রিয়াদ আম্মুর সাথে স্টেশনে এসেছে তার বড় আপুকে নেওয়ার জন্য । দুলাভাই ব্যাস্ত থাকাই খুলনা থেকে আপু একাই আসছে যশোরে । স্টেশনে অনেক্ষন থেকে অপেক্ষা করছে । এরই মধ্যে একটা মেয়ের সাথে তার বেশ চোখা-চোখি হয়েগেছে , মেয়েটাকে তার অনেক ভালো লেগেছে । মেয়েটি ও তার আম্মুর সাথে কারো জন্য অপেক্ষা করছে । . . . ট্রেন চলে আসার পর এতো ভিড়ের মধ্যে মেয়েটির আর দেখাই পেলোনা । অবশেষে আপুকে সাথে করে বাসার উদ্দ্যেশে রওনা হলো । কিন্তু মেয়েটির কাছে থেকে কোনমতে একটা কাগজে তার নাম্বার লিখে এনেছে । বাসায় ফিরে গোসল করার সময় ভুল করে কাগজে লিখা নাম্বারটিরও গোসল হয়ে যাই । যার কারনে তার সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। খুব মনে পড়ছে .... তার অপলক চোখের চাহনী.... আর তার মধু মাখা সেই কন্ঠসর.... ইচ্ছে করছে স্টেশনে ছুটে যাই । । । । । বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো তার কথা প্রায় ভূলেই গেছে ........................... এরই মধ্যে রিয়াদ মারত্মক ভাবে বাইক এক্সিডেন্ট করে বসে । স্থানীয় লোকজন তাকে নিকটস্থ এক হাসপাতালে ভর্তি করে । সেইখানে অপরিচিত লোকের মাঝে এক নার্স কান্না শুরু করে দিল । এরপর ছেলেটির ফোন থেকে তার বাসায় ফোন দিয়ে জানিয়ে দিল । মেয়ে নার্সটি তাকে জড়িয়ে ধরে বলছে , এতোদিন দিন তুমি কোথায় ছিলে কোথায় হারিয়ে গেছিলে ....... তোমার ফোনের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি তাও তোমার ফোন পাইনি পারলে না একটি বার ফোন করতে....... স্টেশনে পর্যন্ত গেছি তবুও তোমার দেখা মেলেনি...... । । তবে কেনো দিয়েছিলে ঐদিন দেখা !!!! আর আজ এইভাবে তুমি আমার সামনে এলে এই তোমার সময় হলো........ নাই বা দিতে দেখা ....তাই বলে এইভাবে .... . . নাহহহ পারবোনা পারবোনা আমি তোমাই ছাড়তে । । এরই মধ্যে ছেলেটি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে ............. চলে গেছে না ফেরার দেশে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।