আলোর ছায়া

ভৌতিক (সেপ্টেম্বর ২০১৭)

আহা রুবন
  • ১৪
রাতের খাবার সেরে রেস্টুরেন্ট থেকে মাত্র রাস্তায় পা ফেলেছি—অমনি ফোন বেজে উঠল, ‘ফেরার পথে একটা কাপড় কাচার বল সাবান এনো।’
‘ঠিক আছে।’
হাঁটতে শুরু করি। হঠাৎ খেয়াল হয় ফোনটা তো চার্জ ফুরিয়ে বিকেল হতে বন্ধ। ‘হ্যাঁ বন্ধই তো!’ তাহলে ফোন এল কীভাবে? হয়ত চাপ লেগে ওপেন হয়ে থাকতে পারে, লো চার্জ তাই কথা শেষে ফের বন্ধ হয়ে আছে।

বাসার সামনের মোড়ের দোকান থেকে ‌ঝুমার কথা মত বল সাবান কিনে ঘরে ঢুকি। শরীর, জামা-কাপড় দিয়ে ঘামের দুর্গন্ধ ছুটছে। এতক্ষণ টের পাইনি, বন্ধ ঘরে দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইছে। শাওয়ার নিতে ইচ্ছে হচ্ছে না। ডিম লাইট জ্বেলে শুয়ে পড়ি। সপ্তাহ হয় অন্ধকার ঘরে বড় অস্বস্তি বোধ করি। আগে চোখে সামান্য আলো পড়লে ঘুম আসতে চাইত না। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই মন কষাকষি চলত। আসলে ইদানীং ঝুমা যে-কোন মতামত আমার ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। আমি অবাক হয়ে দেখি। আমার অসুবিধার কথা কখনও চিন্তা করে না সে। আগে কিন্তু এমনটা ছিল না মোটেই। ওর প্রমোশন হওয়ার পর থেকেই দেখছি, আচরণ কেমন দিন দিন বদলে যেতে শুরু করেছে। সেদিনের কথা খুব মনে আছে— প্রমোশনের সংবাদ শুনে প্রথমে বেশ খুশি হয়েছিলাম, প্রমোশন মানে তো কয়টা টাকা বেশি পাওয়া। কিন্তু টাকা বৃদ্ধির ফলে ঝুমা যেন বদলে গেল চোখের পলকে। বাজে খরচা বাড়িয়ে দিল, মোটা একটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে লাগল বিউটি পার্লারে। অফিসিয়াল ট্যুর যেন হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে। বলে, ‘নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। সবাই কে দেখিয়ে দিতে হবে না? আমার যোগ্যতা কতটুকু। দেখবে দেখবে দুদিন পর ওদের চোখ কপালে তুলব, তারপর আমার পায়ে নামাব।’
‘কে কে যাচ্ছ?’
‘তুমি কি আর সবাই কে চিনবে? সাইফুল সাহেব আমাদের লিডার।’
হ্যাঁ আমি ওই নামটাই জানতে চাচ্ছিলাম—ঐ ব্যাটা তো যাবেই—সে না হলে কি আর ট্যুর হয়। কেন যেন লোকটাকে মোটেই সহ্য করতে পারি না। একথা সত্যি যে সাইফুল লোকটা ঝুমাকে পদন্নোতি পেতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। তবু লোকটা যখন ‘আরে জুবায়ের সাহেব যে...’ বলে করমর্দন করতে হাত ঝাঁকুনি মারে, আমার পিত্তি জ্বলে ওঠে। তার কেলানো দাঁতগুলো দেখে আমার ছুঁচোর কথা মনে পড়ে যায়। আর ছুঁচোর মতই সারা গা দুর্গন্ধে ভরা। পুরো শিশি পারফিউম ঢেলেও গন্ধটা দূর করতে পারে না।

দু চোখে হালকা ঘুম নেমে এসেছে কেবলই। দৃষ্টি টেবিলে পড়তেই চোখ ছানাবড়া। যেখানটায় বল সাবানটা রেখেছি দেখি সাবানটা নেই, সেখানে একটা কাটা মুণ্ডু! উত্তেজনায় কখন বিছানায় উঠে বসেছি, বুঝিনি।
‘কেমন আছো তুমি?’
কাটা মুণ্ডুটা কথা বলে ওঠে। কথা বলার সময় কান দুটো নড়ছে। টেবিলটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কালচে রক্ত ফোঁটা ফোঁটা টেবিল গড়িয়ে মেঝেয় পড়ছে। ভয়ে আমার দম বন্ধ হবার উপক্রম।
‘একটু চা খেতে ইচ্ছে করছে...খাওয়াবে? না আমিই যাচ্ছি...’
বলে কী! সাবানটা চা খেতে চায়! ভাল করে চোখ রগড়াই—না সত্যিই সাবানটি কোথায়? ‘ওটা তো...’
সমস্ত শরীরের রোম দাড়িয়ে গেছে, রোমকূপগুলো ফুলে সারা গা ঘামাচিতে ভরে উঠেছে। তোতলাতে তোতলাতে মুখ দিয়ে আপনিই বেরিয়ে গেল ‘হরলিক্সের...’ আমায় বাধা দিয়ে হেসে মুণ্ডুটা বলে ‘আমার জানা আছে। তুমি কি চা খাবে?’
আমি কী করব, কী বলব বুঝতে না পেরে ঢোক গিলে মাথা হেলাই। মুণ্ডুটা হঠাৎ শূন্যে উঠে রান্নাঘরের দিকে চলে যায়। আমি দুচোখ বন্ধ করে ফেলি। কিছু সময় পর শুনতে পাই ‘এই নাও তোমার চা, ধরো। আর চোখ বন্ধ করে এত কী ভাবছ?’
আমি চোখ খুলে দেখি আমার মুখের সামনে কাটা মুণ্ডুটা শূন্যে হাসছে। পিরিচসহ ধূমায়িত চায়ের কাপ দুটো শূন্যে স্থির হয়ে আছে। সে মুচকি হাসে—চোখ মারে আমাকে। একটি কাপ পিরিচ থেকে উঠে গিয়ে মুণ্ডুটার ঠোঁটে কাত হয়ে যায়। সে বেশ শব্দ করে সুড়ুত করে চা টেনে নেয়।
‘তুমি খাও। দেখো ভাল হয়েছে।’
আমি হাত এগিয়ে পিরিচটা ধরি। আতঙ্কগ্রস্ত হাত কাঁপতে কাঁপতে কাপ তুলে ধরি, ঠোঁটের কাছে। সে আবার মুচকি হেসে আমায় চোখ মারে। আমি পেছিয়ে যাই।
‘খাও। দেখো ভাল হয়েছে।’
হ্যাঁ সত্যি চা-টা দারুণ হয়েছে— একদম ঝুমার হাতের চায়ের মত।
‘এটা কি ঝুমা বানিয়ে দিয়েছে?’
সে হা হা করে হেসে ওঠে। আমি একদম জড়সড় হয়ে পড়ি।
‘ঝুমাকে কোথায় পাব? সে তো মামাত বোনের কাছে বেড়াতে গিয়েছে। তাই না? তুমি তো বাড়িওয়ালীকে কাল তাই বললে।’
গলা, চোখ, নাক থেকে টপ টপ করে রক্ত পড়ছে বিছানায়। হঠাৎ লক্ষ করলাম, চোখ দুটো টকটকে লাল। সেটা এত জ্বলজ্বলে যে চোখে তাকালে চোখ ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। আর চোখ বরাবর দুটো গহ্বর— সেখানটায় রক্ত টগবগ করে ফুটছে, ধোঁয়া উঠছে। আমি চিৎকার দিয়ে কাপ-পিরিচ ছুঁড়ে দেই। আশ্চর্য সেটা কোথাও আছড়ে না পড়ে একটা ধুতরা ফলে রূপান্তরিত হয়। সেটা সারা ঘর ঘুরতে ঘুরতে সাই করে আমার মুখের ভেতর ঢুকে গলায় আটকে যায়। গলায় মোচড়াতে থাকে। আমি খক খক করে কাশতে থাকি। হয়ত জোরেই কাশির শব্দটা হয়েছে— পাশের ফ্ল্যাটের ভাই ‘এমন অদ্ভুত শব্দ কীসের?’ জিজ্ঞেস করে স্ত্রীকে। মুণ্ডুটি হঠাৎ বিরাটাকৃতির জিহ্বা বের করে আমার গাল চাটতে থাকে। ভারী বিশ্রী গন্ধ তাতে, আঁশটে ধরণের— ধারাল শিরিশ কাগজের মত। গাল জ্বলতে শুরু করে, বুঝতে পারি গাল ছড়ে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। চপচপ করে সে রক্ত পান করতে থাকে আর বলে ‘বেশ স্বাদ! ইদানীং লবণ বেশি খাচ্ছ।’
আমার গালে আরও ঠেসে চুষতে থাকে। নিশ্বাসে পচা মরা-মানুষের গন্ধ! আমার গা গুলিয়ে ওঠে। তারপর আমার ঠোঁটে জবজবে রক্তে ভেজা ওর ঠোঁট ডুবিয়ে লম্বা একটা চুমু খায়।
‘লক্ষ্মী-সোনা ভাল থেকো...’
ফের চোখ মারে আমায়। বড় বড় সূচলো দাঁত বের করে ভেঙচি কাটে এবার। একটা চড়চড় কাপড় ছেঁড়ার শব্দের মত অনেকটা, তারপরই মুণ্ডুটা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। আমার হাত-পা হিম হয়ে আসে। কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে থাকি।

সকাল পর্যন্ত ঘুমতে পারলাম না। মন থেকে কিছুতেই ভয় সরছে না। জানালায় আলোর ছায়া দেখা দেয়। মোরগ গলাবাজি শুরু করে। একটু একটু করে ভয় কাটতে থাকে। সারা রাত নির্ঘুম কেটেছে—দু চোখ ভারি হয়ে আসছে। উঁহু কে এল আবার? একটু ঘুমব তারও উপায় নেই। ‘কে? দুধ লাগবে না।’ আবার ঠক ঠক। আরে বাবা কলিং বেল আছে তো, কোথাকার গেঁয়ো ভূত রে বাবা! দরজা খুলে দেখি পুলিশ! ‘দেখি ওনারা কী প্রয়োজনে এই সাত সকালে...’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম ভৌতিকের পাশাপাশি রহস্যরও স্বাদ পেলাম। শুধু 'হয়ত জোরেই কাশির শব্দটা হয়েছে— পাশের ফ্ল্যাটের ভাই ‘এমন অদ্ভুত শব্দ কীসের?’ জিজ্ঞেস করে স্ত্রীকে।' এই জায়গাটা না এলেই বোধহয় গল্পটা আরও বেশি প্রাণবন্ত হত। এছাড়া চমৎকার গল্প হয়েছে! সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। আরও গল্প পড়ার প্রত্যাশায় শুভকামনা নিরন্তর।
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
কিছু কিছু বাক্য অনিচ্ছা সত্ত্বে্ও লিখতে হয়। অনলাইনে আমরা সবাই একটু দ্রুত পড়ি, বই যেমন একটু পড়ে বন্ধ করে ভাবি,চিন্তা করি লেখক কী বলতে চায়? কখনও কল্পনায় সাঁতার কাটি এখানে তা হয় না। ফলে প্রায়ই গল্পের মূল সুরটা ধরা দেয় না। তাই গল্পে হয়ত মেদ এসে যায়। আর হ্যাঁ আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত কিছুটা রাখ-ঢাক, ছলা-কলা না থাকলে যেমন প্রেম জমে না, পড়তে নিয়ে যদি পাঠক কিছু নিজে থেকে সৃষ্টি করতেই না পারে, তবে পড়ার আনন্দ কোথায়। ধন্যবাদ আপা।
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
যে কয়টা লেখা পড়ি মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। গল্পে যা কিছু ঘটেছে এটা যে পাপবোধ থেকে তা বুঝে নেয়া গেছে। হয়ত আপনি পাশের ফ্লাটের ভাইয়ের উক্তি দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন যে আশেপাশের সবাই ব্যপারটা জেনে যাচ্ছে! কিন্তু আমি বুঝেছি যে পুলিশ এসেছে পাশের কেউ পাশের ফ্লাটে অতি শব্দ শুনেই কল করেছে। এখানে উক্ত লাইনটি না দিলেও পাঠক ধরে নিতে পারত। বরং লাইনটি দেয়াতে আমার কাছে মনে হয়েছে 'পাশের ফ্লাটের ভাই তার স্ত্রীকে কী বলছে এই ভয়াবহ মুহূর্তে তো ঝুমার বরের খেয়ালে আসার কথা না!এইজন্য আমার মন্তব্যে কথাটা বলেছি। এমনিতেই গল্পে পাঠকের চিন্তা করার বা ভাববার কোন ছাড় ছিল না। ভালো থাকুন শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
জসিম উদ্দিন আহমেদ দারুণ! ভোট ও শুভেচ্ছা রইল। জুবায়ের সাহেব কি স্ত্রী হন্তারক? তাইতো মনে হচ্ছে। আমার পাতায় এখনো পাইনি!
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
খুব তাড়াতাড়ি পাবেন। একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে। ধন্যবাদ জানবেন।
ভালো লাগেনি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বিনায়ক চক্রবর্তী প্রথমবার পড়ার সময় গল্পটা আমার কাছেও পুরোপুরি পরিস্কার হয় নি। এখন, আপনার বিশ্লেষণ দেখার পর দ্বিতীয়বার পড়তে বেশ লাগল। :)
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বিনায়ক আপনি দ্বিতীয়বার গল্পটি পড়েছেন, এটি আমার চরম পাওয়া।
ভালো লাগেনি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
মোঃ মোখলেছুর রহমান ভাল লাগা ও ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ মোখলেছ ভাই।
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
শামীম খান বেশ রসিয়ে রসিয়ে লিখেছেন । গল্পের পিছনে আরও গল্প উঁকি দেয় । আপনার এই রহস্যময়তা ভাল লাগে । শুভকামনা রইল । ভোট-অসাধারণ ।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
প্রিয় শামীম ভাই অনেক দিন পর পেলাম, খুব ভাল লাগছে। আর তিনি যদি হন অগ্রজ লেখক... স্বাস্থ কামনা করি।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
সুস্মিতা সরকার মৈত্র ভালো লাগল। একটু অন্যরকম বলেই আরো ভালো লাগলো। ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
Fahmida Bari Bipu রুবন ভাই, আমার মন্তব্যই ত খুঁজে পাচ্ছি না! আপনি বলছেন উত্তর দিয়েছেন! মন্তব্যই ত ডীলীট হয়ে গেছে!
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ওহ আচ্ছা! হাহা হাহ...পেয়েছি!
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
কাজী জাহাঙ্গীর রুবন দা একটা বিষয় নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি, ভুত ছাড়া কি ভৌতিক হয়না ? পাঠকরা ধরেই নিয়েছে যে ভুতের উৎস না থাকলে গল্পটাকে ভৌতিক বলে মানতে নারাজ। ধারনা আমার পাকাপোক্ত হল যখন দেখলাম আপনার পাঠকরা সবাই খুব খুশি আপনার গল্পে তারা ভুত খুজে পেয়েছে তাই, হা হা হা...। যাক কাহিনীর গভীরতা না থাকলেও আমরা সব ভুত পেয়ে খুশি, আর খুশি মানেই তা ভোটের বাক্স ভর্তি তাইনা । তবে একটা অনুরোধ যদি আপনি মনে করেন যে ভুত ছাড়াও ভৌতিক পরিবেশ হয় তাহলে আমারে একটু দেখবেন। অনেক শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
প্রিয় জাহাঙ্গীর আমার ভূতের গল্পের ভূতটা কিন্তু তার মনের ভেতরেই তৈরি। তার কিছুটা ফাহমিদা আপার মন্তব্যের উত্তরে বলেছি। আপার মন্তব্যটি ভুলে মুছে গিয়েছিল। আসছি বন্ধু...
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আহা রুবন "আমি তো গল্পটা বুঝতে পারলাম না রুবন ভাই। পুলিশ কেন এলো? প্রথমে মনে হয়েছিল হয়ত লোকটির স্ত্রী মারা গিয়েছে তাই তার ভূত এসে এসব করছে। শেষে মনে হলো লোকটাই মেরে ফেলেছে স্ত্রীকে। কিছুই বুঝলাম না! বুঝিয়ে দিন প্লিজ। বর্ণণা অতি চমকপ্রদ। লেখার গতি সচ্ছন্দ ও সাবলীল।" ফাহমিদা বারী (মন্তব্য ভুলে মুছে গিয়েছিল)।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ফাহমিদা আপা পরের মন্তব্যে ঠিকই বলেছেন। ঝুমার প্রমোশনে তার স্বামী প্রথমটায় খুশি হয়েছিল বেশি টাকা পাবে বলে। কিন্তু পদমর্যাদার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব,সম্মান বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ঝুমার স্বামী সহজাত পুরুষালী ঈর্ষা থেকে—স্ত্রী কেন অত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে! সে সাইফুল সাহেবের সঙ্গে স্ত্রীর একটা অবৈধ সম্পর্ক আবিষ্কার করে—সেটা সত্য, না কেবলই তার মনের কল্পনা তা পরিষ্কার করিনি—পাঠককে ভাবতে ছেড়ে দিয়েছি। তার কাছে মনে হওয়া অবিশ্বাসী স্ত্রীকে ঘৃণাবশত হত্যা করে। নিজের পাপবোধগুলো এক সময় ঝুমার প্রেতাত্মায় পরিণত হয়। পাপ, অপরাধ, অসততা মানুষের সাহস হরণ করে; পরিণামে সে ভুল করতে থাকে সব ফাঁস হয়ে যায়। এটিই বলতে চেয়েছি এবং তাও পাঠকের কল্পনায় রেখেছি—শুধু পাশের ফ্ল্যাটের ভাইয়ের শোনা অদ্ভুত শব্দ! এটুকুই ইঙ্গিত দেয়া আছে। গল্পের শেষে পুলিশ এসেছে তাই খুব সঙ্গত কারণে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
সাইফুল বাতেন টিটো প্রথম থেকে লেখনিটা সুন্দর ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে ভুতের আগমন কেমন যেন হালকা লাগলো। আরো ভলো লেখা পাবো আশা করি।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বুঝতে পেরেছি আপনি বড় হয়ে গিয়েছেন তাই ভূতের গল্প ভাল লাগেনি, হা হা হা.....
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

২১ এপ্রিল - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪