আমার স্বপ্ন”

আমার স্বপ্ন (ডিসেম্বর ২০১৬)

নয়ন আহমেদ
  • ১১
আমি খুবই সাধারণ একটি মেয়ে,
বেশ সাধারণ একটা চাকরি আমার।
চাকরির বেতন কটা দিয়ে বেশ চলে যায় আমাদের।
আমার কুটির খানি থেকে অফিসটা বেশ খানিকটা দূরে, যেতে একটু খুব কষ্ট হতো তারপর যেতে হতো।
বাঁদরঝোলা হয়েই প্রতিদিন অফিসে যেতে হয়,
সেদিন সকালে ও অন্য দিনের মতো বাসের অপেক্ষায় ছিলাম,
বাসে উঠেই মুখে হাসি ফুটে উঠল
যাক বাবা! আজ আর বাঁদরঝোলা হয়ে ঝুলতে হবেনা।
জানালার পাশের একটা খালি সীট দেখে বসে পড়লাম,
চলন্ত গাড়ি থেকে আশেপাশের দৃশ্য যে এতো মজার হয় তা কে জানতো?
গাড়ির গতির সাথে সাথে আমি আমার ভাবনার গতিটা ও বাড়িয়ে দিলাম,
গাড়িতে উঠলেই নানা ধরণের হাবিজিবি ভাবনা মাথায় আসে।
নিজের ভাবনা আর জানালা দিয়ে বাইরেরে দৃশ্য দেখায় এতো ব্যস্ত ছিলাম?
পাশের সিটে বসে থাকা মানুষ দু’টির অস্তিত্বই টের পাইনি।
কি মনে করে যেন পাশ ফিরে তাকালাম.
দেখি পাশেই এক জোড়া কপোত কপোতী বসে আছে,
এই ভিড় বাসে ও তাদের খুনসুটির অন্ত নেই!
দেখে বেশ মজাই লাগছিল আমার। ঠিক তখনি
পাভেলের- কথা মনে পড়ে গেলো, ওদের খুনসুটি দেখে।
পাভেল আমার প্রথম আর শেষ ভালোবাসা।
আমি খুব সাধারণ তাই আমার গল্পটা ও বড্ড সাধারণ একটা।
আমার বয়স তখন উনিশ কি কুড়ি হবে,
সবে মাত্র নতুন কলেজে উঠেছি।
সেই কলেজেই ওর সাথে প্রথম দেখা।
প্রথমে বন্ধুত্ব তারপরে আর কি পরিণয়।
ও ভীষণ স্বপ্ন দেখতে ভালবাসত.
বড্ড গান পাগল ছিল ছেলেটা।
আমাকে নিয়ে কত যে পাগলামি করত,
তারপর হঠাৎ কি যে হল বুঝতে পারলাম না!
ও স্বপ্ন দেখা গান শোনা পাগলামি সব ছেড়ে দিল।
আমার সাথে ও কথা বলতে চাইত না খুব একটা।
তারপর একদিন বিকেলবেলা আমার কাছে এসে একটা চিঠি দিয়ে গেলো।
নীল রঙের খামে ভরা বিশাল একটা চিঠি,
তারপর আর দেখা হয়নি ওর সাথে আমার।
চিঠিটা সবসময় আমার সাথেই থাকে।
চিঠিটা মনে করিয়ে দেয় যে ও আমার আশেপাশেই আছে। আজ
অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। এর মাঝে
অনেকেই ভালবাসতে চেয়েছে আমায়, আপন করতে চেয়েছে
কিন্তু আমিই পারিনি। পারিনি কাউকে আপন করে নিতে।
চিন্তায় বাঁধ সাধল হেল্পারেরে ডাক শুনে “ আপা এই যে নামবেন না?”
হেসে বললাম হ্যাঁ, নামবো তো।
পাভেল এভাবেই মাঝে মাঝে আমার চিন্তায় আসে,
সে আজ এই পৃথিবীতে নেই।
কিন্তু এক মানবীর হৃদয়কে সে জয় করতে পেরেছিল,
আর তাইতো সে আজ ও বেঁচে আছে আমার মাঝে।স্বপ্নের সাথে আমি কানামাছি খেলে
চলেছি প্রতিনিয়ত।
ক্রমাগত পথ বদলায়-বদলায় স্বপ্ন।
অতীতের স্বপন গুলো আজ আকাশ
কুসুম হয়ে আষাঢ়ের গল্প
শোনিয়ে যায়।
ঘৃণা-লজ্জা আর
ক্রুধে জ্বলি অহমিকার
নির্জন অরণ্যে।
মনে হয় অস্তাচলের দিনমনিও বুঝি?
আমার উপর মহা রুষ্ট।
নেত্রের জগতে দেখি অপরাণ্যের
ক্লান্ত-ম্লান লালীমা।
অচল লক্ষ্যে অবিচল
থাকতে না পেরে
নিশ্চলদের মতো নিষ্ফল
ভাবনা পাল্টাই।
ক্ষণে ক্ষণে কল্পনায় অতি জাগতিক
রঙে রাঙায় অমার স্বপ্ন গুলোকে।
নিদারুণ বাস্তবতায় দেখি সবই
কৃষ্ণকায়।
স্বপ্ন মানুষকে তাড়া করে এনে দেয়
'স্বপ্নীল এক ভূবন'।
কিন্তু আমার বেলায় উল্টো।
আমি আমি স্বপ্ন
বুনে সজত্নে রেখে দেই।
কালের পরিক্রমায় ওরা স্থান বদলায়।
খুজে পাইনা।
তাই
উল্টো আমি স্বপ্নকে তাড়া করি।
ভাগ্যের খেলায়
তারা আমাকে এড়িয়ে চলে।
আমি তাদের পোষ মানাতে পারি না,
বরং ওরা আমায় পোষ
মানিয়ে হারিয়ে যায়।
ভাঙা গড়ার এ খেলায় আমি কেবল
স্বপ্ন বুনেই যাচ্ছি।
আর ওরা আমায়
ফাঁকি দিয়ে পালাচ্ছে।
চমৎকার এ কানামাছি খেলায়
আমি মত্ত।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এম এ রউফ কবিতার মূল বিষয় বস্তু থেকে একটু বিক্রিত হয়ে গেছে মাঝখানটার পর থেকে...যেতে একটু খুব কষ্ট হতো না লিখে যেতে খুব কষ্ট হতো লিখলে বেশি ভাল হত ও ওদের খুনসুটি দেখে কথাটি না লিখলে খুব একটা অসুবিধে হত না বলে মনে করছি। পড়েন। আরও শর্টকাট করতে হবে...শুভকামনা
ম পানা উল্যাহ্ নয়নের আমার স্বপ্ন পড়লাম। কিন্তু স্বপ্ন জাগাতে পারেননি। কারণ তিনি বিপরীত চরিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে নিজেই খেই হারিয়ে ফেলেছেন!তথাপি গল্প নির্বাচন ছিল অসাধারণ। কিছু সহজ ভুল এড়ানো যেত। নিজের নামটা সংশোধন করে নেবেন আশা করি । যোগাযোগ রাখুন 01688-719374
মুহাম্মাদ লুকমান রাকীব অাপনার লেখা গল্পকবিতা পড়ে মুগ্ধ! তবে এ কবিতার থিমটা গল্প হলে ভালো হতো। শুভ কামনা
নুরুন নাহার লিলিয়ান কথা গুলো সুন্দর। ভাল লাগল
গোবিন্দ বীন আমি তাদের পোষ মানাতে পারি না, বরং ওরা আমায় পোষ মানিয়ে হারিয়ে যায়। ভাঙা গড়ার এ খেলায় আমি কেবল স্বপ্ন বুনেই যাচ্ছি। আর ওরা আমায় ফাঁকি দিয়ে পালাচ্ছে। চমৎকার এ কানামাছি খেলায় আমি মত্ত।ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রন রইল।
এই মেঘ এই রোদ্দুর সুন্দর । লিখে যান অবিরত। আমার পাতায় আমন্ত্রণ
নুরুন নাহার লিলিয়ান কোথাও কোথাও আমি পড়তে গিয়ে বিষয় হারিয়ে ফেলেছি। জানি না কেনো।।।। চেষ্টায় সবই হয়।।। অনেক শুভ কামনা।
জয় শর্মা (আকিঞ্চন) চমৎকার গল্পদ্য... সরল কবিতা মনে হল! গড়্গড় করে পড়ে গেলাম। শুভকামনা।
আওসাফ অগ্নী বেশি বড় হয়ে গেছে

০৪ আগষ্ট - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪