১।
সময়ঃ দুপুর ২:৩০
আধা ঘন্টা যাবত হাসান বিজয় সরণীর সিগনালের জ্যামে। বাসের পেছনের দিকে, জানালার পাশের একটা সিটে বসে দরদর করে ঘামছে আর ঝিমাচ্ছে।
আজ প্রচন্ড গরম পড়েছে। গত কয়েক বছরে কেন, হাসানের ৩৬ বছরের জীবনে কখনও এত গরম পড়েনি। মধ্য দুপুরের কাঠফাটা রোদ এখন। মানুষজনের প্রান প্রায় ওষ্ঠাগত। গত কয়দিনের গরমে অনেকেরই হিট স্ট্রোক হচ্ছে। ডাক্তাররা বেশী বেশী পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
কিন্তু হাসানের মতো ছাপোশা মানুষদের ঘরে বসে থাকলে চলে না। তাকে টিউশনিতে যেতে হবে। বয়স ৩৬ হয়ে গেলেও সে ভালো কোনো চাকরি পাচ্ছে না। সরকারি চাকরির বয়স তো শেষই প্রাইভেট চাকরিতেও সে সুযোগ পাচ্ছে না। আবেদন সে কম করে না কিন্তু ইন্টারভিউতে ডাক পায় না। যদিওবা পায় নতুন পাশকরা ক্যান্ডিডেটদের সাথে সে পেরে ওঠে না।
তবে সে যে খুব একটা খারাপ আছে তা নয়। ঢাকা শহরে তিনটা টিউশনি করে। সাধারনত দেখা যায় টিউশনির ছাত্রের পরিবার গুলো যতই বড়লোক হোক না কেনো শিক্ষকের বেতন নিয়ে টালাবাহানা করে। এদিক দিয়ে তার ভাগ্য বেশ ভালোই বলতে হবে। তিনটার মধ্যে দুটা তার মেসের পাশেই । খুব বেশী পায় না, দুটা মিলে হাজার দশেক। কিন্তু নিয়মিতই মাস শেষে পেয়ে যায়। সবচেয়ে বেশী পায় ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে একটা স্টুডেন্ট কে পড়িয়ে। সেখানেই এখন সে যাচ্ছে,পনের হাজার টাকা শুধু ওকে পড়িয়েই পাওয়া যায়। এরকম আরো দুটো পেলেই হতো। হাসানকে এই আয় থেকেই মেস ভাড়া, খাওয়া খরচ দিয়ে কিছু বাড়িতে মা- বাবাকে পাঠাতে হয়।
ভালোই চলছে দিনকাল শুধু বয়স হয়ে গেলেও বিয়েটা করা যাচ্ছেনা। টিউশনি করা আর বেকার থাকা সমাজের চোখে সমানই। হাসান ঠিক করে রেখেছে, কোন একটা জব জুটাতে পারলে দুমাসের মধ্যে বিয়ে করেবে সে। পাত্রি তার পছন্দ করা আছে, শুধু সাহসের অভাবে বলা হচ্ছে না মেয়েটাকে। বলবেইবো কোন মুখে, তার কি আর চাল চুলো কিছু আছে নাকি?
"ও ভাই ভাড়া দেন, ঘুমান কেন?"
বাস কন্ডাক্টরের কথায় সংবিত ফিরলো হাসানের। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ঝিমাচ্ছিল।
মানিব্যাগ খুলে ভাড়া দিলো।
শরীরটা আজ তার একবারেই ভালো ছিলোনা। গরমে নাজেহাল অবস্হা। টিউশনি গুলোতে যেতে ইচ্ছে করছিলো না। মেসের পাশের টিউশনি দুটা রাতে তাই চিন্তা ছিল না। সকালে ক্যান্টনমেন্টের স্টুডেন্টে কে ফোন করে জানিয়েছিল যে সে আজ পড়াতে যাবেনা, শরীর ভালো না।
ঘন্টা খানিক পরই, ১১:৩০ এর দিকে ওর মোবাইলে একটা ফোন এলো, স্টুডেন্টের মায়ের। ভদ্রমহিলা বেশ ভদ্রভাবেই তাকে অপমান করে বললেন হাসানের কাছে তার ছেলে ফাকি দেয়া শিখছে। আজ না গেলে যেনো আর কখনও না যায়। হাসানের আয়ের সিংহভাগ আসে এই টিউশনি থেকে তাই তাকে এই হুমকি আমলে নিতে হলো, রওনা হয়ে গেলো ঘন্টা খানিকবাদেই।
২।
সময়ঃ দুপুর ৩:০০
সিগনালটা অবশেষে ছাড়লো, বাস চলতে শুরু করেছে। হাসান উঠে দাড়ালো, আর বেশিক্ষন লাগবেনা। অনেক ভীড় আজ এই বাসে, কোনরকমে ঠেলেঠুলে পথ করে নিলো। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে ওর নামার স্টপেজে এসে থামলো বাস। হাসান নেমে পড়লো।
নেমেই বুঝতে পারলো তার পকেটমার হয়েছে। বাস ততক্ষনে এগিয়ে গেছে অনেক, বোকার মতো চেয়ে রইলো সে খানিকক্ষন। মানিব্যাগে দশ হাজার টাকা ছিলো, বাড়িতে পাঠাবে বলে নিয়ে এসেছিল। আর ছিল একটা লটারির টিকেট। অন্য আর সব ভাগ্য বিড়ম্বিত যুবকের মতোই সেও নিয়ম করে লটারির টিকেট কেনে। যদিও কোন পুরষ্কার পায় না কখনও। সে শুনেছে লটারির টিকেট হারিয়ে গেলে কিংবা কাউকে দিয়ে দিলে সেই নাম্বার পুরষ্কার জিতে যায়। তার বেলায়ও তাই হবে?
হাসান তার স্টুডেন্টের বাসার দিকে এগিয়ে গেলো। প্রয়োজনের চেয়ে আজ অনেক বেশী সময় ধরে পড়ালো। জটিল একটা ম্যাথ সমাধান করতে দিলো স্টুডেন্টকে। হাসান ভাবছে, বাড়িতে কি জবাব দেবে। তার পাঠানো হাজার দশেক টাকায় সংসার চলে। হাতে আর কোনো টাকা নেই। বাকি আর যা পেয়েছিল এমাসে তা দিয়ে মেস ভাড়া, খাওয়া খরচ দেয়া হয়েছে, দুহাজার মতো ঘরে রাখা আছে। কিন্তু বাড়িতে সংসার চলবে কিভাবে ভাবতেই হাত- পা সব ঠান্ডা হয়ে আসছে হাসানের।
হাসান একটা বাজে কাজ করে ফেলেলো। স্টুডেন্টের কাছে ধার চেয়ে বসলো হাজার দশেক। অভাবে স্বভাব নষ্ট আর কি!
এর ফলাফলটা বেশ বাজে হলো। স্টুডেন্টের মা বিষয়টা তখনি জেনে গেলেন। বেশ ভালোই অপমান করলেন। হাসানের টিউশনিটা চলে গেলো।
৩।
সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:৩০
হেটে হেটে আজ মেসে ফিরলো হাসান। পকেটে ১টা টাকাও ছিলোনা। সিড়ি ভেঙে তিন তলায় নিজের ঘরের দিকে এগিয়ে গেলো ও। ক্লান্তিতে শরীর নুয়ে আসছে, মাথাটা বন বন করে ঘুরছে। কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেনা হাসান কি করে চলবে সে? এ বাজারে ভালো আরেকটা টিউশনি ও কিভাবে জোগাড় করবে। কিভাবে বাড়িতে টাকা পাঠাবে। ও নিজেই বা চলবে কিভাবে? অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর ভাবতে ভাবতে চাবি দিয়ে ঘরের তালা খুললো সে। ঘর অন্ধকার, ইলেক্ট্রিসিটি নেই।
ঘরের মেঝেতে পা রেখেই বুঝতে পারলো ও, সমস্ত মেঝে পানিতে ভেসে যাচ্ছে। হাত ধোয়ার একটা বেসিন আছে ওর ঘরে, সেটা থেকে পানি উপচে উপচে পরছে।
দৌড়ে গিয়ে কলটা লাগানোর চেষ্টা করলো, বন্ধ হচ্ছেনা। আশ্চর্য, সে তো কলটা খোলা রেখে যায়নি! তাহলে কিভাবে খুললো? এভাবে পানি পড়ছে কেনো? বন্ধ হচ্ছেনা কেনো?
ঘরে প্রায় ভালোই পানি জমে গেছে, আধহাত তো হবেই। হাসান ব্যাস্ত হয়ে পড়লো, পানি পড়াটা থামাতেই হবে। বেসিনের নিচে একটা কেবিনেট মতো আছে। ওর ভেতরে পাইপ আর মাস্টার ভাল্ভ। হাসান নিচু হলো, ভাল্ভটা বন্ধ করতে হবে। কেবিনেটের দরজাটা খুললো ও। অন্ধকারে হাতরেও পাইপ টা খুজে পেলোনা। আরেকটু ভেতরে ঢুকলো ও, পেলো না।
উবু হয়ে বসে আরো ভেতরে গেলো। পুরো শরীরটা ঢুকিয়ে ফেললো কেবিনেটে। আশ্চর্য ব্যাপার! কোথাও পাইপ নেই। হাসান হামাগুড়ি দিয়ে এগোলো। সত্যিই পাইপটা নেই।
তাহলে পানি অাসছে কোথা থেকে? হাসান আরো এগোলো। আশ্চর্য! এগোতেই থাকলো। কিন্তু কেবিনেটের পথ শেষ হচ্ছেনা। হাসান এগোতেই থাকলো। মাথাটা কেমন যেন ঘুরাচ্ছে ওর। হাসান থামলো না। এর শেষটা দেখতে চায়, ও এগিয়ে যেতে লাগলো।
৪।
সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:৩০
হঠাৎ করেই কেবিনেটটা শেষ হয়ে গেছে। একটা আলো মতো দেখা যাচ্ছে। আরেকটু এগিয়ে হাসান দেখতে পেলো বাইরে একটা আলো ঝলমলে ঘর। হাসান বেরিয়ে এলো।
খুব সুন্দর এই ঘরটা। দামি আসবাবে সাজানো, মেঝেতে টার্কিশ কার্পেট। ঘরে একটা ডিজিটাল ঘড়ি। ৬:৩০ বেজে আছে, কিন্ত সালের ঘরে ২০৪২ লেখা। হাসান চমকে গেলো। ও তো জানে এটা ২০১৭ সাল, ২০৪২ হলো কিভাবে? তবে কি সে টাইম মেশিন টাইপ কিছুতে করে এখানে চলে এসেছে? সেটা কি করে সম্ভব? এসব তো গল্প! কিভাবে আসলো? কে আবিষ্কার করলো এই মেশিন? নাকি স্বপ্ন দেখছে?
হাসান রুমটা থেকে বেরিয়ে পাশের রুমে গেলো। এ রুমটা খালি। শুধু একটা রকিং চেয়ার। ওপাশে মুখ করা। কেউ একজন বসে আছে। সামনে পিছে দুলছে রকিং চেয়ারে বসে।
হাসান এগিয়ে গেলো।
রকিং চেয়ারের দুলুনি বন্ধ হয়েছে। লোকটা উঠে দাড়ালো। ওর দিকে ফিরলো।
হাসানরে মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। সামনে অবিকল আরেকটা হাসান দাড়িয়ে! কিন্তু এই হাসানের বেশ বয়স। বুড়োই বলা চলে। তবে এখনও শক্ত সমর্থ। দেখে বোঝা যায় বেশ ধনী, পরনে দামি পোশাক।
বুড়ো হাসানই প্রথেমে কথা শুরু করলো।
Welcome হাসান! কেমন আছো? অবাক হয়ো না। আমি হচ্ছি তুমি। তোমার ভবিষ্যত আমি।
হাসানের মুখে কথা সরলো না। অনেক কষ্টে সে কথা বলতে পারলো।
এটা কিভাবে সম্ভব?
বুড়ো হাসানের মুখে রহস্যের হাসি।
কিভাবে সম্ভব তা তুমিও জানো হাসান। ইটস টাইম মেশিন।
বলো কি? এটা আবার কবে আবিষ্কার হলো?
২০৩৪ সালে, বাংলাদেশী Scientist আবদুল গাফফার আবিষ্কার করেছে।
সর্বনাশ! ওতো আমার বন্ধু! গাধাটা এরকম একটা আবিষ্কার করলো! কি সাংঘাতিক। ওযে এমন কিছু করবে আমি জানতাম।
মোটেও জানতাম না। ওকে আমি এড়িয়ে যেতাম সবসময় বিভিন্ন বিষয়ে গিনিপিগ বানাতে চাইতো বলো।
হা হা হা। তা যা বলেছো। তা যাই হোক, ব্যাটা একটা কাজের কাজই করেছে। নিশ্চই খুব হইচই পড়ে গেছে?
কিভাবে বলবো? ওতো এটা ডিসক্লোজ করেনি এখনও।
তার মানে তােমাকে গিনিপিগ বানানো হয়েছে? হা হা হা মজা পেলাম।
শোনো, আমি ২০৩৪ সাল থেকে তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি। এটা ২০৪২ সাল। আমার এ পর্যন্ত বাঁচার কথা না, আর এত ধনীও আমি না। আমি বলতে হেলে হতদরিদ্র। ২০১৭ সালের ওই পকেটমারের ঘটনার পর তোমার যে টিউশনিটা চলে গেলো, এরপরই আমি চরম দুর্দশায় পড়ে যাই।
বলো কি? সর্বনাশ!
হুমম। সর্বনাশই হয়েছিল। ২০১৭ থেকে ২০৩৪ পর্যন্ত মানবেতর জীবন কাটিয়েছি বলতে গেলে। সব টিউশনি গেলো, চাকরি পেলামনা, বাড়িতে টাকা পাঠাতাম না, বস্তিতে থাকতাম, চুরির দায়ে জেলে গেছি বেশ কবার।
কি সাংঘাতিক!
সাংঘাতিক তো বটেই। আমি যেখান থেকে এসেছি মানে ২০৩৪ সালে হঠাৎ একদিন গাফফারের সাথে দেখা। সব শুনলো আমার। সাহায্য করতে চাইলো, তবে টাকা দিয়ে নয়।
তাহলে কিভাবে, টাইম মেশিন দিয়ে?
হুমম। টাইম মেশিন দিয়ে। তোমার মনে আছে একটু আগে, মানে তোমার ২০১৭ সালে ক্যান্টনমেন্টে স্টুডেন্ট পড়াতে গিয়ে তোমার পকেটমার হলো?
মনে না থাকার কোনো কারন আছে কি? মাত্রই তো হলো।
ও হ্যা। তোমার জন্য মাত্রই তো হলো। যা বলছিলাম, তোমার মানিব্যাগে একটা লটারির টিকেট ছিলাে মনে আছে?
কি মনে আছে মনে আছে শুরু করলে! বলে যাও।
ওহ সরি। কপালের কথা আর কি বলবো, ওই টিকেটের নাম্বারটা ১ কোটি টাকা জিতেছিলো। এখন অবশ্য ১ কোটি সামান্য টাকা কিন্তু তখন ওই টাকা অনেক।
ইয়া আল্লাহ ! কি ভয়ংকর! টিকেটটা না হারালে তো আমি বড়লোক হয়ে যেতাম!
সত্যই বড়লোক হয়ে যেতে। এই বাড়িটা দেখছো, এটা তোমার। লটারির টাকা পেয়ে তুমি ব্যাবসা করে অনেক বড়লোক হতে, পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে সুখি হতে! তা না করে বেকুবের মতো টিকেটটা হারালে, আর আমি জীবনভর কষ্ট করলাম।
বলো কি? সেদিন না বের হলে আর এরকম হতো না। কেনো যে বেরোলাম! আফসোস।
আফসোস তো বটেই। আমি ২০৩৪ সাল থেকে এসেছি ব্যাপারটা সংশোধন করতে।
কিভাবে? কিভাবে সংশোধন করবে?
আমি তোমাকে আবার ২০১৭ সালে পাঠাবো, তুমি সংশোধন করবে।
কিভাবে? কিভাবে সংশোধন করবো?
সেটা তুমি জানো, আমি তোমাকে গাইড করবো না। শুধু একটা কথা মনে রেখো। টাইম মেশিন কোনো সাধারন মেশিন না। তুমি যদি সংশোধনের কাজটা করতে ব্যার্থ হও, আমি এখানে আটকা পড়বো। ঘুরতেই থাকবো, ২০৪২ সাল থেকে হঠাৎ হারিয়ে যাবো। আর তোমাকে কষ্টের মধ্য দিয়ে ২০৪২ পর্যন্ত কাটাতে হবে, তারপর তুমিও হারিয়ে যাবে।
তোমার কি মনে হয় কাজটা আমি পারবো?
জানি না, হয়তো পারবে; হয়তো না। এখান থেকে যাবার পর তোমার কিছু মনে থাকবে না।
আমাকে পারতেই হবে।
নিশ্চই। এসো বিদায় নাও বন্ধু, সময় শেষ।
বিদায় বন্ধু। বিদায়।
হাসান নিচু হয়ে বসে কেবিনেটের ভেতর ঢুকে গেলো। হামাগুড়ি দিয়ে এগোতে লাগলো। পথ যেনো আর শেষ হচ্ছে না।
সামনে ওটা কি? আলো নাকি!
৫।
সময়ঃ সকাল ১১:৩০
হাসানের শরীরটা আজ ভালো না। আজ প্রচন্ড গরম পড়েছে। গত কয়েক বছরে কেন, হাসানের ৩৬ বছরের জীবনে কখনও এত গরম পড়েনি। প্রচন্ড গরমে সে নাজেহাল। ক্যান্টনমেন্টের টিউশনিটায় আজ যাবেনা, স্টুডেন্টকে ফোনে না করে দিয়েছে। সারাটা দিন আজ রেস্ট নেবে। স্টুডেন্টের জাদরেল মা ফোন করে যেতে না বললেই সে বাঁচে।
ইলেকট্রিসিটিটা চলে গেলো। হাসানের শরীরটা গরমে আরো ক্লান্ত লাগছে।
মোবাইলটা বেজে উঠলো। হাসানের ফোন ধরতে ইচ্ছা করছে না। তবুও মোবাইলটা হাতে নিলো, ফোনটা করেছে তার স্টুডেন্টের মা।
হাসান কি ফোনটা ধরবে?