এই যে শহর শহরের পর শহর ঝলসে যাচ্ছে! এই যে গ্রাম গ্রামের পরে গ্রাম পুড়ে যাচ্ছে! কতদিন ধরে চলছি একা!
এই যে গানওয়ালা চলছে একা। এই কবিতাওয়ালা চলছে একা। এই সুযোগে এই হুজুগে আমাকে পেছনে টানছে পবিত্রতা পরিহিত ভূত-প্রেত আমার ধর্মে আগুন লাগিয়ে দিয়ে অদূরে হাসছে সভ্যতার জংলি-জানোয়ার।
এই যে শিক্ষক বদলে গেছে চলছে একা। এই যে ছাত্র পাচ্ছে ফাও চলছে একা। এই সুযোগে এই হুজুগে এখানে পবিত্রতার ব্যাখ্যা দিচ্ছে একদল শুয়োরের বাচ্চা এখানে শুয়োরের বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে আরেক শুয়োরের বাচ্চা এ দেশেতে এই মাটিতে এই আমার বাগানে ফুল ফোঁটা বন্ধ করে দিতে চায় ওরা এই আমার গ্রামের পাখিদের বাসা তসনস করতে চায় ওরা এই আমার মা’কে বিভ্রান্ত আর নি:সন্তান করতে চায় ওরা এই আমার মা’র কোল থেকে নিয়ে যাচ্ছে আমার নিষ্পাপ ভাইকে ওরা এই আমার ভাইয়ের হাতেই দিচ্ছে আমাকেই মারার ব্রহ্মাস্ত্র।
এই যে সাংবাদিক বদলে গেছে চলছে একা। এই যে রাজনীতিক ক্ষমতায় আসক্ত চলছে একা দিচ্ছে ধোকা এই যে বদল এই যে একা এই সুযোগে- শয়তানি হুজুগে এই আমার ভাই আমার খাবার ঘরেই মারছে বোমা এই আমার ভাই ঈদগাহ ময়দানে খেলছে রক্তের খেলা এই আমার ভাই ট্রাকে পিষিয়ে মারছে অগণিত ভবিষ্যৎ মানবতা পুড়ে খাক... এই কব্জায় এই লজ্জায় এখন আমাদের তেনাচিড়া বিলের শাপলা-শালুকরা ডুব দিয়েছে কাদায় এখানে আগের মতো ফোঁটে না নীলপদ্মও এখন আমাদের ভেগিরবিল থেকে শিংমাছ, কৈমাছ হয়েছে উধাও এখন আমাদের মোল্লারদহ বিলে বোয়াল মাছেরা বন্ধ করে দিয়েছে প্রজনন। এই এইমাত্র শুনলাম এই শোকে এই ক্ষোভেতে কুকুররাও নাকি মানুষের থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে মুখ আঁধার দীঘিপাড়ে নিভে গেছে জোনাকির আলো।
আমরা তো মানুষ নই; মশা-মাছি-আরশোলা আমরা কোনো রকমে কায়দা করে বেঁচে আছি আরকি!
এই যে ব্যবসায়ী ব্যস্ত ভীষণ চলছে একা। এই যে সরকারি চাকুরে হারামজাদা চলছে বাঁকা নাচছে একা। এই যে মানুষ মানুষের পেছনে মানুষ চলছে একা এখানে মানুষ মানুষের ওপরে মানুষ মারছে ল্যাং ছুটছে একা ঝলসানো নীলিমায়... এ পাড়ায় ও পাড়ায় খবর পৌঁছে গেছে- আজ লজ্জায় সুনীল আকাশও নাকি মুখ লুকিয়েছে পাখিদের পাখায় আজ পীপিলিকারা ফিস ফিস করে বলছে কথা- কতোটা পথ আরো চলবে একা?
আমরা তো মানুষ নই; মশা-মাছি-আরশোলা আমাদের মুখে দিয়েছো কুলুপ এঁটে।
খবর নিয়ে এলো কেউ- আজ টুনটুনির বাসায় বাস করা শুরু করে দিয়েছে অজগর চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যায় অনাগত ভবিষ্যৎ সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জোব্বাররা উড়ে এসে আমার পাশে বসে রক্তমিছিলে প্রকম্পিত ভূলুন্ঠিত পৃথিবী সুন্দরবন থেকে খরগোস খবর নিয়ে এসেছে- আজ ঢাকায় মানুষের বদলে জেগেছে কোটি মশা হরিণের মুখে খবর পেয়েছি- আজ রাজশাহীতে মিছিলে নামবে উত্তরবঙ্গের যত টিকটিকি আর মেঠো ইঁদুররা ক্যাঙ্গারুর কাছে ক্ষুদে বার্তা পেয়েছি- খুলনায় রক্তে তরঙ্গিত আরশোলা আর মাছিরা আনবে পরিবর্তনের হাওয়া খবর পেয়েছি- আজ ময়মনসিংহে তারা প্রজাপতির ডানায় ভর করে জ্বালাবে চেতনার আগুন এইমাত্র খবর দিয়ে গেলো ময়না-টিয়া আজ দেশের সবচেয়ে বড় মিছিলটা নাকি বের হবে চিটাগাং থেকে।
আমরা তো মানুষ নই; আরশোলা-মশা-মাছি এই এইমাত্র খবর এলো- আজ পাহাড়েও পাথরের ঘুম ভেঙ্গেছে আজ তারা তাদের জাগাবে জাগাবেই অনাগত শিশুর খটখট হাসিতে শয়তানে ধরবে কাঁপন, কাঁপন ধরবেই আমাদের হুংকারে শুয়োরের বাচ্চারা হবে চুরমার, ভেঙ্গে চুরমার হবেই আমার বাংলা সময়ের আগেই ঘরে ফিরবে, ঘরে ফিরবেই, ফিরবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী
ভাল। শুভকামনা। (নিয়ম অনু্যায়ী এত বড় লেখা জমা দেওয়ার কথা নেই)
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।