খুঁজে ফিরি তোমাকেই বাবা

বাবা (জুন ২০২৩)

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
মোট ভোট ২৩ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৪.৭৫
  • 0
  • ১১৭
এ চোখ ভিজে গিয়ে মেঘ হয়েছে পানি আর শরীর হয়েছে নদী-
তবুও তো দেখতে আসোনি!
এই যে সাতাশটি শ্রাবণ পেরিয়ে গিয়েছে
পহেলায় গিয়েছ চলে-
ছাব্বিশটি উত্তাল সমুদ্রে জমিয়েছি হাহাকার,
জমিয়েছি অভিমানের রাজপ্রাসাদে বেয়ে আসা উন্মাদনা-
বিদীর্ণ করে দিয়েছে বর্জকণ্ঠের সাংসারিক স্লোগান
যে ভাবে শতসহস্র বছরের উষ্ণতার দেয়াল ভেঙে পড়ে রয়
যে ভাবে উত্তাল সমুদ্রে বেসামাল হৃদয়ের স্পন্দন নিয়ে পড়ে থাকে নাবিক
সে ভাবেই আছি বরাবর, সেভাবেই ক্লেদাক্ত ঘোলাচোখ ভীষণ তুফান নামায়!

অনুভূতির শহরে নিরন্তর জেগে উঠা মুখোশ আর স্বপ্নের ইতিবৃত্তে নিরন্তর দহন কিংবা
প্রতিটা মধ্যরাতে স্মৃতির ধুলিমাখা সংলাপ জমানো অব্যক্ত অভিধানে
রাফখাতায় ঝড় উঠে অনাকাঙ্ক্ষিত মেঘের স্লোগান আর অসমাধিত কষ্টের তীব্রতম অনুতাপ-
এভাবে হারিয়ে যাই অনিঃশেষ মোহনায়;
যেন নিঃসঙ্গ চিল আর তুমিহীনা বহ্নিশিখায় জমানো এক একটি ঋণ-

প্রিয় মুখের হাসিরা আজ আর্তনাদ জমিয়ে তুলে ক্রোধের শহরে-
প্রতিনিয়ত আঘাতে নিরুদ্দেশ ধূম্রে-মুচড়ে দেয় জীবনের রীতিনীতি-
নীল কষ্টের জলপতনে অসুখী শহরে আরো ভূমিকম্প, আরো সুনামী, আরো তীব্রতম সমুদ্রঝড়-
একাই তুলি, একাই নিস্তব্ধতার শহর ফিরে দেয় এক একটি শোক!

তুমিহীনা কত প্রতিবেশী রক্তাক্ত করে দেয় নিষ্পাপ চোখ-
স্বাধীনতার দেয়াল ভেঙে-চুড়ে জরাজীর্ণ করে তুলে স্বপ্নিল বাড়ি;
ধিক্কার দেয়, মরণব্যাধি আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে রক্তের স্বজন;
শোকের জলপতনের অসুখী বেড়িবাঁধ, কষ্টের জোয়ারের বাঁধে নীড় আর
দ্বীধার বিন্দুতে জমে তীব্র অবহেলা-
বাবা তবুও তো এলে না!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মোখলেছুর রহমান অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা প্রিয় কবিদাদু
Jamal Uddin Ahmed অনেক অনেক অভিনন্দন।
ওমর ফারক শ্রাবনের ভালবাসা হোক সকলের জন্য।
ফয়জুল মহী চমৎকার লিখেছেন,নান্দনিক উপস্থাপন, শুভকামনা রইলো, কলম চলুক অবিরত।
মোঃ মাইদুল সরকার দারুন কবিতায় ভোট রেখে গেলাম।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বাবা ছাড়া পৃথিবী যেন এক একটা মরুভূমি কিংবা এক একটা উত্তাল সমুদ্র। সমস্ত ঝড়-ঝঞ্ঝায় বাবা সন্তানের জীবনে ছায়া হয়ে থাকেন। যখন বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তখন আপন- পর, আত্মীয় স্বজন কেউ সন্তানের জীবনে ছায়া হয়ে থাকতে চায় না। বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ হতে অনেকাংশ কষ্ট হয়ে যায়। যেন এক একটা জীবন যুদ্ধ। উক্ত লেখাতে লেখক সাতাশটি শ্রাবণ হয়েছে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং ১ম শ্রাবণ শেষেই বাবাকে হারিয়েছেন। এখন ছাব্বিশটি শ্রাবণ মানে বাবাকে হারানোর ছাব্বিশ বছর হয়ে গেছে অথচ সমাজ, প্রতিবেশি ও আত্মীয়স্বজনের দেওয়া ব্যাথার কথা প্রকাশ করেছেন। তাদের আচরণ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। বাবাকে ছাড়া বেদনা ভরা জীবনের কষ্ট তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। বাবা ফিরে আসবে না আর আসা সম্ভবও নয়। রবের হুকুম চিরন্তন সত্য। তবুও আবেগ প্রকাশ করে বলেছেন- বাবা কই তবুও তো এলে না। উক্ত দিকটা বিবেচনা করলে‘বাবা' বিষয়ের সাথে `খুঁজে ফিরি তোমাকেই বাবা’ কবিতাটি সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যতা পাবে বলে আমার শতভাগ বিশ্বাস।

২২ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬৯ টি

সমন্বিত স্কোর

৪.৭৫

বিচারক স্কোরঃ ২.৪৫ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৩ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪