অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ক্যাম্পাসের পাশের রাস্তা দিয়ে হেটে চলেছে আশিক।পরনে তার হালকা রঙের পান্জাবী। হাতে গোলাপ ফুল।এদিকে দিপ্তী আজ হালকা আকাশী রঙের শাড়ি পড়ে বারবার নিজেকে দেখছে আয়নায়।প্রায় সাড়ে তিন বছর হয়ে গেছে তাদের বিয়ে তবে বিয়ের পরও তাদের দু জনের দেখা হয়েছে হাতে গোনা কয়েকবার। আশিক ঢাকায় চাকরী করে।সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকে।সেভাবে দিপ্তীকে সময় দিতে পারে না। ছুটি তার নাই বললেই চলে।ছুটির জন্য আবেদন করলে বস তার ছুটি মন্জুর করে না। এদিকে দিপ্তী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে তার পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত।আশিক ফ্রী হলে দিপ্তী ব্যস্ত তো দিপ্তী ফ্রী হলে আশিক ব্যস্ত। এমনি চলছিল।দুই জনই অধীর আগ্রহ নিয়ে থাকতো এই বুঝি ফোনটা বেজে উঠবে কিন্তু ঠিক সময়ে বেজে উঠতো না।দিন শেষে সেইটা একে অপরের রাগে পরিণত হতো। সব ছাপিয়ে দিন শেষে তুমুল ঝগড়া।শেষমেষ ফোন বন্ধ, কথা বলা বন্ধ, খাওয়া ঘুম সব বন্ধ। দুই তিনদিন পর সব স্বাভাবিক হলেও আগের অবস্থা স্বাভাবিক হল না। এভাবেই চলে গেল সাড়ে তিন বছর। আজ আশিক অনেকটা জোর করে ছুটি নিয়ে এসেছে। টানা তিন দিনের ছুটি শুধু মাত্র দিপ্তীর জন্য।ইতিমধ্যে সে দিপ্তীর ক্যাম্পাসের গেটের সামনে উপস্থিত। সামনে তাকিয়ে দেখে দিপ্তী তার দেয়া প্রথম শাড়িটি পড়ে এগিয়ে আসছে হাসতে হাসতে। কাছে আসতেই হাসি উধাও! চোখ মুখ গরম করে দিপ্তী চেঁচিয়ে উঠে বলে "এতদিন লাগে ঢাকা থেকে খুলনা আসতে।ঢাকায় কি আরেকটা বউ পেয়েছ? আামাকে দেখতে ইচ্ছে করে না? " আশিক কোন কথা না বলে তার হাতের গোলাপ খানি দিপ্তীর সামনে তুলে ধরে। তারপর বলে "এতদিন পর তোমায় দেখে নতুন করে যে প্রেমে পড়লাম আর তোমার এই ঝাড়ি শুনলাম। ঘন ঘন আসলে তা কি এমন হতো!! "।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
গোবিন্দ বীন
ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম ।পাতায় আমন্ত্রন রইল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।