স্মৃতি কথা

ঐশ্বরিক (মার্চ ২০১৭)

সিকদার মোঃ শরিফুল ইসলাম
পরিচিত মনে হচ্ছে জায়গাটা..?
হ্যাঁ, জিয়া উদ্যান এর একটি অংশের ছবি এইটা ।
আমি ধানমন্ডি তে থাকি...
না না আমি ফার্মগেট থাকি..
আসলে আমি পশ্চিম রাজাবাজারে থাকি । জায়গাটা জাতীয় সংসদ ভবনের ঠিক উলটো দিকে..
ধানমন্ডি আর ফার্মগেটের মাঝে ।
১লা ফাল্গুন। বসন্ত এসেছে প্রকৃতিতে..
সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা...কি? শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম ভাবছেন?
না ওতোসব মাথায় ছিল না । খুব সাদের ঘুমা ছিল তখন আমার । তাই ঘুমেই মগ্ন ছিলাম ।
আমার একটা নতুন Friend হয়েছিল । সে মিরপুর এ থাকত..
আমি জানি না যে সেদিন ছিল বসন্তের প্রথম দিন,সত্যি জানতাম না ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কি একটা কাজে ফার্মগেট গিয়েছিলাম ।
আসার সময় তার নম্বর থেকে ফোন এলো ।
- হ্যাঁ রনবী?
- হুম বল..
- তুই কোথায়..?
- এইতো দোস্ত ফার্মগেট এ..কেন...?
- ফ্রি আসিছ..?
- হ্যাঁ,বল ।
- একটু জিয়া উদ্যান এ আয়..
- কেন? কাজ আছে কোনো..?
- না,এমনি আয় ।
- কে কে আছে..?
- আমি, ____,____ আরও _____...
- আমি... যাব? তোরা এতজন...
- আসবি কী?
- আচ্ছা আসতেছি...
বাসায় এলাম..
কিরণ ভাইয়াকে বললাম যাবো কিনা..
ভাইয়া বলল যাও! সমস্যা তো নাই..
তারপর ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম যাবো ।
- ভাইয়া দেখো তো সব ঠিক ঠাক..?
- হুমমমম... একটা কাজ করো রনবী..
- কি কাজ..?
- চেহারায় কিসের জানি কমতি আছে.. ফেয়ার এন্ড লাভলী টা একটু দিয়ে যাও..!!
- ধুর..
- আরে দিয়েই দেখো..!!
- আচ্ছা.. এবার গেলাম..
যা হোক আমার যেতে একটু দেরিই হয়ে গেল
গেলাম..
জিয়া উদ্যান এ যাওয়া পর্যন্ত একজন ফোনের উপরে রাখছে আমাকে.. ।
অবশেষে পৌছাতে পেরেছি ।
একি যন্ত্রনা..?
ব্রিজ এ পা দিতেই একজন আমার হাতটা এমনভাবে ধরল যেন আমায় বিয়ের আংটি পরাবে..
হিজরা না হিজরা না..
স্বাভাবিক মানুষই ছিল । একটা ছেলে ছিল ।
ওরা হাতে,গালে নকশা করে লিখে দেয় বিভিন্ন দিবসে ।
আমি ভাবলাম ফ্রি মনে হয়...এসব জায়গায় এগুলো থাকে মনে হয় মানুষ কে উৎসাহ,আনন্দ দিতে ।
কিন্তু না ভাই..
কথাটা এমন হবে.. “এসব জায়গায় এগুলো থাকে মানুষকে ফারতে.. “
কিছু টাকা আমার পকেট থেকে চলে গেল...
কিন্তু আপসোস এর বিষয় হইলো কাউরে কইতে পারলাম না কষ্টের কথা..
অবশেষে তাহার সাথে দেখা..
অনেক কথা বলল,কিছু মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল তাদের একজন ফটোগ্রাফার আর একজন লেখক (হলুদ পাখি ।
আরো ছিলো সাথে..
কিছুক্ষণ বাদে একজন আসলো..
তাকে নিয়ে অনেক কিছু..
তারপর অনেক আড্ডা,অনেক কথা..
বাড়ি ফিরবার পালা..
হলুদ পাখি আর সাথে একজন, চলে গেল তারা..
যাবার আগে আমাকে বলে গিয়েছিল sorry..!
কেন..?
আমি ভুলে তোমায় ছুয়েছিলাম...কিছু মনে করো না ।
ঠিক আছে,করলাম না ।
ফটোগ্রাফার নাকি আরো থাকবে কে নাকি আসবে..
সাথে তার ভাই আর সে । বাকি রইলাম আমরা দুজন ।
চল তাইলে..
আমাকে আগায় দিবি না..?
আমি বললাম ঠিক আছে চল ।
দুজন হাটতে শুরু করলাম । যদিও আনেক দূর তবুও কেন যেন হেটে যাবো এটাই বেছে নিলাম আমারা ।
অনেকদূর হাটার পরে একটা চায়ের দোকানে বসলাম ।
দুটো চা শেষ করে বিল দিতে গিয়েছিলাম কিন্তু সে বলে আমি দিব ।
আমি বললাম তোর দিতে হবে না আমি দিচ্ছি । তারপর আবার একটু হাটলাম..
একটা সময় পা আর চলে না..
- রিকশা...!!
হাটার সময় অনেক কথা শুনেছি আমি । এখনও মনে আছে ।
আমি তেমন কিছু বলিনি ।
আবশেষে বাসায় চলে গেলাম..
আমার না.. ওর বাসার দিকে..
একটা আইসক্রিম কিনে দিলো আমাকে..
আমি ওকে বললাম তুই আগে খা..
তারপর আমাকে দিল.. আমি বাকিটা খেলাম
তারপর..
আমরা আমাদের দিকে..
রাস্তার বাঁকে বাঁকে..
বন্ধুত্বের ফাঁকে ফাঁকে..
হাজারো গল্প থাকে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহা রুবন অসম্পূর্ণ গল্প মনে হল। কাজী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সহমত।
কাজী জাহাঙ্গীর এটাকে মন্থনের মত কোন স্মৃতি বলে মনে হল না, ঐশ্বরিক ত নয়ই। মনে হল কিছু একটা লেখার প্রাকটিস করছেন। তবে আশা করি চেষ্টা অব্যাহত রাখবেতন। অনেক শুভকামনা আর আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী দারুন লিখেছেন কবি। পুরোটাই পড়লাম বেশ ভাল লেগেছে। ভোট রেখে গেলাম। আমার পাতাই আমন্ত্রন ।

১২ নভেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪