তুমি কখন আসবে ? সেই যে বসে আছি রেলস্টেশন এর ধারে , কই আসলে না তো ? তোমার প্রতীক্ষায় আর কতক্ষন থাকতে হবে বলতে পারো ? তুমি কি সত্যিই আসবে ! বয়স হচ্ছে -ধৈর্য্যও কমে যাচ্ছে , আমি আর আগের মতো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না ঠিক ই তবুও হাতে একটা লাঠি নিয়ে চলে আসি রেলষ্টেশনে । জরাজীর্ন রেল লাইন আগাছার কমতি নেই বৈকি, এর বিস্তৃত বিবরন দিতে দিতে হয়তো আমার সাত জন্ম পার হয়ে যাবে । তারপরও এর মর্মার্থ কেউ বুঝতো না তুমি আর আমি ছাড়া । কালো চুলে পাক ধরেছে মনে হয় চুয়াল এর দু একটা দাঁতও পরে গেছে, প্রতীক্ষার প্রহর গুনে গুনে পাড় করে দেই এক একটা যুগ। মনে আছে প্রেম, আমার হাতটি ধরে সেই হিজল গাছের তলায় বলেছিলে --- সারাজীবন আমার সাথেই থাকবে, আমায় ছেঁড়ে কোথাও যাবে না , কত রকম চিঠি দিতে আমায়। লাল খাম, নীল খামের ভিতর ,এক একটা চিঠি এক একটা যুগের সাক্ষী হয়ে থাকতো। চিঠিতে লিখা অকথ্য কথা গুলো কতই না তৃপ্তি দিত আমাকে । তোমার হাতের লেখাও ছিলো দারুন , মনে আছে , কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীতে তুমি হাতের লিখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলে। আমি তখন কত খুশি হয়েছিলাম তুমি আমায় বলেছিলে প্রথম হলে আমি তোমাকে কি দেব , আমিও না বোকার মতো তোমাকে চুম্বন করার কথা বলে ফেলেছিলাম , আর প্রথম হওযার পর তুমি কতই না ঘুরেছো আমার পিছু পিছু শুধু মাত্র একটা চুম্বনের আশায় । জানো তো প্রেম এখন সত্যি বড় আপসোস হয় কেন যে তোমাকে চুম্বন টা করা হলো না । আচ্ছা প্রেম তোমার কি আমার কথা মনে আছে? আমার যখন অনেক বড় অসুখ হয়েছিল তুমি শুনে কত কেঁদেছিলে। সেদিন তোমার কান্না থামানোর জন্য আমার ঘন্টার পর ঘন্টা লেগেছিল। তার পর থেকে যতবার দেখা হতো ততবার ই তুমি কাঁদতে , ভালো করে কথাও বলতে পারতাম না তোমার সাথে তখন , তোমার প্রতি খুব রাগ হতো আমার। জানো প্রেম ইদানিং তোমার কথা খুব ভাবি, তোমার কথা ভাবতে ভাবতে মাঝে মাঝে নিজের অস্থিস্তই ভুলে যাই। ভুলে যাই আমার মাঝে আর আমি নেই , আমার শিরা উপশিরা রক্তবিন্দুতে তোমার প্রতিচ্ছায়া। জানো তো প্রেম এখন শরীরটা বড্ড একগুয়ে হয়ে গেছে, অস্থিরতার মৃদু ছায়া আমায় হাত ছানি দিয়ে অন্ধকারের দিকে বারে বারে নিয়ে যেতে চায়। আমিও না সেই অন্ধকারে চলে যেতে চাই। কিন্তু তুমি কি সেই অন্ধকারে চলে গেছ ? ভাবতে ভাবতে বুকের দীর্ঘ শ্বাস বেড়ে যায়, আগের মতো আমি কথাও বলতে পারি না, বাক্ গুলো স্তব্ধ হয়ে রয় নিথর পাথরের মতো, নির্বাক তাকিয়ে থাকি শুধু তোমার প্রতীক্ষায়.......।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জয় শর্মা (আকিঞ্চন)
জরাজীর্ন রেল লাইন আগাছার কমতি নেই বৈকি,
এর বিস্তৃত বিবরন দিতে দিতে হয়তো আমার সাত জন্ম পার হয়ে যাবে । ভালোলাগা আর ভালোলাগা। সুন্দর লিখেছেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।