ছোট সংসারঅজিত আর নীলার। বছর তিনেক হলো বিয়ে হয়েছে। এখনও ছেলে মেয়ে ঘরে আসেনি। অজিত একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরী করে, মাইনে ভালই। দুজনের এতে বেশ চলে যায়। নীলা পড়াশুনার পাট বছর খানিক চুকিয়ে, এখন একটা স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছে মাস ছয়েক হয়েছে। দুজনের বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। মাঝে মাঝে এসে ছেলে মেয়েদের কাছে থেকে যান আর দেখেও যান। খুব সুখি না হলেও তাদের বোঝাপড়া ভাল বলেই সকলে জানে। যদিও আজকাল নীলার মাঝে মাঝেই মনে হয় কি যেন একটা নেই। অজিতকে অফিসের জন্য রেডি করে দিয়ে সে নিজে স্কুল এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। দুপুরে বাসায় ফিরে খেয়ে তার সময় আর কাটতে চায় না। নীলার খুব সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ থাকায় অজিত তাকে একটা হারমোনিয়াম কিনে দিয়েছে। সেটাও এখন আর ভাল লাগে না। গান শুনেও, টেলিভিশন দেখেও তার মন ঠিক ভরে না। নীলার একাকীত্বটা তাকে খুব ভাবায় এখন। তার এও মনে হয় যে বাচ্চা সংসারে এলে হয়ত ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু অজিতের বাচ্চা নেবার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ না থাকায় সে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না কিভাবে অজিতকে কথাটা বলবে। আবার ভাবে অজিত ঠিকই তো বলে, “একটু গুছিয়ে নিতে দাও, নীলা। আমাকে একটু সময় দাও”। সংসার এ অভাব না থাকলেও, বাচ্চার পিছনে ব্যয় করার মত সামর্থ্য ওদের এখনও হয়ে ওঠেনি। এইতো কয়েকদিন পরেই নীলার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী প্রমার বিয়ে, অথচ কি গিফট দিবে ভেবে ভেবে সে স্থির করেছে যাবেই না। কিন্তু না গেলে যে প্রমার সামনে পরে আর দাড়াতেই পারবে না। আর এই অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়েই পুরানো কত জনের সাথেই তো দেখা হবে……আকাশ, বিজয়, সিমি, ফারহা, ওরাও নিশ্চই আসবে। নীলা যদিও ভার্সিটিতে খুব চুপচাপ প্রকৃতির ছিল, কিন্তু সবাই মিলে যখন খুব হইহুল্লোড় করে যে কোন অনুষ্ঠানে, তখন ওর নিজের কেমন যেন এক ধরনের চাপা আনন্দ হয়।
সবকিছু ভেবে নীলা যাবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। অজিতকে বলতেই সেও রাজি হয়ে গেল। কিন্তু হঠাৎ করে অফিসের কাজ পরে যাওয়ায় তাকে কিনা ওই দিনই চট্টগ্রাম এ যেতে হল। নীলা ভেবে ফেলেছে সে গিয়ে গিফটটা দিয়েই চলে আসবে, নয়ত অনেক রাত হয়ে যাবে। তাকে আবার একা ফিরতে হবে। বেশি রাতে বাসার গেটও বন্ধ হয়ে যায়, আর একা মেয়ে সে কিভাবে আসবে? অজিতও খুব চিন্তা করবে বেশি দেরী হয়ে গেলে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে গেলেও প্রমাটার জন্য একরকম দেরি হয়েই গেল, আর তাছাড়া অনেকদিন পর সব বন্ধুদের আড্ডায় দেরি হতে বাধ্য। সবাই মিলে নীলাকে এমনভাবে ঘিরে রেখেছিল যে সে কোনভাবেই তাড়াতাড়ি বের হতে পারেনি। আর কখন এর মধ্যেই ওর পাশে দাড়িয়ে সবকিছু খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল অভিক, নীলা বুঝতেও পারেনি। হঠাৎ পাশে তাকাতেই চোখে চোখ পরতেই মুখঘুরিয়ে নেয় অভিক। একটু অপ্রস্তুত হয়েই নীলাকে বলে ওঠে, খুব সুন্দর লাগছে তোকে নীল শাড়ীতে, অনেক সুন্দর হয়ে গেছিস। নীলাও ব্যস্তসমস্ত হয়ে বলে, তুই অনেক মোটা হয়েছিস। এর পর দুজনেই পুরনো কথায় মেতে ওঠে। সেই ভার্সিটি জীবনের পর এই প্রথম অভিক এর সাথে নীলার দেখা। খুব কাছের বন্ধু না হলেও ওদের দুজনের খুব মিল ছিল। বন্ধুরা তো ধরেই নিয়েছিল যে সবশেষে অভিক আর নীলার বিয়ে হবে। কিন্তু ২য় বর্ষে শেষ হতে না হতেই বাসার পছন্দ করা ছেলের সাথে নীলার বিয়ে হয়ে যায়। আর মিল থাকলেও দুজনের সম্পর্ক হয়ে ওঠেনি। এতদিন পরে হঠাত করে অভিককে দেখে নীলার খুব আনন্দ হচ্ছিল। বন্ধুরা সব একে একে বিদায় নিলেও নীলা নিজেকে সরিয়ে নিতে পারছিল না। কথায় কথায় সে জানতে পারে এর মধ্যে অভিক এর বাবা হার্ট এটাক করে মারা গেছেন, তাই অভিককেই তার বাবার ব্যবসা দেখতে হচ্ছে। অভিকের ছোট বোনটারও বিয়ে হয়ে গেছে, তাই মা খুব করে ধরেছেন ছেলের বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হবেন। না হলে অভিকের যা স্বভাব, তাতে সে মুখফুটে কখনই বিয়ের ব্যপারে কিছুই বলবে না। নীলার মনে পড়ে, শেষবর্ষে সে শুনেছিল যে, সমিতার সাথে অভিক এর একটা সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। কিন্তু সে প্রসঙ্গ তুলতেই অভিক বলে ওঠে, বাদ দে, প্লীজ। এই ব্যাপারে আর কখনও কোন কথা বলবি না। হঠাত ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই আঁতকে ওঠে নীলা। অনেক রাত হয়ে গেছে। তাড়াহুড়া করে উঠতেই অভিক ওর হাতটা ধরে আটকে দেয়। নীলা বলে ওঠে, আমাকে যেতে হবে, নইলে সি,এন,জি পাব না পরে। অভিক বলে ওঠে, আমি গাড়ী নিয়ে এসেছি, তোকে নামিয়ে দেব পরে, কথা আছে, আরেকটু বোস প্লীজ আমার সাথে। এই অনুরোধটুকু নীলা ফেলতে পারে না। কথা আছে বললেও আর কোন কথাই যেন বলতে পারে না অভিক।
দুজনে পাশাপাশি নিশ্চুপ বসে থাকে। আবার নীলা তাগাদা দিতেই মুখকালো করে অভিক উঠে দাড়ায়। কোনদিকে না তাকিয়েই হাঁটতে শুরু করে। নীলা তাকে অনুসরন করতেই হঠাত করে বলে ওঠে, কেন এত দ্রুত বিয়ে করেছিলি?হঠাৎ এই কথা শুনে একটু যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় নীলা। পরে গাড়িতে উঠে জিজ্ঞেস করায় অভিক বলে, এমনিতেই বললাম। কিছু মনে করিস না। তোর কথা বল। স্বামী কেমন?কি করেন?ভালো কিনা?
নীলার গলায় যেন কি একটা আটকে যায়। সে আর কোন কথা বলতে পারে না। অভিক আবার বলে ওঠে, তোকে যদি কখনও কল দেই, তুই কি মাইন্ড করবি?নীলা মাথা নেড়ে না বলে নম্বর দিতে যাবে এমন সময় অভিক বলে ওঠে, আগের নম্বরটাই আছে না? নীলা হ্যাঁ বলতেই, অভিক বলে যে, তার কাছে নীলার নম্বর আছে। এরপর টুকটাক কথায় গাড়ী নীলার বাসার সামনে চলে আসে। বিদায় নিয়ে বাসায় আসতেই মোবাইল এ এস,এম,এস আসে, “কেনো চলে গেলি”। হার্ট বিট দ্রুত হয়ে যায় নীলার, মনে হয় কেনো বলল এমন করে অভীক? অনেক ভেবেও সে বুঝতে পারেনা, এতদিন পরে কেন অভিক আজকে এমন আচরন করছিল? সব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নীলা আবার ব্যস্ত হয়ে ওঠে তার দৈনন্দিন জীবনে। অভিক এর ওইদিনের আচরন এর কথা সে ইতিমধ্যে অজিতকে বলার পর অজিত বলে “ও তোমাদের সেই দুষ্টু গ্রুপ এর না? হয়ত কোন ফাইজলামি করছে”। কিন্তু নীলা মানতে চায় না, কারন সে দেখেছে অভিক এর এক্সপ্রেশন। আর যাই হোক, ওই চোখে কোন দুষ্টুমি ছিল না।
এরপর অনেকদিন পার হয়ে যায়। এর মাঝে ভাইবার, ফেসবুকে অভিক এর সাথে প্রায়ই কথা হতে থাকে। দুজনেরই ঠাট্টা তামাশা করার অভ্যাসটা যেন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে আবার নতুন করে। ঠাট্টা তামাশা করতে করতেই একদিন হঠাৎ করে অভিক বলে বসে, তোকে খুব ভালবাসি। তুই শুধু আমার, আর কারও না। নীলা চুপ করে যেতেই অভিক বলে, আমাকে সিরিয়াসলি নিস না কখনও।
দেখতে দেখতে শীতও চলে এসেছে। ভার্সিটিতে রি-ইউনিয়ন হবে। প্রমা খুব উৎসাহিত হয়ে ওদের দুজনের রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছে। দুজন মিলে ভার্সিটিতে আসতেই দেখা হয়ে গেল সবার সাথে, কিন্তু নীলার মন খুজে বেড়াচ্ছে অভিককেই। অনেকক্ষন পরেও যখন অভিক এলো না তখন সে ভেবে ফেলেছে যে সে চলে যাবে, ঠিক তখনি কালচারাল প্রোগ্রাম শুরু হয়ে গেল গীটার বাজানো দিয়ে। আর কেউ না, গীটারটা অভিক বাজাচ্ছে। মনের পালে যেন হাওয়া খেলে গেল অভিমানী নীলার। এরপর আর কি……আড্ডা, গল্পে গল্পে দিনটা শেষ হয়ে যাচ্ছিল আর নীলার মনটাও ভারী হয়ে আসছিল। অভিক যেন ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই বলে উঠল, চল সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাই। সবাই এককথায় রাজি। শুনেই মন নেচে উঠল নীলার। পরে বিদায় নিতে উঠতেই ঠিক আগের বারের মতই অভিক নীলার হাতটা ধরে বলে, আমি তোকে নিয়ে যাব, একটু দাড়া। বলে বন্ধুদেরকে বলতেই ওরা হইহই করে উঠল, বলল, আমাদেরকে নামিয়ে দে তোর গাড়ী দিয়ে। ঠিক যেন এই ভয়টাই পাচ্ছিল অভিক। সে কোনোমতে সবাইকে না করে নীলাকে নিয়ে আবার রাস্তায়। একটু সামনে এসেই সে গাড়ী থামিয়ে দেয়। কেন থামালি জানতে চাইলে অভিক নীলার হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বলে, তোর সাথে একটু একা সময় কাটাতে চাই, একটু নিরিবিলি পরিবেশ এ। যেখানে শুধু তুই আর আমি থাকব আর কেউ না। নীলা বলে ওঠে, কেন এভাবে বলছিস? এসবের মানে কি অভি?তুই কি চাস? অভিক বলে, আমি কিছু চাই না। আবার একটু পরেই দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে, তোকে চাই। তুই আমার। ওর হাসি দেখে নীলাও হেসে ফেলে বলে, জানিনা কেন, তোর সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগছে।
অভিক নীলার হাত কিছুতেই যেন ছাড়তে চাইছিল না। হঠাত করে সে নীলার হাত এ একটা চুমু এঁকে দেয়। নীলা হাত টেনে নিতেই সে বলে, প্লীজ, হাতটাকে আমার স্পর্শ থেকে দূরে সরিয়ে নিসনা। কেনো যেন নীলাও আর সরাতে পারেনা। হঠাৎ করে ওর নিজের উপর থেকে সব নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যায়। অভিক হাত ধরে নীলাকে নিজের দিকে টেনে নিতেই নীলা বলে ওঠে, প্লীজ অভিক, আমি বিবাহিত। অভিক যেন ইলেকট্রিক শক খাওয়ার মত নিজেকে গুটিয়ে নেয়। সরি বলে গাড়ী চালানো শুরু করে পাগলের মত। কয়েকবার পাশের গাড়িকে লাগিয়ে দিতে গিয়েও যেন সামলিয়ে নেয়। নীলা অভিকের হাত এর উপর আলতো করে নিজের হাতটা দিয়ে বলে, তোর কি হয়েছে বলতো?
অভিক গাড়ি থামিয়ে নীলার হাতটা ধরে হু হু করে কেদে উঠে। বলে তোকে খুব মিস করি আজকাল। আমার একটা রিলেশন হয়েছিল দুই বছর আগে। সেটা ভেঙ্গে গেছে রে। এই ঘটনা আমি কাউকে বলিনি। আজকে শুধু তোকে বললাম, জানিনা কেন? আমি কয়েকদিন আগে আত্মহত্যা করতেও গিয়েছিলাম, কিন্তু মায়ের কথা মাথায় আসায় করতে পারিনি। তোর সাথে ওর অনেক মিল।ও ঠিক তোর মতই হাসিখুসি ছিল। সবাইকে মাতিয়ে রাখত গল্পে গল্পে। ওর বিয়ে হয়ে গেছে। আমি আর নিজেকে বহন করতে পারছি না। আমার কষ্টের কথা আমার কোন বন্ধু জানে না, আজকে তোকে না বলে পারলাম না। আমাকে আর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করিস না ওর ব্যাপারে, আমি জবাব দিতে পারব না। আমার কাঁদার জন্য একটা কাঁধের প্রয়োজন। তোর কাঁধে মাথা দিয়ে একটু কাঁদতে চাই। নীলা ওর গালে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, আমি আছি। আমি আছি তোর পাশে। অভিক নিজেকে খুব দ্রুত সামলিয়ে নিয়ে আবার চলতে শুরু করে। সে রাতে নীলার কিছুতেই ঘুম আসে না। বারবার করে অভিক এর কথা মনে পড়ে যায়। এর কয়েকদিন পরেই সব বন্ধুরা মিলে নীলারা নদীর পাশে ঘুরতে যাবে বলে ঠিক করে। আবার অভিকের সাথে দেখা হবে বলে খুব খুশি মনে সাজতে থাকে সে। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে অভিক ওকে রিং করে বলে, আমি তোকে নিতে এসেছি। তোর বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি, তাড়াতাড়ি নাম। নীলা নামতেই সে বলে, আমরা পিকনিক এ যাচ্ছি না। কোথায় যাচ্ছি জানতে চাইলে অভিক বলে, তোকে নিয়ে হারিয়ে যাব আজকে। নীলা বলে, ফাজলামি করিস না। বাসায় মিথ্যে বলে বাইরে যেতে পারব না। অভিক বলে, তুই এম্নিতেও মিথ্যে বলতে পারিস না। তাই তোকে আর কিছুই বলতে হবে না। তোকে সময়মত বাসায় দিয়ে যাব, চিন্তা করিস না। আশ্বস্ত হয়ে গাড়ীতে উঠে বসতেই নীলার গালে আলতো করে হাত ছুয়ে দেয় অভিক। নীলার মনে হয় ওর হৃৎপিণ্ডটা ছিড়ে ওর হাতে কেউ ধরিয়ে দিয়েছে। অসহ্য মনে হতে থাকে। বুকের ভেতরে কি যেন একটা বোঝা। কি চায় অভিক ওর কাছে? ও পারবে তো বন্ধুত্বের সুন্দর এই সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে। ওর জীবনেও প্রকৃত বন্ধুর খুব অভাব। এসব চিন্তা করতে করতেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় ওরা। তাকিয়ে নীলা দেখে ওরা শহর থেকে বেশ খানিকটা বাইরের একটা গ্রামে চলে এসেছে, চারিদিকে শুধুই সরিষার ক্ষেত। দম বন্ধ করা সুন্দর। নীলা ভেবে পায় না, অভিক কি জানে যে ওর সরিষার ক্ষেত খুব পছন্দ। এ কথা সে কথার পর, হঠাত করে অভিক বলে যে সে একমাসের জন্য ব্যাংকক এ যাচ্ছে ব্যবসার কাজে। সে নীলার হাত ধরে বলে, তুই যাবি আমার সাথে? নীলার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। সে কিভাবে যাবে?বাসায় তার স্বামী অন্ধবিশ্বাস করে তাকে, কখনও কিছুতেই বাধা দেয় না, পাগলের মত ভালবাসে তাকে, তার সুখের জন্য দিনকে রাত করে ফেলে। তাকে ফেলে রেখে কিভাবে? কিন্তু অভিক যেন কিছুই বুঝতে চায় না, তার আবদারটা কতখানি অযৌক্তিক সেটা সে যেন দেখেও দেখতে চায় না। দিনশেষে যেন নীলার পা আর চলতে চায় না, সে আর অভিক এর সাথে দেখা করবে না, কথাও বলবে না, চিন্তাও করবে না…………কিন্তু পারবে কি সে? কি চায় সে?কই অভিক এর সাথে থাকলে তো তার বুকের ভেতরের শূন্যতাটা থাকে না। তার কিছু বলার আগেই অভিক তার মনের কথাটা বুঝে যায়, সে কি পারবে ওকে ছেড়ে থাকতে?অসহ্য কষ্টে পড়তে যাচ্ছে না তো………………সে কি অভিককে ভালবাসে?