জাগতিক প্রেম

পার্থিব (জুন ২০১৭)

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
.
সুজন এখন মেঘনা নদীর মাঝি। বাবার ইনকামের নগণ্যতার কারনে সুজনকে স্কুলের মুখ দেখাতে পারলো না। বাবা মেঘনা নদীর রহিম মাঝি নামে লোক সম্মুখে পরিচিত। সুজন তার জীবনের সাত- আট বছর বয়স থেকে নৌকায় যাওয়া শুরু করে। কিছু করার ছিল না, কারন বাবার কোনো জমি- জমা ছিল না, ছিল না টাকা পয়সা। তরুণ বয়সে টাকা ইনকাম না করে লাফালাফি করছে উল্টা- পাল্টা পথে, আর দৌড়াচ্ছে খারাপের দিকে। সে ফলাফল সহজে চলে আসছে যুবক বয়সে। যুবক ও বুড়ো বয়সে রহিম মাঝি বোঝতে পারলো তরুণ বয়সটাকে খারাপ কাজে লাগানোর ফলাফলই আজকের বুড়ো বয়সের এ জীবন। ছেলে সুজন ছোটো বেলা থেকে বাবার হাত ধরে ছোটো ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ভয় এর কথা চিন্তা না করে সংসারের তাগিদে নদীতে পাড়ি দিত। যেখানে কষ্ট- দুঃখ হাতছানি দিয়ে ডাকে সেখানে দুঃখ কিসের, ভয় কিসের? এমন চিন্তার উপরেই নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে সুজন তার বাবার হাতখড়ি হিসেবে।
.
সুজনের বয়স যখন পনর বছর তখন থেকে সুজন মেঘনা নদীর মাঝি। জীবনের সন্নিকটে সুজন মাঝি বলে ঘাটে পরিচিত হলো। আর এ বয়স থেকেই সুজন মাঝি পরিবারের তাগিদে কখনও সাগরে পাড়ি দিত এক মাস কিংবা দুই মাসের জন্য। জীবন মানেই তো কষ্ট, দুঃখ আবার হাসিও বটে যদি সফলতা অর্জন করতে পারে।
সুজন মাঝি তার এ বয়সে প্রেমের মহা সাগরে ডুব দিল। তার বাড়ির দক্ষিণ দিকে একটু দুরে বিশাল বটগাছ, আর একটু পাশেই রাজিয়াদের বাড়ি। রাজিয়া সবে মাত্র এসএসসি শেষ করে ডিপ্লোমা করার জন্য একটি পলিটেকনিকে ভর্তি হল। পুরো নাম ছিল রাজিয়া আক্তার সুলতানা। তার বাবা ছিল এই এলাকার একজন জমিদার ব্যক্তি। রাজিয়াদের বংশ ছিল জমাদার বংশ। জমাদার বংশের মান ছিল অনেক উপরে। এই রাজিয়ার সাথে সুজন প্রেমের নৌকায় জাল ফেলছে। দীর্ঘ তিনটি বছর এই রাজিয়ার সাথে সুজন প্রেম-বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এত উচু শিক্ষিত মেয়ে এমন একজন জেলের সাথে কিভাবে প্রেমে পড়ে এমন ভাবনায় লোক সমাজ। পরিচিত সমাজে মুখ দেখাতে বিচ্ছেদের অনল চলে আসলো রাজিয়ার বাবা স¤্রাটের চক্ষুস্পর্ধে। সুজন মাঝি রাজিয়াকে যতটা ভালোবাসতেন তার চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন রাজিয়া। নানা-নানুদের কাছ থেকে শুনা যায় মেয়েদের মন নাকি খুব নরম। সহজে কাউকে ভালোবেসে ফেলে। ছেলেদের বাহ্যিক রুপ- লাবন্য আর সৌরভ মাখা কিছু চাল- চলন দেখেই। তাই ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের প্রেম একটু বেশিই থাকে। তাই রাজিয়া যদিও উচু বংশের মেয়ে ছিল কিন্তু তবুও নি¤œ বংশের সুজনকে ভালোবেসে ছিল। বেশি দিন রাজিয়া আর সুজন তাদের প্রেম এ সমাজের কাছে গোপন করে রাখতে পারলো না। জানা জানি হয়ে গেল মানুষের কানে কানে। সে কথা দ্রুত কানে চলে আসলো রাজিয়ার বাবা স¤্রাটের। স¤্রাট তো এখনই কলা গাছ হয়ে আছে। সুযোগে কুপ মেরে সুজনের গর্দান পৃথিবী থেকে চির বিদায় করে দিবে।
.
সম্রাট সুজনকে মেরে ফেলবে। কারন এত নি¤œ বংশের ছেলের সাথে সে তার মেয়ের প্রেম টিকে রাখতে চাই না। সুজনকে মেরে ফেলবে বলে সে বাহিনী ঠিক করে ফেলছে। সে বাহিনীর ভিতরে একজনের নাম ছিল রফিক। রফিক ছিল সুজনের বাল্য কালের বন্ধু। সে পেটে ব্যথার নাম দিয়ে সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল সুজন মাঝির কাছে।
রফিক- ভাই ভাই তোমার খবর আছে!
সুজন- ঐ তুই কি বলিস? খবর তো নাকি রেডিও, টিভিতে থাকে আমার খবর আসবে কয় থেকে?
রফিক- তুমি যে রাজিয়ার সাথে প্রেম কর, তার খবর আছে। সুজন চমকিয়ে উঠলো আর বুকে থু থু করে থুথু লাগালো।
সুজন- কি বল? কি খবর আমার?
রফিক- তোমার আজ বাড়িতে যাওন লাগবো না, স¤্রাট তোমার জন্য বাহিনী ঠিক করে রাখছে, পথে পাইলে তোমাকে চির বিদায় করে দিবে। আর কথা বলবো না, আমি গেলাম।
সুজন- এই রফিক শুন, তোর সাথে কথা আছে। শুন শুন.... রফিক আর আসলো না।
.
সুজন মাঝি খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন, কি করা যায়... কয়েকজন মাঝির সাথে কথা বলে ঠিক করে নিল কি করা যায়... এর পরের দিন কয়েকজন মাঝি স¤্রাটের বাড়ি এক ব্যাগ মাছ, মিষ্টি, পান- সুপারী নিয়ে গেলেন। আর রহিম মাঝি তার ছেলের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন।
আমার ছেলে সুজন যে অপরাধ করছে এর জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি, এর জন্য আমি শাসন করবো যাতে পরবর্তীতে এমন কাজ না করে। স¤্রাট ব্যাগ ভরা মাছ পেয়ে খুশি হয়ে গেছে। তবুও রাগ রাগ করে বলছে এবারের জন্য মাফ করলাম। পরবর্তীতে মাফ হবে না।
.
রাজিয়ার মায়ের নাম সুলতানা আর তাদের দাসীর নাম রোমানা। সেদিন বিকাল বেলা স¤্রাট কোথা থেকে যেন বাড়িতে গেল আর দাসীকে ডাকলো-- রোমানা, ও রোমানা, শুনতে পাস না? তুই কয় রে? এই দিকে আয়.........
মহাজানের ডাকে রোমানা চলে আসলো। জি, মামা বলেন! শুন, রাজিয়া কয় রে? আপু মনি আছেন তো, পুকুর পাড়ে বসে আছে। সেখানে বসে বসে কি করে? কিছু না, তার চোখ ফুলা ফুলা দেখাচ্ছে, মনে হয় আপু মনি কাঁদছে। তারে ডাক দে......
আপু মনি, আপু মনি, ও আপু মনি কথা কও না কেন? কি হইছে তোমার? তোমার শরীর খারাপ নাকি? তোমার চোখ- মুখ ফুলা কেন?? না তো কিছু হয় নাই, কি বলোস তুই? আমি তো ঠিক আছি। বাদ দে, কি হইছে সেটা কও....?
কিছু না, মামা তোমারে ডাকে। বাবা আমারে কেনো ডাকে? আমি জানিনা, আমাকে ডাকার জন্য বলছে- আমি ডাকছি।
এই দিকে রাজিয়া আর গেল না। অনেক্ষণ অপেক্ষা শেষে আবারও স¤্রাট রোমানাকে ডাকতে লাগলো---
রোমানা, ও রোমানা, কয় রে তুই? আছি তো মামা, বলেন- কয় গেছিলি? আপু মনিকে ডাকতে, ডাকছিস? হয় ডাকছি তো...রাজিয়া কয়? পুকুড় পাড়ে বসে আছে।
সম্রাট পুকুর পাড়ে গেল। দেখে রাজিয়া ঘাটলার উপরে বসে আছে। রাজিয়া কয় রে মা তুই? বাবার ডাক শুনে রাজিয়া চোখের পানি মুছে ফেলছে। স্বর ভাঙ্গা গলায়- জি বাবা। মা, বাবা তোরে কিছু কথা বলবো, শুনবি? কি বাবা, কি কয়বা? কও, সব শুনছি বল...
দেখ মা, বাবা তোরে কতটা কষ্ট করে মানুষ করতে যাচ্ছি। ছোটো বেলা থেকে বাবা তোর জন্য কত কষ্ট করছি, পড়া- লেখা থেকে শুরু করে কত কিছু। তোর বাবা তোর জন্য সব কষ্ট সহ্য করতে পারছে, তবে আজ কেনো সহ্য করতে পারবে না বল? চুপ করে আছিস কেন বল? রাজিয়া চুপ করে আছে, চুপ করে থাকতে দেখি বাবা বলে- দেখ মা সুজন হইছে একজন অশিক্ষিত ছেলে, মুর্খ ছেলে, ভালো- মন্দ কিছু চিনে না, জানেনা- শুনেনা- বোঝো না, নি¤œ বৃত্তের ছেলে, গরীব ঘরের ছেলে... ওকে তুই ভালোবাসিস কিভাবে বল? ওর বাবা সারা জীবন মানুষের নৌকা দিয়ে মাছ ধরছে, নদীতে মাছ পাইলে ঘরে ভাত ঝুটতো, অন্যত্র না খেয়ে থাকতে হত। তোরে যদি আমি এমন সংসারে দিই, তোর এমন দুঃখ দেখলে বাবা তো এমনেতে মরে যাব। আর প্রথমে তুই তো আমার একটি মেয়ে, দ্বিতীয় জন তো নাই। আর দ্বিতীয়ত বাবার একটা মান সম্মান আছে না, তুই কেমনে সে ছেলেকে ভালোবাসিস? শুন মা, বোঝতে চেষ্ঠা কর, আর ঐ ছেলেকে ভালোবাসিস না, ওরে তুই ভুলে যাস মা। আজ থেকে ভালোভাবে পড়া- লেখা করতে থাক। আর চিরতরে তোর মন থেকে ওর নাম মুছে ফেলবি। আর হ্যা মনে রাখিস, সামনে যদি আর শুনি তুই ঐ ছেলেকে ভালোবাসিস তাহলে চিরদিনের জন্য ঐ ঘরে তালা মেরে রেখে দিব।
রাজিয়া মনে মনে চিন্তা করলো, তুমি তো আমার পাষন্ড বাবা, তোমার তো হৃদয় নাই, তোমার সাথে তো মন নাই, তুমি কি করে অন্যের ভালোবাসা বোঝবে? ভালোবাসা বোঝার মত ক্ষমতা থাকতে হয়, তারপর সে ভালোবাসার মূল্য দিতে পারে।
.
এ দিকে সুজন যদিও তার বাবার শাসনের সময় বলছে তাকে ভুলে যাবে, তাকে ভালোবাসবে না, তার কথা চিরতরে মন থেকে মুছে ফেলবে, বলিলে তো আর সম্ভব নয়। এটা মানব মন, যার কথা একবার এ হদয়ে ডুকবে তার সে কথা চিরদিনের জন্য মুছা যায় না। কথা-বাত্রাতে, বাশির সুরে, অভিমানে- অনুচরে, হাহাকারে, ভাবনাতে, স্বপ্নেতে উকালতি করে। তবুও সুজন এখন আর ঐ পথে যায় না। কারও কাছে বলে না আর তার কথা, কাউকে বলে না- রাজিয়াকে সে এখনও ভালোবাসে। মনকে তো আর বোঝানো যাচ্ছে না কিছুতেই। মন খারাপ হলে, মেঘনা নদীর পাড়ে বসে বসে বাশি বাজান শুরু করে দেই। কিন্তু অন্যদিকে রাজিয়া থাকতে পারে না, মাঝে মাঝে তাকে দেখার জন্য ছুটে যায়, সুজন কথা বলতে চাই না। যে মেয়েটা এত দুর থেকে ছুটে আসছে দেখার জন্য সে মেয়েটার সাথে কথা না বলে কেউ কি থাকতে পারে? সে যত বড় বেঈমান, স্বার্থপর কিংবা অপরাধ করুক না কেনো। আর রাজিয়া তো কোনো অপরাধ করে নাই। সুজন তাকে বারংবার মানা করে। কারন, সুজন তার বাবা মায়ের একজন মাত্র সন্তান। সুজনের কিছু হলে মা বাবা স্ট্রোক করে মারা যাবে। যা হোক, অনেকবার আসার পরে সুজন তাকে বলে-
দেখ বোন, আমিও তোমার মত মানুষ। যদিও প্রেম ভালোবাসা সবার জন্য সমান হয়, কিন্তু স্তান সাপেক্ষে তাহা কখনও সমান হয় না। তোমার স্থান উচু বংশের, তোমার স্থান উচু বৃত্তের, তোমার স্থান গৌরব বংশের, তোমার স্থান জমিদার বাড়ির। কিন্তু আমার স্থান কোথায় দেখছো? আমার স্থান গরীব বংশের, নি¤œবৃত্তের, মাঝির ঘরে। তোমার এত কিছু সহ্য হবে না। তোমাকে প্রতি সকালে চা এর বদলে কপি খাওয়াতে পারবো না, পান্থা ভাত ছাড়া নাস্তা খাওয়াতে পারবো না, ডাল আর মাছ ছাড়া মুরগির রোস্ট আর গরুর মাংস খাওয়াতে পারবো না। তুমি এ গরীব বংশে হাত বাড়াই সুন্দর জীবনটা নষ্ট করে ফেলাইও না, দেখো এ জিবনের অনেক মূল্য আছে, এটাকে একবার নষ্ট করে ফেলিলে আবার ফিরে পাওয়া যায় না...
হয়েছে- হয়েছে আর বলা লাগবে না, তোমার অনেক বক্তৃতা শুনেছি, আর শুনতে চাই না। এখন বল- প্রেম করছো কেনো? ওরে পাগলি, এই মনটা দেখছো? কেমনে দেখবো? দেখা লাগবে না, ভেবে দেখ... তো কি হয়েছে- ঐ সময়টা ছিল আমাদের আবেগের বয়স, আর আবেগ মানে যেটা ইচ্ছা সেটাকে ফাইনালে রুপান্তরিত করা.....। আমি তোমার এত বকবকানি শুনতে চাই না, ব্যাস কথা একটাই- আমি তোমায় ছাড়া বাঁচবো না।
আপন পর আমি সবই ভুলে যাব ও’গো সখা
তোমায় ছাড়া এ জগৎ সংসারে আর কিছু চাই না।
.
এমন চল চাতুরি করতে করতে একটি বছর পার হয়ে গেছে। রাজিয়া ডিপ্লোমাতেও ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করলো। এ দিকে রাজিয়ার জন্য তার বাবা ছেলে দেখছে। মেয়ে বড় হয়েছে, উল্টা- পাল্টা করে ফেলিলে বদনামে লোক সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না, মাথা নীচু করে হাটতে হবে। এমন চিন্তা ভাবনা করে সম্্রাট মেঘনা নদীর পাশে ভোলা এলাকার সনামধন্য পরিবারের ছেলে আব্রাহামের সঙ্গে তার বিবাহ ঠিক করে ফেলছে। আব্রাহাম ছিল উচ্চ শিক্ষিত, পেশায় এম.বি.বি.এস ডাক্তার। সব ঠিক হয়ে গেছে বৈশাখ মাসের ১ তারিখে সে বিয়ে হবে। অন্যদিকে এমন খবর চলে গেল- সুজনের কাছে, কিন্তু সুজন কি করবে? কিছু করার নাই। আব্রাহাম তার পরিবারের উকিলের কাছে দাবী করলো মেয়েকে এক নজর আগে দেখবে, তারপর তাকে বিয়ে করবে। উকিল বলে আচ্ছা ঠিক আছে। তার বাবা- মা’র সাথে কথা বলতে গিয়ে তারা বলে সমস্যা নাই, আমার মেয়ের সব ঠিক আছে। হাত আছে, পা আছে, চোখ আছে, আরও আছে লম্বা কেশর যুক্ত মাথার চুল। চৌত্র মাসের ৩০ তারিখে উকিল তাকে নিয়ে মেঘনা নদীর পাড়ে যাবে, সেখান থেকে আব্রাহাম তাকে দেখবে। এই খবর সুজনের কাছে চলে গেল। সুজন তার মাকে বলে- মা আমি এখন কি করবো, ও আমাকে ছাড়া বাঁচবে না, অন্য কারও সাথে বিয়ে হলে ও আত্মহত্যা করবে। তার মা রোহানা, আর তার বাবা রহিম মাঝির সাথে কথা বলে ঠিক করে নিল সুজন মাঝি রাজিয়াকে নিয়ে পালাই যাওয়ার জন্য। কিন্তু কি করে সম্ভব? সম্ভব তো নয়, জয় করতেই হবে...
এই দিকে ঠিক তারিখে আব্রাহাম উকিলকে নিয়ে মেঘনা নদীর পাড় এসেছে রাজিয়াকে দেখার জন্য। রাজিয়াকে দেখা শেষ, পছন্দ হয়েছে। সব ঠিক আছে। অন্যদিকে সুজন মাঝি অনেক দুর থেকে তাদেরকে অবলোকন করছে। সব কথা- বাত্রা শেষে আব্রাহাম মেয়েটিকে বলল-আমার বলার মত কোনো কথা নাই... তোমার কোনো কথা থাকলে বলতে পারো, সমস্যা নাই ...
এমন কথা শুনে রাজিয়া তার জলচাপ চোখ আর কন্ঠহীন মুখে বলে- আমার দু’টো কথা আছে, শুনবেন?
কি কথা বল, সমস্যা নাই তো বলছি; আরে বল না, তাড়াতাড়ি বলে ফেলো।
শুনবেন কিনা, সেটা বলেন? আচ্ছা ঠিক আছে, শুনবো। তাহলে বলতে পারো।
আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না। হায় রে- কি বল? কেনো, আমায় বিয়ে করতে পারবা না?
দেখুন জনাব, আমি একটা ছেলেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে খুব ভালোবাসি। আমার যদি আপনার সাথে বিয়ে হয়, তাহলে আমি তো বাঁচবোই না বরং ঐ ছেলেটাও আমায় ছাড়া বাঁচবে না। ও যদি না বাঁচে ওর পরিবার বাঁচবে কিভাবে?
ডাক্তার সাহেব শুনে থমকে গেছেন? ডাক্তার সাহেবের জীবনেও এমন একটা প্রেম ছিল, কিন্তু সে মেয়েটা রোগের কারনে মারা গেছে। শেষে তিনি বলেন- আমি তো তোমার বাবাকে কথা দিয়ে ফেলছি, এখন কি হবে? কোনো সমস্যা নাই, আপনারা যদি আমাদেরকে সাহায্য করেন আমরা পালিয়ে যাব, আমার সাথে যে আপনাদের দেখা হয়েছে সেটা বলবেন না; আচ্ছা ঠিক আছে বলবো না। সুজন মাঝিকে রাজিয়া হাত ইশারাতে সুজন মাঝি দ্রুত চলে আসল। তৎক্ষণাতই সুজন মাঝি তাকে নিয়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিল এবং একদিন পর সেখানে পৌছলো। হাতিয়াতে তার প্রিয়জন ছিলো, আর তারাই তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিলো। এরপর সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। এত সুন্দর জীবন রেখে আজ রাজিয়া সুজন মাঝির সাথে সেখানে সুখ- দুঃখ, হাসি-কান্না, বেদনা সব কিছু ভাগাভাগি করে জিবন কাটাতে থাকে।
“ এ যেন রাজার মেয়ের সাথে- রাখালের প্রেম- পিরিতি”।
তাদেরকে আর খোঁজে পেল না, আর প্রায় সময় সুজন মাঝি তার মা বাবার খোজ খবর নেই এবং টাকা পাঠায়।
.
এমন করে চলে গেল দীর্ঘ বারটি বছর। সুজন ও রাজিয়া এখন তিন সন্তানের ববা ও মা। খুব আদর যতেœ তাদের জীবন কাটতে লাগে। অন্যদিকে তাদের বাবা- মা ছেলের শোঁকে শোঁকে ইহজীবন ত্যাগ করে চলে গেছে অনেক আগে, তাদের কবরের উপরে আজ দূর্বাঘাস অনেক বড় হয়ে গেছে। এ দিকে সুজন মাঝির বড় ছেলেটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। সুজন মাঝির ইচ্ছা আমার বাবার অনাথ- অনটনের কারনে আমাকে পড়াতে পারলো না, আমি কেমনে চোখের সামনে তাদের জীবনটা নষ্ট করে দিতে পারি। আমার শরীরের রক্ত বিক্রি করবো, তবু সন্তানদের মানুষ করবো। খুব ভালো চিন্তা নিয়ে রাজিয়া আর সুজন তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে শান্তিতে জীবন কাটাতে থাকলো।
.
একদিন সবার হাসি- খুশির মাঝে পার্শ্ববর্তী করিম মাঝি সুজন মাঝিকে বলে দাদা নদীতে নাকি অনেক মাছ পড়ছে। আজ কত দিন নদীতে মাছ নাই, পুলাপাইনের খরচের দরকার আছে, পরিবারে ভালো করে খাওন ঝুটাতে কষ্ট হয়ে যায়। চলেন নদীতে ঝাল ফেলি, সুজন মাঝি বলে চলেন। একরাশ হাসির মাঝে সুজন মাঝি আর করিম মাঝি নৌকাতে চলে গেল আর বাকী সকলকে নিয়ে তিনি জাল ফেলার উদ্দেশ্যে নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে রওনা দিল। প্রতিদিন সুজন মাঝি ইঞ্জিনের নৌকার বৈঠা ধরতেন, আজ করিম মাঝিকে বৈঠা ধরতে দিয়ে তিনি জাল ফেলার জন্য সামনে গেল। জাল ফেলতে ফেলতে আর কিছু দুর গেলে শেষ হয়ে যাবে এ অবস্থায় সুজন মাঝি রশির সাথে প্যাচ খেয়ে নদীতে পড়ে গেল। জালের সাথে নোঙ্গর থাকে যার কারনে জাল গুলো তীর বরাবর হয়ে নদীর অনেক নিচে চলে যায়। সুজন মাঝিও রশির সাথে প্যাচ খেয়ে পানির অনেক নিচে চলে গেল। তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হল না। নৌকা ঘুরিয়ে তাকে উঠাতে যে সময় লাগছে ইতিমধ্যে রহিম মাঝি এ পৃথিবীর পার্থিব হাসি- কান্না, দুঃখ- বিভেদ, ¯েœহ মায়া মমতা সব ছেড়ে চিরনিদ্রা যেখানে হয় সেখানে চলে গেছেন। রাজিয়া খুব কান্না কাটি করে মৃত লাশ নিয়ে নিজের শ্বশুর বাড়ি চলে গেছেন এবং এখানেই শ্বশুর ও শাশুরীর কবরের পাশে তাকে সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে জানাজা শেষ করে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন।
.
কয়েকদিন কান্নাকাটি করে রাজিয়া ভাবলো সবাইকে এ মাটির কবরে শুয়ে ঘুমাতে হবে। আমরাও একদিন এ পার্থিব জগতের হাসি- ঠাট্টা আর অনেক খানি সুখ- দুঃখ নিয়ে চলে যেতে হবে অচিন বিজন প্রদেশে, যেখান থেকে আর এই পৃথিবীর রুপ লাবন্য দেখতে আসবো না...
এসব ভেবে আর একটে চিন্তা করলেন তিনটি সন্তানকে মানুষ করতে গেলে প্রয়োজন অনেক টাকা। তাই রাজিয়া যে ডিপ্লোমা শেষ করছে সে সার্টিফিকেট দিয়ে তার বাড়ির পাশে একটি বেসরকারী স্কুলে শিক্ষিকার সার্কুলার দিলে এখানেই ইন্টারভিউ দেন এবং এ ইন্টারভিউতে টিকে খুব শান্তিতে সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করতে লাগলেন। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে তার স্বামীর জন্য আর নিজেদের সুখ শান্তির জন্য সর্বদা দোয়া করেন...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর ঠিক যেন বাংলা সিনেমার গল্প। সব অসম্ভবই সম্ভব সেখানে তাই না? এভাবে বলার জন্য দুঃখিত। সিদ্দিকী ভাই গল্পের ব্যাপ্তি এবং পরিণতি একজিনিষ, আবার গল্পের আঙ্গিক অবয়ব, বাক্যের প্রক্ষেপন আর শব্দের গাথুনি এগুলো অন্য জিনিষ। আর এসব বৈশিষ্ঠ্যেই ফূটে উঠবে লেখকের মুন্সিয়ানা এবং ভাবনার গভীরতা। প্রতিটি লাইনে লাইনে যদি ভুল বানান, ভুল বাক্যভাব এবং ধারাবাহিকতাহীন বর্ণনা এসব কি মেনে নেয়া যায়? শুরুতে বললেন ‘মাঝি’ পরে সেটা হয়েগেল ‘জেলে’ এ দু’টোর পার্থক্য কি আপনি জানেন না? লিখলেন নদীতে পড়ে গেল সুজন মাঝি/ আর মরে গেল রহীম মাঝি!!! ‘তিনি জাল ফেলার জন্য সামনে গেল/ তুই কয় রে?/ নিন্ম বৃত্তের ছেলে,/তোমার স্থান উচু বৃত্তের- আপনি কি মনে করেন বাক্যগুলো ঠিক আছে ? নিন্ম বিত্ত/উচ্চ বিত্ত এটাত খুবই সাধারণ জিনিষ ভাই, আপনি-তুমি’র ব্যবহারটাও ‍কি আমরা বুঝব না? যাক পরিশেষে অনুরোধ করবো আরে পড়াশোনা করতে হবে ভাই, লিখতে গেলে বানান ভুল হবে সেটা আমারো হয় এবং সেটা পাঠকেও বুঝবে যে কোনটা টাইপো আর কোনটা গঠনেই ভুল। আশা করি আরো মনযোগী হবেন। আপনাকে আরো আগাতে হবে, আর তার জন্যও চাই অধ্যাবসায়। অনেক শুভকামনা আর এগিয়ে যাবার প্রত্যাশা।
ভাইজান লজ্জা পেতে আর চাই না। হা হা হা....। প্রথমে রুবন দা কে বলছি, আমি গল্পের ধারাবাহিকতা মিলাতে জানিনা.... তিনি যেটা বলছেন, সেটা দেখতে পাবেন। পানিতে পড়ছে সুজন মাঝি, মারা গেছে রহিম মাঝি→ হা হা হা। এমন মন্তব্যে আমারও হাসা আসছে। তবে কম নয় অত্যাধিক। আর বানানের দিকে যেটা বলছেন, সেটা তারা অনলাইন করতে গিয়ে এমন করেছেন। আমি তাদেরকে মেসেজ দিয়েছি ঠিক করার জন্য; তারা মেসেজের রিপ্লাই আর দেই নাই। যে বানানটা বেশি সমস্যা→ সেটা হবে সম্রাট। যা হোক, আমি চর্চা করছি ভাইয়া, বিজয়ী হতে নয়। লিখতে লিখতে একদিন হয়ে যাবে এমন আশায় সর্বদা অব্যাহত। আর অধ্যাবসায়টা নিশ্চয়ই চর্চার উপরে। ইনশাআল্লাহ চর্চা চলবেই, আর আপনি আমাকে যে হাসায় মাতাল করে ফেলেছেন তাহা চিরোদিন মনে থাকবে, আর সেদিনও হাসবো যেদিন আপনার সাথে আমার সাক্ষাত হয়.....
আর আপনার প্রতি রইলো আমার অজস্র শ্রদ্ধা। আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া, আমি আজও ছোটো। হয় তো আপনাদের মত হতে হতে এক সময় অন্য ধরনের কিছু লিখতে পারবো। যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। সর্বদা দোয়া করি, ভালো থাকুন।
কাজী খুব সুন্দর করে মন্তব্য লেখে। দূর্ভাগ্য আমার লেখার ত্রুটিগুলি বলে না, সে কি মন দিয়ে আমার লেখা পড়ে না? তার মন্তব্যগুলো যে কাউকে শানিত করবে। আমি নিজেও তার মত বলতে পারি না। অনেক সময় কোন লেখায় খটকা লাগলেও এড়িয়ে যাই, ভাবি সে হতাশ হয়ে পড়ে যদি! আসলে সবারই উচিত আমাদের ভুলগুলো, সীমাবদ্ধতাগুলো ধরিয়ে দেয়া। কাজীকে ধন্যবাদ ভাল একটি কাজ করছেন বলে। আর আলমের সমস্যাগুলো (বানান) আমার মনে হয় মূলত তার আঞ্চলিকতার উচ্চারণগত সমস্যা! এ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে লেখা পড়ার সময় খুটিয়ে পড়তে হবে, হাইলাইটার নিয়ে, খাতা-কলম নিয়ে বসতে হবে। আমি বই পড়ার সময় মার্কিং করি আর পড়ি, অভিধান খুলি, নতুন ভাবনা এলে নোট বইয়ে টুকে রাখি। এত কিছু বললাম যদি এতে একটু উপকার হয় কারও।
ভাইয়া আমার খুব হাসা আসছে। হা হা হা.... আর আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে যেটা বলছেন→ সেটা যাদেরকে নিয়ে অবয়ব একটা গল্প তৈরি হয়, তাদের নিজেদের জায়গার ভাষাটা ছড়ায় দিই। কিন্তু এটা কি কোনো সমস্যা? আমি জানিনা, একটু জানালে ভালো হবে। কারন, রুবন দা আমাকে আগের গল্পতে মন্তব্য করেছিলেন→ লেখক যদি শ্বয়ং নিজেই গল্পের চরিত্রের অভিনয় করেন তাহলে তার ভাষা নিশ্চয়ই শুদ্ধ হতে হবে। আর আমি এই জন্যই→ আমি যেটা নিজেই বলতে যায় তখন শুদ্ধ লেখার চেষ্টা করি, আর যাদেরকে নিয়ে গল্প্টা তৈরি করি তাদের ভাষাটা গল্পতে ছুড়ে দিই। এতে কোন কাজটা করলে সবচেয়ে ভালো হবে সেটা রুবন দা ও জাহাঙ্গীর ভাইয়াকে বলার জন্য অনুরোধ রইলো....!! আর সর্বশেষে রুবন দা যে কথাটি বলছেন→ আমি তা করিনা, কিন্তু কোনো যদি নতুন উপমা এবং শব্দ পাই সেটা আমার মোবালে translate আছে, যেখানে একটি শব্দের অনেক গুলো সমার্থক শব্দ আসে তাতেই দেখি এবং সেখানে সেভ হয়ে থাকে। প্রয়োজনে কাজে লাগাই..... সর্বশেষে বলবো, আমাকে প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানালে ভালো হবে.......
'আমি যেটা নিজেই বলতে যায় " এখানে হবে, আমি যেটা নিজেই বলতে যাই! এ-ধরণের কিছু কিছু ভুলের কথাই আমি বলতে চেয়েছি।
অথবা "রহিম মাঝি বোঝতে পারলো " হবে রহিম মাঝি বুঝতে পারলো। ধন্যবাদ।
আসলে সত্যি আপনি মূল গোড়া ধরা ফেলছেন। সবচেয়ে এগুলো আমার বেশি সমস্যা হয়.... যদি আরও কিছু থাকে বলবেন কিন্তু ভাইয়া। আপনাদেরদে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
আহা রুবন ত্রিশ চৈত্রের এক বিকেলে আমিও ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে একদা মেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। গভীর গল্প লেখার চেষ্টা; খুব ভাল লাগল । শুভেচ্ছা, ভোট রইল।
আসলে দাদা, আমি গল্পের ধারাবাহিকতা মিলাতে পারছি না; তবুও যথাসাধ্য লেখার চেষ্টা করছি। একদিন হবে এমন ভরসায় পথ চলছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা রইলো।
ডাইরি লেখার চেষ্টা করুন--হাবিজাবি যা মনে আসে। এক মাস পর পুরনো লেখা পড়লে দেখবেন এক মাসের মধ্যেই বেশ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। লেখায় সচলতা চলে আসবে।
ভালো বুদ্ধি দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া.....
রুহুল আমীন রাজু দারুণ একটি থিমের গল্প ... বেশ লাগলো । শুভ কামনা নিরন্তর । ( আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল )
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই, ভালো থাকুন। দোয়ক রইলো
নাদিম ইবনে নাছির খান পার্থিব ভাবনার সুন্দর প্রকাশ,, শুভকামনা,,, ভোট রেখে গেলাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভাই।
ইমরানুল হক বেলাল এবারে গল্পটা সব পাঠকের মন জয় করে নেবে আশা করি, আমার ও খুব সহজেই গল্পটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল । হৃদয়গ্রাহী লেখাটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সিদ্দিক ভাই । ভোট এবং মুগ্ধতা রেখে গেলাম ।
আপনার প্রতি রইলো অজস্র ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। ভালো থাকুন নিরন্তর, দোয়া রইলো।
অমিতাভ সাহা ভালো হয়েছে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া

২২ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪