অনুভূতিহীন ভালোবাসার গল্প

ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারী ২০১৬)

মনিরুজ্জামান জীবন
  • 0
  • ৬৪
অপর্ণা কল ধরছেনা।বার বার
কেটে দিচ্ছে।
অস্থির
সূত্রানুযায়ী নিশ্চয়ই অপর্ণার
বাবা বাসায় আছে।
অগত্য মেসেজ
পাঠানো ছাড়া উপায় নেই
আমার।
"সমস্যা কি?"
৪ টা বর্ন আর একটা প্রশ্নবোধক
চিহ্ন
দিয়ে ছোট একটা বাক্য অপর্ণার
মোবাইলে প্রেরন করে দিই
আমি।
You have a text Message"
মেসেজটা পড়েই রিপ্লাই দেয়
অপর্ণা
এভাবেই তাদের
নীরবে কথা চলতে থাকে।
"বাসায় আব্বু আছে।কল
করো না।"
— তো কি হইছে? এ
জন্যকি কথা বলতে পারবো না?
—ইসসস শখ কতো।আব্বু বাসায় আর
আমি ওনার সাথে কথা বলবো?
সমস্যা হবে।
—এক কাজ করো।তোমার
আব্বুকে গিয়ে বলো,পাপ্পি পাপ্পি তোমাদের
হবু জামাই না আমার
সাথে কথা বলতে চায়।
বলবো?
—ওই কি বললা তুমি?হবু জামাই?
বিয়ে করলে বৌ চালাইতে পারবা না আবার
জামাই হতে চাইতাছে।
এটা মামার বাড়ির
আবদার?
—না ।এটা শ্বশুর বাড়ির আবদার।
—ঐ আবার? শ্বশুর বাড়ি? বিয়ের
আগেই?
— অপর্ণা তোমার সাথে আমার
ঝগড়া করতে পারবো না।
মোবাইলে ব্যালেন্স ও নেই।
এটাই
হয়তো শেষ ম্যাসেজ।একটু
বারান্দায়
আসো।
আর আজ কয়টায়
দেখা হবে টাইমটা বলে দিও।
মেসেজটা পাঠিয়েই
রিপ্লাইয়ের অপেক্ষায়
অপর্ণাদের বাসার
নিচে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
মনে হয় তাদের
বারান্দাটা দেখা যাচ্ছে।
বারান্দায়
কিছু টব আর টবে কিছু
বাহারি ফুল গাছ
লাগানো।ফুলের প্রতি শখ
মেয়েদের
পুরনো অভ্যাস।
কোনো দিবসে বা উৎসবে আগে আমি গোলাপ
ফুল দিতাম অপর্ণা কে।কিন্তু
অপর্ণা নিষেধ
করেছে।আর বলেছে, "গোলাপ
গাছেই
মানায়।হাতে নয়।"এখন
থেকে তুমি আমাকে গোলাপ
নয়।গোলাপ গাছ
উপহার দিও।
যাতে গোলাপটা সব সময়
তাজা থাকে এবং সৌরভ
ছড়ায়।আর
প্রতিদিন
সকালে গোলাপটা দেখেই
যেন
তোমাকে কাছে পাই।"
গোলাপ কেনার
যে টাকাগুলো বেঁচে যাবে ওগুলো দিয়ে ক্লিন
সেভ করবা।"
সেদিনে কথাগুলোয়
এখনো হাঁসি পায়
আমার।
কি অদ্ভুতই না মেয়েটি।
অনেক্ষন হয়ে গেল
রিপ্লাই এলো না মেসেজের।
অপর্ণা এমন
মেয়ে নয়।নিশ্চয়ই ওর ও
ব্যালেন্স শেষ।
এদিকে দুপুরে রোদটা চড়াও
হচ্ছে।
সূর্যটা মাথার উপরে প্রায়।
ওপর থেকে আমার একটু
সামনে একটা কাগজ
পড়লো।
উপরে তাকাতেই দুতলার
বারান্দায়
হতে অপর্ণার জগৎজয়ী হাঁসি।
অপর্ণা কে পুরো দেখা যাচ্ছে না।
বারান্দায়
জামাকাপড়
শুকতে দেওয়া আছে।
ঢাকাতে এটাই একটা সমস্যা।
জামাকাপড় সব
ছাদে জায়গা না পেয়ে বারান্দায়
হরতাল
পালন করে।
তবুও ওর
মুখটা দেখতে পাওয়া গেল
এটাই
বেশী।
উপর থেকে হাত নাড়ায় অপর্ণা।
প্রতিত্তু
রে আমিও হাত নাড়ালাম।
পথে হাঁটতে হাঁটতে কাগজটা খুললাম।
রং পেন্সিল দিয়ে খুব সুন্দর
করে লেখা "ভালোবাসি"
বিকেল ৫ টায় দেখা হবে।"
অবশেষে বুঝতে পারলাম আমি।
এই রঙিন
কাগজটাই রঙ
করতে দেরী হয়েছে।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ছোট
একটা ঘুম দিলাম।
মোবাইলের রিং শুনেই
জেগে উটলাম।
ঘড়িতে পাঁচটা ছুঁই ছুঁই।
অপর্ণার সতর্কবাণী শুনেই
তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে পার্কে চলে আসলাম।
একা মুখ
গোমরা করে বসে আছে অপর্ণা।
"কিগো ওমন পেঁচার মতো মুখ
করে বসে আছো কেন?
কোনো কথা বলছে না অপর্ণা।
রাগ
করেছে।
রাগ ভাঙানোর কৌশলটাও
আমার জানা।
নিয়ে আসা গোলাপ
ফুলটা গুঁজে দিলাম অপর্ণার
চুলে। —এই
তোমাকে না বলছি গোলাপ
কিনতে না?
—কিনতাম না।কিন্তু একজনের
আবদারে কিনলাম!
—মানে?
—পথে আসার সময় এক
পিচ্চি ধরে বললো ফুল নিবেন?
মেয়েটার
করুন
চাহনিতে নিজকে ধরে রাখতে পারলাম
না।নিয়ে নিলাম।
—ভালো করেছো।কিন্তু
আসতে দেরী হলো কেন?
—এটা ঢাকা শহর নাকি?
দেরীতো হবেই।
কেউই ট্রাফিক মানেনা।
জ্যামতো আছেই!
—থাক আর
মিথ্যে বলতে হবে না।
তোমাদের রোডটা আমার
ভালো করেই
চেনা।প্রতিদিন ওটা দিয়েই
কলেজে যাই।
কোনো জ্যাম থাকেনা।
—স্যরি।
—তোমাকে সময়ের জন্যে সতর্ক
করতে হবে।
—তাহলে বিয়ে করে ফেল।
—তাই নাকি?
রান্না করবে কে?
আমি এখনো রান্না করতে পারিনা।
—সমস্যা নেই আমিও বাজার
করতে পারিনা।
সুতরাং তোমার
রান্না করতে হবে না।
—তাই?খাবো কোথায়?
—হোটেলে।

বিয়ে করে হোটেলে খাবা?
পাগল একটা।
বিয়ে করার এতো শখ কেন?
আগে বাজার
করতে শেখো।
—হুম।বাবার
থেকে শিখে নিবো।
তুমি রান্না শিখো।
—আম্মুর থেকে শিখে নিবো।
—হাহাহা ।ঠিকমতো শেখো ।
এমন
তরকারী রেঁধো না, যেন
একবার বাসায়
খেয়ে তিনদিন হসপিটালের
স্যালাইন
খেতে হয়।
—ঝগড়া করবি?
দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা………………
নিশ্চিত সেদিন অপর্ণার
হাতে আমাকে কয়েকটা
ঘুষি খেতে হয়েছিলো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়েজ উল্লাহ রবি এতো ছোট ছোট লাইন করা উচিৎ হয়নি, কবিতা মতো না সাজিয়ে গল্পের মতো হলে ভাল হতো,আশা করি বুঝেছেন এবং আগামী গল্প তেমন করে চাই।
ভালো লাগেনি ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
মনিরুজ্জামান জীবন আমার এই গল্পটিতে সকলের মন্তব্যে আশা করি ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

২৩ জানুয়ারী - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪