আমি আর আমার পিচ্চি বোন মুনা দুজনই গল্পের পোকা। রাতে আমরা দু ভাই বোন একসাথে পড়তে বসতাম। ক্লাসের পড়া শেষ হলে মুনা রোজ আমার গলা জড়িয়ে ধরে আবদার করতো ভাইয়া একটা গল্প বলনা।
কখনো রুপকথার গল্প আবার কখনো অন্যসব গল্প। এর মাঝে স্কুল লাইব্রেরী থেকে বই আনার সময় হঠাৎ একটা বইয়ের ওপর চোখ আটকে গেল। টিভিতে আমার দু ভাইবোন কত যাদুর অনুষ্ঠান দেখেছি। লাইব্রেরীতে চকচকে মলাটের যে বইটা আমার ভীষন পছন্দ জল সেটি ছিল যাদুর বই।
যাদুর বই বলতে ম্যাজিকের কলাকৌশল। আমি সেদিন বইটা বাড়িতে নিয়ে আসি। একা একা কয়েক চ্যাপ্টার পড়ে রাতে আমার পিচ্চি বোনটাকে ববললাম জানিস মুনা আজ আমি তোকে সত্যিকার যাদু দেখাবো। আমার কথা শুনে মুনা হাততালি দিয়ে উঠলো। আমি আমার প্রিয় থেকে প্রিয় বোনটাকে খুশি করার জন্য যাদু দেখানোর প্রস্তুতি নিলাম। কিন্ত অনেক চেষ্টা করেও একটা যাদোও দেখাতে পারলামনা। আমার মন খারাপ হয়ে গেল। বোনটাকে যাদু দেখাতে পারলামনা । আমার চেয়ে আমার বোনের বেশি মনখারাপ হওয়ার কথা ছিল কিন্ত আমার মন খারাপ দেখে ও আমার কাধেধ ওর ছোট্ট হাত রেখে আমাকে শান্তনা দেয়ার ভঙি।গতে বললো জোজো ভাইয়া মন খারাপ করিসনা। আজ পারিসনি তো কি হয়েছে চেষ্টা করলে ঠিকই তুই পারবি। আমার বোন সেদিন বড় হয়ে গিয়েছিল।সাতবছরের অতটুকু একটা মেয়ে তার এগার বছরের ভাইকে শান্তনা দিচ্ছিল। আনন্দে আমার চোখে পানি চলে আসলো। আমি আমার ছোট বোনের কপালে চুমু একে দিয়ে বললাম মুনা দেখিস তোর ভাইয় একদিন সত্যিই তোকে যাদু দেখাবে। এর পর মুনা ঘুমি পড়লো। আমরা একই রুমে ঘুমাই। আমাদের দোতলা খাট। নিচে আমি আর উপরের তলায় আমার সবচেয়ে আদরের বোন ঘুমায়।
সে রাতে আমার ছো্ট্ চোখে ঘুম আসলোনা। কত উৎসাহ নিয়ে বোন আমার যাদু দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল আর ভাই হিসেবে আমি ওকে যাদু দেখাতে পারলাম না। বিছানায় উঠে বসে রিডিং টর্চ জ্বেলে বইটা খুলে বসলাম। কিন্তু বইয়ে যা লেখা আছে তা আমার মাথায় ঢুকলোনা। কদিন পর আমাদের নীলগঞ্জে তিন দিন ব্যাপী বিরাট মেলা বসলো।
এলাকার সব মানুষ আমাদের দু ভাই বোনকে চেনে। সবাই বলে মানিক জোড়। কারণ আমরা সব সময় একসাথে স্কুলে যেতাম এবং স্কুল থেকে ফিরতাম।বোনের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পদ্মবিল থেকে শাপলা তুলে ওর হাতে দিতাম আর মুনা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেত। নীলগঞ্জে মেলা বসেছে আর আমরা দু ভাই বোন যাবোনা তা হয়নাকি।
আমাদের একমাত্র মামা আমাদের মেলায় নিয়ে গেল। মেলার আয়োজকদের মধ্যে মামার বন্ধুরাও ছিল। মামা আমাদের খুশিমত ইচ্ছা মত খেলনা কিনে দিল। নীলগঞ্জের মেলায় সব পাওয়া যেত। মেলার উত্তর দিকে একটা বগড় যায়গা টিন দিয়ে ঘেরা। মামাকে জিজ্ঞেস করলাম মামা ওখানে টিন দিয়ে ঘেরা কেন? মামা জানালো ওখানে যাদু দেকানো হবে। আমরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। আমি কিছু বলার আগেই আমার বোন মুনা মামাকে জিজ্ঞেস করলো মামা সত্যিই ওখানে যাদু দেখানো হবে? মামা মাথা নেড়ে জানালেন বিষয়টা সত্যি এবং আমরা দু ভাই বোন চাইলে যাদু দেখতে পারবো।
এ সুযোগ কে ছাড়ে। আমি মামাকে জিজ্ঞেস করলাম মামা যাদুকরের নাম কি? মামা জানালেন োনার নাম যাদুকর পরিতোষ কুমার। কোন কথা না বাড়িয়ে আমরা যাদু দেখতে সেই ঘেরা জায়গায় ঢুকে পড়লাম। মামা আমাদের দুজনকে বসিয়ে দিয়ে উঠে যাচ্ছিল। মুনা বললো মামা তুমি কোথায় যাচ্ছ? তুমি যাদু দেখবেনা? মামা মুচকি হেসে বললেন আমি থাকলে যাদুকর পরিতোষ কুমার যাদু দেখাতে আসবেনা। মুনা মামার হাত ধরে জানতে চাইলো কেন মামা যাদুকর তুমি থাকলে আসবেনা কেন? তুমিকি ওর কাছে টাকা পাও যে টাকা দেয়ার ভয়ে সে আসবেনা। মামা মুনার কথা শুনে হেসে দিলেন। বললেন তোরা যাদু দেখতে এসেছিস যাদু দেখ। পরে তোদের বলবো কেন যাদুকর আমি থাকলে যাদু দেখাতে আসবেনা।
আমরা দু ভাই বোন তখন যাদু দেখার জন্য আগ্র নিয়ে বসে থাকলাম্। মামা আমাদের রেখে বেরিয়ে গেলেন। কিন্ত কোথায় গেলেন তা জানিনা। যাবার আগে বলে গেলেন আ না আসা পযর্ন্ত দুই ভাই বোন কোথাও যাবিনা। বিশেষ করে আমাকে বললো জোজো তুই তোর পিচ্চি বোনটাকে দেখে রাখবি।আমি এক হাতে আমার বোনকে জড়িয়ে ধরে রেখে মামাকে আশ্বস্ত করলাম যে আমি আমার বোনকে নিরাপদে রাখবো। দর্শকদের মাঝে তুমুল উত্তেজনা। কখন আসবে যাদুকর সেই অপেক্ষা। কিন্ত যাদুকর আর আসেইনা।
হঠাৎ ঘোষনা কারী ঘোষণা দিলেন এক্ষুনি যাদুকর আপনাদের সামনে আসবেন। সাথে সাথে হর্ষধ্বণিতে ফেটে পড়লো গোটা এলাকা। হাজার হাজার মানুষের হাত তালির মাঝে মঞ্চে এলেন যাদুকর পরিতোষ কুমার। কালো চাদরে মোড়া,খুব লম্বাও নয় খুব খাটোও নয় এমন একজন মানুষ ছিলেন যাদুকর পরিতোষ কুমার।তার মুখ দেখা যাচ্ছিলনা। কারণ মুখোশ পরা ছিল। আমি আর আমার বোন মুনা বতে পলকে মঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। এবার যাদুকর গায়ের কালো চাদর খুলে ফেললেন। বড় একটা আলখেল্লা পরা তবে মুখের মূখোশ খুললেন না। যাদুকর যাদু দেখানোর প্রস্তুতি নিলেন। একটা কাগজের ঠোঙ্গা নিলেন এবং সবাইকে দেখালেন যে সেটা ফাকা।
এবার একটা বক্স থেকে একটা বোতল বের করলেন। তিনি বলতে থাকলেন এই বোতলের ভিতরে মদ রাখা আছে। আর মদ যেহেতু খারাপ জিনিষ তাই আমরা একে লুকিয়ে রাখবো। বলেই তিনি সেই ঠোঙ্গার ভিতরে বোতলটা ঢুকিয়ে দিলেন। এরপর ঠোঙ্গা উল্টে দিলেন। কী আশ্চয বোতলটা পড়লোনা। আমরা ছোট বলে বুঝতে পারিনি কিন্ত বড়রা ঠিকই ধরে ফেললো। তাই বললো আপনি হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। যাদুকর বিভিন্ন কথা বলে আমাদের মুগ্ধ করলেন। শেষে ঠোঙ্গা দলা পাকিয়ে বলের মতো করে ফেললেন। আমরা দু ভাইবোন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম।ঠোঙ্গার ভিতর থেকে সেই আস্ত বড় মদের বোতল কোথায় হারিয়ে গেল। সব দর্শক আনন্দে হাত তালি দিয়ে উঠলো আর যারা প্রথমে ভেবেছিল যে যাদুকরের যাদু ধরে ফেলেছে তারাও বোকা হয়ে গেল। এরপর যাদুকর আরো অনেক যাদু দেখালেন। আমি আর মুনা দুই ভাইবোন মুগ্ধ হয়ে সেই যাদু দেখতে লাগলাম। সেদিনের মত যাদুর অনুষ্ঠান শেষ হলে সবাই বেরিয়ে গেল। মামা আর আসেনা।
আমরা অপেক্ষায় থাকলাম। অনেকক্ষণ পর মামা আসলেন। আমরা অনুযোগ করে বললাম মামা এই তোমার্আসার সময় হলো। সবাই সেই কখন চলে গেছে। সেদিন বাসায় ফিরে আমাদের দু ভাই বোনে যেন আনন্দ কমছেই না। বার বার যাদুকরের সেই যাদুগুলো চোখে ভাসছিল। পড়তে বসার পর মুনা বার বার জিজ্ঞেস করলো আচ্ছা ভাইয়া যাদুকর কিভাবে এটা করলো? আমি আমার পিচ্চি বোনকে বললাম বড় হলে বলতে পারবো। পরদিনও মামার সাথে যদাু দেখতে গেলাম। মুনা মামার হাত ধরে বললো মামা কাল তুমি দেরি করে এসেছিলে আজ তোকা যেতে দিচ্ছিনা। তুমি আমাদের সাথে থাক। মামা আগের দিনের মত বললো আমি এখানে থাকলে যাদুকর যাদু দেখাতে পারবেনা। আমি আর মুনা একে অন্যের দিকে মুখ চাওয়াচায়ি করে মামাকে বললাম ঠিক আছে আজ প্রমান হয়ে যাক বলেই মামার হাত ধরে পাশে বসালাম। নির্ধারিত সময় এসেগেল। এক্ষুনি যাদুকর মঞ্চে উঠবেন। কিন্ত যাদুকর আসলেন না। মামা ফিসফিস করে বললেন দেখলি জোজো মুনা তোদের মামা মিথ্যে বলেনি। আমি আছি বলেই যাদুকর আসতে পারছেনা। আমি আর মুনা তাও মামার হাত ধরে থাকলাম। বিশ্বাসই করলাম না। ভাবলাম মামা গুলমারছে। আমাদের রেখে বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবে। হাত শক্ত করে ধরে রাখলাম। নির্ধারিত সময়ের আধা ঘন্টা পার হয়ে গেল কিন্ত যাদুকর আর আসেনা। দর্শকরা চিৎকার করা শুরু করলো। ঘোষণাকারী দর্শকদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। হঠাৎ কি জানি কি হয়ে গেল তিনি বলে উঠলেন এই দর্শকদের মাঝে এমন একজন আছেন যিনি এখান থাকলে যাদুকর যাদু দেখাতে আসতে পারবেননা। আমরা এ কথা শোনার সাথে সাথে মামার মূখের দিকে তাকালাম। মামাকে রহস্যময় মনে হল। বুঝলাম মামা মিথ্যা বলেনি। দর্শকরা চিৎকার দিয়ে জানতে চাইলো কে সেই ব্যক্তি যার কারণে যাদুকর আসতে পারবেন না।ঘোষক তখন মামার দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতেই দর্শকরা ফেটে পড়লো। কিন্ত সবাই মামাকে চেনে বলেই তেমন কিছু বললোনা। মামা আমাদের রেখে বেরিয়ে যাওয়ার বিশ মিনিটের মধ্যেই যাদুকর পরিতোষ কুমার মঞ্চে আসলেন। দর্শকেরা তুমুল করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানাল।সেদিনও তিনি অনকে যাদু দেখালেন। আগের দিনের মত সেদিনও মামা দেরি করে আসলেন।তবে আমরা সেদিন কিছু মনে করিনি। বাসায় ফিরে মামাকে জোরে চেপে ধরলাম। মামা থাকলে যাদুকর কেন যাদু দেখাতে আসতে পারবেন না ? মামা বললেন এখন নয় পরে বলতে পারবো। আমরা দুই ভাইবোন সেই সময়ের অপেক্ষা করতে থাকলাম। মেলার শেষ দিন একই ভাবে মামা আমাদের নিয়ে যাদুর ঘেরা অঞ্চলে ঢুকলেন। মামাকে দেখেই অনেক দর্শক চিৎকার শুরু করলো। বললো আপনি বেরিয়ে যান। আমাদের খুব রাগ হচ্ছিল। আমাদের মামাকে বেরিয়ে যেতে বলছে কত বড় সাহস। কিন্ত কোন কথা না বলে মামা বেরিয়ে গেলেন এবং অন্য দিনের তুলনায় আধা ঘন্টা আগেই যাদুকর মঞ্চে আসলেন। বেশ কিছুক্ষণ যাদু দেখালেন। শেষে মাইক নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। আমার আর মুনার কাছে কন্ঠটা খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছিল। এক সময় যদুকর দর্শকদের কাছে জানতে চাইলেন এই তিনদিন আমার যাদু দেখার পর আপনাদের কিছু জানার আছে কিনা। কেউ হাত তোলার আগেই দেখি মুনা ওর ছোট্ট হাত উচু করে ধরেছে। যাদুকর সেটা খেয়াল করলেন। যাদুকরদের সব খেয়াল রাখতে হয়। তিনি মুনার দিকে ইশারা করে একটা মাইক্রোফোন দিতে বললেন। হাতে মাইক্রোফোন পেয়ে কাপাকাপা কন্ঠে মুনা কথা বলতে শুরু করলো। আপনার যাদু অনেক বাল লেগেছে। আপনি কি আমার মামাকে চেনেন? দর্শকরা এ প্রশ্নে হয়তো বিরক্ত বোধ করলো কিন্ত যাদুকর মাথা নেড়ে জানালেন যে তিনি আমাদের মামাকে চেনেন। এবার মুনা জিজ্ঞেস করলো তাহলে মামা থাকলে আপনি মঞ্চে আসতে পারেননা কেন? মামা কি আপনার কাছে টাকা পায় যে টাকা দেয়ার ভয়ে আপনি মঞ্চে আসেননা। নাকি মামার সামনে যাদু দেখালে ধরা পড়ে যাবেন। আমি ফিসফিস করে মুনাকে বললাম এসব কি বলছিস মুনা? ও আমাকে বললো ভাইয়া দেখনা কি হয়। মুনার কথা শুনে যাদুকর পরিতোষ কুমার চুপ হয়ে গেলেন। সব দর্শক মুনার পক্ষ নিয়ে জানতে চাইলো কী এর রহস্য। যাদুকর কিছুক্ষণ গম্ভীর হয়ে থাকলেন। তারপর কি মনে করে গায়ের গাউন খুলে ফেললেন। তার গায়ে হলুদ পাজ্ঞাবী। মনে পড়ে গেল মামার গায়েও হলুদ পাঞ্জাবী ছিল। এবার যাদুকর আস্তে আস্তে মুখোশ খুলে ফেললেন। আমাদের দুই ভাই বোনের বিস্ময়ের সীমা থাকলোনা। মঞ্চে দাড়ানো যাদুকর পরিতোষ কুমার নামের এই যাদুকর আর কেউ নয় আমাদের একমাত্র মামা। দর্শকরাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। মুনা এক দৌড়ে মঞ্চে উঠে মামাকে জড়িয়ে ধরলো আমিও ছুটে গেলাম মঞ্চে। দর্শকরা তুমুল করতালি দিল। আর সবাই বুঝলো আমার মামা দর্শক সারিতে থাকলে কেন যাদুকর মঞ্চে আসতে পারবেনা এবং যাদু দেখাতে পারবেনা। আমরা দুই ভাইবোনও অনুভব করলাম কেমন মামা রোজ দেরি করে আমাদের নিতে আসতো। মুগ্ধতা আর বিস্ময় নিয়ে মামার হাত ধরে বাড়ি ফিরে আসলাম। আমাদের ঘরেই বিখ্যাত যাদুকর থাকে অথচ আমরা দুই ভাই বোন জানতামই না। বই পড়ে যাদু শিখতে চেয়েছিলাম। আর আমাদের মামাও সেরকম। কোন দিন জানতে দেয়নি যে সে এতো ভাল যাদু জানে। রাতে খাবার খাওয়ার সময় মামাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার নামতো পরিতোষ কুমার নয় তাহলে ও নামটা বলছো কেন? মামা বললেন যে লোকটা যাদু শিখিয়েছেন তার নাম পরিতোষ। মামা তাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন। নিজের গুরু মারা যাওয়ায় তার প্রতি ভালবাসা থেকে মামা তার নামটাই চারদিকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। আমাদের মামা গ্রেট। আমি আর মুনা সে রাতে মামার দুই পাশে ঘুমালাম। আর গর্বে বুকটা উচু হয়ে গেল যে বিখ্যাত যাদুকর আমাদের মামা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
১৯ জানুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।