- ইস সাতটা বাজে। আবার এখনো ঘুম থেকে ওঠার নাম নাই। কইগো ওঠো অনেক বেলা হয়েছে। এই লক্ষিটি এবার ওঠো? সাতটা বেজে গেছে যে।
- উম,,,
- ঐ দেখো আবার পাশ ফিরে শুলো। মনে হচ্ছে যেন মাঝ রাতের ঘুম। এই ওঠোনা চা জুড়িয়ে গেল।
- উম, না লক্ষিটি।
- এই কি হচ্ছে এখন এসব নয় ওঠো।
- উম,, এখন উঠবো না লক্ষিটি।
- এই ধরো চা চা।
- লক্ষিটি কাছে এসো।
- এই এই আবার বদমাস।
- এই নাও খবরের কাগজ ধোরো ধোরো।
- আ, সাকালের আরামের আশাটা ভন্ড হয়ে গেলো বুঝলে বউ।
- দিন দিন বয়স কমছে নাকি? ছেলে মেয়ে এত বড় হলো তবুও।
- ও কি তোমাকে একটু ভালোবাসতে পারিনা।
- না কিচ্ছু না এবার ওঠো যায়।
- আয়া, উম আচ্ছা এবার উঠি চোঁখ মূখে পানি দিয়ে আসি। তারপর বাজারে যাই। কই গো এবার বাজারের ব্যাগটা দাও।
- আচ্ছা তোমার বাজারে না গেলে কি হয়? খোকা বড় হয়েছে, সে নাহয় বাজার করা ধরক।
- কে বাজার করবে আমাদের খোকা। আহা আহা।- আরে এত হাসির কি হলো? তোমার বয়স হচ্ছে এবার এত খাটনি কমাও তো। আমাদের খোকাই যাক।
- বয়সের দোহাই দিও না বউ। জানো এখনো চুলে পাক ধরেনি। বয়স বারলে কি হবে। আসলে এখনো!
- এখনো কি?
- না, বলছিলাম আর কি রাস্তায় হাটার সময়। সুন্দরি মেয়েরা লুকিয়ে লুকিয়ে আমায় দেখে।
- থাক মেয়েরা দেখে না তুমি দেখো তা আমার সব জানা আছে।
- আচ্ছা এবার দাও বাজারের ব্যাগটা।
- বললাম না খোকা বাজারে যাক।
- হবেনা গো হবেনা।
- কেন? কেন? হবেনা।
- দেখো খোকা বগফুল চিনেনা। আড়মাছ আর চিতলমাছের তফাৎ বুঝে না। থর বললে অবাক হয়ে দাড়িঁয়ে থাকে।
- এক দিনে কি হয়। দেখতে দেখতে চিনবে।
- হয়তো চিনবে। কিন্তু আনতে চাইবে না।
- যে ছোট্র বেলায় এসব দেখেনি সে এসব প্রছন্দ করবে কেন। আর দায় সাড়া বাজার করা তাতে পেঠ ভরবে, কিন্তু মন ভরবে না। আসলে কি জানো? বাজার করতে গিয়ে। আমি সেই পুরনো দিনের জিনিস গুলো পেতে চাই। শাক-সবজি, পুকুরের মাছ, আসলে সেগুলো আমার ছোট্র বেলার ছবি। তাই আজো তাদের খুজেঁ বেড়াই।
- হে কবি বর তাহলে এই নাও টাকা। এবার যাও তাহলে আপনার ছোট্র বেলার ছবি গুলি কিনে নিয়ে আসুন।
- হা,,হা।
- হা।
- এই পটল, আলু, টমেটো। আসেন আসেন বাবু আসেন এত দিন আসেন নাই যে।
- আ একটু অফিসের কাজে বাইরে গেছিলাম।
- তায় শরীর ভালা আছে তো?
- হে! তুমি কেমন আছো?
- আর কোন না বাবু কয়দিন থিকা জ্বর।
- উম! বলকি ঔষধ খাওনি।
- হো খাইছি বাবু।
- আচ্ছা বাবু কি নেবেন।
- ইম, দাড়াঁও আগে বাজারটা চক্রর দিয়ে আসি। তোমার কাছ থেকেইত কিনি।
- হ হ তা ঠিকি কইছেন। - লোকটার আঙ্গুল গুলো যেমন বেশ লম্বা যেন সেতারী। যদি সেতার বাজাত জীবনে বেশ উন্নতি করতে পারতো। আরে কি সব ভাবছি। এবার মাছের বাজারে যাওয়া যাক।
- নেন বাবু আজ বড় জেনতো মাছ। এই কমক্রেট মাছ আর কারো কাচে পাবেন না।
- হুম তা জানি। তুমি ছাড়া আর কেউ কমক্রেট মাছ বিক্রি করে না।
- আচ্ছা একটু পর আসবো আগে বাজারটা ঘুরে অসি।। এই ঝিরি বৃষ্টিতে চা খেলে মন্দ হয় না। এই এক কাপ চা দাও দুধ ছাড়া।
- দিচ্ছি বাবু বসেন! এই নেন আপনার চা।
- বা চা-টা বেশ ভালোই, আসলে বাজারের লোকগুলো ভাল। কেনো যে এরা গরিব তবু এদের অনেকে সধ এরং সরল। সেদিনের ঘটনাটা ভাবতে আমার আজো ভালো লাগে।
- উম,উম এত গুলো টাকা বারত্বি হলো কি করে। আলু,মাছ,কপি,টমেটো,পটল চার টাকা-ছ টাকা আ ফেৎরত হবে তিন টাকা।
- আরে কি হলো কি? তখন থেকে কি হিসেব করছো, পয়সা হারিয়েছো নাকি।
- আরে দেখো দেখি। কমের বদলে দশ টাকা বেশি এলো কিভাবে। আমি কি কাউকে কম দিলাম। না কেউ বেশি ফেরৎ দিলো।
- দেখোনা কার কাছ থেকে দশ টাকা বেশি কিনেছো মনে করোতো।
- আলু,কপি,পটল,টমেটো, মাছ হে হে মাছ। হা পেয়েছি মাছ ওয়ালার কাছে ষোলো, টাকা চার আনা ওকে দিয়েছিলাম কুঁড়িঁ টাকার নোট। কিন্তু ফেরৎ পাবো তিন টাকা বারো আনা।
- দেখো আবার ভালো করে ভেবে নাও। ঠিক মনে আছে তো? না হলে আবার ঘরের টাকা আরেকজনকে দিয়ে দিবে।
- না না এইতো সব দাম লিখে রেখেছি আমিতো কিছু বাড়িয়ে ধরিনি। এই দেখো আলু,পটল!
- আর লিখে রাখলেই ভালো। দেখো পরে যেন আবার আপসোস করতে না হয়।
- নাগো না তাছাড়া এদের মন গুলো ভালো। ওদের টাকা মারার মতো নিচুঁ মন ওদের নেই।
- হুম তোমার কাছে সবার মনেই ভালো। তাহলে দেশে এত ঠক কি করে থাকে শুনি?
- জানো বউ? আমি বাজারে গিয়ে জিনিস বাছি না। মানুষ বাছি। আর ওরাও আমায় ভালোবাসে।
- ওকি তাহলে তুমি তরকারি বেছে আনো না।
- না! ওদেরি বেছে দিতে বলি। আচ্ছা তুমি বলো কখনো কি খারাপ পেয়েছিলে।
- না কিন্তু।
- কোনো কিন্তু নয়। যাই অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া মাছ ওয়ালা যদি চলে যায়।
- এই মাছ লাগে মাছ।
- এই যে মাছ ওয়ালা এখনো আছো দেখছি।
- কি হয়েছে বাবু মাছ কি সব মরে গেছে।
- না না সেসব না। দেখতো ভালো করে তোমার কত টাকা কম হচ্ছে।
- আচ্ছা বাবু দেখছি! আ আ বাবু দশ টাকা কম হচ্ছে।
- তাহলে এই ধর দশ টাকা আমাকে বেশি দিছিলে।
- আ।
- আরে তাকিয়ে আছো কেনো?
- আচ্ছা বাবু আজ কার মুখ দেখে উটছিলাম বাবু। এই টাকা না পেলে শিশুটাকে সাবু খাওয়াতে পারতাম না।
- আরে করছো কি? প্রনাম করতে হবে না।
- না বাবু প্রনাম টা করতে দিন আপনি দেবতার মতো মানুষ।
- আচ্ছা এখন থেকে মন দিয়ে হিসেব করবে আমি চলি।
- কই গো।
- হে কি হলো। লোকটাকে পেলে।
- জানো লোকটা টাকা পেয়ে এমন খুশি যে, যেন সামনে ওর মাকে দেখতে পেলো। ওর টাকাটা ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি কি তৃপ্তি পেলাম।
- গরিব মানুষের টাকা। পেয়েছে ভালো।
- জানো লোকটা বলছিলো ঐ দশ টাকা কম হলে মহাজনের টাকা মিটিয়ে ওর বাচ্চার সাবু কিনতে পারতো না আজ। মাত্র কটা টাকায় ওদের দিন চালাতে হয়। আরে পুরনো কথা ভাবতে ভাবতে চা শেষ হয়ে গেলো।
- এই যে চায়ের টাকা নাও।
- হে বাবু দেন।
- এবার মাছের বাজারে যাওয়া যাক। এই মাছ টাটকা?
- হে বাবু একটু আগে লাফাচ্ছে একদম টাটকা।
- তবে তিন কিলো দাও। দাম বেশি নিচ্ছো নাতো।
- না না বাবু আপনাকে ঠকাবো না।
- কেন? আমাকে ঠকাবে না কেন?
- আপনি অনেক ভালা মানুষ। আপনাকে সকলে চিনে।
- ও আচ্ছা!
- হয়ে গেছে বাবু নেন।
- আর এই নাও তোমার সাত টাকা উম পয়তাল্লিশ পয়সা।
- আসেন আসেন বাবু আসেন।
- পটল আজ কত করে।
- পটল,, ছয় টাকা করে বাবু। আ একদম টাটকা। ভোর রাইত্রে তুলছিতো।
- দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তা পেকে যাইনিতো।
- তবে দুই একটা পাইকা যেতে পারে, একটু বাইছা নেন বাবু।
- না না তুমি বেছে দাও। তুমি ঠকাবে না।
- হে বিশ্বাস যখন করেন। হে হে আমি বাইছা দিতাছি। এ এই যে এক কিলো। তা ছাড়া ডাটা ছিলো, আর কাচ কলার বেশ শুপ্ত হইবো বাবু।
- আচ্ছা দাও। আর একটা কচি দেখে "থর" দাও। তা কত হলো?
- বাবু পটল ছয় টাকা, ডাটা এক টাকা কাচ কলাও দুই টাকা, আর থর হলো এক টাকা তাহলে মোট হলো দশ টাকা।
- ইম, ইম, এই নাও পঞ্চাশ টাকা।
- কেমনে যে কথাটা কই!
- আরে কি বলছো বির বির করে। কি হলো দাও টাকাটা।
- বাবু কইছিলাম আপনি দিলেন পঞ্চাশ টাকা ফেরৎ পাবেন চল্লিশ টাকা। এই টাকাটা যদি ধার দিতেন একটু ভালো হতো। দুই চারদিন পরে নাহয় দিতাম।
- আমার কাচে আর পঞ্চাশ টাকা আছে। বাজার করবো কি করে?
- আপনাকে সকলে চিনে বাজার করতে পারবেন।
- আচ্ছা মনেকরে দিবে কিন্তু আমি চলি।
- হ আপনাকে চিন্তা করতে হবে না! ও আমি ঠিকি দিয়া দিমু।
- কি বাজার শেষ হলো।
- হে হে! আপনার?
- এইতো সামান্য একটু কিনলাম। বাড়িতে তরকারি রয়েই গেছে।
- বাজারের অবস্থা যা দেখেছেন। কোন জিনিসে হাত দেয়ার উপায় নেই। একেবারে আগুন।
- তা বলেছেন।
- ছোট ছোট চিংরি তার দাম পনেরো টাকা কিলো। পটল তাও "ছ" টাকা। কি খাব বলেন।
- শুধু মাছ আর তরকারি। সরষেরতেল দাম বারতে বারতে চল্লিশ টাকা, চাল ডাল সবি চওড়া। আচ্ছা ভাবুনত যখন কড়কড়ে টাকা দিয়ে ব্যাগ ভরতে পারিনা তখন কেমন লাগে।
- গাঁয়ে জ্বালা করে জ্বালা।
- সেদিন একটা খবরের কাগজ পড়েছিলাম আমরা এত দাম দিয়ে জিনিস কিনে হজম করতে পারি কি করে।
- কি করে।
- এই যে যেমন, ধরূণ আমরা যা কিনি। যেন ভালো জিনিস টাই খুজিঁ। আর অল্প হলেও নিতে চেষ্টা করি। তারপর বাড়িতে মনের মতন রান্না করে খাওয়ার ইচ্ছেই। আর এই ইচ্ছেটাই হজম করা বুঝলেন।
- হা হা হা।
- হা।
- তাহলে এবার আমি বাড়িতে চলে এসেছি এবার আসি।
- আচ্ছা আচ্ছা।
- কইগো বাজারের ব্যাগটা নাও।
- কি গো আজ এতো দেরি যে?
- জানো আজ একটা মজার ঘটনা ঘটে গেছে।
- কি হলো আবার।
- ঐ যে তরকারি ওয়ালা, যার কাচ থেকে তরকারি কিনি, আর ফেরৎ যে টাকা।
- হে।
- সে বললো টাকা কটা কয়দিনে জন্য ধার দিলে ভালো হতো।
- আর আর তুমি সেই দিয়ে এলে।
- আরে এমন করে চাইলো মহাজনের ধার করা টাকা গতকাল পকেটমার হয়ে গেছে। আর বউ বাচ্চারা না খেয়ে থাকতো তাই শুনে।
- শুনে তেমনি দয়ার সাগর হয়ে গেলে। যত লোক পায় শুধু তোমাকেই। আর কারো কাচেতো চায় না।
- আহা! সবাই ভালো মনে নেয় না।
- হেয় হেয় তোমার মন খানায় শুধু ভালো। তোমাকে নিয়ে আমার হয়েছে যত জ্বালা। আর ওদের "সোয়া বারো" ঐ টাকা আর পাচ্ছোতো। দেখেনিও ও আর বাজারে মুখ মারাবে না।
- না না ও আমায় কথা দিয়েছে লোকটা ভালো। তাছাড়া আমাদের ভালো জিনিসিত দেয় নাকি।
- আসলে আসলে ওটাই তোমার বরাই। তুমি মানুষ চিনো না। বরং ওরাই তোমাকে চিনে ফেলেছে।
- আহা কি?
- ওরা চিনে ফেলেছে কাকে ঠকানো,, যায়।
- আরে বাবা লোকটা রোজ বাজারে বসে। পালিয়েতো যাবে না?
- এ কথা আরেকবার বলেছিলে মনে আছে?
- আরে সেই "হাবুদা"।
- যাক মনে আছে তাহলে। সেই "হাবুদা" চারশত টাকা নিয়ে গেলো সপ্তাহ দু একদিনের মাঝে দিয়ে যাবেন বলে। তারপর তারপর কি হলো।
- হয়তো অসুবিধা হয়েছিলো। আর তারপর যে আসেননি তাতো নয়।
- হে এসেছিলেন তবে বছর খানেক পর। আর টাকার কথা তোলেননি।
- আরে অন্যের অসুবিধা ও ভাবতে হবেতো নাকি।
- থাক অন্যের অসুবিধা তূমি ভেবে বেরাও। দের বছর হয়ে গেলো আরে বাবা অসুবিধার থাকলে মূখ ফূটে একবার বলতে পারতো।
- আহা বলতে লজ্জা পাচ্ছেন বধায়।
- আর তুমি টাকা দিয়ে চাইতে লজ্জা পাচ্ছো। তখোনি বলেছিলাম এতোগুলো টাকা দিও না।
- আরে আমি টাকা দিয়ে যদি ফেরৎ চাই তাহলে কি ভালো দেখায়। সেটা নিচুঁ মনের পরিচয়।
- বায়াবা কি কথা! উপকার করে চোর সেজে থাকা।
- আরে তা নয়, আচ্ছা ধরেই নাও আমাদের ঐ টাকা হারিয়ে গেছে।
- আ,হা তাহলে একটা দাত্বব্য কেন্দ্র খুলে ফেলো। আর ভেবে নাও আমাদের সবকিছু দান করে দিয়েছি।
- আচ্ছা মাথা ঠান্ডা করে দেখো যে।
- না মাথা ঠান্ডা করি কি করে। আমারো ছেলেপুলে আছে তাদের ভবিষ্যৎ আমাদের দেখতে হবে নাকি।
- আচ্ছা ওরা কি খুব খারাপ আছে।
- ইচ্ছে করে নিজের ক্ষতি করা এটা কি ঠিক।
- আচ্ছা তুমি টাকা পয়সা নিয়ে এতো চিন্তা করো কেন?
- চিন্তা করি কি আর সাধে, ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে। ওদের শখ আল্লাদের জন্য আমরা কত টাকা খরচ করি বলো।
- কিন্তু ওদের আমি অসুবিধা হতে দেইনা বলো?
- আচ্ছা তুমি দেখো "রিমি" একটা শাড়ি নিতে চাইছিলো আর আর তুমি সেদিন কি বলেছিলে। এখন এতো খরচা করতে হবে না। কিন্তু অন্যের বেলা চারশত টাকা দান করলে।
- না না তুমি বোঝনা। আমি সেটা টাকার জন্য বলিনি। বলেছি এতো কম বয়সে খরচ করার কি দরকার।
- আচ্ছা তোমার এসব পাগলামো করা দেখে ছেলেমেয়েরা হাসে।
- ওরা বোঝেনা গো ওরা বোঝেনা। বোঝেনা যে মানুষের দুঃখ ভাগ করাই কতোযে সুখ আনন্দ আছে।
- বেশ তাহলে কি বলার আছে। তুমি ঐ সুখ আনন্দ নিয়েই থাকো। তবে দেখেনিও ঐ টাকা আর পাচ্ছো না। আচ্ছা এবার গোছল করে আসো। তোমার এয়ারপোর্টের দেরি হয়ে যাচ্ছে।
- হে কইগো কি রান্না হলো তারাতারি দাও।
- বসো? এখোনি আসছি।
- এই আরেকটা মাছ নাও না।
- উম না না।
- আচ্ছা দেখো আমি তারাতারি বেছে দিচ্ছি কেমন।
- আচ্ছা দাও। ছেলে মেয়েরা কি খেয়েছে।
- হ্যাঁ খেয়েছে।
- আ আ আ তোমার হাতের রান্নার কি স্বাদ বুঝলে বউ।- এই কয়দিন সাবধানে থেকো ঔষধ গুলো ব্যাগে রেখে দিয়েছি। সময়মতো খেয়ো। আর শোনো ঠিকমতো বিশ্রাম নিও। সারাক্ষণ কাজ কাজ করে পাগল হয়ে না।
- হাহা পাগল কাজের জন্য হবো না গো তবে তোমার জন্য হতে পারি।
- হুম ওসব আমার জানা আছে।
- দেখো যখন পাগল হবো তখন তাল সামলাতে পারবে না।
- যা কি অলক্ষণি কথা মুখে আটকায় না তোমার।
- না আটকায় না? এসবেত পুরুষ মানুষের লক্ষণ উম।
- ইস আস্ত একটা দুষ্টো।
- আরে বাবা দেরি হয়ে যাচ্ছে? এগারোটায় এয়ারপোর্টে রিপোটিং আচ্ছা আমি এবার চলি তোমরা ভালো থেকো।
- আচ্ছা তুমিও ভালোথেকো।