“রমণী”

রমণী (ফেব্রুয়ারী ২০১৮)

নয়ন আহমেদ

"তমাল সাহেব একজন সধারন মনের মানুষ। একটা বেসরকারি কলেজে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কাজ করে। তারপরেও নিজের প্রতি অনেক বিশ্বাস, আর যে বেতন পায় তাই দিয়ে সংসারের ভার ছেলেমেয়েকে পড়ালেখা বেশ ভালোই চলে। আর সংসারের সবকিছু তমালের স্ত্রীকে সামলাতে হয় সেই ভোর থেকে সন্ধো প্রর্যন্ত। তারপরেও এতটুকু বিরক্ত হয় না। আর হবেই বা কেন সে একজনের অর্ধাঙ্গিনী বা জননী। তবে কিন্তু সেই অর্ধাঙ্গি একজন বেশ উদার মনের মানুষ সে হচ্ছে রমনী। আসলে পুরো নামটা রমানা। সকলে রমনী বলেই ডাকে। দেখতে যেমন রূপবতি তেমনি কাজেও অনেক গুনবতি। মাঝে মাঝে একটু রাগ করেন তবুও ছেলেমেয়ের ওপর। আর তমাল সাহেবের একটা শখ লিখালিখি করার। তবে শখ বললে ভুল হবে পুরটাই স্ত্রীর অবদান। স্ত্রী চায় লিখালিখি যেন বন্ধো না করে। সেই তখন থেকেই তমাল সাহেবের লিখালিখি করা। তবে সে যে ভালো লেখে সে কখনো নিজের ঢোল নিজে পেটায় না। তবে কিন্তু সে বেশ রশ্মিক মনের মানুষ। স্ত্রীর অনেক ইচ্ছে বই বের করার কিন্তু কে শোনে কার কথা। তারপরেও ওদের সংসার সোনার পরিবার। সেই সকাল বেলা প্রতিদিন তার ডাকাডাকি শুরু হয়ে যায়।
রমনী- এই বিন্দু ওট মা অনেক বেলা হলো। তোর ভাইকেও ডেকে নিয়ে আয় খাওয়া করবি।
তমাল- হে গো কি তৈরি হলো? তারাতারি দাও! ছেলে মেয়ে দুটো কি উঠলো নাকি এখনো ঘুমোচ্ছে। আরে তারাতারি ডাকো।
রমনী:- ডাকলে কি উঠবে তোমার আদরের ছেলে মেয়ে। দেখো এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে! এই বিন্দু মা ওট খাবি তো শুভ ওট নারে বাবা। আচ্ছা এবারে কি শীত পড়েছে তাইনা গো?
তমাল:- হ্যাঁ বেশ ভালোই শীত পড়েছে এবার।
মেয়ে:- হে মা আমি ব্রাশ করে আসছি এইতো আর একটু। ভাই এই ওট মা খেতে ডাকে জলদি ওঠে পর।
রমনী:- আয় মা বসে পর কতো বেলা হয়েছে। তোদের এখন ওঠার সময় হলো। আর আর শুভ ওঠেনি এই ছেলেটাকে নিয়ে আর পারিনা। বাবা আয়নারে তোর আবার স্কুলে দেরি হয়ে যাবে যে।
তমাল:- আরে আজকে যে সরকারি ছুটি জানোনা? আজকে যে শুক্রবার সেটাও ভূলে গেলে। আচ্ছা ছেলেটা একটু ঘুমাক না। যত পড়ার চাপ সকালে ওঠে কোচিং যাওয়া। তারপর সেই সন্ধ্যের দিকে আবার কোচিং শেষে বাসায় ফেরা। কতো চাপ না ছেলেটার বলো তারচেয়ে একটু ঘুমাক।
রমনী:- ও তাই বুঝি! আমি ভূলে গেছিলাম আজকে শুক্রবার। আর আমার কি করে মনে থাকে বলো সংসারে কাজ করতে করতে আমার কি দিনবারের কথা মনে থাকে।
মেয়ে:- মা আজকে সব দারুন খাবার? এগুলো কত্তোখনে রান্না করেছো আহা! কি সুসাদু তোমার হাতের রান্না।
তমাল:- তোর মা সেই ভোর রাতে ওঠেই রান্না করতে ধরছে। একটু তোর মাকে সাহায্য করতে পারিস কতো বয়স হলো চুলে পাকঁ ধরেছে আর কতোই বা একা একটা মানুষ কাজ করে।
রমনী:- এই এই কি বললে? আমার চুলে পাকঁ ধরেছে। আমার অনেক বয়স হয়েছে হাঁ। মাত্র দু'ই সন্তানের মা হয়েছি আর তুমি বলো কিনা। জানো আমি এখনো অনেক সুন্দরি দেখো আমার মুখে কোনো স্পট আছে। থাক আর বেশি কিছু বললাম না। পরে ব্যবস্তা করবো তখন বুঝবে কতো ধানে কতো চাল।
তমাল:- হুম সেতো দেখতে পাচ্ছি তুমি কতো সুন্দর আহা! বিয়ের আগের কথাগুলো কি ভূলে গেছো হুম! ইস, সেগুলো একটু বলবো কি?
রমনী:- যতো সব তোমার মাথা। মেয়ের সামনে এসব বলতে লজ্জা করে না। আর আগেতো আরো অনেক সুন্দর ছিলাম তাই এখন নাহয় একটু!
ছেলে:- উহু কি শীত! মা ও মা কি রান্না করেছে? খিদে লেগেছে অনেক তারাতারি দাও।
রমনী:- ঐযে আসছে আমাদের আদরের ছেলে! এই শুভ আয় বসে পড়।
ছেলে:- এতো গুলো খাবার দিয়েছে। আমি কিন্তু এতো এতো খাবার খেতে পারবোনা বলেদিলাম।
রমনী:- যতটুকু পারবি খা। তারপর পড়ালেখা করবি? বাইরে খুব শীত বেরোবার দরকার নেই। ছুটি আজকে তাইবলে পড়ালেখা ছুটি নয়।
ছেলে:- আচ্ছা মা তোমার হাতে জাদু আছে নাকি। আহা কি দারুন এতো মজার রান্না কি করে রাধোঁ? তোমার রান্না খেলে পরাণটা ভরে যায়। (মায়ের আচঁলে হাত মুছতে মুছতে বলছে)
রমনী:- হুম জাদু জানি কিনা তা জানিনা। তবে আমি যে তোদের মা তাই বোধাঁয় ভালো কিছু করতে পারি। কিন্তু হে আমি সব কিছুই পারি (বলতেই তমাল হেসে বলে)
তমাল:- বাহবা সব কিছুই করতে পারো। জানিস তোদের মা রান্না ছাড়া আরো,, (বলতেই রমনী দাঁত চিবিয়ে বলে) তোমার মুখে দেখি কিছুই আটকায়না। ছেলে মেয়েদের সামনে যা আসে তাই বলছো। এই মা বিন্দু তুই আর একটা মাছের মাথাঁ নেয় না।
মেয়ে:- উম না মা আর খাবো না ওটা তুমি বরং খাও। আমার খাওয়া প্রায় হয়ে গেছে।

শপিংমলে রমনী আর ডাক্তার ফাতেমার সঙ্গে দেখা। দুই সন্তানকে সিজার করেছিলো তখন থেকেই পরিচয়। এই যে ডাক্তার আপা কেমন আছেন?
ফাতেমা:- হে হে ভালো তারপর আপা আপনি কেমন আছেন? আপনার ছেলেমেয়ে কেমন আছে? ওরা কিসে পড়ছে এখন। বেশ কয়েক বছর পর দেখা হলো তাইনা।
রমনী:- এইতো ভালো! আর ছেলেমেয়েরা বেশ ভালো আছে। আর মেয়েটা এম,বি,বি,এস করছে, আর ছেলে ক্লাস নাইনে পড়ে। আর আসলে অনেক অনেক বছর পড় দেখা তাইনা। (হাসতে হাসতে বলছে)
ফাতেমা:- কিন্তু এখানে শপিংমলে একা আসছেন নাকি?
রমনী:- না একা না ছেলে মেয়েরাও এসেছে! ঐতো ওরা ওদিকে শুভর জন্য শার্ট প্রছন্দ করছে।
ফাতেমা:- তারপর ফ্যামিলি প্লান কি? আর নতুন কিছু কি ভাবছেন!
রমনী:- আরে আপা কিযে বলেন! ছেলেমেয়ে এতো বড় হয়েছে। ওরা কিভাবে নেবে তাই আসলে এ রকম প্লান নেই।
ফাতেমা:- আচ্ছা তাই! আপা আপনি এখন কিন্তু অনেক বদলে গেছেন। বেশ সুন্দরও হয়েছেন। আপনাকে দেখে বোঝাই যায় না যে, আপনি দুই সন্তানের জজনী।
মেয়ে:- মা আমাদের শপিং করা শেষ। আরে আন্টি কেমন আছেন?
ফাতেমা:- অনেক ভালো! তোমরা ভালো আছো? আরে শুভ অনেক বড় হয়ে গেছো ভালো আছো?
ছেলে:- হে ভালো! আপনি ভালো আছেন?
ফাতেমা:- আমিও ভালো আছি! আচ্ছা ঠিক আছে কেমন ভালো থেকো আপা আসি।

রমনী:- এই শুভ ওট ব্রেকফাস্ট রেডি জলদি ওঠে পর। বিন্দু কইরে উঠেছিস তারাতারি আসো।
ছেলে:- মা আজকে আমায় ভাল লাগছে না। শরীরটা কেমন করছে।
রমনী:- ঠিক আছে ঠিক আছে! তারমানে আজকে স্কুল যাবিনাতো। আচ্ছা বিন্দুর সাথে ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে ডাক্তার দেখিয় ঐষধ নিয়ে আসবি।
তমাল:- কি গো আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে যে, আর কে অসুস্ত শুভ? আরে দেখি দেখি! বাবা শুভ তোমার জ্বর আসছে যে। কিযে করিস নিজের শরীর নিজে খয়াল করতে পারিস না। আর বাবা মা কি চিরদিন থাকবে বল?
ছেলে:- বারে থাকবে না মানে! আমার বাবা মা সারা জিবন থাকবে। ও মা আজকে আমায় খাইয়ে দাও না।
রমনী:- এদিকে যত কাজ আমার। এই নে খা! বলছি আমরা যখন বৃদ্ধা হবো তখন কি আমাদের খাইয়ে দিবি?
ছেলে:- খাইয়ে দেবনা মানে! তুমি যে শুধু আমাদের মা। তোমার আচঁলে যেন মায়ের গন্ধো পাই কারন তুমি মা।
মেয়ে:- মা তোমার বুড়ো ছেলেকে খাইয়ে দিচ্ছো।
রমনী:- পাগলি! ছেলে মেয়ে যতই বড় হোক। মায়ের কাছে এখনো ছোট। যখন মা হবি তখন বুঝবি ছেলে মেয়ের কতো টান।
তমাল:- হারে মা ভার্সিটি যাওয়ার পথে শুভকে ডাক্তার দেখিয়ে ভালো মেডিসিন দিতে বলবি।
মেয়ে:- আচ্ছা বাবা! মা তোমার আচঁলে শুভ মুখ মুছে দিলো। বাদঁর একটা ছেলে আদর দিয়ে বাদঁর হয়েছে। ও আমার ওরনাতো সর্দি মুছে ছিঃ ছিঃ।
রমনী:- মুখ মুছলে কি তোরি ভাই। (বলতেই কাজে মন দেয় রমনী)

রমনী:- এই কি করছো ঘুমাবে না অনেক রাত হলো যে।
তমাল:- এইতো একটা ই-মেইল করলে হয়ে গেছে। হাঁ কি বলবে বলো দেখি আমার প্রেয়সি গুনবতি রমনী।
রমনী:- কিযে বলো না! বলছিলাম এতো রাত জেগে জেগে কাজ করার কি দরকার। কথায় বাসায় এসে রেস্ট নেবে তা না করে।
তমাল:- তা রেস্ট নেব কি করে তোমার যে সময় নেই। তুমি ছাড়া আমার সময় কি কাটে বলো।
রমনী:- ধুর কি যে বলো না।
তমাল:- এই শোননা একটু। এদিকে তাকাও না।
রমনী:- এই কি এসব! ছাড়ো ইস' তোমর কোন কান্ড জ্ঞান নেই। ছেলেমেয়েরা যদি চলে আসে। ছাড়ো লক্ষ্মিটি এখন না।
তমাল:- এই বলছিলাম কি? তুমিতো সারাদিন সংসারেতে কতো কাজ করো। আচ্ছা তোমাকে বিরক্তি লাগে না। আর অনেক বছর হয়ে গেলো আমাদের তাই না।
রমনী:- কেনো বিরক্তি লাগবে শুনি? আমার স্বামী সন্তানদের এইটুকু কাজ করতে পারবো তা কি হয়। আর হুম একদম অনেক বছর হলো। উম' প্রায় আড়াই যুগত হবেই। (তমাল সাহেবের বুকে মাথা রেখে একটু আল্হাদে কথার উত্তর দেয় রমনী)
তমাল:- আচ্ছা দেখতে দেখতে আমাদের ছেলে মেয়ে কতো বড় হয়ে গেছে। এখন শুধু ছেলেটার ভালো একটা কলেজে তারপর ভার্সিটিতে পড়াতে পারলেই হয়। মেয়েটার ডাক্তারি পড়াও প্রায় কয়েক বছর। তারপর না হয় ভালো একটা রাজপুত্র দেখে বিয়ে দেয়া। মেয়ে মানুষ একদিন না একদিন বিয়ে দিতেই হবে। (তমাল রমনীর মাথাঁর হাত বোলাতে বোলাতে বলছে)
রমনী:- আসলে বিয়েতো দিতেই হবে। এ কথা বলতেই বলে ওঠে এই শোনো তোমার কি মনে আছে? শুভ যে বলছিলো 'নলিন গুড়' আনতে ও নাকি পুলি পিঠে খাবে! পৌষ মাস প্রায় শেষ হয়ে যায়।
তমাল:- ও'হো! আমার মনেই ছিলো না। আচ্ছা উম কালকেই নিয়ে আসবো। ছেলেটা খেতে চাইছে যখন। তোমার হাতের তৈরি করা পিঠে খেতে দারুন লাগে। রমনীর হাতের খাবার কি স্বাদ আহা। আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেলো। মায়ের হাতে কতো নানান রকম পিঠে খেয়েছিলাম। (আফসোস হয়ে বলে)

এই মেয়েটাকে কতোবার বলি! সকালে ওঠার সময় একটু নিজের বিছানাটি গুছিয়ে রাখলেই হয়। তানা করে মেয়ে হয়েছে অ-গছালো আর ছেলে দেখো গোছালো। বলি ভাইয়ের কাছ থেকে একটু শেখ।
মেয়ে:- আচ্ছা মা শুধু একটু বিছানাই গুছিয়ে রাখিনা। আর তা ছাড়া তোমার কাজেও সাহায্য করি।
রমনী:- ইস কতো কাজ করো? খালি টিভি দেখা আর ভাইয়ের সাথে মারামারি করা। আচ্ছা এতো বড় হয়েছিস এখনো কি ছোটই আছো?
মেয়ে:- বা-রে এখানে ছোট আর বড় আছে। শুভকে একটু কাদাঁতে আমার ভালো লাগে তাই একটু দুষ্টামি করি। তাইবলে ভাইয়ের সাথে দুষ্টামিও করতে পারবো না।
তমাল:- এই মা যখন তোমার বিয়ে হবে তখন কি দুষ্টামি করবে। তখন তুমি স্বামীর বাড়িতে থাকবে।
রমনী:- হে তখন আসবে আর মারামারি করবে। ছেলে যেমন সান্ত আর মেয়ে হয়ছে একটা ঝগরাটে। দশটা নয় পাঁচটা নয় দুইটা মাত্র সন্তান, তারপরেও মারামারি। (একটু রেগে গিয়ে বললো)
মেয়ে:- আচ্ছা মা হয়েছে! বলছিলাম এই শীতের দিনে কোথাও ঘুরে আসলে কেমন হয়। শুভর স্কুল এইতো কয়েকদিন পর বন্ধো দিবে। বাবা চলোনা আমারো ভার্সিটি বন্ধ দিয়েছে চলোনা মা।
রমনী:- যাবে কোথায় শুনি? বলছিলাম তোদের দাদু দাদির বাড়িতে সকলে মিলে গ্রামে গেলে কেমন হয়।
মেয়ে:- দারুন মা! ইস, সেই কবে গেছিলাম দুই কি তিন বার। তোমরা গ্রামে প্রাই যেতে। আর শুভর প্রিয় জায়গা ওতো গ্রামে থাকতে চায়। কতো স্বপ্ন দেখে খেজুরের রস খাওয়া, পুকুরে মাছ ধরা, গোছল করা। আচ্ছা মা তোমার মনে আছে যখন পুকুরে পড়ে গিয়েছিলো।
রমনী:- মনে থাকবে না আবার। এইতো মনে হয় সেদিনের কথা। দেখতে দেখতে তোরা কতো বড় হয়ে গেলি।
তমাল:- চলো তাহলে আমিও কয়েকদিনের জন্য ছুটি নিই। আর কাজের চাপে কোথায় যাওয়া হয় না। আমার সেই গ্রামটা একসাথে দেখবো। আমার প্রানের গ্রাম। আর মানুষ গুলো কি ভালো। চলো তাহলে কবে যাওয়া যায়।

কয়েক মাস পর তমাল সাহেব যখন একটা ডায়েরি লিখছিলো। তখন রমনী ডাকতে থাকে এই কি করো খেতে আসো এই বলতেই ঘরে ঢুকে।
তমাল:- না মানে ঐ আর কি! ডায়েরিটা লিখছিলাম এখনো শেষ করতে পারিনি বলতেই।
রমনী:- দেখি দেখি কি লিখছো। ডায়েরিটা তমালের হাত থেকে কেড়ে নেয়। এবং কয়েকটা পাতা উল্টে একটা লেখা পড়ে তার চোখের কোঁণে মুক্তো ঝরা জ্বল ভেসে ওঠে।
" যে সঙ্গো শুধু সুখেই দেয়। যেখানে নেই কনো অপ্রাপ্তির আশা! দেয়না দুঃখ করেনা অসম্মানে ক্ষতো বিক্ষতো। বিরোহানলে দগ্ধ মরুভুমিতে যে ফোঁটায় রঙিন সুভাসি পুস্প। যাতে আকৃষ্ট হয় মনো লভির দল। যার শুকানোভূতি আনে জিবনের অতি প্রয়োজনিয় আবেশময় নিদ্রা। যাকে শুধুই ভালোবাসা যায়, রাগ অভিমান বিরহের ভার। যার উপর চাপিয়েও আপন থেকে আপনোরত্ব পাওয়া যায়। যে কখনো ত্যাগ করবেনা একে আপরে চাওয়া পাওয়ার মিলনে এক সঙ্গে চলতে চলতেই তাতেই অভ্রস্ত। সে কখনো সড়ে থাকে না। বরং দুঃখ শখের সময় তার নিবির সানিদ্ধো প্রফ্লুলিত করে এগিয়ে যেতে, এবং ভালোবাসাতে বাচঁতে শেখায়। প্রতিবাদের ঝোঁড় তুলে কখনো সে জিতে নেয় পুরস্কার। তার প্রেমোরসে কখনো খাই হাবুডুবু! তার এই লিলা ময়তার সঙ্গে জড়িয়ে আছি বলেই সব দুঃখ সব শুখ আনন্দ বেদনা তাকে সর্মপণ করে পাই রমাঞ্চের সুখ সংস্পর্শে। গভির রাত ওবদি তাতে আলিঙ্গনা বদ্ধো থেকেও বিচ্ছিন্য হতে মন চায় না। বরং তা থেকে বিচ্ছিন্যতা নামে একরাশ ভালোবাসা। জলোস্থলে অন্তরিক্ষে সয়নে স্বপনে জাগরনে সুখে দুঃখে আনন্দো শখে তারমতো এমন রমনী আর কে হবে। সে আমার অর্ধাঙ্গিনী।
তমালের লেখাগুলো পড়ে রমনীর চোঁখে ঝরণাধারা চুয়ে চুয়ে পড়ছে। আর তমালকে জড়িয়ে ধরে বলে আচ্ছা তুমি এতো ভালোবাসো?
তমাল:- হুম! লক্ষ্মিটি তুমি ছাড়া আর কাকে ভালোবাসবো। তুমি যে আমার সব, আসলে ডায়েরীটা যেদিন লেখা শেষ হতো ভাবছিলাম সেদিন তোমাকে এটা উপহার দিবো। আর আজকে তুমি নিজে দেখতে পেলে।
তমাল সাহেব রমনীর কপাঁলে চুম্বুন দিয়ে বলে হে প্রিয়ে তুমি আমার সব।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাদিক ইসলাম বেশকিছু বানান ভুল। তবে প্রচেষ্টা ভালো লেগেছে। আরো ভালো লিখুন। সময় পেলে গল্পে আসবেন। শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া ভালো প্রচেষ্টা ছিল আপনার। আমার ভালো লেগেছে। তবে তমাল, রমণী বা মেয়ে এভাবে না লিখে অন্যভাবে কথোপকোথন উপস্থাপন করলে হয়তঃ আরো নান্দনিক হতো উপস্থাপনা। যাই হোক আমার ভালো লেগেছে। সময় পেলে আসবেন আমার গল্প ও কবিতার পাতায়।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

০৪ আগষ্ট - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী