সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মেজর সাহেবের ফোনে একাটা অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ আসল "আমি তোমার কাছে কিছু চাই দিতে পারবা?" মেজর সাহেব অনেক চিন্তা ভাবনা করে উত্তর দিল হ্যা পারব, তবে আমার সাধ্যের মধ্যে থাকলে।অপরিচিত নাম্বার থেকে সাথে সাথেই ফিরতি মেসেজ আসল "তোমার সাধ্যের মধ্যেই আছে শুধু প্রমিজ কর দিবা"। মেজর সাহেবের ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ উত্তর হুম বল। "আমি তোমার বউ এর বিয়ে আর গায়ে হলুদ এর শাড়িটা চাই।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠিয়ে দাও।মেজর সাহেব যেন আকাশ থেকে পড়ল এটা কেমন করে সম্ভব।ফিরতি মেসেজ এ তিনি জানিয়ে দিলেন এটা আমার পক্ষে অসম্ভব।মেজর সাহেবের মন টা একটু খারাপ ই হল।আজ শেষ বারের মত ফিরিয়ে দিলাম তাকে যে মেয়েটি আমাকে কখনো ফিরিয়ে দেইনি।মেয়েটির শরীরের প্রতিটি ভাজের চিত্রলিপি আমার বন্ধ চোখের খোলা জানালা।আজ আমার সংসার আছে কিন্তু সে আজ একাকী তার শেষ অনুরোধ কিভাবে ফেলে দিলাম।তারপর তিনি কল্পনার সাগরে ডুব দিলেন।আজ থেকে সাত বছর আগে ঐ অপরিচিত নাম্বারের মেয়েটির সাথে দেখা হয়েছিল একটি সপিং মলের সামনে।ছোট খাট একটি শ্যামলা মেয়ে শপিং মলের সামনে দাড়িয়ে ছিল।খুব মনে পড়ে তার পরণে ছিল কাল ড্রেস আর কাধে লাল ব্যাগ।আমাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে ভীত সন্তস্ত্র মেয়েটি গুটি গুটি পায়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছিল।আমরা দুজন বেশ কিছু পথ পাশাপাশি হেটেছিলাম।মেয়েটির আমার প্রতি ছিল ভালবাসার মায়াবি দৃষ্টি আর আমার ছিল মাংসাশী প্রাণীর খাব খাব দৃষ্টি।এক পলকে তার পুরা শরীর খেয়ে নিয়েছিলাম।সেটা ছিল প্রথম দেখা।পরিচয় কিভাবে হল সেটা না হয় বাদ ই দিলাম।ঢাকার ছেলে আমি চালাক চতুরতা কোনটাই কম যাই না।মেয়েটি ছিল গ্রামের সহজ সরল চারুলতা।আমার বুদ্ধির কাছে পুরাটাই নস্যি।মেয়েটা আমার প্রেমে মগ্ন ছিল আর আমি ছিলাম তার উচু বক্ষ আর ঢেউ খেলানো শরীরের প্রেমে মগ্ন।সেদিন দেখা হবার পর মেয়েটি আমাকে ভালবাসি বলেছিল।আর আমি কখনো ভালবাসি বলিনি বলেছিলাম আমার ভালবাসা পারলে আদায় করে নাও।তাকে ভালবাসা বা বিয়ে করার চিন্তা কোনটাই আমার ছিল না শুধু ছিল ছলা কলা করে ফ্রিতে খাবার চিন্তা।এমন ভাবে আমার দিনটা চলছিল।মাঝে আমি বদলি হয়ে যাই।আমার গাড়ি যাবার পথে মেয়েটি সারাদিন দাঁড়িয়ে ছিল।চলে যাওয়া আমকে দেখে অঝরে কেঁদেছিল।আমার এসব কিছু মনে হয়নি।শুধু আফসোস হচ্ছিল ধান্দা পুরণের আগে কেন যে বদলি টা হল।অবাক করা কাহিনী ঘটেছিল আমার জন্মদিনের দিন ২২ শে জুলাই।বিশেষ করে সেনা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতর কারো প্রবেশ অধিকার ছিল না।মেয়েটি ৫২৫ কি.মি. পাড়ি দিয়ে সেনা ক্যান্টনমেন্ট এর সামনে অপেক্ষা করছিল।আমাকে বার বার বলে একটু দেখা করে যাও চলে যাব।আমি তখন পার্টিতে মগ্ন।কোথায় কে, দেখার সুযোগ নাই।ফোন সাইল্যান্ট ছিল সন্ধ্যার সময় ফোন টা হাতে নিয়ে দেখি ২৩৪ বার কল আর ৩৩ টা মেসেজ। রাগ চেপে গেছিল।নিজে গিয়ে তাকে নিয়ে আসলাম।সে কি যেন বলতে চাইছিল আমি তা শুনিনি।সারারাত আমি সহ বন্ধুরা মিলে উপভোগ করলাম।তার কান্নার শব্দ যেন আমাকে আর ও উন্মাদনা দিয়েছিল।ভোরে একজন কে নির্দেশ দিয়েছিলাম রেখে আসতে বাসায়।সকালে রুমের ভিতর দেখি একটা বক্স। খুলে দেখি একটা আংটি আর একটা চিঠি তাতে লেখা "জানু অনেক শখ করে নিজের জমানো টাকা থেকে তোমার জন্য বানিয়েছি।খুব শখ ছিল তোমার জন্মদিন এ তোমাকে পরিয়ে দিব।আংটিটা জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলেছিলাম আর চিঠিটা ডাস্টবিন এ।মেয়েটি তারপর আমাকে অনেক ফোন দিয়েছে রিসিভ করিনি।মাঝে একদিন মাসেজ করে বলে ব্রেন টিউমার ইন্ডিয়া যাচ্ছে।আমি ও রিপ্লে দিয়েছিলাম বেস্ট অফ লাক।ইন্ডিয়া থেকে ফিরে মেসেজ করেছিল ডাক্তার বলেছে তিনমাস বাঁচব।আমি একবার তোমায় দেখতে চাই।আমি টেক্সট করেছিলাম সময় নাই।আজ হটাত অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ।তাও পূরণ করতে পারিনি তার চাওয়া।আমি পূরণ করতে পারিনি সেই মেয়েটির চাওয়া যার পরশুর সূর্যাস্ত দেখার সামর্থ্য নেই।হয়তবা আমার বউ সারাজিবন কান্নাকাটি করে বন্ধ করতে পারবে না আমার সিগারেট খাওয়া।জানবে না এর পেছনের রহস্য।চিনবে না আমার অপরিচিতাকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মোখলেছুর রহমান
kahini,ghotona, o sahitter golpo an noy. jomiyecilen valoi kintu bikosito korte parlena. kaji vaier sathe akmot.manik babu porar poramorso roilo.
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
আমার কাছে লেখাটা কেমন যেন এলোমেলো লাগলো। বিষয়ের চেয়ে লেখকের ভাবনাটা বেশি দেখা যাচ্ছে.... যা হোক, তবু বলবো কিছু পেয়েছি গল্পটি পড়ে-- এতেই অনেক অনেক শুভকামনা, ভোট ও আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো
কাজী জাহাঙ্গীর
গল্পের চরিত্রের যতটুকু না নগ্নতা আছে তার চেয়ে লেখকের বর্ণনাতে নগ্নতা বেশী। লেখক অতটুকু নগ্ন না হয়েও মেজর চরিত্রটাকে নগ্ন করা যেত পাঠকও ভাবনার খোরাক পেত। খোলামেলা বর্ণনা লেখার মান ক্ষুন্ন করেছে। তবে বিষয়টা বেশ ভালছিল, পুরুষ নামের কিছু মুখোশধারীর মুখোম্মোচন করার প্রয়াস পেয়েছেন সেজন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ইফতেখার আহমেদ
এ গল্পের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াগুলো বেশ ভালভাবেই ধরা পড়েছে। :) কিন্তু কোথায় যেন একটা 'কিন্তু' রয়ে গেল। হয়ত মেজরের বাস্তবতার সাথে গল্পটা ঠিক যায় না।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।