হিম দৃষ্টিতে নাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া,
মরা শাখে ঝোলে বুড়ি চাঁদ।
বেনীগেথে বুনো চুলে,
হাত ছানি দিয়ে নেমে যায় শিশিরের জলে।
ক্ষুধার্ত কৃষ্ণচূড়া উবু হলে দেখে,দেয়ালের ওপার
ভাতারের ভাত খেয়ে যায়,ভাশুরের পাত!
রুপোলী রাত মেখে মুখোশের গায়,
খিঞ্জিরনা চেশিখড় চূড়ায়।
ধানীলঙ্কার ঠোটে,বেশামাল কম্পন,
ছোঁয়া পেয়ে জাগে আজ,চৈতালী ঝাজ।
ভরা যৌবণ যার,হয় বেদখল নদী,
করদিয়ে বর পায়,বৈশাখী বৌদি।
হিম দৃষ্টিতে নাঙ্গা,কাঁঠালী রঙের খেলুড়ে শাড়ি,
আষ্টে পৃষ্ঠে ঝাপটে রয়েছে তারে,তেপান্তরের বিরাণ বাড়ি।
এঁড়ো চোখ গুলো,জোনাকীর মত,
উঁকি ঝুকিদেয়,বেড়ার ফোঁকর ঠেলে,
যে খানে বসেরয় নির্বাক বুড়িচাঁদ,
বৈশাখী বৌদির কামুক ঠোঁটে।
যেখানে ভেজা বিছানায় আছে,দূষিত পাপের ঘৃণাহীন স্বাদ,
যেখানে খেলা করে,চিরগুপ্ত প্রেমের আতর ঘ্রাণ।
যে খানে নটরাজ আসে,তারাদের মত,মেঘলা বজ্র হয়ে,
শুকরের মত কাঁদাখোচে-
খুচিয়ে খুচিয়ে বেরকরে সুখের ব্যাঞ্জনা।
বৈশাখী বৌদির ক্লান্ত জমিন,পাহাড়া দেয় স্বামীর মৃত লাশ,
প্রতিরাতে মরে যাওয়া লাশের পাশে,ভেঙচিকাটে প্রেতাত্না!
সুখ সংগমে লিপ্ত হয় নটরাজ।
দেখতে দেখতে কিশলয় গজায় কৃষ্ণচূড়ার শাখায়,
কচি পাতা গায়ে মাখে জোসনার গন্ধ।
আকাশের পরে আকাশ পাড়ি দিয়ে নেশাতে হারায়,
ঘুম ঘোরে ধুলি ঝড় ঝেড়ে,
খুজতে বেরোয় নিজের রুগ্ন নগর,
খুজতে খুজতে নিজেকে খুজে পায় নাঙ্গা,বেভুলা,
বুড়ি চাঁদের ঝুলে পড়াশিখড় চূড়ায়।
বুক বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণার বিষে,
তাকে ডুবিয়ে ছেড়েছে পাহাড়ি নহর।
অবশেষে তাকে নগ্ন মৃতলা শকরে,
খেতে বসে নাঙ্গা বুড়িচাঁদ,বৈশাখী বৌদির পাতে।
এরপর;
নিকষ কালো অন্ধকার চাপিয়ে, বুকের প্রবাল দ্বিপে,
শত সহস্র জোনাকীর সম্মুখে,মৃত কৃষ্ণচূড়ার পাশে,
নটরাজ বুকে খিলখিল হাসে,নাঙ্গা বুড়ি চাঁদ।
(হাহা হা)