”আমার মরা বাপ তুইলা গালি দিয়েন না। আল্লার দোহাই লাগে আপনের!”
আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে বীণার আকুতিমাখা আর্তি ঝরে পড়ে।
এর মধ্যেই সুজন ফোন দেয় বীণার প্রবাস থেকে আসা বোন রুখসানা আপাকে।
: আপা!
-কী সুজন! তুমি যে আজকে আসলা না?
:আর বইলেন না আপা! আমার কপালডা এতো খারাপ! ঘরে একটা অলক্ষীরে নিয়া থাকতে হয়। আর দুলাভাইয়ের রাজকপাল! আপনের মতো লক্ষী একটা বউ পাইছে!
ওপার থেকে রুখসানা আপা খিলখিল করে হেসে গড়িয়ে পড়েন।
এরপর জীবন তার নিত্যপ্রবাহমানতা ধরে রেখেছে। সংসারের কাজকর্ম সবই খুব স্বাভাবিক গতিতে চলছে। কিন্তু একমাস ধরে ওরা স্বামী-স্ত্রী কথা বলা বন্ধ করেছে। সুজন খুব অবাক হয়ে খেয়াল করেছে, যেদিন বীণাকে মরা বাপ তুলে গালি দিয়েছিল, সেদিন ও বার বার কাকুতি মিনতি করছিল মরা বাপ তুলে গালি না দিতে।
”আপনের মা আমারে কতোসময় জঘন্য গালাগালি করে, কই আমিতো কোনদিন আপনেরে বাপ-মা তুইলা গালি দেই না!”
কিন্তু সুজনের মাথায় যেনো সেদিন রক্ত উঠে গিয়েছিল। শুধু ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বীণাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে বাকী ছিল।
বিএ পাশ করে সবে বিএড ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যেই বীণার বিয়ে হয়ে যায়। শাশুড়ির অনেক কথা শুনে, চোখের পানি লুকিয়ে বি.এডটা অনেক কষ্টে শেষ করে। ইংরেজি পরীক্ষার দিন বমির চোটে শরীর প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সুজন ভেবেছিল এতো শরীর খারাপ নিয়ে বউ তার নিশ্চয়ই পরীক্ষা দিতে চাইবে না।
আমারে একটু পরীক্ষার হলে দিয়া আইতে পারবেন?-খুব কাতর গলায় বীণা অনুরোধ করে তার স্বামীকে।
-এই শইল্যে পরীক্ষা না দিলে অয় না?
:সাড়াডা বছর এতো কষ্ট কইরা যদি পরীক্ষা না দেই তাইলে সব কষ্ট মাটি হইবো।
অগত্যা সুজন নিয়ে গিয়েছিল পরীক্ষার কেন্দ্রে। প্রচণ্ড দূর্বল শরীর নিয়েই পরীক্ষা শেষ করে বীণা।
বাচ্চাটা হওয়ার পর ফল প্রকাশ হয়। বেশ ভালো ভাবেই পাশ করে বীণা। একবছরের বাচ্চা নিয়ে পাশের গ্রামের একটা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষকতার চাকুরি শুরু করলেও শাশুড়ির প্রচণ্ড বিরোধীতার মুখে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়।
”কতো বেতন পাও তুমি?
দশ হাজার?
পনর হাজার?
আমার লাগতো না অত ট্যাহা। আমার নাতীর য্যান কোন অযত্ন না অয়!”
শাশুড়ির অমন কথার পরে আর পারেনি সেই চাকরি টিকিয়ে রাখতে।
কিন্তু এরপর শাশুড়ি সুযোগ পেলেই মুখের সামনে আঙুল শাসিয়ে বলতেন-
”তুই কার পুতেরডা খাস?
আমার পুতেরডা!
মনে রাহিছ।
আমি বিয়াইয়া বাইর করছি পুতেরে।
এমনে এমনেই পাইছোস আমার পুতেরে?”
দিনের পর দিন আর কতো কথা শোনা যায়? বাসার কাছেই একটা এনজিও স্কুলে চাকরি নিয়ে ফেলে বীণা। বাচ্চাকে সাথে নিয়েই স্কুলে যায়। এবার আর শাশুড়িকে চাকরির শুরুতে জানায়নি। এখন মাসে মাসে কিছু টাকা যখন বীণার হাতে আসা শুরু করলো শাশুড়ির চোখের তাপ না কমলেও গলার তাপ কমতে থাকে। কিন্তু সুযোগ পেলেই ছেলেকে ডেকে নিয়ে নিজের দুঃখের বয়ান দিতে দিতে একসময় সুজনও বিরক্ত হয়ে উঠে বীণার উপর। বউ সমস্যা না করলে মা নিশ্চয়ই মিথ্যে বলেন না! প্রায়ই মেজাজ গরম হলেই সুজন হাক ছাড়ে-” আমার বাড়িত থন বাইর হইয়া যা!”
বীণার বড় খালার মেয়ে রুখসানা পারভীন। বীণার চেয়ে বেশ কয়েক বছরের বড়। শ্যামবর্ণা, গভীর চোখের সুন্দরী রোখসানার বিয়ে হয়ে যায় এলাকার জোতদার রহিম মুন্সির সুদর্শন ছেলের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পরেই জোতদার পুত্র সৌদি আরব চলে যায়। আর শাশুড়ির আদরে, আদেশে, নির্দেশে, পরামর্শে রুখসানা হাল ধরে জোতদারের বিশাল সংসারের। পরিবেশ, পরিস্থিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, বন্ধুপ্রতিম শাশুড়ির কারণে শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে সামলে নিতে কোন কষ্টই হয় না রুখসানার। বরং এলাকায় জোতদার বাড়ির বউ হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে ফেলে। বছর বছর রহিম মুন্সির ছেলে দেশে এলে জোতদার বাড়িতে ঈদের আনন্দ শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যে রুখসানার ঘর আলো করে চাঁদের টুকরা ছেলে আসে। ছেলে ঝরঝরে হয়ে সারাবাড়িময় দৌঁড়ায় এখন। এরই মধ্যে রুখসানা আর জোতদার নাতীর যাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যায় সৌদি আরব।
বীণার তখন শরীর খুলতে শুরু করেছে। বিয়ের সম্বন্ধ আসে প্রায়ই। এমনই এক সন্ধ্যায় রুখসানা তার শাশুড়িকে নিয়ে গেছে পাশের গ্রামে অশিতিপর বৃদ্ধা নানীর কাছ থেকে বিদায় নিতে।
রহিম মুন্সি তখনও বৈঠকঘরে আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত। বীণা এসেছিল রুখসানা আপার সাথে দেখা করতে।
জামিলা খালা জোতদার বাড়ির পুরনো ঝি। তিনি বেশির ভাগ সময় রান্নাঘরেই কাটান। এদিকে প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা আসেন না। তাই এদিকেও আর কেউ নাই।
দুলাভাইকে একলা দেখে কী করবে বুঝতে পারে না।
খুবই অমায়িক দুলাভাই হাসতে হাসতে এগিয়ে আসে বীণার কাছে।
”বাইরেতো অন্ধকার, আসতে ভয় পাইলা না, সুরের বীণা “
বীণার একটু লাজুক হাসি দিয়ে জবাব দেয়, ”কবরখানাটা পার হইতে বুক ঢিপ ঢিপ করতেছিল। নাইলে ডর নাই।”
দুলাভাইয়ের চোখের তারায় হাসি ঝিলিক দিয়ে উঠে। হঠাৎ করেই কিশোরী বীণার জেগে ওঠা বুকে চাপ দিয়ে বলে, কৈ দেখি বুক ঢিপ ঢিপ করতেছে কি না? নাকি সুরের বীণা মিছা কতা কইতাছে!
হাতের চাপে বিব্রত বীণা হঠাৎই লজ্জায় লাল হয়ে দুলাভাই থেকে সরে আসতে নেয়। আর দুলাভাইও ততক্ষণে বীণাকে জাপটে ধরে ফেলে।
”তুমারেই নিয়া সৌদিতে উড়াল দিতে চাইগো সুরের বীণা! তুমারে যে ভালোবাসি, বুঝ না?”
বীণার কান গরম হয়ে উঠে। এতো সুদর্শন জোতদার ছেলের কথায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। ততক্ষণে জোতদার পুত্রের হাত বীণার সারাশরীরে চেপ্টে ফেলেছে। বীণা জোর করেও নিজেকে ছাড়াতে না পেরে শুধু অস্ফুট স্বরে বলতে থাকে, ছাড়েন দুলাভাই, ছাড়েন!
কোন এক অদ্ভুত শক্তির বলে বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটার আগেই বীণা পালিয়ে বাঁচে। শুধু পেছন থেকে কানে আসতে থাকে, “তুমারে ভালোবাসিগো!”
এরপরের রাতগুলো বীণার জীবনে বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে। একা, অন্ধকার ঘরে কোনভাবেই ঘুমাতে পারে না। অন্ধকারে নিজের আপনজন কেউ এলেও চিৎকার করে সারাবাড়ি মাথায় তোলে।
রুখসানা আপা খবর পাঠিয়েছিল। কিন্তু আতঙ্কিত বীণা আর ওমুখো হওয়ার সাহস পায়নি।
এমন লজ্জার কথা কাউকে যে বলবে সে উপায়ও নেই। কোন পুরুষ ওর শরীরে হাত দিয়েছে, এই কথা কেউ জানতে পারলে ওকে অসতী ভাববে, ভাবতেই বীণা যেনো মাটির সাথে মিশে যায়। নিজের ভেতরে এতো বড় একটা কষ্টের কথা লুকিয়ে রাখা যে, কতো কষ্টের তা যে নিজের জীবন দিয়ে না বুঝেছে সে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না।
সেদিন জোতদার বাড়ির রান্নাঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জামিলা খালার সাথে বীণার চোখাচোখি হয়েছিল। জোতদার পুত্রের ঘর থেকে একবার বীণার অস্ফুট স্বরে ‘দুলাভাই’ শব্দটা কানে এসেছিল খালার। চুলার একটা লাকড়ি সরিয়ে আগুনের আঁচ কমিয়ে ভেতর ঘরে এসে আর বীণা দেখতে পাননি। খালা হয়তো তেমনই কিছু বলেছেন রুখসানা আপাকে। দেশ ছাড়ার আগে তাই রাগে গজগজ করে খালার কাছেই বলে গেছেন, জোয়ান দুলাভাইয়ের কাছে একলা আইতে পারে আর বড়বইনের কাছে আইতে পারে না!
বীণার মাও খুব রাগ করেছেন। কিন্তু মেয়েকে জোর করে নিয়ে যে যাবেন মেয়ের পালিয়ে থাকার কারণে সেই সুযোগও পাননি।
বেশ কয়েকবছর পরে যখন রুখসানা আপা দেশে এলেন তখন জীবন অনেক বদলে গেছে। আতঙ্কিত বীণা এখন সুজনের স্ত্রী। পাশের গ্রামে বীণার শ্বশুরবাড়িতে হাত ভরে উপহার নিয়ে রুখসানা আপা এলেন বোনকে দেখতে। আপা হজ করে এসেছেন। তাই মাথায় সারক্ষণ ওড়না টানা থাকে। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে আপার বুকের একপাশে ওড়না থাকেই না। এটা কি ইচ্ছেকৃত নাকি বেখেয়ালে তা বীণা কোনভাবেই বুঝতে পারে না। ছোটবোনের স্বামী সুজনকে আপার খুব মনে ধরেছে। কেমন দারুণ বন্ধুর মতো হাসিখুশি প্রাণবন্ত ছেলেটি। দেশে আসার প্রথম দিকে রুখসানা আপা প্রায়ই আসতেন বীণার বাড়িতে। লম্বা সময় ধরে ছোটবোনের স্বামীর সাথে রুখসানা আপার কথার হল্লা ছুটতো। সুজনতো রুখসানা আপা বলতে অজ্ঞান! আপার প্রশংসায় সুজনের মুখে খৈ ফুটতে থাকে। এখন সুজনই যায় রুখসানা আপার বাসায়। কখনো কাজের ব্যস্ততায় যেতে না পারলে আপা ফোনের পর ফোন দিয়ে ব্যস্ত করে ফেলেন সুজনকে।
রুখসানা আপা দেশে আসার পর বীণা বড় বেশি বেখেয়ালি হয়ে গেছে সংসার, সন্তান সবকিছুর প্রতি। রাতে ঘুম হয় না ঠিকমতো। রাতের অন্ধকারে আতঙ্ক যেন ছমছম করে চারদিকে ঘোরে।
জোতদার বাড়িতে রুখসানা আপার যত গুণ চোখে পড়ে বাড়ি ফিরে বীণার ঠিক ততো দোষই সুজনকে বীণার প্রতি আরো বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। সুজন সবই রুখসানা আপার কাছে হরহর করে বলে দেয়। সুজনের প্রতি বেশি যত্ন নেওয়া রুখসানা আপা খুবই প্রগলভ। কথায় কথায় খিলখিল করে হেসে গড়িয়ে পড়েন। অথচ বাড়ি ফিরে বীণার চৈত্রমাসের মাঠফাটা ঠোঁট, আর মলিন হতচ্ছিরি মুখ দেখে সুজন ত্যক্ত হয়ে গেছে।
এক সন্ধ্যায় সুজন বাড়ি ফিরে দেখে বীণা ঘর অন্ধকার করে মরার মতো শুয়ে আছে। বাচ্চাটা দাদীর সাথে খেলা করছে।
”কিরে বীণা!” চেচিয়ে উঠে সুজন।
বীণাও কেমন যেনো নিজেকে সেদিন আর সামলাতে পারে না।
”জোতদার বাড়িতে থাইক্যা গেলেই পারেন। বাড়িত আওনের দরকারডা কী?”
যত মেজাজই দেখাক এই কয় বছরের বিবাহিত জীবনে সুজন কখনো বাপ তুলে গালি দেয়নি। অপমান যা করার বীণাকেই করেছে। কিন্তু তখন আর নিজেকে সামলাতে পারে না।
”শুয়রের বাচ্চা! তুই অক্ষণ বাড়িত থাইক্যা বাইর হইয়া যা!”
রুখসানা আপারা দুলাভাইয়ের ছুটি শেষে আবার সৌদি চলে গেছেন।
এতোদিন স্ত্রী সঙ্গ ছাড়া পুরুষ থাকে কেমন করে! বীণা গালি খাওয়ার পরও আর কোনরকম রাগ দেখায়নি। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়নি। তার মানে সে নিজের দোষ বুঝতে পেরেছে। স্ত্রীর সাথে রাগ করে আর কথা বন্ধ রাখার কোন মানে হয় না।
মায়ের ঘর পার হয়ে দেখে নিল বাচ্চাটা ঘুমাচ্ছে। আস্তে করে বীণার কাছে গিয়ে গায়ে হাত রাখতেই আতঙ্কে বীণা জেগে উঠলো। সুজন বীণার মুখ চেপে ধরলো। নইলে বীণার চিৎকারে বাচ্চার ঘুম ভেঙে যাবে। নিজের মাও জেগে উঠতে পারেন।
আদরমাখা গলায় সুজন ডাক দিল ” আয়…”
ভুত দেখার মতো চমকে উঠে রীতিমতো কাঁপছে বীণা। এবার সুজন একটু জোর করেই নিজের কাছে টেনে নিল বউকে।
ঝট করে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে পিঠটা টানটান করে বসে সুজনকে অবাক করে দিয়ে বীণা মুখ খুললো, “যারে জন্মের পর থেইক্যা বাবা বলে জানছি, সে মাইনষের চেহারার আছিলেন। আমি মাইনষের ঘর থেইক্যা জন্ম নিছি। শুয়রের ঘর থেইক্যা না। আপনের একটা লক্ষী বউ দরকার। ঘরে একটা লক্ষী বউ নিয়া আসেন। আমি থানা-পুলিশ করুম না। আমার মতো আমারে থাকবার দেন।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
কিশোরী মেয়ের জীবনে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের কথা যা সে পরবর্তী জীবনে এসেও সেই আতঙ্ক থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি। ভাগ্যদোষে বৈবাহিক জীবনেও সেই ভাঙা মন আর জোড়া লাগেনি। বরং মেঘের আড়ালেই সূর্যের হাসি যেনো ঢাকা পড়ে গেছে।
২৮ মার্চ - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
২২ টি
সমন্বিত স্কোর
৩.৬৭
বিচারক স্কোরঃ ১.৮৭ / ৭.০
পাঠক স্কোরঃ ১.৮ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪