১৯৫২ সালে বাঙালি জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাই বোঝা যায় ভাষা কত স্পর্শকাতর বিষয় হতে পারে মানুষের কাছে! আর এই ভাষা কিভাবে মানুষের জীবনে বিরক্তি সৃষ্টি করে তা নিয়ে এই গল্প লেখা। আজমত সাহেব গাজীপুরের কাপাসিয়া গ্রামে বাস করেন।তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। দারিদ্রতার মাঝে তার সব ছেলেদের শিক্ষিত বানিয়েছেন। ছোট ছেলে আসলাম সাহেব ইংল্যান্ডে থাকে। সে তার পরিবার নিয়ে কখনও বাড়িতে আসে। তবে আসা খুব বেশি হয়না। তার ছেলে রনির ইংল্যান্ডে অনেক বন্ধু।তারা খুব মিশুক।তারা বন্ধুর কাছে আবদার করল বাংলাদেশে বেড়াতে আসবে। আসলাম সাহেবের পরিবারও খুব মিশুক। তারা তাদের অবশেষে বাংলাদেশে নিয়েই এল। তিন বন্ধু এল। মাইক,জন আর পল। মাইক খুব চঞ্চল। সে সারাদিন গ্রাম ঘুরে বেড়াই। জন ও পল শান্ত। তবে পল কিছুটা রাগী টাইপের। তবে সবাই ছিল ভ্রমন পিয়াসী। গ্রামের লোকদের দেখলে মাইক বলতো , হোয়াট ইজ ইওর নেম? গ্রামের লোকেরা একথা শুনে হেসে ফেলত। মাইক অবাক হতো। জনকে দেখে দুষ্টু ছেলেরা কাতুকুতু দিতো। কারণ সে দেখতে ছিল সুন্দর ও শান্ত প্রকৃতির। সে একদিন কেঁদেই ফেললো। পল একদিন কাঁদার ভিতর পড়ে গেল। সেখানে ছিল জোঁক। সে ওখান থেকে উঠার সময় এক লোক জোঁক বলে চেঁচাল। জন রেগে তার মুখে কাদা ছুঁড়ে মারল। লোকটি আসলাম সাহেবের কাছে এ বিষয়ে বলে দিল। তখন গ্রামে নির্বাচন চলছিল। মাইক হাঁটছিল গ্রামের রাস্তা দিয়ে। এক দলের মারকা ছিল মাইক। তারা যখন মাইক বলে স্লোগান দিচ্ছিল মাইক তখন ভয়ে পালাতে লাগলো। সে তখন পালাতে পালাতে পুকুরে পড়ে গেল। সে হেল্প হেল্প বলতে থাকল ও তাকে এক সময় উদ্ধার করা হল কিন্তু সে ততোক্ষণে অজ্ঞান। আসলাম সাহেব এবার বিপাকে পড়লেন। তার ইংল্যান্ডে ফিরতে এখনও এক মাস বাকি। তিনি ঐ তিন ছেলেকে বাড়িতে আটকিয়ে রাখলেন।তারা কদিন কিছুটা দুর্বলও হয়ে পড়েছিল। একমাস পর আসলাম সাহেব সবাইকে নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরলেন। যাওয়ার সময় তিনজন বলল, উই উইল নেভার কাম বাংলাদেশ। অবশেষে তাদের বিরক্তির দিনগুলো শেষ হল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর
বিরক্তির কোন কারন দেখিনা, ভাষারও কোন দোষ নেই, এটা আসলে দৃষ্টিভঙ্গি, চেষ্টা অব্যাহত রাখুুন। শুভকামনা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।