঁসু তার নেত্রদ্বয়ে অবিরাম বসতি গড়ে,বস্তির আবাস তাকে ত্যাগ করেছে সেই কবে। চলতে চলতে রাহেলার সংসার অবশেষে আশ্রয় খুঁজে পায় ফুটপাতে।
সম্বলহীন রাহেলার সংসার। সঙ্গী তার তিনটে সন্তান।আগামি দিনের ভোটার। অবহেলিত জন। জন-অরণ্যে স্ব-জাতির অবহেলায় তাদের বেড়ে ওঠা চুপচাপ চেয়ে দেখে সময়, আজকাল রাহেলা যেদিকেই তাকায় দু’চোখে দেখে শুধু ওয়েসিস।
থেমে থাকে না কিছুই,অর্ধাহারে অনাহারে তবুও চলে রাহেলার সংসার।চলাচল তাকে বলে না, প্রতিনিয়ত সমাজের চাপে রাহেলা হয়ে যায় জেরবার।চুপচাপ রাহেলা শিশু সন্তানদের মুখপানে চেয়ে রয় ,আর ভাবে শুধু ভাবে-কেন, কেন আমরা সবাই হলাম এ জীবনে কমবখত।
পথিমধ্যে পরে রয় রাহেলার সংসার। না খেয়ে- আবার কখনো কিছু কাজের বিনিময়ে খাদ্য জোটে তাদের উদরে।তখন খেয়ে চলে অভাগী রাহেলার সংসার।এভাবেই শত শত রাহেলার সংসারে বেড়ে ওঠে আগামি দিনের ভবিষ্যত।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাদিক ইসলাম
আবার পড়লাম রাহেলার কষ্টের কাহিনী। শুভেচ্ছা ও ভোট রইলো।
বালোক মুসাফির
এক কথায় অসাধারন ভালো একটি কবিতা। কিন্তু কবি বন্ধু আমার এই কবিতায় এই সংখ্যার বিষয় বস্তুর কোন মিল খুঁজে পাইনি। তবুও শুভকামনা নিরন্তর সাথে আমার গল্প ও কবিতার পাতায় আমন্ত্রণ ।
ম নি র মো হা ম্ম দ
মুখপানে চেয়ে রয় ,আর ভাবে শুধু ভাবে-কেন,
কেন আমরা সবাই হলাম এ জীবনে কমবখত।।।শুভকামনা নিরন্তর! সময় হলে আমার কবিতার পাতায় এসে আপনার মন্তব্য জানালে অনুপ্রাণিত হব।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।