প্রায়শ্চিত্ত

প্রায়শ্চিত্ত (জুন ২০১৬)

মুহা. লুকমান রাকীব
  • 0
  • ৬৩
পুরাতন একটা কবরের পাশে অনেক দিন ধরে প্রায়ই দেখা যেতো মধ্যে বয়সের একজনকে গুন গুন স্বরে কাঁদতে। ইদানিং দিনের বেলা সে লোকটাকে আর দেখা যাচ্ছে না। রাত গভীর হওয়ার পর বিকট স্বরে কান্নার আওয়াজ ভেসে যায় দূর দূরান্তে। তার কান্নার আওয়াজে আশ-পাশের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। সারা এলাকা এই ব্যপারটা নিয়ে হইচই পরে যায়। এলাকার লোকসকল কিছুটা আতঙ্ক অনুভব করতে থাকে। লোকটাকে দিনের আলোতে কোথাও পাওয়া যায়না। রাতে তারা কবরস্থানে এসে লোকটার সাথে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে। কেউ সাহস জোগাতে পারছে না।

হঠাৎ কিছুদিন পর ঐ পুরাতন কবরের পাশে একদিন কোয়াশাভরা ভোরবেলা লোকটার বডি পরে থাকতে দেখে এলাকার কিছু লোকজন কবরস্থানে যায়। গিয়ে দেখে লোকটি জীবিত নেই। সবাই তার জন্যে আফসোস করতে থাকে। সে একটা ডায়রি আকড়ে ধরে ছিলো। একজন সেটাকে খুব যত্ন করে হাতে নেই। কয়েকজন ধরা-ধরি করে লোকটাকে এলাকার ভিতর নিয়ে যায়। তাকে ঐ কবরের পাশে দাফন করা হয়।
[ লোকটির ডায়রিটা যার হাতে আছে সে একজন কলেজের প্রফেসর। সে বাংলা লেকচারাল।]

সেদিন রাতেই প্রফেসর সাহেব নির্জনে একটা রুমে বসে ডায়রিটা ওপেন করে পড়তে থাকে-

“ঊনিশ শত আষট্টি সাল।
এলাকার সবচেয়ে দরিদ্র এক বিধবার ঘরে আমার জন্ম হয়। স্বামী মারা গেলে সচরাচর মেয়েরা বিধবা হয়। আবার কেউ কেউ স্বামী থাকা অবস্থায়ও বিধাব হতে হয়। সে হতভাগীদের একজন হলো আমার মা। তার নাম,"রসনা!’
আমার জন্মের কয়েক বছর পর ‘যখন আমি কেবল হাটতে আর টুক টাক কথা বলতে শিখেছি তখন পাকিস্তানের সাথে শুরু হয় দেশিও যুদ্ধ। আমার মা আমাকে কোলে পিঠে করে লালন করেছে। আমাকে নিয়ে সে দূর দূরান্তে ছুটেছে। রক্ষা করেছে সে সব নরপশুদের থেকে। একসময় যুদ্ধ শেষ হয়। দেশে শুরু হয় অভাব আর অনটন। আমার মা দুখিনির কি অভাব এখন হয়তো অনুধাবন করানো যাবে না। সে ঘরে ঘরে কাজ করে আমাকে দু‘বেলা দুটু ভাত জোগাতো। আমি খুব যত্নে আর সুখে নাকি বড় হতে থাকলাম। এগুলো আমার পাশের বাড়ি এক কাকির কাছে শুনা কথা।
এখন শুনুন আমার নিজের দেখার কথা। যখন আমি বুঝতে শিখি তখনো আমার মা অন্যের ঘরে কাজ করতো। তখনকার সময়ে অন্যের ঘরে কাজ বেশি একটা ছিলো না। তারপরও ঘরে ঘরে কাজ খুঁজতেন আমার জন্মদাত্রী মা।
যখন কোন কাজ থাকতনা অন্যের বাড়িতে তখন তিনি জংগলে লাকড়ি কাটতেন। এগুলো দূরে কোথাও নিয়ে বিক্রি করে শুধু আমার জন্যে খাবার আর সুন্দর তৈরি পোষাক আনতেন। আমি নিত্যনতুন পোষাক পড়তে ভালবাসতাম। আমি প্রায়ই মাকে না খেয়ে থাকতে দেখতাম, কিন্তু তাকে বললে সে বলতো ‘আমি কিছুক্ষণ আগে খেয়েছি বাবা! তুমি খাও।’
তখনো আমার মা পূর্ণ যুবতী। পাড়ার অনেক অবিবাহিত ছেলেরাই আমার মাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। আমার মা অনেক সুদর্শনা ছিলেন। আমার মার চোখদুটু ছিলো নীলরঙের। মাথার চুলগুলো এসে পায়ের টাখনুর কাছে এসে পরতো। [ মায়ের সুন্দর্যের কথা লিখতে ভাল লাগছে না]
মোট কথা আমার মা অনেক সুদর্শনা ছিলেন। আমিও আমার মায়ের মত হয়েছি।
আমার মা আমার কথা ভেবে সে জীবনে আর কাউকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়নি। অনেকে বুঝানোর চেষ্টাও করেছেন আমার মাকে। আমার মা শুধু আমার উপমা দিয়েই ক্ষ্যন্ত হতেন। সে আমাকে তার জানের চাইতেও বেশি ভালকাসতেন।
আমি যখন ক্লাস ফাইবে গ্রামের একটা সরকারি স্কুলে ভাল রেজাল্ট করলাম। তখন আমার মা আমাকে ঢাকার ভাল একটা প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিল। সেখানে আমি হোস্টেলে থেকে লেখা-পড়া করতে থাকলাম। আমার মা গ্রামেই থেকে গেল। আমি কখনো অভাব বুঝতাম না। মা আমার অভাবের আগেই আমাকে টাকা এনে দিয়ে যেতেন। আমার সঙ্গি সাথীরা সবাই বৃত্তবান ঘরের সন্তান ছিলো। কেবল আমিই ছিলেম অতি দরিদ্রঘরের সন্তান। কিন্তু তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারতাম আমি। কারণ আমার মা আমাকে ছোট হতে দিতেন না।

একসময় আমি ইউনিভার্সিটি শেষ করে প্রাইভেট একটা কম্পানিতে ভাল মাইনের একটা চাকরি পেলাম।
তার আগে আমি আমার মাকে না জানিয়ে আমার ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করে ফেললাম। মা কষ্ট পাবে যেনে তাকে জানালাম না। ওকে বিয়ে করার পর থেকে আমি আমার মায়ের খবর নিতাম একেবারে কম। কারণ আমি যেনো ধিরে ধিরে কেমন হয়ে গেলাম। স্ত্রীর অসাধারণ ভালবাসার কাছে মায়ের সে সামান্য ভালবাসা যেনো হেরে গেলো। প্রথম মাসের মাইনেটা দিয়ে ভাল একটা ফ্লাট ভাড়া নিলাম। এখানে শশুর বাড়ির সবাই এসে থাকতে লাগলো। তাদের ভিড়ে আর আমি আমার চাকরির চাপে মায়ের কথা প্রায় ভূলে গেলাম। মা এক সময় আমার খবর নিতো গোপনে। আমি সব জানতাম। আমি আমার স্ট্যাটার্সের কথা ভেবে মাকে কাছে আনতে পারতাম না। কারণ মা ছিলো গ্রামের অশিক্ষিত একজন। আমার শশুর বাড়ির লোকজন শিক্ষিত ছিলো। তাদের সাথে মা তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না কিংবা মাকে শশুর বাড়ির লোকজন মেনে নিতে পারবে না। এই কথাটা আমি আমার স্ত্রীকে কখনো বলার দূর্সাহসও করিনি।

কয়েক বছর পর যখন আমার বিবাহ বার্ষিকি। তখন সমস্ত বন্ধু-বান্ধু-বান্ধবদেরকে আমি আমার ফ্লাটে ইনভাইট করলাম। তখন আমার নামি দামি সমাজের বন্ধু-বান্ধব ছিলো অনেক। এক সময় সেইদিন আমার মা সেখানে এসে হাজির হলো। তাকে দেখে আমার মন মেজাজটা একেবারে তুঙ্গে। আমার চোখদুটু লাল হয়ে গেলো লজ্জায়। সে যদি এখানে তার পরিচয় দেয় তাহলে আমি লজ্জায় মুখ দেখাতে পারব না। ভেঙ্গে যাবে আমার স্ট্যাটার্স। আমার পাশের বন্ধুগণের একজন তাকে দেখে বলল, আপনার এখানে কি চাই?’
আমার মা লজ্জায় পরে যায়। সে কিছু বলতে পারছে না। সে মুখটা নিচু করে থাকলো। আমার স্ত্রী তার সামনে গিয়ে বললো,-‘এখানে প্রবেশ করলে কি করে? দেখনা এখানে অনুষ্টান হচ্ছে? তোমরা গরিবদের একটাই লোভ! বড়লোকের জমাট দেখলে কিছু চাইতে ইচ্ছে করে, তাই না? যাও এখান থেকে! যাও!
আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বললাম ওনাকে কিছু দিয়ে বিদায় করে দাও!
আমার মা সাদা শাড়ির আচল দিয়ে নিজের মুখটা ঢেকে দ্রুত বের হয়ে গেল। আমি যেনো তখন সামান্য স্বস্তি গেলাম।

অনেকদিন চলে গেলো। মা আগে প্রায়ই আসতো। এখন আর আসে না। ব্যস্ততার কারণে তাকে দেখতেও ইচ্ছে করে না। হঠাৎ একদিন আমার গায়ে জ্বর এলো। জ্বর ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। অনেক নামি দামি এফ আর সি এস ডাক্টার দেখালাম। কোন উন্নতি হচ্ছিলো না। শুয়ে থাকতে থাকতে আমার শরীরে বসন্তের গোটার মতন ছোট ছোট গোটা ফুটতে লাগলো। তা অল্পতেই বড় বড় গোটা হতে লাগলো। ধিরে ধিরে তা গলতে লাগলো। একসময় তা পচন ধরতে লাগলো। সারা শরীর থেকে গন্ধ বের হতে লাগলো। আমার পচনধরা শরীরের গন্ধ সয়তে না পেরে আমার শশুর বাড়ির লোকজন ফ্লাট ছেড়ে চলে গেলো। আমার স্ত্রী কিছুদিন পাশে থাকল। একদিন শুশুর বাড়ির লোকজন ফিরে এসে পাশের রুমে আমাকে নিয়ে আলাপ করছে। আমার শ্রবণশক্তি তখনও খুব তৃক্ষè ছিলো। আমি শুনতে পেলাম তারা আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠানোর পরামর্শ করছে। আমি তৎক্ষনাৎ আল্লাহ তাআলার কাছে মৃত্যু চাইলাম। কেননা, আমি আমার এ মুখ আমার মাকে কেমন করে দেখাব? তাছাড়া আমার মা কোথায় আছে কিংবা বেঁচে আছে কি না জানি না। কিছুক্ষণপর তিনজন লোক মুখ বেধে হাতে সাদা গ্লাস পরে এসে আমাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে একটা গাড়িতে লোড করলো। আমি চোখ দিয়ে সবই দেখতাম কিন্তু আমার কথা বলার শক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। আমি কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলাম না। আমার একটাই বলার ছিলো ‘আমাকে জ্যান্ত কবর দিয়ে দাও তারপরও আমার মায়ের কাছে পাঠাইও না।’ কারণ আমি আমার সুখের দিনে মাকে পাশে রাখতে পারিনি, এখন আমার দুখের দিনে মাকে পাশে রাখতে চাই না।
গাড়িতে সারা রাস্তায় তারা পারফিউম ব্যবহার করলো। বড় বড় বোতল থেকে বিদেশি মদ পান করতে থাকলো প্রায়ই। আমার সারা শরীর পচন ধরেছে ঠিক কিন্তু আমার নাকের ঘ্রাণ নেয়ার ক্ষমতাটা অটল ছিলো। একসময় ওরা আমাকে নিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে পৌছে গেলো। আমি চোখ বুঝে থাকলাম তখন যখন ওরা আমার মাকে ডেকে এনে আমার শরীরটাকে তার কাছে সপর্দ করলো। মুহুর্তে আমি আমার মায়ের বিকটস্বরে কান্নার শব্দ পেলাম আর অনুভব করলাম সে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। আমার সারাটা শরীর শিউরে উঠলো। যেনো অনেকদিন পর আমার শরীরটা একটু আরাম অনুভব করলো। আমার দুচোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো চোখের কোণভয়ে!
একসময় আমার মা আমার ডান গালে চুমু দিল। অনায়াসে আমার গাল থেকে তার ঠোটে পচন-ধরা নষ্ট মাংসগুলো লেগে গেলো।
আমাকে আমার মায়ের ঘরে মাটির উপর বিছানো ছলার পাঠিতে আমাকে ওরা তিনজন রেখে চলে গেলো। আমার মা আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক্ষণ কাদঁতে শুনলাম। আমার মুখ দিয়ে কোন কথা আসছিলো না। আমার চোখের পানি মা তার সাদা আচঁল দিয়ে মুচে দিল বার বার।

আমার মায়ের অসামান্য সেবায় আমি সামান্যও সুস্থ হলাম না কিন্তু সম্পূর্ণ স্বস্থী পেলাম। আমার জীবনে হয়তো আর কিছু পাওয়ার নেই। যে জন্মধারিনী মাকে অবহেলা করে আমার সুখের সময় তাকে পর করে রেখেছিলাম সে মা‘ই আমাকে আমার শেষবেলার দুখের চরম শিখরে এসে তাকেই পাশে পেলাম।
আমার মা সারারাত তাহাজ্জতের নামাজ পড়তেন আর মোনাজাত ধরে সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার প্রাণের ভিক্ষা চাইতেন। আমি মার এই মায়ের কান্নাটাকে সহ্য করতে পারতাম না। আমি আল্লাহ তাআলার কাছে খুব দ্রুত মৃত্যু কামনা করতাম। শেষ বেলায় আমি আর আমার মাকে কাঁদাতে চাইতাম না।
একদিন আমার মা স্বপ্ন দেখলেন,কোন এক অদৃশ্য শব্দ আমার মায়ের কানে আসছে। সে বলছে। তুই যদি তোর সন্তান কে বাঁচাতে চাস, তাহলে তুই তোর জ্বিব দিয়ে তার সারাটা শরীর চাটবি।আর তোর মুখের লালা যদি তার শরীরের পচনস্থানে লাগে সে সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যাবে।’ কিন্তু সাবধান! তার শরীরের সমস্ত বিষাক্ত তোমাকে আসক্ত করবে। হয়তো সে বিষাক্তে তুমি বিষাক্ত হয়ে মারা যেতে পার..........
আমার তার নিজের কথা চিন্তা না করে সে পরদিন সকাল থেকে আমার নষ্ট হয়ে যাওয়া শরীরটাকে চাটতে শুরু করলো। আমি অভাক হয়ে গেলাম। আশ-পাশের লোকজন যেখানে আমার শরীরের গন্ধে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে সেখানে আমার মা আমার শরীরটা চাটছে?
মা মাথা থেকে পা পর্যন্ত চাটল। আমি সামান্যক্ষনের মধ্যেই অনেকটা সুস্থ অনুভব করলাম। কিছুদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া যায়গাগুলো নতুন মাংসে পরিনত হতে লাগলো।
একসময় আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলাম। আমার শরীরের বিষাক্ত মাকে এফেক্ট করলো। মা কিছুদিন কষ্ট করে তারপর মারা গেলো।
আর এটা আমার মায়ের কবর। আমি এখানে বার বছর ধরে কাঁদছি। এই কান্না শুধু আমার প্রাশচিত্তের কান্না। যার জন্যে পৃথিবীতে প্রথমবার এলাম তার জন্যেই আবার দ্বিতীয় জন্ম নিলাম।
আমি জানি আমার মৃত্যু আমার মায়ের কবরের পাশেই হবে। তবে কোন হৃদয়বান ব্যক্তি যদি আমার এ ডায়রিটা পায় তবে সে যেনো আমার লাশটাকে আমার মায়ের কবরের পাশে দাফন করে।’ এটা আমার শেষ পাওয়া। মৃত্যুর পর যদি আর কোনো জীবন থাকে আমি সে জীবনেও প্রাশচিত্তভোগ করে যাব।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহা রুবন গল্পটি ভাল লেগেছে কিন্তু গল্গকার গল্পটির প্রতি অবিচার করেছেন।
শামীম খান ভালো গল্প লিখেছেন । ভোট রইল । শুভকামনা ।
নাস‌রিন নাহার চৌধুরী আবেগটা পাঠকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। আমরা সন্তানরাই মায়ের প্রতি অন্যায় করি, কিন্তু সবসময়ই সন্তানের মঙ্গল কামনা করে। গল্পে ভোট রইল।

১৫ এপ্রিল - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪