কি অদ্ভুত এই বিষণ্ণতা____! মা, কিভাবে সয়ে যেতে তুমি নিদ্রাহীন ঐ ঝাপসা চোখে তাকিয়ে থাকা রোজ; কোন খবর আসেনি বলে ছুটে চলা খরস্রোতা নদীটির ঢেউ ভাঙা জলে আমার অসুস্থতায় ভীষণ এক কাব্য রচিত হয়ে যেত তোমার বুক চাপা আর্তনাদে! রোদ আর বৃষ্টির খেলায় ভেজা আর শুকনো স্পর্শতার কিনারায় বিছিয়ে দিলে যখন শঙ্খ নদ___ মেঘের সাথে ছুটে চলা তোমার কাল্পনিক চুম্বনের ঢেউ বাতাসের চেয়ে তীব্র গতিতে তখন ছুটে এসে আমাকে দিতো শান্তির প্রয়াস; আমি উজ্জীবিত হয়ে সারা শরীর মেখে নিতাম তোমার আদুরে প্রেম!
কতদিন আমার ঘুমকাতুর চোখে পাশে শুয়ে বাড়িয়ে দিতে গল্পের রেষ- চুপটি করে শুনতাম, কত প্রশ্ন করে যেতাম রাগ হতে না কোনদিন; সব একাকার হলেও পিচ্ছিল গিরিখাত থেকে ফিরে আসতো তোমার মায়াজাল; সব নিয়ম ভেঙে শাড়ীর আঁচলে বেঁধে দিতে ভালোবাসার এক অমীমাংসিত বোধ।
মা কোথায় হারিয়ে দিলে আজ তোমার সেই সোনালি দিন নিখুঁত তুলিতে আঁকা তোমার সমস্ত প্রেমের উচ্ছ্বাস; অথচ এই ত্যাগের বিনিময়ে একটা অন্ধকার আঁতুড় ঘর ছাড়া আর কী দিতে পেরেছি মা?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
মা ছোট একটি শব্দ। কিন্তু তার প্রতিটি স্তবকে লুকিয়ে আছে সীমাহীন মমতা। এই যে জন্মধারণ করে আমাদের জন্মগ্রহণ। এরপর দুধপান করিয়ে, কত জ্বালাতন সহ্য করে, কতো ঘুম নষ্ট করে, খানা বেছে বেছে খেয়ে কত খানা কুরবানি দিয়ে আমাদেরকে বড় করেছেন৷ এরপর মানুষ করে গড়ে তুলেছেন। তার মানে তিনি কতো যে ধৈর্য ধারণ করে, হাজারো ত্যাগ স্বীকার করে আমাদেরকে মানুষ করেছেন সেটা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। অথচ মা যখন বৃদ্ধ হয়ে যান, তখন আমরা কতোটুকু মূল্য দিই। একটা অন্ধকার আঁতুড় ঘর ছাড়া আর কি বা দিয়ে থাকি।।
এবারের "ত্যাগ" বিষয়ের সাথে আমার লেখাটি ব্যাখ্যা করলে আশা করি শতভাগ মিল খোঁজে পাবে।।
২২ ডিসেম্বর - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
৬৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।