ভোর হলে মনে রেখো- পার্বণে মেঘ নয় আকাশ কুসুম হয়ে পড়ে আছে হৃদ তেমন মেঘের চুল কমলার ঠোঁট। কখনো আলোর রোদ ভোরের পরের সাজ তোমার মুখের মত পড়ে না সুহৃদ। কার কবিতায়- পাখিবৃষ্টি উড়েছিলো বনে
মনের গহনে রেখে দাঁগ কেনো যে বিমূঢ় সে সাজালো সিঁদুর। আমি অহোরাত কবিতার প্রাগময় ভাষা গুনে গুনে, আকাশ বাতাস দেখি,নদীদের গুন গুন গান পাখি হয়ে উড়ে যাবো তার কবিতায়
ইঁদারায় মেঘ তুলে আকাশ বাঁধতে কেউ ভীষণ বোধের ঘোল নিজেদের রোদ সমুদ্র ভাবে আজকাল, সেদিন আয়না তুলে, মেজঘর সেখোনের ছোট-খাটো একটা পুতুল রেখে সব আয়োজন
রাজপথে দিন রোদের ফেরারি মেঘ পকেটের ভাঁজে সমুদ্র কাছাকাছি অচেনা ডাঙায়-সেখানে মানুষ নেই ইটের সে দালানের চেহারা ’ভাঙা।
এখানে নদীর মতো কবিতার গান যেমন হিমের শুঁড় নেমে আসে ঘরদোর শহরের সব পথ বরফের কারু, কেমন নিবিড় হয়ে বসেছে শহর।
নিটোল জলের টানে ফিরে গেছি গাঁয়ে- সেখানে আকাশ থামে মেঘময়, সবুজ শাড়ির রঙে দেখেছি নদী তেমন তাঁতের শাড়ি সুতোবোনা কাজ। সেখানের জেলেদের ঝড়মুখো ডিঙ্গি আসমান তুলে রাখে কঠিন বুকের চিড় দখিনের ফিঙি। তাদের পরাণ জল সেখানের নদী
ফিরে আসে অন্ধকার কালো বেহালায়- ঘরের হেঁসেল চেয়ে সেখানের বউ ভাবে সে অন্যমন, বুকের কাঁপন তুলে রাতে আঁজলায়।
একদিন রেলঘর শহরিতলার কাছে ছোট প্ল্যাটফর্ম, দেখেছি কবির মুখ অন্যরকম। জীবন সাজানো গান গ্রোথিত দুঃখবোধ গাঢ়ো অন্ধকার। কবির জীবনঘন হাল কবিতার
কেউ জানল না কবির চাঁদের মুখ আশ্বিনের ঘুম। পরাণের তিল, সেখানে আশ্বিন রাত খুব নিঃঝুম।
আকাশটা তুলে আছে হাঁড়ির সড়ায় কতোটা ঘাসের পথ কবি চিনি,প্রমত্তা পদ্মার বুকে খুঁজি কবি। বোশেখের ঝড়বান ষাঁড়ের শিঙের মত হেঁটে আসে দানো। সে দানোর হাতে করে নির্ভয় মরেছে শকুন
কবিতায় হেঁটে আসে শান্তির বান...
কৈশরে চাঁদমুখ বালিকা প্রহর দেখে জেগেছিনু ঘুম প্রবজ্যা কেউ কেউ- কারো-কারো চোখ, সন্ধের ভাঁজ তুলে দেখেছে প্রমোদ
হরিহর নাম তুলে, কেমন বামুন চাঁদ গিলে খায় বান। তোলপাড় ঝড় তুলে কবির সে শুচিগ্রহ তুলেছে তুফান, রাজভার রাজার সমর হাত আগুনের মত নিশি জ্বলে। ধুলোহার মিশে যায় কবির অতলে-
কাচের ঢিঁবির মতো পরাগের রেণু। ভ্রমর ছোঁবে সে ফুল বেশেখের বেণু সেদিন ঘরের পাশে বসে আছে মেঘবতি আকাশের কেশ। জলের আদলে রেখে কুহুকর্ণ চোখ, বিভ্রমে নদী ভাঙে, জেলেপাড়া মেতে ওঠে আশ্বিনের দেশ।
ঘরের ঘুসুরে ছায়া সেখানে আঁচল ভেঙে নেচেছে শরির সে ওতো কবিতার মতো করে নাচা। শহর প্রবল হাসে কবিমুখ, আগুন দ্রোহের ফুল চোখে তুলে পানশালা রাত হলে বাড়ি ফেরা পা’ অশুদ্ধ যোনিদেশ নাচালো কাদার ঝুল শহরের সেই বাবু- কবিতা যাদের চোখ দ্রোহের শ্লোগান তুলে মাখালো শরাব। তারা নাকি সম্মুখ নর্তকী তুলে তুলে দেখে ভিখেরি অন্ধ চোখ নোরা সোঁদা কাদাপিঠ বাবুদের হাঁড়ি, কবি তার চোখ খুলে ছেড়েছে মোষের রঙ কালোমেঘ দানবের ঝড় আমরাও কালে কালে কবিতার বাড়ি। ডাকাতিয়া, চাঁদপুর
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
১৬ সেপ্টেম্বর - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।