এক
মুহিনের ধারণা, তার শরীর থেকে সবসময় মরা মানুষের গন্ধ বেরোয়; যদিও মুহিন ছাড়া অন্য কেউ সে গন্ধ পায় না। মুহিন বলে, ওর সারা গাঁয়ে মরা মানুষের তেল-চর্বি লেগে রয়েছে! একারণে সে খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করতে পারে না। দিনে কম করে হলেও বিশ বার গোসল করে। তাও যেন তেন গোসল নয়, প্রতিবার গোসলে সে বার তিনেক করে সমন্ত শরীরে সাবান মাখে! গোসলের জন্য গিনেস বুকের ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটা এইমূহুর্তে বোধহয় মুহিনের দখলে।
মুহিনের এই অবস্থা আজ একমাস যাবৎ চলছে। খাওয়ার বিষয়ে আমি আর প্রদীপ একদিন জোরাজুরি করতেই মুহিন বলে, ‘আমার সারা শরীরে মানুষের পচাঁ লাশের গন্ধ! মরা মানুষের তেল আমার সারা গায়ে লেগে রয়েছে! গন্ধটা কিছুতেই যাচ্ছে না! শিপন তুই আমাকে ভাল দেখে একটা সাবান এনে দিতে পারিস, গন্ধটা দূর হতো কি না চেষ্টা করে দেখতাম?’
মুহিনের কথা শুনে আমি অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়াই। চোখের পানি আড়াঁল করার একই চেষ্টা প্রদীপের মাঝেও। মুহিনকে আমরা যারা চিনি, তাদের পক্ষে ওকে এই অবস্থায় দেখা খুই কষ্টের।
‘এতএত ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়ে কিছু হবে না রে! তোরা সবাই ভেবেছিস আমি ভয় পেয়েছি? একদম না! তোরা তো জানিস, ভয় পাওয়ার ছেলে আমি না। আসলে হয়েছে কী জানিস? ঐ গন্ধটা, লাশ পচাঁ গন্ধটাই আমাকে জালিয়ে মারছে। খেতে দিচ্ছে না, ঘুমুতে দিচ্ছে না! প্রদীপ দ্যাখ, দ্যাখ আবার সেই গন্ধটা তীব্র হতে শুরু করেছে! তোরা পাচ্ছিস না! শিপন, তুই গন্ধ পাচ্ছিস না?’
মুহিন তার ডান হাতটা এনে আমার নাকের কাছে তুলে ধরে। আমি কিছু বলার আগে প্রদীপ বলে, ‘মুহিন, দাদা আমার! একটা কথা তুই ভাল করে ভেবে দ্যাখ! তুই যখন ভয় পেয়ে চিৎকার করলি, তখন পুকুরের জলে নেমে আমি আর শিপনই তো তোকে পাড়ে তুলে এনে ছিলাম, তাই না! পুকুরে মরা মানুষ থাকলে তো আমরাও দেখতে পেতাম। লাশের গন্ধতো আমাদের গাঁয়েও লাগার কথা। কই আমাদের গাঁয়ে কোন গন্ধ আছে! তুই মিছে মিছি ভয় পাচ্ছিস! এসব চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফ্যাল!’
প্রদীপ আপ্রাণ চেষ্টা করে মুহিনকে বুঝাতে। বরাবরের মত এবারও সে ব্যর্থ হয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে। আজ একমাস ধরে এভাবে চলছে। মুহিনের মন থেকে সেই কালরাতের স্মৃতি কিছুতেই যাচ্ছে না।
ছোট বেলা থেকে আমরা তিন বন্ধু ছিলাম খুব ডানপিঠে স্বভাবের। আমাদের মধ্যে মুহিনটা ছিল দুর্দান্ত সাহসী। ও ছিল আমাদের দলনেতা। আমাদের দুঃসাহসী(!) সব নৈশ অভিযানের পরিকল্পনা ও পরিচালনাকারী ছিল মুহিন। মুহিনের সাহস, পরিশ্রম করার ক্ষমতা আর রাতের অন্ধকারে ভূতের মত বিচরণের নৈপূণ্যের কারণে আমারা বন্ধুরা ওকে ‘ভূত’ বলে ডাকতাম। সেই ‘ভূত’ মুহিন আজ সত্যিকারের ভূতের ভয়ে শয্যাশায়ী।
ভয় পাওয়ার পরে মুহিনের গাট্টাগোট্টা শরীর শুকিয়ে একদম কাঠ হয়ে গেছে। সবাই বলে- ভয় পেলে মানুষের কলিজা শুকিয়ে মারা যায়। মুহিনেরও তাই হয়েছে। মাসখানেক আগের মুহিনকে যে দেখেছে, এখন ওকে দেখলে সে চিনতেই পারবে না। ভয়ানক এক আতঙ্ক যেন সারাদিন মুহিনকে তাড়িয়ে বেড়ায়। আমি আর প্রদীপ সামনে গেলে ওর আতঙ্কটা আরো বেড়ে যায়। ভয়ার্ত চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। কারো সাথে তেমন কথা বলে না।
মুহিন ভয় পাওয়ার পর থেকে এই একমাস যাবৎ ডাক্তার-কবিরাজ করে করে প্রদীপ ও আমি অক্লান্তভাবে ছুটে বেড়াচ্ছি। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রাতে আমারা মুহিনের সাথে থাকি। মুহিনের যা অবস্থা তাতে এরকম চলতে থাকলে ও নির্ঘাত মারা যাবে। মুহিন আমাদের মাঝে থাকবে না-একথা ভেবে প্রদীপ ও আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
দুই
ভূতে-পাওয়া রোগীর চিকিৎকসায় ধনঞ্জয় ওঝা’র খুব নামডাক। ‘কালির সাধন’ নামক যজ্ঞের দ্বারা তিনি অনেক দুঃসাধ্য সাধন করেন। জনশ্রুতি রয়েছে, তিনি অসংখ্য দুষ্টু ভূত আর প্রেতাত্মাকে বোতলে ‘কয়েদ’ করে রেখেছেন। অসংখ্য প্রেতাত্মাকে তিনি ‘কতল’ করেছেন। মুহিনকে বাঁচানোর শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে আমি আর প্রদীপ একদিন সেই ধনঞ্জয় ওঝা’র ডেরায় হাজির হলাম।
ওঝা ঠাকুর আমাদের কাছ থেকে সেই রাতে কী ঘটেছিল তার সবিস্তার বর্ণনা শুনলেন। সবকিছু শুনার পর “হুম” বলে তিনি উপরের দিকে চেয়ে রইলেন। যেন দিব্যদৃষ্টি দিয়ে তিনি দেখতে চাইছেন, সেই রাতে আসলে কী ঘটেছিল!
‘বড় কুক্ষণে তোরা সেই রাতে ওই জায়গাতে গিয়েছিলি, সেইরাতে ঘোর অমাবস্যা ছিল, তাই না?’ ওঝা ঠাকুর চোখ খুলে জানতে চাইলেন।
‘অমাবস্যা ছিল কি না তা জানি না। তবে সেই রাতে খুব অন্ধকার ছিল চারিদিকে। আমরা গভীর রাতে যখন রাস্তায় বের হই তখনও চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার।’ প্রদীপ ওঝা ঠাকুরকে বলে।
ওঝা ঠাকুর আবার কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ঝিম মেরে থাকেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা যা বলছি তা তিনি চোখ বন্ধ করে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখে যাচাই করে নিচ্ছেন-আমরা ঠিকঠাক বলছি কি না!
তিনি এবার চোখ খুলে সরাসরি আমার দিকে তাকিয়ে শীতল গলায় বললেন, ‘মদনাই পুকুর জায়গাটা সমন্ধে তোরা কতটুকু জানিস?’
আমি বললাম,“শুনেছি ঐ জায়গায়টা খুব ভয়ের জায়গা। ঐ পুকুরের পাড়ে যে বড় বটগাছ, ঐ গাছে নাকি ভূত..’
এইটুকু শোনার পর ওঝা ঠাকুর আমাকে প্রচন্ড এক ধমক মারেন। “ মূর্খের দল! সবকিছু জেনে শুনেও কেন সেখানে মরতে গিয়েছিলি রাতের অন্ধকারে? স্কুল কলেজে দু’কলম পড়ালেখা শিখেছিস বলে তোদের কাছে ভূত-প্রেত মিথ্যা কুসংস্কার বলে মনে হয়? সব কিছু তোদের তামাশা ঠেকে?”
সাহসের ডানায় ভর করে আমরা রাত-বিরাতে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু ভূত-প্রেতের ভয় মনে যে একটু আধটু ছিল না, তা নয়। মদনাই পুকুরে মাছ ধরতে যেতে ঐ রাতে আমি মুহিন ও প্রদীপকে বারবার নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু মুহিনের মাছ ধরার প্রচন্ড নেশা ছিল। আগের দিন বিকেলে মদনাই পুকুরের পাড় দিয়ে আসবার সময় পুকুরে বড় বড় মাছ দেখে মুহিনের মাথাটা নষ্ট হয়ে যায়। মাছ ধরার নেশায় সে এতটাই পাগল ছিল যে, দীঘির মত বিশাল ঐ পুকুর-যেখানে মানুষ ভয়ে দিনের বেলাতেও খুব একটা নামে না-সেখানে রাতের অন্ধকারে একা একাই সে নেমে পড়ে টর্চ নিয়ে। আমি আর প্রদীপ দূরে পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ পুকুরের মধ্যিখান থেকে ‘লাশ’ ‘লাশ’ বলে মুহিনের চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। ভয় পেয়ে মুহিন তখন থরথর করে কাঁপছে। ওর চোখ দুটি কোন এক অজানা আতঙ্কে যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। মুহিন বারবার বলছিল, পুকুরের পানিতে সে মানুষের গলা-কাটা লাশ দেখতে পেয়েছে। অসংখ্য বিভৎস লাশ, পঁেচ গেল একাকার হয়ে গেছে। আমি আর প্রদীপ দুইজনে ধরে তাকে ডাঙ্গায় উঠিয়ে আনি। তৎক্ষণে মুহিন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
ওঝা ঠাকুরের কথা শুনে প্রদীপ ক্ষমা চাওয়ার স্বরে বলে, “আমরা বুঝতে পারি নি, ওঝা ঠাকুর। ঐ জায়গাটা যে এতটা ভয়ানক তা আমরা আগে বুঝতে পারি নি।”
“শোন, ঐ জায়গা সম্পর্কে তোরা থোড়াই জানিস! ঐ মদনাই পুকুর জায়গাটা হলো একটা বধ্যভূমি! ঐ পুকুরের পানিতে ভেসে বেড়ায় শতশত লাশ। সব মানুষের সুরত! তবে ঐ গুলো একটাও মানুষের লাশ নয়!” এই পর্যন্ত বলে ওঝা ঠাকুর থেমে যান। তিনি গভীরভাবে আমাদের দুইজনকে লক্ষ্য করতে থাকেন।
ওঝা ঠাকুরের কথা শুনে আমাদের কৌতুহলের পারদ তরতর করে উঠতে থাকে। পুকুরের পানিতে শতশত লাশ ভেসে বেড়ায়? তা-ও আবার মানুষের লাশ নয়! তাহলে কার লাশ সেগুলো?
ওঝা ঠাকুর আবার বলতে শুরু করেন,“শোন! মানুষের মধ্যে যেমন ভাল-মন্দ, চোর-ডাকাত, খুনি-লুটেরা আছে, ভূতেদের মধ্যেও সেরকম আছে। মানুষের মত তাদেরও একটা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আছে। সেই সমাজেও আমাদের মত দাঙ্গা, কলহ, খুন,খারাপি চলে। ঐ মদনাই পুকুর হলো তাদের একটা বধ্যভূমি। ওখানে তারা প্রতি অমাবস্যার রাতে অসংখ্য দোষীকে ধরে এনে বিচার শেষে হত্যা করে! পুকুর পাড়ে যে প্রাচীন বটগাছ, সেখানে তাদের বিচারসভা বসে। বিচার শেষে কাউকে কয়েদ করা হয়, কাউকে হত্যা করা হয়। ঠিক মানুষের মত। গত অমাবস্যার রাতে যেদিন তোরা মাছ ধরতে গিয়েছিলি, সেইদিন ওখানে সাতজনকে হত্যা করা হয়। সাত’শ বছর বয়সী এক বুড়ি আর তার ছয় ছেলেকে ঐ রাতে ভূতেরা ‘কতল’ করে! ঠিক রাতের দ্বিপ্রহরে। তোদের বন্ধু মুহিন দৈবক্রমে ঐসময় তাদের সামনে পড়ে যায়।”
ওঝা ঠাকুরের কথা শুনে আমরা দুজনে তো একেবারে থ’ বনে গেলাম। আমার শিরদাড়া বেয়ে একটা উঞ্চ রক্তের ¯স্রোতে নেমে গেল। মুহিন পানিতে নামার আগে আমি আলো জালতে মোবাইল বের করেছিলাম। মোবাইলে তখন সময় রাত ১২.৪৫। সেই রাতে যতটা না ভয় পেয়েছি, আজ ওঝা’র কথা শুনে তারচে’ ঢের বেশি ভয় লাগছে। আমার মনে হচ্ছে, আমি ভয়ে ওঝা ঠাকুরের ঘর থেকে বের হতে পারব না।
প্রদীপ বলল, “কিন্তু ঠাকুর, মুহিনের চিৎকার শুনে আমিই প্রথম পানিতে ঝাঁপ দেই। আমি কোন কিছুই সেখানে দেখতে পাইনি। আমার পরপর শিপন পানিতে নামে। সেও কিছু দেখেনি। তাছাড়া পরদিন আমরা গ্রামবাসী ঐ পুকুরে অনেক তল্লাশি করি। সেখানে বড় বড় কচুড়ির ধাপ ছাড়া কিছুই নেই।
“নিজের এলাকায় কেউ অনধিকার প্রবেশ করুক,মানুষের মত ভূতেরাও তা চায় না। এজন্য মুহিনকে ভয় দেখিয়ে ওরা তোদের তাড়াতে চেয়েছিল। এখানে ভয় দেখানো মুখ্য উদ্দেশ্য নয়, তোদের তাড়িয়ে দেয়াটাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। এজন্য তোরা দুইজন পুকুরের জলে কোন কিছুই দেখতে পাস নি। তবে আমার সাথে অমাবস্যার রাতে যদি সেখানে কেউ যায়, আমি তাকে সব দেখাতে পারি!” ধনঞ্জয় ওঝা সম্মতির জন্য আমাদের দুইজনের দিকে তাকিয়ে রইল।
নতুন কোন ‘এ্যাডভেঞ্চার’ করার সাধ আমাদের আর নেই। আমরা মাথা নেড়ে আমাদের অপারগতার কথা ওঝাকে জানিয়ে দিলাম। সেই সাথে আমাদের বন্ধুকে কী করে সারিয়ে তোলা যায় সে বিষয়ে তাকে বিশেষ অনুরোধ করলাম। তিনি যে ফিরিস্তি দিলেন তাতে আমাদের আগামী অমাবস্যা পর্যন্ত অর্থাৎ আরো ২০/২২ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক হলো- আগামী অমাবস্যার রাতে আমাদের দুইজনসহ ওঝা ঠাকুর মুহিনকে মদনাই পুকুরে নিয়ে গিয়ে ভূতেদের কাজ কারবার স্বচক্ষে দেখিয়ে মুহিনের ভয় তাড়াবার চেষ্টা করবেন। তিনি আমাদের আশ^াস দিলেন, একবার সত্যি ঘটনা মুহিনকে দেখাতে পারলে ওর ভয় দূর হয়ে যাবে। ও আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। আমরা আশায় বুক বেঁধে অনাগত অমাবস্যার প্রতীক্ষা করতে থাকলাম।
পরিশেষে
পরবর্তী অমাবস্যা পর্যন্ত মুহিনকে আমরা বাঁচাতে পারি নি। অমাবস্যার আর মাত্র দুইদিন বাকি থাকতে আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে মুহিন চলে যায়। ভয় পাওয়ার পর থেকে মুহিন কিছু মুখে তুলতে পারত না। ওর কেবল মনে হতো ওর সারা শরীরে মানুষের লাশ পচাঁ দুর্গন্ধ লেগে রয়েছে। একরকম না খেতে পেরেই আমাদের প্রিয় মুহিন আমাদের ছেড়ে চলে যায়।
মৃত্যুর সপ্তাহখানেক আগে মুহিনকে আমরা একজন নামকরা সাইকোএনালিস্ট-এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, মুহিন ‘ফ্যাজমোফোবিয়া’ নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সাধারণত ভূতের ভয় থেকে প্রচন্ড মানসিক ধাক্কায় এই রোগ হয়। রোগীর মন থেকে ভূতের ভয় দূর করতে না পারলে অল্প দিনে রোগীর মৃত্য অনিবার্য।
১২ ডিসেম্বর - ২০১৫
গল্প/কবিতা:
১৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪